প্রায় সাত বছর অতিক্রান্ত, বিদ্যুতের লোডশেডিং এখন কেন তীব্র ? কেন সংকট বেড়েছে ?
লিখেছেন লিখেছেন শিশিরবাবু ১০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:৫২:৩০ রাত
বিদ্যুতের অভাবজনিত দূর্ভোগ থেকে আমরা আজও মুক্তি পেলাম না। বরং সংকট বেড়েছে নানা মাত্রায় । বিদ্যুৎ খাতে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশী। রাজধানীর সীমিত কিছু এলাকায় শীতকালীন সময় ছাড়া দেশের সর্বত্র বিদ্যুতের লোডশেডিং তীব্র। বর্তমানে ঢাকার অভিজাত এলাকাতেও কম করে ৩/৪ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। রাত ৮টার পর দোকান, মার্কেট হয়ে পড়ে বিদ্যুৎবিহীন, নূতন কোন কারখানা,এমন কি বাসা-বাড়ীতেও বিদ্যুৎ সংযোগ নিষিদ্ধ। জ্বালানী তেলের কারণে ব্যায়বহুল হওয়াতে আমি কখনই বাড়ীতে জেনেরাটার বসিয়ে ইচ্ছা মত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহার করার সখ পূরুণ করতে পারি নি। অথচ বর্তমান সরকার সেই কাজটি অণ্যভাবে (রেন্টাল,কুইক রেন্টাল ) করার চেষ্টা করে আমাদের পকেট থেকে অতিরিক্ত টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে, রাষ্ট্রের কোষাগার করছে শূণ্য। সরকার অতিরিক্ত ভর্তুকির যে অর্থের অপচয় করেছে, তার অর্ধেক খরচে পুরাতন বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আধুনিকায়ন করে সচল রাখলে এতবার বিদ্যুতের মূল্য বাড়াতে হতো না। জনসাধারণ স্ব উদ্যোগে যতখানি সম্ভব তেলের খরচে নিজের ঘাটতি মেটাত। এখানে গ্যাস প্রাপ্তির বিশেষ ভূমিকা আছে। গ্যাস নিয়েও বর্তমান সরকার বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। সরকার নিযুক্ত চেয়ারম্যান মনসুর সাহেবের বক্তব্য সঠিক হলে অন্ততঃ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জণ্য গ্যাসের অভাব হওয়ার নয়। ইতিমধ্যে সাশ্রয়ী খরচের নূতন বড় আকারের কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নেওয়া হলে এতদিনে আমরা অনেক খানি অগ্রসর হতে পারতাম। গ্যাসভিত্তিক উৎপাদনে যাওয়ার প্রয়োজনে নূতন গ্যাস মজুদ ও সরবরাহের চাহিদা আছে। এক সময় আমাদের বিশ্বাস করতে বলা হয়েছিল বাংলাদেশ গ্যাসের উপর ভাসছে। এখন বিশ্বাস করতে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে গ্যাসের ভবিষ্যৎ নাই। পত্র-পত্রিকাসূত্রে জানতে পারছি কয়লার মজুদ ও সম্ভবনার কথা। কিন্তু খোলা পদ্ধতির বিতর্কে সব উদ্যোগ বন্ধ। আমরা কাকে বিশ্বাস করবো ? কোথায় আস্হা রাখবো ? বিশ্বের বহুজাতিক কোম্পানীগুলি লুট ও মুনাফার স্বার্থে আমাদের উল্টো সিধে অনেক কিছুই বুঝাচ্ছে। আমাদের দুর্ণীতিবাজ আমলাগোষ্ঠী, রাজনীতিবিদ, এবং সরকার তাতে সায় / তাল দিচ্ছে। জ্বালানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সত্যিকারের জনস্বার্থের সরকার দরকার, যারা জ্বালানী সেক্টরে দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র অপসারণ করে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। পূর্বতন বি এন পি- জামাত সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, মঈন-ফখরুদ্দিন গং বিদ্যুৎ প্রসংগে অনেক কথা, বিষেদাগার করেছে। অথচ তারা প্রায় সাত বছর সময় পেয়েও সমাধান তো দূরে থাক অবস্হার আরো অবনতি করেছে। বেড়েছে লোডশেডিং, খরচ। জনসাধারণের অতিরিক্ত খরচের টাকাটা সরকার দলীয় লোকজন নিজেদের সিন্দুকে ভরছে।
বিষয়: বিবিধ
১১৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন