যে খবর মিডিয়ায় আসে না।
লিখেছেন লিখেছেন শাহাবাগ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৮:১০:৫০ সকাল
কুষ্টিয়ার জামায়াত নেতা উপজেলা চেয়ারম্যানকে ধরিয়ে দিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।
দীর্ঘ ২/৩ মাস ধরে পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে থেকে গতকাল উপজেলা পরিষদের মিটিংএ আসেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোশারফ হোসেন। তিনি মিটিংএর কে প্রবেশ করার ৩/৪ মিনিটের মধ্যে ডিবি ও সাধারণ পুলিশ সদস্যরা উপজেলা পরিষদ ঘিরে ফেলেন। বৈঠকে উপস্থিত সবাই বিস্মিত, এতো দ্রুত কী করে পুলিশের কাছে খবর পৌঁছল? তখন সামনে চলে আসে ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন মুরাদের বিষয়টি। যিনি কাইকে না জানিয়ে চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের মতা কুগিত করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে অনেক অর্থ ব্যয় করে মতা অর্পণপত্র নিয়ে আসেন। যেখানে লেখা আছে , ভাইস চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মুরাদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের অনুপস্থিতিতে আর্থিক সকল মতা লাভ করবেন এবং সেভাবে উপজেলা পরিষদ পরিচালনা করতে পারবেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের উপস্থিত হওয়ামাত্র ভাইস চেয়ারম্যানের এ মতা খর্ব হবে। কাইকে না জানিয়ে তিনি কেন একাজ করলেন- আর আজকের মিটিংএ এতো দ্রুত কে বা কারা পুলিশকে উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের উপস্থিতির খবর দিলো?-এপ্রশ্ন সকলের। মিটিংএ সবাই যথাসময়ে হাজির হলেও ভাইস চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মুরাদ ৩০ মিনিট দেরীতে মিটিংএ হাজির হন। সবাই বলাবলি করছে , ভাইস চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মুরাদই এ হীন কাজ করেছেন তার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাছিল করার জন্য । চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ নিয়ে যেতে চাইলে ইউএনও এসপি ও ওসিকে ফোনে তাদের মিটিং শেষ করা পর্যন্ত ২ ঘন্টা সময় দিতে অনুরোধ করেন। এসময়ের মধ্যে চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন তার সমুদয় কাজ সম্পন্ন করে তার সমস্ত আর্থিক মতা ইউএনওর উপরে ন্যস্ত করে নিজেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন