অনলাইনে গোপন তথ্য উদঘাটনের শীর্ষে টোর - আপনিও ব্যবহার করতে পারেন কেননা এটা একদম ফ্রি !
লিখেছেন লিখেছেন সত্য সবার উপর ১৬ মার্চ, ২০১৩, ১২:৪২:৪০ দুপুর
ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে
সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অনলাইনের বিশাল জগৎ সম্পর্কে খুব সামান্যই জানেন। অনেকে হয়তো জানেনই না, কিছু সাইট রয়েছে যেগুলো প্রচলিত ব্রাউজার দিয়ে ভিজিট করা সম্ভব না। এমনকি গুগল, ফেসবুক কিংবা আরএসএস রিডারের সাধ্য নেই এগুলোয় প্রবেশ করার। এসব সাইটকে বলে ডিপওয়েব বা আন্ডারনেট। এ সাইটগুলো এতই সুরক্ষিত যে, সেগুলোয় প্রবেশ করতে বিশেষ ব্রাউজারের প্রয়োজন।
এ ব্রাউজারের মাধ্যমে আপনি অজানা অনেক তথ্য উদঘাটন করতে পারবেন। যা একাবারেই আপনার কল্পনার বাইরে। টোর ব্রাউজার ব্যবহার করেই দুনিয়া কাঁপিয়েছে উইকিলিকস। বিভিন্ন দেশের গোপন নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে সেখান থেকে তথ্য হাতিয়ে নেয়ার কাজটি এ ব্রাউজারের মাধ্যমেই করেছে। অনলাইনে নথি প্রকাশের সময়ও টোরকে ব্যবহার করেছে উইকিলিকস। টোরের পুরো নাম দ্য ওনিয়ন রাউটার।
এ নেটওয়ার্কে ব্যবহারকারীদের পরিচয় ও অন্যান্য তথ্য ব্রাউজিংয়ের সময় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। কোনো ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়ার আগে বিভিন্ন সার্ভারে ঘুরে বেড়ায় এ ব্রাউজার। আর এ সময় বারবার ডাটা এনক্রিপ্ট করে এটি, যাতে ব্যবহারকারীর কোনো তথ্য কোথাও প্রকাশ না পায়।
২০০৪ সালে সর্বপ্রথম চালু হয় টোর ব্রাউজার। তবে সম্প্রতি ব্রাউজারটির কার্যক্রম জনসমক্ষে প্রকাশ হয়। শুরুতে টোর ঘরানার ব্রাউজার তৈরি করা হয়েছিল মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য। এ বাহিনীর সব ধরনের যোগাযোগ ও গোয়েন্দা তথ্য নিরাপদ রাখার ল্েয তা উন্নয়ন করা হয়। এখন পর্যন্ত এ ধরনের ব্রাউজার ব্যবহার করছে মার্কিন নৌবাহিনী।
টোর ব্রাউজার ব্যবহার করে যোগাযোগ সুরতি রাখার স্বার্থে ও স্পর্শকাতর গবেষণার তথ্য আদান-প্রদানে। নাম-পরিচয় গোপন রাখার সুবিধার থাকায় টোর হয়ে উঠেছে তথ্য স্বাধীনতার সমর্থক, মুক্তবাদীদের প্রিয় ব্রাউজার হিসেবে।
বর্তমানে অস্ত্র, মাদক, নারী পাচারকারী-ব্যবসায়ীদের নিরাপদ যোগাযোগের মাধ্যম গোপন অনলাইন জগৎ। এ কাজে তাদের সহায়তা করছে টোর ব্রাউজার। টোরের মাধ্যমে ব্যবসায় করছে সিল্করুট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। অনেকে এ প্রতিষ্ঠানকে মাদক ব্যবসায়ের আমাজন বলে আখ্যা দিয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ অনলাইন খুচরা বিক্রি প্রতিষ্ঠান আমাজনে যেমন সব পণ্য পাওয়া যায়, তেমনই সিল্করুটে পাওয়া যায় সব ধরনের মাদক।
টোর নামে পরিচিত ব্রাউজারটি ব্যবহার করলে ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতাই বদলে যাবে। প্রচলিত ক্রোম কিংবা ফায়ারফক্স ব্রাউজার গ্রাহকদের পরিচয় কিংবা অবস্থান লুকিয়ে রাখার কোনো চেষ্টাই করে না। উল্টো কখনো কখনো এগুলো ব্যবহারকারীদের অবস্থান সবাইকে জানিয়ে দেয়। অন্য দিকে টোর ব্রাউজারের মূল কাজই হচ্ছে যতখানি সম্ভব ব্যবহারকারীর তথ্য গোপন রাখা।
মূল লেখার সুত্রঃ নয়া দিগন্ত থেকে
বিষয়: বিবিধ
২৫২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন