রাসূল ও ইসলাম সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্যকারী ব্লগারদের পক্খ নিয়ে তাদের অপকর্মে দায় নিজের কাধে নিয়ে আপনার ঈমান-আমল সব বরবাদ করছেন কিনা, একটু ভেবে দেখুন।

লিখেছেন লিখেছেন সত্যবাক ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৮:০৭:০২ সকাল

বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলমানের প্রাণপ্রিয় নবী মুহাম্মদ সা. ও ইসলাম সম্পর্কে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারী ব্লগাররা কোন দলের নয়। সুতরাং তাদের এহেন কুকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে কোন মুসলমান তাদের পক্খ নিবেন এমনটি অকল্পনীয়। কোন বিবেকবান অমুসলিমও তাদের পক্খ নেয়ার কথা নয়। তারা নিজেদের অশ্লীল ও বিকৃত রুচির কারণেই নবী-রসূল, ইসলাম, নামাজ রোযা, হ্জ্জ, হেরাগুহা, ঈদের জামাত এসব পবিত্র ধর্মীয় বিধান ও স্থান সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করে এক ধরনের বিকৃত সুখ অনুভব করেছে। এসব মন্তব্যের দায়দায়িত্ব তাদের একান্ত নিজস্ব। কোন ঈমানদার মানূষ ও কোন দল এদের পক্খ নেয়ার প্রশ্নই আসেনা। এসব স্বঘোষিত কাফির ব্লগারদের পক্খ নিয়ে তাদের ঘৃন্য অপকর্মের দায় নিজের কাধে নিয়ে নিজের ঈমান-আমল সব বরবাদ করছেন কিনা একটু চিন্তা করুন।

স্বঘোষিত কাফির ব্লগাররা পবিত্র কুরআনকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেেেছ! কোরাআন তাদের কী খতি করেছে? কোরআন তো মানুষকে সত্য কথা বলতে বলে। সমাজে ইন্সাফ প্রতিষ্ঠার কথা বলে, অনাথ-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলে। ওজনে কম দিতে নিষেধ করে, নারী-পুরুষের সুশৃংঙ্খল ও পবিত্র জীবন যাপনের কথা বলে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, সুদ, ঘুষ ও মানুষের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করতে নিষেধ করে। খুন-খারাবী, হিংসা-বিদ্বেষ, পরনিন্দা, চোগলখুরী করতে নিষেধ করে। দূর্বল ও অসহায় মানুষের প্রতি জুলুম করতে নিষেধ করে। সৎ কাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করতে বলে। অপচয় ও অপব্যয় করতে নিষেধ করে। বৃদ্ধ মাতাপিতার প্রতি সুন্দর আচরণ করতে বলে। অহংকার করতে নিষেধ করে। মানুষকে উপহাস নয় বরং সম্মান করতে বলে। দুনিয়ার কাজের জন্য পরকালে জবাবদিহিতার কথা বলে। এগুলোতে নাস্তিক্যবাদী ব্লগারদের আপত্তি কেন? ওরা তাহলে কি চায়?

তারা পবিত্র হেরাগুহা নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেছে। হেরাগুহাতেই প্রথম আসমানী বাণী নাযিল হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে “পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন, যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ থেকে। পড়ো আর তোমার প্রভু মহাসম্মানিত। যিনি শিা দিয়েছেন কলম দ্বারা। যিনি শিা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।” এখানে তো পড়া-লেখার কথা আছে, কলম ও শিার কথা আছে। অজানাকে জানার কথা আছে। এ আলোকিত মহান বাণী অবতরণের ঐতিহাসিক পবিত্র স্থান হেরাপর্বতের সাথে অশ্লীণ তুলনা এক ধরনের বিকৃত মানসিকতা ছাড়া আর কি হতে পারে?

এরা আসলে সমাজচ্যুত একশ্রেণীর বিকৃত রুচির জীব। এরা শান্তি ও স্থিতিশিলতার শক্র, এরা দেশের শক্র, বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলমানের শক্র। বিশ্বের সকল মুসলিম দেশের কাছে বাংলাদেশকে এরা কলঙ্কিত করেছে। সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ বিভন্ন মুসলিম দেশে থাকা লক্খ লক্খ প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাথা এরা নিচু করে দিয়েছে।

যার মনে নবীজীর জন্য সামান্যতম ভালবাসা আছে, ইসলামের নুন্যতম বিশ্বাস আছে, কুরআনের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা আছে, এরূপ প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য হচ্ছে, এ ঘৃন্য অপকর্মের সাথে জড়িত ব্লগারদের তীব্র ঘৃণা ও ধিক্কার জানানো। শান্তিপ্রিয় মানুষের পবিত্র ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভুতিতে চরম আঘাত হানার এহেন ঘৃণ্য কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানানো এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদাবী করা। তবে সকলের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিনয়ের সাথে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, প্রতিবাদের নামে ভাঙচুর করা অন্যায়। কারণ একজনের অপরাধের জন্য নিরপরাধ কারো জীবন ও সম্পদের হানি করা ইসলামসম্মত নয়। একথা স্মরণে রেখে আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী ও ইসলামের পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্খায় সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১১৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File