জামায়াতের জোর গলায় বার বার বলা উচিত, আন্তর্জাতিক মানসম্পন আইনে স্বচ্ছ ও নিরপে বিচারে জামাতের কোন নেতার বিরুদ্ধে কোন অপরাধ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী তার উপযুক্ত শান্তি মাথা পেতে নিতে আমরা প্রস্তুত।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যবাক ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:২৫:৩০ রাত
জামায়াত যেহতেু বলে আসছে তাদের নের্তৃবৃন্দ শুধু রাজনৈতিকভাবে ভারতের আধিপত্যের আশংকায় মুক্তিযুদ্ধ সমর্থন করতে পারেনি কিন্তু তারা খুন-খারাবী,ধর্ষণ ও অগ্নি সংযোগের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না। বরং তারা পাকিস্তানী সামরিক জান্তাকে গণহত্যা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। জামাতের সাবেক আমীর গোলাম আযম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার অল্প আগে এটিএন বাংলার সাথে দীর্ঘ সাাতকারে যেমনটি বলেছেন। গণহত্যা ও অপরাধের বিচার হবে আর জামাত তার বিরোধীতা করবে তা হতে পারে না। জামাতকে আরো স্পষ্ট করে বলতে হবে, আমরাও গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চাই। তবে বর্তমান ক্রটিপূর্ণ একপেশে আইনে সংশোধনী এনে আন্তার্জিক যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে ও দলীয় ট্রাইবুন্যাল পূণর্গঠন করে জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জানিক খ্যাতি সম্পন্ন দেশী-বিদেশী পেশাদার আইনজীবিদের সমন্বয়ে নতুন ট্রাইবুনাল গঠন করে নিরপে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিচার নিয়ে কোন রাজনৈতিক দল কোন রাজনীতি করতে পারবে না। সরকারী হস্তপেমুক্ত সম্পূর্ণ স্বাধীন ট্রাইবুনাল দলমত নির্বিশেষে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করবে। যার যতখানি অপরাধ প্রমাণিত হবে তাকে যথোপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে। বিদেশ থেকে আইনজীবি নিয়োগে কোন বাধা দেয়া যাবে না। আদালতে বিচার কার্য শুরু হওয়ার পর কোন ব্যাক্তিকে অভিযুক্ত করা হলে সে যেই হোক না কেন তার অনুকুলে কোন রাজনৈতিক বিবৃতি দেয়া যাবে না। বিচারাধীন বিষয়ে কোন রাজনৈতিক মন্তব্য করা যাবে না। এমনকি অভিযুক্ত ব্যক্তি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য বা নেতা হলেও বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার সদস্য পদ স্থগিত ঘোষণা করা যেতে পারে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাকে যুদ্ধাপরাধী বলে প্রচার করা যাবে না। এরূপ করা হলে সেটা মানবাধিকার লংঘন হবে এবং তা দন্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে। জামাতের জোর গলায় বার বার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা উচিত, ক্রটিমুক্ত ও আন্তর্জাতিক মান সম্পন আইনে স্বচ্ছ ও নিরপে বিচারে জামাতের কোন নেতার বিরুদ্ধেও যদি কোন অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে আইন অনুযায়ী তার উপযুক্ত শান্তি মাথা পেতে নিতে জামাত প্রস্তুত।
মানুষের চরম আবেগ ও অনুভুতি নিয়ে পশ্চাতমূখী সস্তা রাজনীতির চক্র থেকে জাতিকে মুক্ত করার জন্য ৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধের স্বচ্ছ ও নিরপে বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। রাজনৈকিত উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা বলে এদেশের মানুষের প্রতিশোধ স্পৃহাকে জাগ্রত করে সস্তা রাজনীতি করার দরজা চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে এবং মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির এজেন্ডা নিয়ে রাজনীতির করার দার উন্মুক্ত করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১০২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন