মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ যে জন্য।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যবাক ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৭:৫৫:১৪ সকাল
১৯৩ পাকিস্তানী সৈন্যকে যখন যুদ্ধাপরাধী হিসাবে চিন্হিত করা হলো তখন তাদের সাথে গোলাম আযম, কাদের মোল্লা, সাঈদীসহ বর্তমানে বন্দী জামাত নেতাদের নাম যোগ করা হয় নি কেন? পাকিস্তানী সেন্যদের মত মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধ ও গণহত্যার সাথে তারা জড়িত ছিলনা বলেই কি তাদের নাম তখন আসে নি? দালাল আইনে পাকিস্তানীদের এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ/ মামলা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি বঙ্গন্ধুর সরকার আহ্বান জানিয়েছিল তখন দেশের সর্বস্তরের মানুষ অপরাধীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার অভিযোগ দায়ের করেছিল। সে সময়ে আজকের এত বড় যুদ্ধাপরাধীদের(?) বিরুদ্ধে খুন, হত্যা, ধর্ষনের মত জঘন্য অপরাদের অভিযোগ কেউ দায়ের করল না কেন? তাদের এসব অপরাধের কথা কি কারো জানা ছিল না? হুমায়ুন আহেমদের বাবা শহীদ ফয়েজ আহমদ হত্যার সাথে সাঈদী জড়িত বলে সাক্ষী হাজির করা হয়েছে আদলতে। এ হত্যাকান্ডে শহীদ ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী ও হুমায়ুন আহেমদ ও জাফর ইকবালের মা আয়েশা ফয়েজ যিনি এখনো জীবিত আছেন তাকে সাক্ষী করা হলো না কেন? হুমায়ুন আহমদকে স্বাক্ষী করা হলো না কেন? আয়েশা ফয়েজ স্বাধীনতার পরপরই তার স্বামীর হত্যাকারীদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছিলে সেখানে এজাহারে সাঈদীর নাম গন্ধও ছিল না। আয়েশা ফয়েজ বই লিখেছেন সেখানেও সাঈদীর নাম গন্ধও নেই। জাফর ইকবালকে বর্তমান মানবতারবরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালে দায়ের করা মামলায় সরকার পক্ষের স্বাক্ষী বানানো হয়েছিল। জাফর ইকবাল আদালতে যেয়ে স্বাক্ষ্য দিলেন না কিন্তু শাহবাগের মঞ্চে যেয়ে সংহতি প্রকাশ করলে! ডাল মে কুচ কালা হায়।
বিষয়: বিবিধ
৯৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন