ইসলামবিদ্বেষী বামপন্থিরা এবার গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের দুরবিসন্ধি আটছে।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যবাক ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:১৬:১২ সকাল
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিরাট অংশ নারী। এরা শাহবাগের ব্লগারদের মত পশ্চিমা ধাচের ফ্রী মিক্সিং সংস্কৃতি ও লিভিং টুগেদার কালচারে বিশ্বাস করে না। গার্মেন্টস শ্রমিকরা সমান্য বেতনে খেটে খাওয়া মানুষ। কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করার পথে তারা প্রতিনয়ত নানাভাবে বখাটেদের দ্বারা উত্যক্ত, নিগ্রহ ও নিপিড়নের শিকার হচ্ছে। গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকদের প্রতি এহেন নিপীড়ন ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠি কিছুতেই সমর্থন করে না; বরং ইসলামী আদর্শবাদীরা মনে করেন শাহ্বাগীদের পছন্দের বিজাতীয় অপসংস্কৃতি ব্যাপক অনুপ্রবেশে নারীদের প্রতি উৎপীড়ন আরো বেড়ে যাবে। তাই গার্মেন্টস্ শ্রমিকসহ সকল নারীকে ক্রমবর্দ্ধমান উৎপীড়ন ও সহিংসতা থেকে রার জন্যই হেফাজতে ইসলামের দাবী উত্থাপন করেছে। কিন্তু সর্বস্তরের নারীর সম্মান ও মর্যাদা রার দাবীকে অপব্যাখ্যা করে শাহবাগী বামপন্থিরা এবার নারীদেরকে বিশেষকরে গার্মেন্টস শ্রমিকদেরকে ব্যবহার করার দুরবিসন্ধি আটছে।
গার্মেন্টস-এর শ্রমিক সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা বামপন্থি ও কমিউনিস্ট হওয়ায় তারা মজ্জাগতভাবে ইসলাম বিদ্ধেষী। হেফাজতে ইসলামের লং মার্চে ইসলামী আদর্শবাদীদের উত্থান দেখে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মতিঝিলে “নারী জাগরণ” ব্যানারে গার্মেন্টস শ্রমিকদের অংশগ্রহণে সমাবেশ করে দেখাতে চাচ্ছে, নারীরা হেফাজতের ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকরা প্রায় সবাই ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী। সকালে কর্মস্থানের উদ্দেশ্যে লাইন ধরে যাওয়ার সময় দেখা যায়, তাদের বিরাট অংশই শাড়ী বা কামিসের সাথে গায়ে ওড়না জড়িয়ে বাঙ্গালী মুসলিম নারীদের শালীন পোষাক পরিধান করেই যাচ্ছেন। এরূপ শালীন পোষাক পড়তে কেউ তাদেরকে বাধ্য করেছে এমন নয়। ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে উৎসারিত পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণেই তারা এটা করছেন। ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান ঘোষণার জন্য তাদেরকে সমাবেশে যেতে হবে এমন কথা হয়ত বামপন্থি শ্রমিক নেতারা নারী শ্রমিকদের বলবে না। বলবে অন্য কথা। হয়ত তাদের দাবী দাওয়ার কথা বলে সমাবেশে যোগদান করানো হবে। কিন্তু মঞ্চ থেকে বামপন্থি নেতারা বক্তব্য দেয়ার সময় ইসলামবিরোধী বক্তব্য রাখবে। আর মিডিয়া এটাকেই হাই লাইট করবে। ইসলামবিদ্বেষী বামপন্থিদের বিভ্রান্তির শিকার কিছু নারীকে ইসলামবিরোধী ও হেফাজতে ইসলাম বিরোধী বক্তব্যও হয়ত দেয়ানো হবে এবং তা ফলাও করে মিডিয়ায় প্রচার করা হবে যদিও অধিকাংশ নারীর ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সাথে বামপন্থি নেতাদের ইসলামীবিরোধী ঐ বক্তব্যের কোন মিল নেই। তারপরও ধর্মীয় বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকদেরকে তাদের বামপন্থি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার দুরবিসন্ধি আটছে। কিন্তু তাদের এই দুরবিসন্ধিও শেষ পর্যন্ত শাহবাগের মত ব্যর্থ হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন