আলেম-ওলামারা সর্বদা নারী নেতৃত্বেবিরোধী বা নারী নেতৃত্বের সমর্থক এ কথা বলা ঠিক নয়
লিখেছেন লিখেছেন সত্যবাক ০৯ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:০৬:৫৯ বিকাল
গণতান্ত্রিক সমাজে নারী নেতৃত্ব বা পুরুষ নেতৃত্ব পছন্দ করা বা না করা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয়। কেউ পুরুষ নেতৃত্ব পছন্দ না করলে বা পুরুষ নেতৃত্বকে ভোট না দিলে তাকে যেমন তিরস্কার করা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থি তেমনি কেউ নারী নেতৃত্বকে পছন্দ না করলে তাকেও তিরস্কার করা ঠিক নয়। আমেরিকানরা এ পর্যন্ত কোন নারীকে তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেননি। এ জন্য কি আমেরিকানদেরকে নারী বিদ্বেষী বলা যাবে? হেফাজতে ইসলাম বা ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সকল মানুষ কি পুরুষ হওয়ার কারণে হোসাইন মু. এরশাদের দলকে ভোট দিয়েছে? এ দেশের আলেম-ওলামা সবাই কি পুরুষ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি করে? বরং নেতৃত্ব পছন্দ করার েেত্র অনেকগুলো গুণ মানুষ বিবেচনা করে। এর মধ্যে পুরুষ না নারী হওয়ার একটি মাত্র গুণ। একজন ইসলামী বিদ্বেষী পুরুষ নেতৃত্বের চেয়ে ইসলামের প্রতি সহানুভূতিশীল নারী নেতৃত্ব ভাল হতে পারে। এ সব কিছু বিবেচনা করেই আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষ নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। এরপর যিনি অধিকাংশ ভোট পান তিনি অনেকের অপছন্দের হলেও তাকেই মেনে নেয়া হয়। এটাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বা ভোটা ভোটির মাধ্যমে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী বাংলাদেশের আলেম-ওলামাসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মানুষের ঐতিহ্য। জবরদস্তি করে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী তথাকথিত জঙ্গীবাদী গোষ্ঠির সাথে হেফাজতে ইসলামের কর্মীসমর্থকদের এখানেই মূল প্রার্থক্য। এ জন্যই এক সময় উপমহাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামারা পুরুষ আইয়ুব খানের পরিবর্তে মহিলা ফাতিমা জিন্নার নেতৃত্ব সমর্থন করেছিলেন। অতএব আলেম-ওলামারা সর্বদা নারী নেতৃত্বেবিরোধী বা নারী নেতৃত্বের সমর্থক এ কথা বলা ঠিক নয়া। ধর্মপ্রাণ মানুষকে নারী বিরোধী বলে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা মূলত নারীদেরকে বিভ্রান্ত করে ইসলামের মুখামুখী দাঁড় করাতে চাচ্ছে। ধর্মপ্রাণ নারী পুরুষকে এসব ইসলামবিরোধী গোষ্ঠি ও মিডিয়া চক্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন