সকালে যে ৫টি খাবার খেলে থাকবেন সুস্থ।
লিখেছেন লিখেছেন আমি চাঁদপুরি ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:৪৭:২৩ দুপুর
দিনের শুরুটা চমৎকার হলে পুরো দিনটিই ভালো কাটে। সকাল সময়টাই এমন যে সামান্য কিছুতেই ভালো কাটতে পারে আবার অল্পতেই মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। তাই আমাদের জীবনে সকালের গুরুত্ব সব চাইতে বেশি। এটা তো গেল মনমেজাজের কথা। এবার স্বাস্থ্যের কথায় আসা যাক।
সকালের নাস্তা শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী। সকালে স্বাস্থ্যকর নাস্তা আপনাকে পুরো দিন রাখবে সতেজ এবং তরতাজা। সকালের নাস্তা পুরো দিনের এনার্জি ধরে রাখে দেহে। যদি সকালে কোন স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া হয় তবে দিনের শুরুতেই আপনার দেহ একটি অপূর্ণতা দিয়ে শুরু করে। সকালের স্বাস্থ্যকর নাস্তা আপনার শরীরের জন্য অনেক ভালো এবং মনকেও রাখবে চনমনে। আসুন তবে দেখে নেয়া যাক সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালের নাস্তায় কোন কোন খাবার রাখা বেশ জরুরী।
ডিম
ডিম সাধারনত বেশ পুষ্টিকর খাবার বলেই সবাই জানেন। কিন্তু সকালের নাস্তায় ডিমের গুরুত্ব একটু বেশি। ডিমের প্রোটিন দিনের শুরুতেই আপনার দেহকে পুরো দিনের জন্য এনার্জি ধরে রাখার ক্ষমতা প্রদান করে। এবং অনেকটা সময় ধরে আপনাকে ক্ষুধা উদ্রেক করার হাত থেকে রেহাই দেয়। সুতরাং দিনের শুরুতে নাস্তায় স্বাস্থ্যকর পুষ্টি সমৃদ্ধ ডিম রাখুন।
ব্ল্যাক কফি
কফি একটি রিফ্রেশিং পানীয় হিসেবে সকলেই সকালে পান করে থাকি। কিন্তু ব্ল্যাক কফি অনেকেরই পছন্দ নয়। কিন্তু দিনের শুরুতে নাস্তায় দুধ এবং চিনি ছাড়া এই ব্ল্যাক কফি আপনার দেহের আড়ষ্টতা দূর করার সাথে সাথে আপনার হৃদপিণ্ডের জন্যও বেশ কার্যকরী। এছাড়াও কফির ক্যাফেইনের রয়েছে ক্যান্সার এবং ডায়বেটিসের বিরুদ্ধে কাজ করার ক্ষমতা। তাই সকালের নাস্তার সময় ব্ল্যাক কফি পান করার অভ্যাস করুন।
কলা
অনেকের পছন্দের এই ফলটি বর্তমানে বারমাসই পাওয়া যায়। তাই চেষ্টা করুন বারমাসই এই ফলটি দিয়ে দিনের শুরু করতে। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং পটাশিয়াম যা দিনের শুরুতে আপনার আড়ষ্টতা দূর করবে এবং সুস্থ রাখবে দেহের মাংসপেশি এবং কর্মক্ষম রাখবে মস্তিষ্ক।
দই
দিনের শুরুতে দই অনেকেই খান না। কিন্তু টক মিষ্টি দই দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকর। এবং এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের গঠনে কাজ করে। দিনের শুরু দই দিয়ে করলে পুরো দিন আপনার দেহে থাকবে অফুরন্ত এনার্জি। ক্লান্তি স্পর্শ করবে না দিনের শেষেও। সুতরাং সকালের নাস্তায় দই রাখুন।
ওটস
ওটস খেতে খুব বেশি ভালো না লাগলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ওজন কমাতে এবং কলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটসের জুড়ি নেই। সকালে হাবিজাবি খাবার বাদ দিয়ে একবাটি ওটস রাখুন। তবে কোন ফ্লেভারড বা চিনিযুক্ত ওটমিল খাবেন না।
এছিবি গুলা দিতেগিয়ে আমার মুখে পানি এসে গেছে। তাই আপনারা একটুখানি সাবধানে থাকবেন।
সূত্র:-বিডিটুডে।
বিষয়: বিবিধ
১৯৬৫ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তারপর ফজরের নামাজ শেষে ১ চা চামুচ মধু খাই। তারপর নাস্তা করি আটার শুকনো রুটি সবজি ভাজি দিয়ে।
আমি এই ৪৮ বছর বয়সে ২২ বছরের টগবগে তরুন। আলহামদুলিল্লাহ্!
সাম্মরদিনতো এন্ডিক্কান হানার হতা আরো বেশি বেশি পিইত্তাম চাই। গমলাইগ্গে আন্তুন বেশা বেশি ভালা লাইগ্গে বদ্দা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন