‘ভ্যাট ও টেক্সের মহাসড়কে দেশ’
লিখেছেন লিখেছেন শাহাবউদ্দিন আহমেদ ০৬ জুন, ২০১৭, ০১:১৮:৫৯ দুপুর
মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয় বলেছেন, ‘ব্যাংকে লাখ টাকা আমানতকারীরা যথেষ্ট সম্পদশালী।’
তাই ব্যাংকের আমানতে আবগারি শুল্ককর ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন!
সমালোচনাকারীরা বলছেন, হলমার্ক ও বিসমিল্লাহ কেলেঙ্কারি নিয়ে এ অর্থমন্ত্রীই বলেছিলেন, ‘৪ হাজার কোটি টাকা কিছুই না।’
এখন তিনিই আবার বলছেন, ‘এক লাখ টাকার আমানতকারীরা সম্পদশালী।’ আসলে তার কথার কোনো ঠিক নেই।
প্রকৃতপক্ষে ব্যাংকের আমানতে আবগারি শুল্ককর বাড়ানোর মাধ্যমে অতি সাধারণ গ্রাহকদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ভিক্ষারীর ঝোলায় হাত দেয়ার মত অবস্থা!
অপরদিকে এর ফলে পুঁজিপতিরা ব্যাংকবিমুখ হয়ে অবৈধ লেনদেনের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। এতে অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখা দেবে।
আর ১৫ শতাংশ ভ্যাটের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। ভোক্তার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ভ্যাটের হার সবার জন্য সমান হওয়ায় স্বল্প ও নির্ধারিত আয়ের মানুষের কষ্ট বাড়বে। দৈনন্দিন জীবনের ব্যায়ভার বহন করতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠবে।
দেশের প্রান্তিক জনগনের এই কষ্টকি উপরওয়ালারা অনুধাবন করেন???
বিষয়: বিবিধ
৯০৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কেন এই মানুষটি মাননীয় হতে যাবেন?
কারন কি এই যে,
১। তিনি মানুষের সম্পদ ছিনিয়ে নেবার লাইসেন্স পেয়েছেন, তারই মত সমগোত্রীয় অন্য মানুষের মাধ্যমে।
২। নাকি এই মানুষটি নতুন বাংলাদেশীদের ''রব'' এর আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন কিংবা 'রব' এ পরিনত হয়েছেন - যিনি মানুষকে তার উপার্জিত টাকা সরকার নামক অদৃশ্য মূর্তির বেদীতে দিতে আদেশ কিংবা বাধ্য করার ক্ষমতা পেয়েছেন?
------------------ -----------
আমি জানতাম, আল্লাহ/স্রষ্টা ও রব ছাড়া আর কোন স্বত্তা - সকল মানুষকে - তাদেরই উপার্জিত টাকার কোন অংশ - অন্য কোন দৃশ্যমান কিংবা অদৃশ্যমান স্বত্তার জন্য দিতে বলতে পারে না কিংবা আদেশ করার অধিকার রাখে না - আবার আল্লাহ তে বিশ্বাসী মানুষ অমন স্বত্তার আদেশ মানে ও না কিংবা মানতে বাধ্য ও নয়।
যেখানে বাংলাদেশের সব মানুষ স্রষ্টার আদেশ অনুযায়ী যাকাত না দিয়ে ভীত সন্ত্রস্থ নয়, সেখানে দেখতে পাচ্ছি মুহিত সাহেবকে ভ্যাট না দিতে চাইলে ভীত সন্ত্রস্থ হচ্ছে। এটা কি আল্লাহভীতি না মুহিত ভীতি?
যেখানে আল্লাহ নিজে নিসাব লেভেল এর নিচের মানুষকে নির্দিষ্ট হারে টাকা দিতে বাধ্য করেনি, সেখানে মুহিত সাহেব বাংলাদেশের ভুখন্ডের ভিতরে কোন মানুষ উদরপূর্তি করতে চাইলে, কোন একটা বাসস্থানে মাথা গুজতে চাইলে, কোন বস্ত্র পরে লজ্জা নিবারন করতে চাইলে তাকে ১৫% টাকা দিয়ে তা করতে হবে।
বিজ্ঞ আলেম রা কোরান ও হাদীসের আলোকে বলেছেন ''সার্বজনীন ট্যাক্স, ভ্যাট'' জেনাহ অপেক্ষা ও কঠিন পাপ।
মন্দির উদ্ভোধক মুহিত সাহেব ও তার সমর্থক কোরান ও হাদীস বিষয়ে অজ্ঞ কিংবা বলা উচিত ঘেন্নাকারী মুসলমান রা আজ মুহিত সাহেবের কর্মকান্ডকে যেভাবে সাপোর্ট করতে পারেন, মেনে নিতে পারেন - নিজের স্রষ্টার বিষয়াবলীকে অমন ভাবে আর মানতে পারেন না। এই যা।
ভালো লাগলো , অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন