বাংলাদেশ কবি সভা (বাকস)’র চট্টগ্রাম জেলা শাখার কমিটি গঠন
লিখেছেন লিখেছেন চাটিগাঁ থেকে বাহার ০৮ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:০৬:০৪ দুপুর
বাংলাদেশ কবি সভা (বাকস)'র চট্টগ্রাম কমিটিকে অভিনন্দন
♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
গতপরশু শুক্রবার ৬ নভেম্বর বিকাল ৩টা থেকে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হল সমসাময়িক কালের কবিদের এক মহা মিলনমেলা। ফেসবুক ভিত্তিক নতুন সংগঠন বাংলাদেশ কবি সভা (বাকস)'র চট্টগ্রাম শাখার আয়োজনে উক্ত মিলনমেলা অনুষ্ঠানে ঢাকা, কুমিল্লা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছিল কবিরা। চট্টগ্রামের নবীণ ও প্রবীণ কবিরা তো ছিলেনই।
"জাগ্রত বিবেক চাই" শ্লোগানকে ধারণ করে কবিতা উৎসব, কবিদের মিলনমেলা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন ঢাকা থেকে আগত বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার ও অভিনেতা এবিএম সোহেল রশিদ। ঐদিন জানতে পারলাম তিনি একজন সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানও।
শুক্রবারের এই অনুষ্ঠানে আমার সবচেয়ে বেশী যেটা ভাল লেগেছে তা হল উপস্থিত সকল কবিকে উৎসাহের সহিত স্বরচিত কবিতা পাঠ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এখানে নিশ্চয় এমন নবীণ কবিও ছিল যারা এর আগে কোন কবি সভার মঞ্চে কবিতা আবৃতি করেনি। নিস্বন্দেহে ইহা নবীণদের জন্য প্রেরণাদায়ক। নবীণদেরকে সুযোগ করে দেয়ায় আমি আয়োজকদের অভিনন্দন জানাই।
বাংলাদেশ কবি সভার কেন্দ্রিয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিশেষ অতিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতে প্রকাশিত ২০০+ প্রকাশিত বইর লেখক বাংলাদেশ লেখক পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ। সকালের খবরের ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ প্রতিনিধি নাজিম উদ্দিন শ্যামল।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিতি ছিলেন শিশু সাহিত্যিক, সংগঠক, কবি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক রাশেদ রউফ। প্রধান আলোচক ছিলেন তারুণ্যের কবি, দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক অধ্যাপক কবি Qamaruddin Ahmad। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ সেলিনা শেলি, অধ্যাপিকা ডাক্তার ফরিদা ইয়াছমিন সুমি, অধ্যাপিকা নাজমুন নাহার, কবি হাসনা হেনাসহ আরো অনেকে।
ঢাকা থেকে আগত বাকস এর কেন্দ্রিয় কমিটির আমি সকলের নাম জানিনা বলে দুঃখ প্রকাশ করছি তবে লক্ষ্য করেছি কেন্দ্রিয় কমিটির নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রামের তরুণ কবিদেরকে অত্যন্ত দরদমাখা আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছেন। নবগঠিত ১৩ সদস্যের নামগুলোও নীচে দেয়া হয়েছে ।
সুভাষিনী দিলরুভা খানমের যাদুকরি কথামালায় উপস্থাপিত অত্যন্ত প্রাণচঞ্চল কবিদের এই মিলনমেলাটি আমার খুব ভাল লেগেছে বলেই স্বউদ্যোগে লিখতে বসেছি। চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রাণকেন্দ্র ডিসি হিলের প্রধান গেইটের বিপরীত পাশেই ফুলকি এ.কে.খান স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় কবিদের এই মিলনমেলা।
কবিরা মিশুক হয়, সজ্জন হয়, আন্তরিক হয় তা আগে থেকেই জানতাম। নতুন করে আবারও জানলাম। বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রাণে-রসে ভরা ছিল কবি সভার অনষ্ঠান। শুধুই কি কবিতা? তা কিন্তু নয় কবিরা আমাদেরকে গানও শুনিয়েছেন। কপি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই........ গানে দর্শক স্রোতা মেহমান বক্তা সবাই দুলায়িত হয়েছেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি অভিনেতা সোহেল রশিদ যেমন রসিক মানুষ তেমিন বন্ধু সুলভও।
অনুষ্ঠানে আমাকে অনুভূতি প্রকাশ করতে বলা হলেও নবীণ কবিদের কবিতা আবৃত্তির আকুলতা দেখে আমি তাদের সময়কে হত্যা করিনি। সকলের কবিতা, বক্তৃতা শুনেছি, শিশু সাহিত্যিক রাশেদ রউফ'র জ্ঞানগর্ব আলোচনা ভাল লেগেছে, ভাল লেগেছে তরুণ বান্ধব কবি কমরুদ্দিন আহমদের বক্তব্যও। ঢাকা ও অন্যান্য জেলা থেকে আগত সকলের বক্তব্য ছিল রসে রসে টইটুম্বুর। কলেজের শিক্ষিকা, মেডিকেলের ডাক্তার হয়েও আমাদের চট্টগ্রামের মেয়েরা এত ভাল কবিতা লিখতে পারেন তা আমার জানা ছিল না। অনুষ্ঠানের শেষে মেহমান ও বিজ্ঞ কবিদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
চট্টগ্রামের উদিয়মান তরুণ কবিদের নতুন কমিটিকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।
সেদিনের ঘোষিত কমিটি ছিল নিম্নরূপ:
♥♥বাংলাদেশ কবি সভা (বাকস), চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটি♥♥
১ সভাপতি : মোঃ সবুজ ভূঁইয়া
২ সহ সভাপতি : আলমগীর ইমন
৩ সাধারণ সম্পাদক : ইলিয়াছ হোসেন
৪ সহ সাধারণ সম্পাদক : হাফিজুর রহমান বিপ্লব
৫ সাংগঠনিক সম্পাদক : মেহেদী হাসান
৬ সহ সাংগঠনিক সম্পদক : হামিদ হোসাইন মাহদী
৭ যুগ্ম সম্পাদক : খোরশেম মুকুল
৮ অর্থ সম্পাদক : আশেক এলাহী হাফসি
৯ প্রচার সম্পাদক : সাহেদুল ইসলাম
১০ সহ প্রচার সম্পাদক : যোবায়ের মাহমুদ তামিম
১১ সাহিত্য সম্পাদক : সুজন কুতুবী
১২ সম্পাদনা ও প্রকাশনা সম্পাদক : জান্নাতুল ফেরদাউস সোনিয়া
১৩ মানবাধিকার সম্পাদক : মোরশেদ আলম শিশির
বিষয়: বিবিধ
২৩১৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রানবন্ত ভাবে এগিয়ে যাক এই দোয়াই করি।
জাযাকাল্লাহ খায়ের
কবিরা বাকসবন্দি হলেন!!
রচনা করার ক্ষমতা কবিতা ও গান
আল্লাহ সবি তোমার দান
আল্লাহ সবি তোমার দান।
আপনাকে আল্লাহ লিখার শক্তি দিন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন