মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী শুধুমাত্র বাল্যশিক্ষা পড়ে হয়েছিলেন শিক্ষক, সাংবাদিক, বিল্পবী, সমাজ সংস্কারক ও লেখক
লিখেছেন লিখেছেন চাটিগাঁ থেকে বাহার ২৪ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:৩২:১৫ রাত
৬৫তম শাহাদাত বার্ষিকী স্মরণে
[তিনি ছিলেন বাংলা দৈনিক পত্রিকার প্রথম মুসলমান সম্পাদক]
তিনি পড়েছিলেন বাল্যশিক্ষা মাত্র । মাদ্রাসায় তিনি সর্বোচ্চ সনদ নিলেও তখনকার সময়ে মাদ্রাসায় বাংলা ও ইংরেজী পড়ানো হতনা । তাই তিনি বাংলা পড়তে জানতেন না । কিন্তু সমসাময়ীক বিশ্বের খবরাখবর জানতে তিনি এতই উদগ্রীব থাকতেন যে শেষ পর্যন্ত বাংলায় ভালমত পাণ্ডিত্য লাভ করেছিলেন ।
মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামা বাদী একাধারে ছিলেন শিক্ষক, দায়ী, সাংবাদিক, সংগঠক, বিল্পবী, সমাজ সংস্কারক ও লেখক ।
তিনি প্রতিত যশা ব্যক্তিত্ব বহুদা গুণের অধিকারী ছিলেন ।
আজকে তাঁর লেখক হিসেবে ভূমিকার কথা তুলে ধরব:
..........লেখক হিসেবে মাওলানা ইসলামাবাদীর অবদান.......
মাওলানা ইসলামাবাদী বাংলা বাল্য শিক্ষা মাত্র পড়েছিলেন গ্রামে । রংপুরে শিক্ষকতা করার সময় ‘মিহির ও সুধাকর’ ও ‘ইসলাম প্রচারক’ পত্রিকা পড়তেন অতি কষ্টে এমন কি অন্যের সাহায্য নিয়ে । কারণ তখন আজকালকার মত মাদ্রাসায় বাংলা ইংরেজী পড়ানো হত না । এ সময় তিনি নিজের চেষ্টায় মাতৃভাষা অধ্যয়ন করে এতদূর পর্যন্ত পারদর্শী হয়ে উঠেন যে, তখন থেকে বাংলায় উচ্চাংগ প্রবন্ধ লেখা এবং সুমধুর ভাষায় ওয়াজ নছিহত করতে পারতেন । এক সময় যে পত্রিকা পাঠ করাও তার পক্ষে অসুবিধাজনক ছিল কিছু দিনের মধে সে সব পত্রিকায় তাঁর লেখা বের হতে থাকল । তাঁর উৎসাহে ১৯১১ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতি গঠিত হয় । উহার প্রথম সম্পাদক ছিলেন ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ । সহ-সম্পাদক ছিলেন ভোলার কবি মোজাম্মেল হক ।
মিহির সুধাকর, ইসলাম প্রচার, সাপ্তাহিক মোহাম্মদী ছোলতান, নবনূর, আল ইসলাম, এমন কি মিশরের আলমানার ও আল আহরাম আরবী পত্রিকায়ও তাঁর অসংখ্য মূল্যবান প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ।এসব লেখার অধিকাংশ পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয়নি । অন্যদিকে কয়টি বই তিনি লিখেছিলেন, কয়টি প্রকাশিত হয়েছিল, কয়টি অপ্রকাশিত রয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি কারণ তাঁর সহচরদের অসতর্কতা ও নিজের নির্যাতিত জীবনের অনিশ্চয়তার জন্য । সহকর্মীরা যদি একটু সতর্ক হতেন তা হলে আমাদের অত অসুবিধাদ হত না । তাঁর প্রকাশিত অপ্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভারতে মুসলমান সভ্যতা, ভূগোল শাস্ত্রে মুসলমান, সমাজ সংস্কার, বাংলার ওলি কাহিনী, কোরানে স্বাধীনতার বাণী, আওরঙ্গজেব, ইসলামের শিক্ষা, ইসলামের নীতি কথা, ইসলাম প্রচার, ইসলামের প্রচার নীতি, ইসলাম ও রাজনীতি, ইসলাম ও জেহাদ, হজরতের জীবনের আদর্শ, আত্ম পরিচয় ও কারাকাহিনী, ভারতে ইসলাম প্রচার । ওলি কাহিনী, শুভ সমাচার, ভারত বর্মা ভ্রমণ কাহিনী, তুরস্কের ইতিহাস, স্পেনের ইতিহাস ।
মরহুমের সহচর কদম মোবারক এতিমখানার শিক্ষক হাকিম আলতাফুর রহমান ১৯৫৮সালে ১৯শে জুলাই ১৪টি পুস্তক বাংলা একাডেমিকে প্রকাশের জন্য দিয়েছিল । ১৯৬২ সালের ৭ই নভেম্বর বাংলা একাডেমির কালচারাল অফিসার ১৩৬৩৩ নং পত্রে জানান যে, একাডেমী কাউন্সিল উহা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে । তবে তাহা এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত হয় নাই ।
বইগুলে হচ্ছে:
১/ জীবন চরিত ১ম ও ২য় খণ্ড,বাংলা একাডেমির কাছে যদি এখনও পান্ডুলিপি গুলো থেকে থাকে তাহলে আমার বিশ্বাস ওগুলো বই আকারে প্রকাশ করতে অনেকেই এগিয়ে আসবেন ।
২/ এছলামের প্রচার নীতি,
৩/ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলমানদের অংশগ্রহণ ১ম, ২য় ও ৩য় খণ্ড ,
৪/ ভারতের সহিত আরবগণের প্রাচীন সম্বন্ধ,
৫/ ইবনে বতুতার বাংলা ভ্রমণ,
৬/ তুরস্কের ইতিহাস ১ম খণ্ড,
৭/ হজরতের জীবনী,
৮/ রোজ নামছা,
৯/ পৌরাণিক ও বৈদিক যুগ,
১০/ আত্ম জীবনীর পরিশিষ্ট,
১১/ একটি ইংরেজী প্রবন্ধ,
১২/ উর্দূ ও বাংলা প্রবন্ধের খাতা,
১৩/ ইসলাম ও রাজনীতি,
১৪/ তাপস কাহিনী ।
ভারতে মুসলমান সভ্যতা বইতে মুসলমান আমলে শিক্ষা, সভ্যতা, মাদ্রাসা, কলেজ, কৃষি, শিল্পকলা, ব্যবসা, বাণিজ্য, পূর্ত বিভাগ, স্থাপত্য কীর্তি, পান্থশালা, চিকিৎসালয়, পূর্তবিদ্যা ও বনস্পতি বিদ্যা, জীবতত্ব, সাম্যবাদ সাহিত্য চর্চা ইত্যাদি সম্বন্ধ কিরূপ উন্নতি সাধিত হইয়াছিল এবং সেই যুগে মুসলমান বাদশাহগণের শাসন ও বিচার বিভাগ কিরূপ আদর্শ দৃষ্টান্তের স্থল ছিল সেই সকল গৌরবমণ্ডিত ইতিবৃত্ত রয়েছে । কোরআনে স্বাধীনতার বাণী পুস্তকটিতে আলেম সমাজের মাহাত্মা, আলেমের লক্ষণ, বর্তমান আলেম সমাজ, আলেমগণ কি সমাজের গলগ্রহ, আলেম গণের কর্তব্য ধর্ম প্রচার, লিখিতভাবে প্রচার নীতি প্রবর্তন, শিক্ষা বিস্তার, শিক্ষার ত্রুটি, হাদিস কোরআন শিক্ষা, রাজনৈতিক শিক্ষা, মৃত্যুঞ্জয়ের বাণী, যুদ্ধের দুঃখকে অগ্রাহ্য করার উপদেশ, স্বাধীনতার দাবী,স্বাধীনতা লাভে উদাসীনতা, আল্লাহর অভিসম্পাত, জাতীয় উন্নতীর পথ, কোরআনে সাম্রাজ্য দানের অঙ্গিকার নেতৃত্বের দাবী, আলেমগণের দান, জামালউদ্দিন আফগানী, সাহিত্য ক্ষেত্রে আলেমের দান প্রভৃতি অধ্যায় রয়েছে ।
এই হচ্ছে লেখক হিসেবে মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর অবদান ।
এবার আসুন ইসলামাবাদীর পুরো জীবনের উপর চোঁখবুলিয়ে নিই : (এখান থেকে পরের অংশটুকু ব্লগে ইতিপূর্বেও প্রকাশিত হয়েছে, পোষ্ট তথ্যবহুল করার জন্য সংযুক্ত করে দিলাম ।)
চট্টগ্রামের ইতিহাসের কালজয়ী মহাপুরুষ, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তী নেতা,শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, এদেশে বাংলায় প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার প্রথম মুসলমান সম্পাদক, কদম মোবারক মুসলিম এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা, বঙ্গীয় আইন পরিষদের প্রাক্তন সদস্য, মাওলানা মনিরুজ্জামান ।
জন্ম: ইসলামাবাদী ১৮৭৫ সালের ২২ আগস্ট তিনি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরমা আডালিয়ার চর-এ জন্মগ্রহণ করেন।
বংশ: পিতা মতিউল্লাহ পন্ডিত মাতা রহিমা বিবি পিতামহ খান মোহাম্মদ । তৎপিতা খোষাণ মোহাম্মদ তৎপিতা আখিল মোহাম্মদ তৎপিতা মহাম্মদ ফতে শাহ আদি বাড়ি হাটহাজারী থানার ফতেয়াবাদ । তিনি ছিলেন নসরত শাহের বংশের লোক । ফতেহ শাহের পান্ডিত্যে মুগ্ধ হয়ে বাদশাহ নসরত শাহ জ্ঞানের আলোক দানের জন্যে আড়ালিয়া পুকুরিয়া ও চরতি গ্রামের জায়গীর দেন । কাছারী ছিল পুকুরিয়া পাহাড়ে । তাঁর পু্র্বপুরুষদের জায়গীরদারীর অহংকার ছিলনা । তাঁরা পুঁথিপত্র ব্যাখ্যা করতেন । তাঁদের বংশের শেষ পন্ডিত আকাম উদ্দিন ।
শিক্ষাজীবন: পার্শ্ববর্তী শংখ নদীর অপর পারে সাতকানিয়া থানার চরতি গ্রামের জনৈক মৌলভীর নিকট তিনি কোরান শরীফ ও বাল্যশিক্ষা পড়েন । শিক্ষার প্রতি আগ্রহ দেখে আব্বা আম্মা তাকে তখন অল্প বয়সে পাঠিয়ে দিলেন সুদুর কলিকাতায় । হুগলী মাদ্রাসা থেকে তিনি ১৮৯৫ সালে কৃতিত্বের সাথে সনদ লাভ করেন । ১৯ বছর বয়সে তিনি পড়ালেখা শেষ করেন ।
শিক্ষকতা: হুগলী সরকারী মাদ্রাসায় তিনি শিক্ষকতার চাকরির প্রস্তাব পেলেও স্বাধীনচেতা মাওলানা ঐ চাকরী না করে রংপুরে দুটি বেসরকারী মাদ্রাসায় চাকরি করেন । পরে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড মাদ্রাসার সুপারিনটেণ্ডেন্ট হিসেবেও কাজ করেন । মুন্সি পাড়া মাদ্রাসার তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা ।
মাওলানা মনিরুজ্জামান বাংলা পড়তে জানতেন না, কারণ সে সময় মাদ্রাসায় বাংলা পড়ানো হত না । তিনি দেশ বিদেশের খবর পড়ার জন্য অনেক কষ্ট করে বাংলা শিখে তারপর পত্রিকা সমূহ পড়তেন । পড়ে তিনি বাংলায় এত দক্ষতা অর্জন করেন যে ঐ সব পত্রিকায় উনার লেখা বের হতে থাকে ।
মাওলানা মনিজরুজ্জামান ইসলামাবাদী সম্পর্কে মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ বলেন- যার সমাজ সংস্কারে, ঐতিহাসিক সত্যের অনুসন্ধ্যানে, মুসলমানদের সকল প্রকার উন্নয়ণমূলক প্রচেষ্টায়, সংবাদপত্রের সম্পাদনা ও পরিচালনায়, আজাদীর সংগ্রামে তাঁর নেতৃত্বে ত্যাগ ও নিরলস কর্তব্যপরায়ণতা দেশ ও জাতি কোনদিন ভুলতে পারবেনা । নিজ মত ও আদর্শের প্রতি মাওলানা মনিরুজ্জামানের ছিল অগাধ বিশ্বাস ও অনুরাগ । শত বিপদ আপদের মধ্যেও তিনি মত ও আদর্শকে বিসর্জন দিতেন না । এজন্য তিনি অকাতরে যে কোন দু:খ কষ্ট বরণ করে নিতে পারতেন ।
তিনি ছিলেন এদেশে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার প্রথম মুসলমান সম্পাদক । তাঁর সম্পাদনায় ও সাংবাদিকতায় প্রকাশিত হয় সোলতান (১৯০১), হাবলুল মতিন (১৯১২), মোহাম্মদী (১৯০৩), কোহিনুর (১৯১১), বাসনা (১৯০৪) এবং আল এছলাম পত্রিকা ।
কর্মজীবন:
১৯৩০ সালে তিনি চট্টগ্রামের কদমমোবারক মুসলিম এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ঐ সময়ে তিনি কংগ্রেসের অহিংস নীতির প্রতি আস্থা হারান এবং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি সমর্থন দান করে ফরোয়ার্ড ব্লকে যোগদান করেন। তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালে ভারত ছাড় আন্দোলনে যোগদান ও আজাদ হিন্দ ফৌজের কার্যক্রমের প্রতি সক্রিয়ভাবে সমর্থন করা। সে সময় তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজকে কার্যক্রমের প্রতি সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেন। সে সময় তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিপ্লবী কেন্দ্র স্থাপন করেন। নেতাজী যখন আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দখল করে ভারতের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উড়িয়ে ‘দিল্লী চলো’ শ্লোগান তুলে এগিয়ে চলছিলেন ভারতের দিকে ঐ সময় মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর সাথে পরিচয় ঘটে বেংগল ভলান্টিয়ার্স এর সুবোধ চক্রবর্তীর। সুবোধের সাথে আলাপ করে মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী এত বেশি মুগ্ধ হন যে শেষ বয়সে একটা ঝুঁকি নেবার জন্য রাজি হয়ে পড়েছিলেন। সুবোধকে সঙ্গে নিয়ে তিনি চলে আসেন চট্টগ্রামের দেয়াং পাহাড়ে। চট্টগ্রামের পাহাড়-পর্বত ডিঙ্গিয়ে আরাকানের পথ ধরে আবারো নেতাজীর সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার লক্ষ্যে যখন পথ চলছিলেন তখন সীমান্ত এলাকায় ছিল সতর্ক পাহারা। আজাদ হিন্দ ফৌজ দখলে থাকার কারণে সতর্কতা যেন সীমাহীন হয়ে পড়েছিল।
মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী বীরকণ্ঠে তার সহচরকে বলছিলেন- আমার জীবনের মাত্র কয়েকদিন বাকি, এই চরম ঝুঁকি নিতে আমার অসুবিধেও নেই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ঝুঁকি নিলেন- শ্যালক মোর্শেদকে নিয়ে একেবারে ফকির সেজে নেতাজীর সাথে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন। ব্রিটিশ গুপ্তচরেরা তখন মাওলানার সমস্ত বিপ্লবী কার্য টের পায়। সে কারণে তার শহরস্থ বাড়ি, তৎকালীন পটিয়ার (বর্তমান চন্দনাইশ) বাড়ি, সীতাকুন্ডের বাড়ি, কলকাতার বাসভবনে ইংরেজ সার্জেন্টের নেতৃত্বে বিপুল সৈন্যের মাধ্যমে তল্লাশি চালানো হয়। ঐ সময় মওলানাকে চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্রিটিশ সরকার মহাত্মা গান্ধী, পন্ডিত জহরলাল নেহরু প্রভৃতি নেতার সাথে মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীকেও দিল্লীর লালকিল্লায় বন্দী করে রাখেন। অতঃপর তাঁকে সেখান থেকে পাঞ্জাবের ময়াওয়ালী জেলে স্থানান্তর করেন। সেখানকার জেলের ছাদের বিমের সঙ্গে রজ্জু দিয়ে ৬৫ বছর বয়স্ক মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর দু’পা বেঁধে মাথা নিচের দিকে ঝুলিয়ে রেখে তাঁর উপর অশেষ নির্যাতন চালানো হয়েছিল গোপন তথ্য জানার জন্য।
আরবী বিশ্ববিদ্যায়: চট্টগ্রামে এক বিরাট সম্মেলনের পর পটিয়া থানার দেয়াং এর পাহাড়ে ৬শত বিঘা জমির উপর মাওলানা শওকত আলী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিস্থাপন করেন । স্থানটি এখনও সরকারের হাতে পড়ে আছে ।
মৃত্যু: ১৯৫০ সালের ২৪শে অক্টোবর তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না.....রাজেউন) ।
চট্টগ্রাম কদম মোবারক এতিমখানার পাশে তাঁকে কবর দেয়া হয় ।
সূত্র:
# মাওলানা ইসলামাবাদী, সম্পাদনা-সৈয়দ মোস্তফা জামাল [বইটি ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আমার ব্যক্তিগত পাঠাগারে সংরক্ষিত আছে ]
# উইকিপিডিয়া
# দৈনিক আজাদী
# ইন্টারনেট থেকে
বিষয়: বিবিধ
২২৬৯ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ খায়ের
মন্তব্য করতে লগইন করুন