আজ ঐতিহাসিক পলাশী দিবস

লিখেছেন লিখেছেন চাটিগাঁ থেকে বাহার ২৩ জুন, ২০১৫, ১২:৫৫:৫১ রাত

আজ ঐতিহাসিক পলাশী ট্র্যাজেডি দিবস।



এটি বাঙ্গালীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। দু'শ আটান্ন বছর আগে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন এক প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে যুদ্ধের প্রহসন হয়েছিল ভাগীরথী নদী তীরে পলাশীর আমবাগানে। সেদিন তরুণ নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন এবং বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়। এমন বেদনাবহ স্মৃতিকে স্মরণ করে মীর জাফর, ঘষেটি বেগমের প্রেতাত্মাদের রোখার দৃপ্ত শপথ নিতে হবে আজ।



ইতিহাস পাঠে জানা যায়, ষোল শতকের শেষের দিকে ওলন্দাজ, পর্তুগীজ ও ইংরেজদের প্রাচ্যে ব্যাপক বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। এক পর্যায়ে ইংরেজরা হয়ে যায় অগ্রগামী। এদিকে বাংলার সুবাদার-দিওয়ানরাও ইংরেজদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১৭১৯ সালে মুর্শিদকুলী খাঁ বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন। তার মৃত্যুর পর ঐ বছরই সুজাউদ্দিন খাঁ বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার সিংহাসন লাভ করেন। এই ধারাবাহিকতায় আলীবর্দী খাঁর পর ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল সিরাজউদ্দৌলা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার সিংহাসনে আসীন হন। তখন তার বয়স মাত্র ২২ বছর। তরুণ নবাবের সাথে ইংরেজদের বিভিন্ন কারণে দ্বনেদ্বর সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাজ সিংহাসনের জন্য লালায়িত ছিলেন সিরাজের পিতামহ আলীবর্দী খাঁর বিশ্বস্ত অনুচর মীর জাফর ও খালা ঘষেটি বেগম। ইংরেজদের সাথে তারা যোগাযোগ স্থাপন ও কার্যকর করে নবাবের বিরুদ্ধে নীলনকশা পাকাপোক্ত করে।

দিন যতই গড়াচ্ছিল এ ভূখন্ডের আকাশে ততই কালো মেঘ ঘনীভূত হচ্ছিল। ১৭৫৭ সালের ২৩ এপ্রিল কলকাতা পরিষদ নবাবকে সিংহাসনচ্যুত করার পক্ষে প্রস্তাব পাস করে। এই প্রস্তাব কার্যকর করতে ইংরেজ সেনাপতি লর্ড ক্লাইভ রাজদরবারের অভিজাত সদস্য উমিচাঁদকে ‘এজেন্ট' নিযুক্ত করেন। এ ষড়যন্ত্রের নেপথ্য নায়ক মীর জাফর তা অাঁচ করতে পেরে নবাব তাকে প্রধান সেনাপতির পদ থেকে অপসারণ করে আব্দুল হাদীকে অভিষিক্ত করেন। কূটচালে পারদর্শী মীর জাফর পবিত্র কুরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করায় নবাবের মন গলে যায় এবং মীর জাফরকে প্রধান সেনাপতি পদে পুনর্বহাল করেন। সমসাময়িক ঐতিহাসিক বলেন, এই ভুল সিদ্ধান্তই নবাব সিরাজের জন্য ‘কাল' হয়ে দাঁড়ায়।

ইংরেজ কর্তৃক পূর্ণিয়ার শওকত জঙ্গকে সাহায্য করা, মীরজাফরের সিংহাসন লাভের বাসনা ও ইংরেজদের পুতুল নবাব বানানোর পরিকল্পনা, ঘষেটি বেগমের সাথে ইংরেজদের যোগাযোগ, নবাবের নিষেধ সত্ত্বেও ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ সংস্কার, কৃষ্ণ বল্লভকে কোর্ট উইলিয়ামে আশ্রয় দান প্রভৃতি কারণে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর আমবাগানে সকাল সাড়ে ১০টায় ইংরেজ ও নবাবের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মীর মদন ও মোহন লালের বীরত্ব সত্ত্বেও জগৎশেঠ, রায় দুর্লভ, উমিচাঁদ, ইয়ার লতিফ প্রমুখ কুচক্রী প্রাসাদ ষড়যন্ত্রকারীদের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে নবাবের পরাজয় ঘটে। সেই সাথে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য পৌনে দু'শ বছরের জন্য অস্তমিত হয়।

ঐতিহাসিক মেলেসন পলাশীর প্রান্তরে সংঘর্ষকে ‘যুদ্ধ' বলতে নারাজ। তার মতে, ‘নবাবের পক্ষে ছিল ৫০ হাজার সৈন্য আর ইংরেজদের পক্ষে মাত্র ৩ হাজার সৈন্য কিন্তু প্রাসাদ ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রী মীরজাফর, রায় দুর্লভ ও খাদেম হোসেনের অধীনে নবাব বাহিনীর একটি বিরাট অংশ পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কার্যত কোনো অংশগ্রহণই করেনি। এই কুচক্রীদের চক্রান্তে যুদ্ধের প্রহসন হয়েছিলো।' আরেক ঐতিহাসিক ড. রমেশ চন্দ্র বলেন, ‘নবাব ষড়যন্ত্রকারীদের গোপন ষড়যন্ত্রের কথা জানার পর যদি মীর জাফরকে বন্দি করতেন, তবে অন্যান্য ষড়যন্ত্রকারী ভয় পেয়ে যেতো এবং ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলে পলাশীর যুদ্ধ হতো না।'

ইতিহাসবিদ মোবাশ্বের আলী তার ‘বাংলাদেশের সন্ধানে' গ্রন্থে লিখেছেন, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা প্রায় লাখ সেনা নিয়ে ক্লাইভের স্বল্পসংখ্যক সেনার কাছে পরাজিত হন মীর জাফরের মোনাফেকীতে'। অতি ঘৃণ্য মীর জাফরের কুষ্ঠরোগে মৃত্যু হয়। কিন্তু বাংলাদের ট্রাজেডি এই যে, মীর জাফরেরা বার বার গোর থেকে উঠে আসে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় মীর জাফর ও ঘষেটি বেগম প্রচন্ড ক্ষমতালোভী ও জাতীয়তাবিরোধী ছিলেন। ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের উত্তরসূরীরাও একই আচরণ অব্যাহত রেখেছে। তারা এ দেশকে ‘কলোনি' বানাবার স্বপ্নে বিভোর।

-সংগৃহিত

ঐতিহাসিক পলাশী দিবস উপলক্ষ্যে আজ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে লাভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় । বিশিষ্ট সাংবাদিক দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন-

১.আজিজুল হক ইসলামাবাদী (কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হেফাজতে ইসলাম)-প্রধান অতিথি।

২. এস. এম. নজরুল ইসলাম (সম্পাদক মাসিক ইতিহাস অন্বেষা)- প্রধান আলোচক।

৩. মিজানুর রহমান (সম্পাদক দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম ও লাভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি)-সভাপতিত্ত্ব করেন।

৪.বজলুর রহমান (সাংবাদিক) সঞ্চালক।

বিশেষ অতিথিবৃন্দ-

৫. এম. এ. হাসেম রাজু (সভাপতি বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলা।)

৬. কামরুল হুদা (দৈনিক কর্ণফুলীর সহকারী সম্পাদক)।

৭. ডা. আবু নাছের।

৮. ওসমান গণি (বিশিষ্ট সাংবাদিক) ।

৯. এ.আর. বাহাদুর বাহার (বিশিষ্ট সমাজকর্মী, লেখক ও ব্লগার)

অনুষ্ঠানের আরো ছবি:















[বি:দ্র: পোষ্টটি রাতে দেয়া হলেও ছবিগুলো আজকের প্রোগ্রামের ]

বিষয়: বিবিধ

১৯৯৭ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

327159
২৩ জুন ২০১৫ রাত ০২:৩০
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : সাক্ষ্য দেয় মীর জাফর ও ঘষেটি বেগম প্রচন্ড ক্ষমতালোভী ও জাতীয়তাবিরোধী ছিলেন। ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের উত্তরসূরীরাও একই আচরণ অব্যাহত রেখেছে। তারা এ দেশকে ‘কলোনি' বানাবার স্বপ্নে বিভোর।
২৩ জুন ২০১৫ রাত ০২:৪৮
269395
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। Good Luck
327166
২৩ জুন ২০১৫ রাত ০৩:৫০
মোঃ মাকছুদুর রহমান লিখেছেন : অনেক দারুন লিখেছেন, ধন্যবাদ!
২৩ জুন ২০১৫ সকাল ১০:৩৬
269417
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ । Good Luck
327167
২৩ জুন ২০১৫ রাত ০৩:৫১
শেখের পোলা লিখেছেন : তারা এ দেশকে ‘কলোনি' বানাবার স্বপ্নে বিভোর। তবে বার বারই তারা আঁস্তাকূঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে৷ ইতিহাস এটাও বলে৷ধন্যবাদ৷
২৩ জুন ২০১৫ বিকাল ০৪:৫০
269454
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : কিন্তু ক্ষমতালোভী মানুষগুলো তা বুঝেনা । ইতিহাসের ঐতিহাসিক সত্যই হচ্ছে, ‘‘মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেনা’’ ।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।Good Luck
327175
২৩ জুন ২০১৫ সকাল ১০:১৪
নেহায়েৎ লিখেছেন : অতি ঘৃণ্য মীর জাফরের কুষ্ঠরোগে মৃত্যু হয়। কিন্তু বাংলাদের ট্রাজেডি এই যে, মীর জাফরেরা বার বার গোর থেকে উঠে আসে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় মীর জাফর ও ঘষেটি বেগম প্রচন্ড ক্ষমতালোভী ও জাতীয়তাবিরোধী ছিলেন। ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের উত্তরসূরীরাও একই আচরণ অব্যাহত রেখেছে। তারা এ দেশকে ‘কলোনি' বানাবার স্বপ্নে বিভোর।
২৩ জুন ২০১৫ বিকাল ০৪:৫২
269455
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : মীর জাফররা যেমন বার বার ঘুরে ঘুরে আসে তেমনি সিরাউ উদ্দৌলারাও কিন্তু বার বার জন্মনেয় । আর বিশ্বাসঘাতকদের কখনও ইতিহাস ক্ষমা করেনি । করবেও না ।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।Good Luck
327192
২৩ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:২১
egypt12 লিখেছেন : লাভ বাংলাদেশ ফাউণ্ডেশনের উদ্যোগে আজকে চট্টগ্রামে হয়ে যাওয়া পলাশী দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন-
১.আজিজুল হক ইসলামাবাদী (কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হেফাজতে ইসলাম)-প্রধান অতিথি।
২. এস. এম. নজরুল ইসলাম (সম্পাদক মাসিক ইতিহাস অন্বেষা)- প্রধান আলোচক।
৩. মিজানুর রহমান (সম্পাদক দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম ও লাভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি)-সভাপতিত্ত্ব করেন।
৪.বজলুর রহমান (সাংবাদিক) সঞ্চালক।

বিশেষ অতিথিবৃন্দ-

৫. এম. এ. হাসেম রাজু (সভাপতি বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলা।)
৬. কামরুল হুদা (দৈনিক কর্ণফুলীর সহকারী সম্পাদক)।
৭. ডা. আবু নাছের।
৮. ওসমান গণি (বিশিষ্ট সাংবাদিক) প্রমুখ।
২৩ জুন ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৩
269456
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : অনুষ্ঠানে গিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি ।
পলাশী দিবসের ইতিহাস বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মুসলমানের জানা উচিত বলে মনে করি ।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।Good Luck Good Luck
327202
২৩ জুন ২০১৫ বিকাল ০৪:২৩
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আলহামদুল্লিলাহ। ভাল লাগলো।
২৩ জুন ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৪
269457
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য ।Good Luck
327211
২৩ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:৩০
আবু জারীর লিখেছেন : ১৭৫৭ সালে ভাগিরথীর তীরের আম্র কাননে আমাদের ভাগ্যের যে কালো রাতের সূচনা হয়েছিল সেই একই ইতিহাসের পূণরাবৃত্তি হয়েছে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারী। ১৭৫৭ সালের ভিলেন ছিল মীর জাফর আর ২০০৭ এর ভিলেন মঈন উদ্দিন কিন্তু ১৭৫৭ সালের মূল অনূঘটক ছিলে যে উমিচাঁদ আর রায়দূর্লভ গং সেই তারাই ২০০৭ এরও অনুঘটক ছিল।

জানিনা এই দুষ্ট চক্রের হাত থেকে আমরা কবে মুক্তি পাব।
ধন্যবাদ।
২৩ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:৪১
269462
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : ঠিক এই কথাটিই বললেন আজকের প্রধান আলোচক বিশিষ্ট সাংবাদিক, গবেষক, মাসিক ইতিহাস অন্বেষা সম্পাদক এস.এম.নজরুল ইসলাম সাহেব ।
আল্লাহ যেন তাঁর কুদরতি শক্তি দিয়ে আমাদের প্রিয় দেশটির স্বাধিনতা স্বার্বভৌমত্বকে হেফাযত করেন ।
327216
২৩ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৪
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : পলাশীর সেই ঘটনা আজো আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে। ষড়যন্ত্রকারীদের চেলারা আজো সক্রিয়। আমাদের দুভার্গ্য আমরা বার বার পলাশীর ন্যায় ঘটনায় জড়িয়ে যাই। জগতশেঠ, মীরজাফরের বশংবদরা আমাদের দেশপ্রেম, ঈমান-আকিদা-সব চিনিয়ে নিতে চলেছে। আমাদের কবে হুশ আসবে? ধন্যবাদ একটি দারুণ পোস্টের জন্য..
২৩ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:৫০
269463
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন :
ষড়যন্ত্রকারীরা ছিল আছে থাকবে ....
আবার দেশপ্রেমীরাও বার বার জন্ম নিবে এবং তাদের মেধা মনন কর্ম দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের পাশে দাড়াবে ।
এক পক্ষকে দেশের মানুষ ধিক্ষার দিবে...
অন্য পক্ষকে দেশের মানুষ স্বাগত জানাবে..
এভাবেই চলতে থাকবে,
প্রশ্ন হচ্ছে আপনি আমি কোন পক্ষে নিজেদেরকে উৎসর্গ করছি ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
327246
২৩ জুন ২০১৫ রাত ১১:১০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
পলাশির ময়দানে পরাজয় সামরিক ছিলনা। ছিল কূটনৈতিক বা রাজনিতিক। এই দেশের আজকে একজন সিমান্তরক্ষির নিরাপত্তা নাই। আমরা এখনও পলাশি ষড়যন্ত্রের বৃত্ততেই ঘুড়ছি।
২৪ জুন ২০১৫ বিকাল ০৪:২৫
269546
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আমরা এখনও পলাশীর ষড়যন্ত্রের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছি । সুন্দর বলেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে ।Good Luck
১০
327264
২৪ জুন ২০১৫ রাত ০১:৩২
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : কত সুন্দর নাম ছিল,”মীর জাফর”। সেই সুন্দর নামটাই ইতিহাসে হয়ে রইলো বেইমানী আর মোনাফেকির প্রতিশব্দে।
২৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৬
269554
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : ঠিক বলেছেনন ।
মীর জাফর একটি কলংকিত নাম হয়েই আছে মানুষের কাছে ।Good Luck
১১
327327
২৪ জুন ২০১৫ বিকাল ০৪:১০
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। বিষাদময় ইতিহাস আমাদের এই কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় যে, দেশ ও জাতির সাথে গাদ্দারি করে নিজের হীন স্বার্থ কায়েম করার জন্য মীর জাফ্‌ রায় দুর্লভ ও ঘষেটি বেগমরা প্রতি মহাকালের পরতে পরতে জন্ম নেয় । তাদের প্রতিহত করার জন্য সিরাজউদ্দৌলারা যদি কৌশলী ও জাগ্রত না হয় তাহলে স্বাধিন দেশের রক্তিম সূর্য পরাধীনতার মহাসাগরে ডুবে যাবেই ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File