আমরা পারদ বা মার্কারী খাচ্ছি পরিমাণের চেয়ে বেশী
লিখেছেন লিখেছেন চাটিগাঁ থেকে বাহার ১৫ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:১৫:২৫ দুপুর
মার্কারী বা পারদ একটি প্রাকৃতিক উপাদান। পারদ কখনো ধ্বংস হয় না। ব্যবহার পরিবর্তন হলেও পারদ প্রকৃতিতে থেকে যায়। বিশ্বে প্রতিবছর ২০ হাজার টনের মতো পারদ ব্যবহৃত হয়। এর প্রায় ৭০ শতাংশই মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপে ব্যবহৃত হয়ে প্রকৃতিতে ফিরে আসে। কয়লা পোড়ানোর মাধ্যমে পারদের সৃষ্টি হয়।
মানবস্বাস্থ্যে পারদের সহনীয় মাত্রা হচ্ছে ১ পিপিএম।
এরমাত্রা বেশী হলে বিভিন্ন জটিল রুগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
এবিষয়ে বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. উৎপল দাশ বলেন, পারদ একটি মারাত্মক রকমের প্রাকৃতিক উপাদান। জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পারদের ফলে স্কিন ক্যান্সার, কিডনি অকেজো হওয়া, লিভারের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, গর্ভবতী মায়েদের বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দেয়া, দৃষ্টি ও শ্রবন শক্তি এবং স্মৃতি শক্তি লোপ পাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এই পারদ আমরা কিভাবে বেশী খাচ্ছি ? মাছ খাওয়ার মাধ্যমেই আমরা পারদ খাচ্ছি ? কিভাবে ?
প্রথমতঃ মাছের খাদ্যে পারদ থাকে । ফলে মাছ খাওয়ার মাধ্যমে আমরা পারদ খাচ্ছি । যেখানে মানবস্বাস্থ্যে পারদের সহনীয় মাত্রা হচ্ছে ১ পিপিএম। সেখানে চট্টগ্রামের মাছে ৫৫ পিপিএম পারদের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
এনভায়রনমেন্ট এন্ড স্যোসাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) চট্টগ্রামের মাছের উপর জরীপ এবং পরীক্ষা চালিয়ে মাছে বিপুল পরিমাণ পারদের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রকল্পে চাষাবাদ করা মাছে পারদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশী। পুকুর এবং দীঘির বড়, ছোট এবং মাঝারী তিন ধরনের মাছেই পারদের উপস্থিতি আশংকাজনক বলেও সমীক্ষার বরাত দিয়ে ইএসডিও’র সাধারণ সম্পাদক ড. হোসেন শাহরিয়ার দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন। তিনি জানান, পুকুর ও দিঘীর মাছে পারদের এই উপস্থিতি জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি।
সূত্র: দৈনিক আজাদী
বিষয়: বিবিধ
৩৭৩২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
'পারদ' নিয়ে তথ্যবহুল সুন্দর লেখার জন্যে ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহ আপনাকে!
ভয়াবহ চিন্তার বিষয়- মাছে পারদের মাত্রাতিরিক্ত উপস্হিতি!! এখন কী মাছ খাওয়াই ছেড়ে দিতে হবে!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন