আমি কিছুই দেখিনি....
লিখেছেন লিখেছেন চাটিগাঁ থেকে বাহার ১০ জুলাই, ২০১৪, ০৬:৫৭:১১ সন্ধ্যা
ভাষা হারিয়ে হয়েছি আমি
অন্ধ-বধির-বোবা,
মুসলিম নামে পরিচয় দেয়া
আমার কি পায় শোভা ?
বিবেকের কাছে আজি লজ্জায়
ঈমানতো নেই অস্থি মজ্জায় ।
তাইতো মানবতা আজি ধুকতেই
আছে শ্বেত শকূনের কব্জায় ।
/////////////////////////////////////////////////////////////
আমার মনমগজে যেটা আসন গেঁড়ে বসেছে তা হচ্ছে সামাজিক সেবাখাত সমূহের মধ্যে শিক্ষাখাত কে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া । আমার কেন জানি মনে হয় অভাবীকে একটি মাছ না দিয়ে একটি জাল দিলে যেমন সে প্রতিদিনের জন্য একটি ভরসা স্থল খুজে পায় । আবার এক কেজি চাল না দিয়ে একটি কুড়াল দিলে যেমন সে খেটেখুটে পরিশ্রম করে চলার পথ বের করে নিতে পারে । তেমনি একটি জাতিকে উন্নতির উচ্চতর সোপানে আরোহণ করাতে চাইলেও সে জাতিকে উচ্চশিক্ষার নিশ্চিত গ্যারান্টির ব্যবস্থা করতে হবে ।
আর সে ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হবে । করতে হবে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে । আমাদের আশপাশের অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী মাঝপথে পড়ালেখা বন্ধ করে দিচ্ছে । এমনও আছে টেষ্ট পরীক্ষায় ভাল পাশ করার পরও শুধুমাত্র ফরম ফিলাবের টাকার অভাবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারেনা ।
যেখানে একজন ধনীর ছেলে স্কুল ছুটির পর বন্ধুদের নিয়ে রেষ্টুরেন্টে বসে ৩/৪ শত টাকা বিল দেয় সেখানে ঐ ছেলেটিরই গ্রামে অপর একটি ছেলে ২০০শত টাকা পরীক্ষার ফিস দিতে না পারার কারণে জীবনের জন্য পড়ালেখা বন্ধ করে দেয় । অতচ শহরের ছেলেটির চেয়ে গ্রামের ছেলেটির মেধা অনেক ভাল ছিল ।
একই চালের নীচে একদিকে ধনী লোক বাস করে আরেক দিকে গরীব লোক বাস করে । ধনী লোকটি বছরে হাজার হাজার টাকা জাকাত আদায় করে কিন্তু পাশের গরীব ঘরের ছেলেটি ২০০ টাকার অভাবে স্কুলের মাস্টারের কাছে প্রাইভেট পড়তে পারে না । রক্তের সম্পর্ক হলেও এটাকে স্বজ্ঞানেই এড়িয়ে যাওয়া হয় । এটা এক কঠিণ বাস্তবতা ।
আমার আজকের আবেদন এই আপনার কাছে, আমার লেখাটি যে পড়ছেন তার কাছে । আপনি তো মাসে অনেক টাকা খরছ করেন, আপনার এলাকার, আপনার প্রতিবেশীর, আপনার আত্বীয়-স্বজনের সন্তানেরা যারা লেখাপড়া করছে কখনও কি তাদের খোজ-খবর নিয়েছেন ? ছাত্রজীবনে অভাব থাকলেও লজ্বার কারনে বাইরের কাউকে বলাটা সম্ভব হয়ে উঠেনা । আপনাদেরকেই গায়ে জিঙ্গেস করে জেনে নিতে হবে ।
একটি ছেলে বা মেয়ে বাড়িতে নিজে নিজে ইংরেজি পড়াটি বুঝতে পারেনা, অংকটি বুঝতে পারেনা । প্রাইভেট ও পড়তে পারেনা আবার টিউটরও নেই, ফলে ঐ ছেলেমেয়ের কাছে পড়ালেখা দূর্বোধ্য মনে হওয়াই স্বাভাবিক । এভাবে ওরা পরীক্ষায় ফেল করে এবং পড়ালেখায় আগ্রহ হারিয়ে একসময় পড়ালেখা বন্ধই করে দেয় ।
যদি সে ঐ অংক-ইংরেজী গুলো বুঝতো তাহলে তার কাছে পড়ালেখা ভাল লাগতো এবং সে নিজে নিজেই আগ্রহ সহকারে পড়ালেখায় নিজেকে বিলিয়ে দিত । সেখানেই আমাদের উচিত তাদের পাশে দাড়ানো । বিত্তবানেরা যদি প্রতিজনে ৪/৫জন অস্বচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়ের পড়ালেখার দায়িত্ব নেয় তাহলে কি দেশে মেধার শূন্যতা পূর্ণ হবেনা ?
আমি কিছু কিছু শুরু করেছি । আপনাদের পরামর্শ নিয়ে গত মার্চমাসে আমি সফল ভাবে সম্পন্ন করেছি বিনোদনের সাথে মানবতা ।
ভিন্ন স্বাদের সৈকত ভ্রমন, বিনোদনের সাথে মানবতা
এবার আমি আমারই গ্রামে শুরু করেছি আমার স্বপ্নের
বিষয়: বিবিধ
১৩৮০ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সত্যি কথা
বলতে গেলে
হবেন আপনি জঙ্গী,
হুট করেই
পেতে পারেন
রাষ্ট্রযন্ত্রের হুমকি।
পাখির মত
মরলে মানুষ
থাকতে হবে বোবা,
দায় ফুরাতে
করি কেবল
মোনাজাতে দোয়া।
ধন্যবাদ বাহার ভাই। শব্দের গাঁথুনি দিয়ে চমৎকার
ভাবে মজলুমের কথা বলেছেন। আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন।
ঈমানতো নেই অস্থি মজ্জায় ।
তাইতো মানবতা আজি
শ্বেত শকূনের কব্জায় ।
=====
অন্যদিকে ঠিকই আল ক্বায়েদার কিছু মুজাহিদ 'আযযাম বিগ্রেড' বা অন্যকোন নামে ইসরাইলে পাল্টা হামলা চালাতে চেষ্টা করে। আল ক্বায়েদা বা অন্য যেকোন মুজাহিদ গ্রুপ শুধু ফিলিস্তিনিদের জন্য নয়, সারা দুনিয়ার মুসলিমদের জন্য শারিরিক যুদ্ধে অংশ নিতে চেষ্টা করে। এটাই হচ্ছে সত্যিকার মুসলিম ও গণতান্ত্রিক মুসলিমদের পার্থক্য।
ওদিকে আরব-বিশ্ব ৩/৫/৭টি খেজুর দিয়ে ভুড়ি ভোজনের ইফতার-মহোৎসব শুরু করার মহান সুন্নাহ পালন করে যাচ্ছে, আর মারা যাওয়ার সাথে সাথে কমপক্ষে ৭০জন হুরসহ জান্নাতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে!
মুসলীম বলা মিছে,
আমরা এখন সেক্যুলার হয়েছি,
লজ্জ্বা ফেলেছি পিছে৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন