আসন্ন বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর যৌক্তিক পর্যায় পর্যন্ত টেক্সমুক্ত রাখা হউক Good Luck

লিখেছেন লিখেছেন চাটিগাঁ থেকে বাহার ০২ জুন, ২০১৪, ০৬:২৮:৩৫ সন্ধ্যা

আর কয়েকদিন পরেই আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষনা হবে Good Luck



Roseআসুন সবাই দিয়ে কর, প্রিয় দেশটি করি স্বনির্ভর Rose

এ বিষয়ে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।

বাজেটে শত শত বিষয়ের উপর আলোচনা করা হয় । আজকে আমি শুধু একটি বিষয়ের উপর আলোক পাত করব ।

আর তা হচ্ছে - ব্যক্তি শ্রেণীর আয়কর

আমার সাথে থাকার জন্য সকলকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি ।

(ক) ব্যক্তি শ্রেণীর আয়কর হারঃ

করবর্ষ ২০১৩-২০১৪ এ ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের করের হারঃ

১। সাধারণ ব্যক্তিশ্রেণী (মহিলা, ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বর্ষীয়ান নাগরিক ও প্রতিবন্ধী বা অক্ষম করদাতা ব্যতিত) ঃ

আয়ের পরিমাণ কর হার

প্রথম ২,২০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর......শূণ্য

পরবর্তী ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১০%

পরবর্তী ৪,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১৫%

পরবর্তী ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২০%

এর পরবর্তী অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর ২৫%

২। মহিলা ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বর্ষীয়ান নাগরিক এর ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা হবে ২,৫০,০০০ টাকা অর্থাৎ প্রথম ধাপে ২,২০,০০০ টাকার স্থলে ২,৫০,০০০ টাকা হবে এবং পরবর্তী ধাপসমূহ একই হবে।

৩। প্রতিবন্ধী বা অক্ষম করদাতাদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা হবে ৩,০০,০০০ টাকা ও পরবর্তী ধাপসমূহ একই রূপ হবে।

উল্লেখ্য যে, ন্যূনতম করের পরিমাণ উপরের সকল ক্ষেত্রে ৩,০০০ টাকা ।

একটি সহজ উদাহরণঃ

মনে করি, একজন সাধারণ ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতার ২০১২-২০১৩ আয়বর্ষে মোট নিরুপিত আয়ের পরিমাণ ৯,৭০,০০০ টাকা । তাহলে উক্ত করদাতার ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে প্রদেয় করের পরিমাণ হবে নিম্নরূপঃ

আয়ের পরিমা................ করের হার........ করের পরিমাণ

প্রথম ২,২০,০০০ টাকা....... শূণ্য.......... ০ টাকা

পরবর্তী ৩,০০,০০০ টাকা... ১০% = ৩০,০০০ টাকা

পরবর্তী ৪,০০,০০০ টাকা.... ১৫% = ৬০,০০০ টাকা

অবশিষ্ট ৫০,০০০ টাকা....... ২০% = ১০,০০০ টাকা

মোট আয়= ৯,৭০,০০০ টাকা মোট প্রদেয় কর= ১,০০,০০০ টাকা ।

একজন করদাতা যদি আগের বছর মূল ক্যাপিটাল বা মূলধন ৩৪,২৫,৫০০/- দেখিয়ে থাকেন তাহলে তা বর্তমান বছরে ১ লক্ষ টাকা টেক্স দেয়ার ফলে আগের মূলধনের সাথে ৯,৭০,০০০/- টাকা যোগ হয়ে ৪৩,৯৫,৫০০/- টাকা প্রদর্শিত মূলধন হিসেবে বৈধতা পাবে । এর বাইরে কোন সম্পদ বা মূলধন পাওয়া গেলে তা হবে অপ্রদর্শিত মূলধন ।

অপ্রদর্শিত মুলধনের জন্য আপনার কিন্তু ২২ বছর সাজা হয়েও যেতে পারে ।

আমি আপনাদেরকে সাথে নিয়ে আজকে যেটা আলোচনা করব সেটা হচ্ছে-

(ক) প্রথম ২,২০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর- শূ–ন্য

বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী যারা বছরে ২,২০,০০০/- (দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা আয় করেন তাদের কোন আয়কর বা ইনকাম টেক্স দিতে হবে না । কিন্তু যারা এর বেশী আয় বা ব্যয় করেন তাদেরকে আয়কর দিতে হবে ।

আয়কর দিতে এখন অনেক সহজ । আগের মত ভীতির কোন ব্যাপার নেই । সেলফ এসেসম্যান্ট এ আপনি আপনার মূলধন, বাৎসরিক আয় যেটা ঘোষনা করবেন সরকার সেটার উপরেই আয়কর নিবে ।

আমি আজকে আয়করমুক্ত আয়ের উপর আলোচনা করব ।

২,২০,০০০/-আয় যেটা আয়কর মুক্ত সেটা বর্তমান সময়ের জন্য কতটা যুক্তি সংগত ?

গত প্রায় ৭/৮ বছর থেকেই ১,৬৫,০০০/= পর্যন্ত আয়কর মুক্ত সীমানা চলে আসছিল । গত ২/৩ বছর আগে এটা বাড়িয়ে ১,৮০,০০০/= টাকা করা হয়েছিল ।

গতবছর বাজেটের আগে আমি জনগনের আয়ব্যয়ের কথা চিন্তা করে এটাকে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারন করার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য লিখেছিলাম । সেখানে আমি উদাহরন দিয়ে একটি পরিবারের জন্য সম্ভাব্য নূনতম কতটাকা পর্যন্ত খরছ হতে পারে তা দেখিয়েছিলাম ।

আমি একজন আয়করদাতা হিসেবে এগুলোনিয়ে আমাদেরকে সচেতন হওয়া জরুরী মনে করি। গতবছরের বাজেটে সর্বশেষ করমুক্ত আয়সীমা ২,২০,০০০ টাকা নির্ধারন করেন সরকার ।

দেখা যাচ্ছে গত ৮/৯ বছরে করমুক্ত আয়সীমা বেড়েছে মাত্র ৫৫ হাজার টাকা অর্থাৎ প্রতি মাসে ৪,৫৮৪/- টাকা আয়কর মুক্ত সীমানায় বর্ধিত বরাদ্ধ দিয়েছিল সরকার ।

কেন ? গত ৮/৯ বছরে কি একটি সংসারে মাত্র ৪,৫৮৪/- খরছ বেড়েছে ??

তাহলে এত প্রহসন কেন ??

৮/৯ বছর আগের জীবন যাত্রা আর এখনকার জীবন যাত্রা কি এই অল্প ব্যবধান ?

তখন চালের দাম ছিল ১১/১২ টাকা বা আরো কম । আর এখন চালের দাম কত ?

সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছিল- আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির কারনে আমাদের দেশে ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখা যাচ্ছে না ।

এ অবস্থায় আমাদের মৌলিক চাহিদা মিটাতে বাৎসরিক খরছ আগের মত ২,২০,০০০/- টাকায় কি সম্ভব ? গড়ে প্রতি মাসে সর্ব সার্বসাকূল্যে খরছ করতে হবে ১৮,৩৩৪/- টাকা । চিন্তা করে দেখুন। এর চেয়ে বেশী খরছ করলেই আপনাকে ইনকাম টেক্স দিতে হবে। এটা কিভাবে সম্ভব ?

যদি সম্ভব না হয় তাহলে গত কয়েক বছর আমজনতার এই বিষয়ের উপর সরকার নজর দিল না কেন ?

একজন স্টুডেন্টও যদি টিউশনী করে বা অন্য মাধ্যমে মাসে ১৮,৩৩৫/- টাকা বা তার বেশী ইনকাম করেন তাহলে তাকে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী অবশ্যই আয়কর দিতে হবে । তার থীন নাম্বার থাকতে হবে এবং বছর বছর আয়করসহ রিটার্ণ জমা দিয়ে ফাইল আপডেট রাখতে হবে

গত মার্চমাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেছেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট গবিরবান্ধব করা হবে। বিত্তবানেরা বেশি কর দেবেন, কম বিত্তবানেরা দেবেন কম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব সংগ্রহ ও বাজেটবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। -

http://www.jugantor.com/current-news/2014/03/06/74966

আমরাও চাই বিত্তবানেরা বেশী কর দেক, কম বিত্তবানেরা কম কর দেক । এনবিআর চেয়ারম্যানের এই আশ্বাস যেন কার্যে পরিনত হয় ।

একজন রিকসাওয়ালা রিক্সা চালিয়ে বউকে দিয়ে বাসায় পরিচারিকার কাজ করিয়ে মাসে সংসারে ১৫ হাজার টাকার উপরে খরছ করে ।

উল্লেখ্য যে কর নির্ধারনের ক্ষেত্রে এখানে আপনার আয়ের উপর সরকার হস্তক্ষেপ না করলে ও আপনার ব্যয় হিসাব করেই কিন্তু টেক্স বসিয়ে দেয়া হবে । এক্ষেত্রে সরকারের বক্তব্য হবে আপনি নিজের সংসারের জন্য এত টাকা খরছ করতে পারবেন অতচ সরকারকে টেক্স দিবেননা এটা কেমন কথা ।

যারা সচ্ছল, যাদের আয়ের বন্দোবস্ত আছে, যাদের সংসারের খরছ বহন করতে অসুবিধা হচ্ছেনা তাদের কথা ভিন্ন । উনারা টেক্স দিলেও ক্ষতি নেই । উনাদের টেক্স দেয়াই উচিত।

কিন্তু যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে তারা কিভাবে সরকারকে টেক্স দিবে । অতচ বর্তমান উর্ধ্ধগতির বাজারে ১৮,৩৩৪ টাকা নিমিশেই খরছ হয়ে যাচ্ছে । সরকার কি বাস্তবমুখি পদক্ষেপ নিবেন না ?

Good Luck

হিসাব করে দেখা গেছে ৫/৬ সদস্যের একটি মধ্যব্ত্তি পরিবারের মাসিক খরছ বর্তমান বাজারে ৪০হাজার টাকায়ও সচ্ছলভাবে চালানো যাচ্ছেনা । এই টাকা যোগাড় করতে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হিমসিম খেতে হচ্ছে । মজার বিষয় হচ্ছে এই ব্যক্তিকেই বাধ্যতামূলকভাবে প্রায় ২৬হাজার টাকা বছরে ইনকাম টেক্স দিতে হবে সরকারকে । কারন সে পরিবারের জন্য এতটাকা খরছ করে কেন ? বুঝুন তো অবস্থাটা !

যিনি সংসার চালাতেই প্রতিমাসে ধারকর্জ করতে হচ্ছে তিনি ২৬ হাজার টাকা কিভাবে টেক্স দিবেন । অতচ ঐ টেক্স না দিলে সে হবে করফাঁকিবাজ । তার বিরুদ্ধে আইনত: জেল জরিমানা হতে পারবে ।

আবার যে কোন সময় সরকার আপনার গোপন আয়ের সন্ধান করতে পারে ।

তাই বলছিলাম এই আইনকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হোক ।

সরকার যদি জনগনবান্ধব হয় তাহলে বাজেটে জনগনের কথাই বলতে হবে।

টানাটানির সংসারে ইনকামটেক্স দিতে হলে দাতার উপর জুলুম হয়ে যায় । কারন পরিবারের জন্য মিনিমাম যেটা খরছ সেটা না করলে তো সবাই না খেয়ে মারা যাবে ।

আর মিনিমাম খরছ করলে উনাকে সরকারী নিয়মে টেক্স বা আয়কর দিতে হবে ।

এজন্য এ বিষয় টি নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে । ঐ ৫/৬সদস্যের চেয়ে আরো বেশী সদস্য বিশিষ্ট পরিবার শত শত হাজার হাজার আছে ।

যারা এ পরিমান খরছ করে আয়কর দিচ্ছেন না তারা সরকারকে ফাঁকি দিচ্ছেন । দন্ডনীয় অপরাধে অপরাধী হচ্ছেন ।

অসহায় মজলুম জনসাধারনকে এই ফাঁকিবাজের অপবাদ থেকে বাচাতে সরকারকে বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নিতে হবে । কর আদাযে সরকারের কঠিন কর্মসূচীর ঘোষনা প্রায় সময় শোনা যায় । দেশের মানুষের জন্যই তো সরকার ।

সামনে বাজেট ঘোষনা করা হবে ।

সরকারী খাতায় ফাঁকিবাজের অপবাদ থেকে বাচাঁর জন্য একটি সংসারের মিনিমাম খরছটা যৌক্তিক পর্যায়ে হিসাব করে ঐ পরিমান আয়কে টেক্সমুক্ত ঘোষনা করা হোক ।

আমাদের দাবী হচ্ছে- আগামী বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা একটি পরিবারে মিনিমাম খরছের জন্য নেহায়েত যাহা প্রয়োজন তা যেন আয়কর মুক্ত সীমানার মধ্যে রাখা হয় ।

এ বিষয়ে এনবিআর সহ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।

Good Luckআমার পরামর্শ হচ্ছে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা ৫লক্ষ টাকা করা হোক Thumbs Up

Good Luckআমার পরামর্শ হচ্ছে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা ৫লক্ষ টাকা করা হোক Thumbs Up

Good Luckআমার পরামর্শ হচ্ছে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা ৫লক্ষ টাকা করা হোক Thumbs Up

আসুন আমরা স্বত:স্ফুর্ত ভাবে আয়কর দিই এবং আমাদের প্রানপ্রিয় এইদেশকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তুলি.....

আবার অনেক প্রবাসী মনে করেন রেমিটেন্স পাঠালে ইনকামটেক্স দিতে হয়না । এটাও মূলত ভুলধারনা। রেমিটেন্স এর টাকা আগের মূলধনে যুক্ত করতে কোন আলাদা টেক্স দিতে হয়না যেমনদিতে হয় অন্যান্যদের । কিন্তু পরের বছর থেকে ঠিকই টেক্স দিতে হবে ফাইল আপডেট করতে হলে ।


Good Luckতথ্য সহযোগিতা প্রিয় ব্লগার মো: ওহিদুল ইসলাম ভাই ।

Good Luck

বিষয়: বিবিধ

২২৮৫ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

229686
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আয়কর জিনিসটাই আমার কাছে নৈতিক ভাবে অশুদ্ধ বলে মনে হয়।
আয়করা এবং নিজের পরিবারের ভরনপোষন করা প্রতিটি নাগরিক এর অধিকার। এর জন্য কেন কর দিতে হবে? প্রতিষ্ঠানের আয়ের উপর করআরোপ করা যেতে পারে। কিন্তু ব্যাক্তির উপর করারোপ একেবারেই অনৈতিক একটি জিনিস। তার উপর আয়কর কর্মকর্তারা ব্যাক্তি করদাতাদের পিছনে লাগতে পছন্দ করেন কারন তাদের থেকে ঘুষ খাওয়া সহজ। বাজেটে আয় বৃদ্ধির জন্য জনগনের উপর অত্যাচার না করে সরকারি ব্যায় এবং অপব্যায় হ্রাস এর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৩
176378
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আপনি আয়কর না দিলে দেশ কিভাবে চলবে, সরকার কিভাবে চলবে । আমি আয়কর না দেয়ার পক্ষে নই তবে অযৌক্তিক আয়করের বিপক্ষে ।
আপনি বলেছেন-’’কিন্তু ব্যাক্তির উপর করারোপ একেবারেই অনৈতিক একটি জিনিস।’’
এখানে আপনার সাথে আমি একমত নই কারন একজন ব্যক্তি নিজের ও পরিবারের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরছ করবেন আর সরকারকে টেক্স দিতে বললেই দরিদ্র হয়ে যাবেন কেন ? মিনিমাম টেক্স বছরে ৩হাজার টাকা, মাসিক হিসাবে ২৫০টাকা । এটা দেয়া উচিত নয়কি ? এক্ষেত্রে পার্শবর্তী দেশ ভারত কিন্তু অনেক এগিয়ে আছে।
আপনার অন্য যুক্তিগুলোর সাথে আমি একমত ।Good Luck
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:২৬
192279
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সবুজ ভাইয়ের সাথে একমত
229687
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনার সাথে একমত ,,ধন্যাবদ
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
176380
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ।Good Luck
229688
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
ছিঁচকে চোর লিখেছেন : রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আয়কর জিনিসটাই আমার কাছে নৈতিক ভাবে অশুদ্ধ বলে মনে হয়।
আয়করা এবং নিজের পরিবারের ভরনপোষন করা প্রতিটি নাগরিক এর অধিকার। এর জন্য কেন কর দিতে হবে? প্রতিষ্ঠানের আয়ের উপর করআরোপ করা যেতে পারে। কিন্তু ব্যাক্তির উপর করারোপ একেবারেই অনৈতিক একটি জিনিস। তার উপর আয়কর কর্মকর্তারা ব্যাক্তি করদাতাদের পিছনে লাগতে পছন্দ করেন কারন তাদের থেকে ঘুষ খাওয়া সহজ। বাজেটে আয় বৃদ্ধির জন্য জনগনের উপর অত্যাচার না করে সরকারি ব্যায় এবং অপব্যায় হ্রাস এর ব্যবস্থা নেয়া উচিত

সহমত
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪১
176381
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আয়কর কর্মকর্তারা ব্যাক্তি করদাতাদের পিছনে লাগতে পছন্দ করেন কারন তাদের থেকে ঘুষ খাওয়া সহজ। বাজেটে আয় বৃদ্ধির জন্য জনগনের উপর অত্যাচার না করে সরকারি ব্যায় এবং অপব্যায় হ্রাস এর ব্যবস্থা নেয়া উচিত
............................।
এই বিষয়গুলির সাথে আমিও একমত । তবে আমি আয়কর দেয়ার পক্ষে ।Happy
229690
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৯
হারিয়ে যাবো তোমার মাঝে লিখেছেন : সুন্দর একটা দরকারী পোষ্ট। আশা করছি কত্তিপক্ক নজর দিবে।
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫১
176382
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সচেতন নাগরিকের এই বিষয়টি বুঝা উচিত বলে মনে করি । Good Luck
229713
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
শেখের পোলা লিখেছেন : প্রয়োজনীয় উপদেশ৷ ধনবাদ৷
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
176383
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ । আমরা হিসেব করলে দেখবো শত শত হাজার হাজার বর্তমান কর আইন অনুযায়ী আমরা কর ফাঁকিবাজ । এটা থেকে অব্যাহতি পেতে হলে যৌক্তিক পর্যায়ে আয়করমুক্ত সীমা নির্ধারন করতে হবে । আপনাকেও ধন্যবাদ ।Good Luck
229718
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ভাই এগুলো খুব বুঝি না। তবে আপনার পোষ্ট টি স্টিকি করতে অনুরোধ করছি।
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
176385
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : এই পোষ্টটি ষ্টিকি হওয়া খুবই জরুরী । সামুতে এজাতীয় পোষ্টকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয় । আগামীতে বাজেটের আগে এনবিআর, অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারলে হয়তো যৌক্তিক পর্যায়ে আয়করমুক্ত সীমা নির্ধারন করতে পারে । আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।Good Luck
229729
০২ জুন ২০১৪ রাত ০৮:০৭
হতভাগা লিখেছেন : আয়কর জিনিসটা আমার কাছে অতিরিক্ত বোঝা মনে হয় ।

আমি তো কাচা বাজার থাকে শুরু করে বাড়ি ভাড়া বিমানভাড়া পর্যন্ত ট্যাক্স স হ পে করে আসছি ।

০৩ জুন ২০১৪ সকাল ১১:৩১
176654
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : বোঝা মনে করলে বোঝা । আপনারা যদি আয়কর না দেন দেশটা চলবে কি করে । দেশতো চড়া সুদে লোন নিতে নিতে জর্জরিত হয়ে যাচ্ছে । তবে ব্যাক্তি পর্যায়ে আয়কর নির্ধারনের সীমাটা যৌক্তিক পর্যায়ে হওয়া চাই, এটাই আমার আজকের দাবী । ধন্যবাদ আপনাকে ।Good Luck
229767
০২ জুন ২০১৪ রাত ১০:০৬
পুস্পিতা লিখেছেন : চুরি-দূর্নীতি বন্ধ হোক, আর আয়কর শুধু উচ্চবিত্ত ও বাড়ি, ব্যাংক, শিল্প ইত্যাদির মালিকদের উপর থেকে আদায় করা হোক। মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত এমনকি দরিদ্ররা ভ্যাটের মাধ্যমে যা দেয়ার দিয়ে দিচ্ছে।
০৩ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
176673
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : ব্যক্তিশ্রেণীর আয়করমুক্ত সীমা পার করার পরও যারা আয়কর দিচ্ছেন না তারা করফাঁকিবাজ হিসেবে চিহিৃত হচ্ছেন । অতচ এই সীমা বর্তমান বাজারের জন্য খুবই অপ্রতুল । বছরে ২,২০,০০০/- টাকার বেশী আয় বা ব্যয় করলেই আপনাকে আয়কর দিতে হবে । এই সীমা বৃদ্ধি করে মিনিমাম ৫লক্ষ টাকা করার জন্যই আমার প্রস্তাব ।
229772
০২ জুন ২০১৪ রাত ১০:২৬
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : ভালো লাগলো..sorkaar ki amader kotha sunbe?
০৩ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
176674
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : সরকার আপনার কথা না শুনবে বলে কি আপনার অধিকারের কথা আপনি বলা বন্ধ করে দিবেন?
১০
229798
০২ জুন ২০১৪ রাত ১১:৪৭
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : খুব ভাল লেগেছে। স্টিকি করা হোক।
স্টিকি করা হোক।
স্টিকি করা হোক।
স্টিকি করা হোক।
০৩ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
176676
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : না হাবিবুল্লাহ ভাই, মডুরা স্টিকি করেনি । তাই দরকারী পোষ্ট আরো সাজিয়ে আজকে আবার রিপোষ্ট করেছি । আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।Good Luck
১১
229994
০৩ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:১২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা ৫লক্ষ টাকা করা হোক। এ দাবিতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হই।

সময়োপযোগী পোস্টটি স্টিকি করা হোক।
০৩ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:১৯
176763
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : না না এ জাতিয় পোষ্ট স্টিকি করলে আবার মডুদের কে টেক্স দিতে হতে পারে ।
আপনাকে ধন্যবাদ ওহিদ ভাই ।Good Luck
১২
230461
০৪ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:০৩
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : অত্যন্ত দরকারী ও যুগোপযোগী পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বাহার ভাই।
০৪ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:২৭
177142
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ সুপ্রিয় ডক্টর সালেহ মতীন ভাই । ভাল থাকবেন এবং দোয়া করবেন ।Good Luck Good Luck
১৩
230544
০৪ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:১৭
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : প্রতিদিনই তো টেক্স দিচ্ছি, হোটেলে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে হাট বাজারসহ কোথায় টেক্স নেই? সামান্য ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে ব্যান্ডইটথ কিনলে সেখানেও ভেট নামের কি যেন একটা দিতে হয়, মোবাইলে পকেটের পয়সা খরচ করে অন্যের সাথে কথা বলছি সেখানেও সরকার কর নিচ্ছে। তাইলে নতুনভাবে কেন আবার কর দিতে হবে?
০৫ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:১৯
177701
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : যেটা যুগ যুগ ধরে নিচ্ছে তা ষ্টাব্লিষ্ট হয়েগেছে । কিন্তু কথা হচ্ছে আয়করমুক্ত সীমানাটা যৌক্তিক পর্যায়ের হচ্ছে কিনা । কেউ ১৯০০০ টামা মাসে খরছ করে কর না দিলে সে দাগী আসামীর মত অপরাধী হয়ে যাচ্ছে চলতি আইনে । এই সীমাটা বাড়ানোর পক্ষেই আমার কলম ধরা । ধন্যবাদ আপনাকে গ্যাঞ্জাম না করার জন্য ।Good Luck
১৪
230555
০৪ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৮
আহমদ মুসা লিখেছেন : আমাদের মধ্যে অনেকের ইসলামের ফরজ বিষয় জাকাত সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে আয়কর বিষয়টা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। আজকাল আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যাকে আয়কর বলা হচ্ছে তা মূলত ইসলামের ফরজ বিধান জাকাত পদ্ধতির আংশিক বিকৃতরূপ। দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা না থাকার কারণে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ জাকাত বন্টনের এক অভিনব পদ্ধতি প্রয়োগ করে রাষ্ট্রকে যেমন আয়কর ফাকি দেয়ার সুযোগ গ্রহণ করে, অন্যদিকে আয়কর বিষয়টাকে জাকাতের ভিতর অন্তরনিহিত নির্দেশনার আলোকে জনগনের সামনে উপস্থান না করার কারণে রাষ্ট্রও এক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়। জাকাতের মূল শিক্ষাটা মানুষকে বুঝানো গেলে আয়করের গুরুত্বটাও জনগনের কাছে বুঝে আসতো।
কর দেয়ার বিষয়টা কিছুটাও হলে জাকাতের আদলে চালু আছে আংশিকভাবে ইসলামী জীবন বিধান চালু থাকা রাষ্ট্র সৌদি এরাবিয়াতে কার্যকর আছে। সেখানে রাষ্ট্রে কোন নাগরিককে আয়কার দিতে হয় না। রাষ্ট্রের ঐ সমস্ত নাগরিককেই আয়কার (জাকাত) দিতে হয় সরকারকে যাদের উপর জাকাত ফরজ হয়েছে।
এ বিষয়টাতে আমি চেয়েছিলাম একটি লম্বা মন্তব্য লিখবো। কিন্তু বিষয়টা যে এতো ব্যায়াক যা কয়েক কিস্তি করে লিখতে হবে বিস্তারিত আলোচনাটি বুঝানোর জন্য। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি ব্লগ পোস্ট করার জন্য।
১০ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:৪০
179901
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আশা করি এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখে আপনি পোষ্ট দিবেন ।Good Luck
১৫
230822
০৫ জুন ২০১৪ সকাল ১০:০২
egypt12 লিখেছেন : আপনার সাথে একমত হলাম প্রিয় বাহার ভাই...বছরে ২২০০০০ টাকায় এখন সংসার চলে না...আবার আয়কর!!! Broken Heart
১০ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:৪০
179902
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : নারে ভাই, অবস্থা ততৈবচ........
১৬
247640
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫০
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আয়ের উপর ট্যাক্স পুরোপুরি অযৌক্তিক।

আপনি আয় করেন এবং ধরে নিন সেটা ট্যাক্সেবল স্ল্যাব এ পড়ে যায়; এবং খরচ করেন তার পুরোটাই এবং আপনার আয় সমান সমান আপনার ব্যয় হয়ে যায় - আপনার এরূপ ট্যাক্সেবল আয়ের উপর আরোপিত ট্যাক্স অবশ্যই আপনার উপর বোঝা, কেননা আপনার কাছে ট্যাক্স দেবার মতো কোন টাকাই থাকার কথা না। আর ট্যাক্সের আইন বলে আপনার কাছে ব্যালেন্স থাক বা না থাক আপনার ইনকাম ট্যাক্সেবল স্ল্যাবে পড়ে গেলেই আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে যা নির্দ্বিধায় যুক্তিহীন!

এ ক্ষেত্রে ইসলামী যাকাত অনেকটাই যৌক্তিক। এখানে আপনার আয়ের উপর কোন চার্জ করা হয় না। আপনি আয় করে যদি খরচ না করে রিজার্ভ করেন তবে সে রিজার্ভের উপর চার্জ আরোপ করা হয়। আর আয় করে পুরোটা খরচ করে ফেললে আপনার কোন যাকাত বা ওয়েলথ ট্যাক্স হবে না।

এ দেশে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ৮০% ট্যাক্স-পেয়ার যারা আছে, আপনি খোজ নিয়ে দেখেনতো তাদের কাছে রিজার্ভ কি রয়েছে? আমি হলফ করে বলতে পারি তাদের কাছে তেমন কোন রিজার্ভ নাই; তো এক্ষেত্রে কি একটা লোকের ঘাম ঝড়ানো উপার্জন, যা খরচ করে সে আরেকটু শান্তি মতো জীবন-যাপন করতে পারতো, সেটা কেড়ে নেয়া হচ্ছে না? ঐ টাকা যদি ট্যাক্স হিসেবে নেয়া না হতো – সে লোকগুলো ঐ টাকাও খরচ করে ফেলতো।

আমার হিসেবে এরকম অযৌক্তিক ইনকাম-ট্যাক্স পুরোপুরি উঠিয়ে দিয়ে যাকাত বা ওয়েলথ ট্যাক্স পুরোপুরি ইমপ্লিমেন্ট করা উচিৎ। এবং নিশ্চিত থাকেন তাতে ট্যাক্স-রেভিনিউ অনেক বেশী হবে। খেয়াল করে দেখেন – দেশের ইনডিভিজুয়াল-কোম্পানী-অর্গানাইজেশন এর এক্যুমুলেটেড-এসেট কি পরিমান আর দেশের ইয়ায়রলী-আর্নড-ইনকাম কি পরিমান। অবশ্যই রিজার্ভড এসেট অনেক বেশী – সেটা থেকেই বেশী আদায় করা সম্ভব।

এ ধরনের ইনকাম-ট্যাক্স এর জন্য চাপ-টা পড়ে নিম্ন এবং মধ্যবিত্তদের উপর। উচ্চবিত্তরা যে ইনকাম করে (ট্যাক্স দিয়ে বা না দিয়ে) রিজার্ভ করে রেখেছে সেটা কিন্তু আনটাচড থেকে যায় এ আইনে, কেননা রিজার্ভের উপর ট্যাক্সের কোন বিধান এটা নয় এটার নামই ইনকাম-ট্যাক্স। তাই নিঃসংকোচে বলতে হয় ইনকাম-ট্যাক্স ধনীদের দেয় সুবিধা আর নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের করে শোষন।

উচ্চবিত্তরা এসব ফালতু আইনের পরোয়া করে না, এবং ট্যাক্স অথরিটিও ওদেরকে কিছু বলতে পারে না কখনই, ভয়ে! এটা দিয়ে অত্যাচার করা হয় – শুধুই নিম্ন এবং মদ্যবিত্তদের।

আর দেশ চালানোর ইনকামের বহু উপায় আছে এ ছাড়া, ইচ্ছা থাকিলে সে উপায় হবে-ই বলে আশা করা যায়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File