আজ ভয়াল ২৯শে এপ্রিল
লিখেছেন লিখেছেন চাটিগাঁ থেকে বাহার ২৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:০৯:০৭ দুপুর
আজ ভয়াবহ সেই ২৯শে এপ্রিল
১৯৯১সালের এই দিনে বাংলাদেশের কতক অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল অগ্নিবৃষ্টিসহ ‘গর্কি’ ।
সেদিনের ঘঠনার উপর আমার একটি বিশাল লেখা আছে যেটা পড়লে গর্কির অনেক অজানা বিষয় জানা যাবে।
উক্ত লেখার লিংক শেয়ার করলাম । আগ্রহী কেউ লিংকে ক্লিক মারলেই উক্ত লেখা আপনার সামনে এসে হাজির হবে।
অজানাকে জানতে হলে পড়তে হবে।
প্রথম অংশ...ভয়াল ২৯ শে এপ্রিল’ ৯১ ইং স্বরনে......
সাগর এর ২য় বা শেষ অংশ এখানে ....
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৪ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কুমিল্লা বোর্ডের সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল । ঐ সময়ে রেজাল্টও দিয়েছিল ৪ মাস পর ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে সময়ে Operation Sea Angles নামে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল । বাংলাদেশে মিনারেল ওয়াটারের এখন যে হুলস্থুল বাজার তা প্রথম তারাই Introduce করেছিল ।
পেয়ারা, আমলকি, কাঠাল, লেবু, ডালিম, কলা সহ নানাবিধ ফলের বাগান ছিল প্রতি বছর বহু টাকা আয় হত।
সকল ধরনের সবজী উৎপন্ন হত, প্রায় ৭০০ মিষ্টি কুমড়া অপেক্ষামান ছিল বাজারে পাঠানোর জন্য। এছাড়া বিজের জন্য সিম, বরবটি, আলু সহ বহু সবজি ষ্টোরে ছিল।
পাওয়ার টিলার, পাম্প মেশিন, গরু-ছাগল, খামার বাড়ী সবই ছিল।
ঘর্ণিঝড়ের পরের দিনই কেউ বুঝতে পারলনা গতকাল এখানে একটি সুদৃশ্য বাগান ছিল। মেশনারিজ কোথায় হারিয়ে গেল কেউ জানল না।
একই দশা বাড়ী ঘরেও। পুরো গ্রামটি লন্ডভন্ড হয়েছিল। আমাদের গ্রামের অনেক স্বচ্ছল পরিবার সেদিন রাস্তায় বসেছিল। আমাদের বাড়ীর প্রত্যেকটি কক্ষে এক একটি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার উঠেছিল। শরনার্থীর মত দীর্ঘদিন সবাই গাদাগাদি করে থাকতে হয়েছিল।
বাবা ব্যাংক লোন করে রাবার বাগান ও গরুর খামার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ে তাকে চিরদিনের জন্য ফতুর করে দেয়, বাড়ী ঘর সব যাবার পরেও তাঁর মাথায় ব্যাংক ঋনের বিশাল বোঝা চেপে বসে।
বাবার সে ঋণ শোধ করে দিতে অবশেষে আমার বিদেশী কোম্পানীর ভাল চাকুরী ছেড়ে প্রবাসে এসেছিলাম। দীর্ঘদিন প্রচেষ্টায় যে বছর আমি একক ভাবে বাবার ঋণ পরিশোধ করেছি, সে বছর তিনি আমাদের মায়া ছেড়ে চলে যান। পরিতাপের বিষয় ছিল, যে বাবাকে ঋণ মুক্তি দিয়ে আমি একদা প্রবাস ধরেছিলাম সে বাবকে মৃত্যু কালে সাহচর্য দিতে পারিনি।
এই সুন্দর পোষ্টটির জন্য লেখককে অনকে ধন্যবাদ। পোষ্টটি ষ্টিকি করা হউক।
আপনার বাবার জন্য শত শত দোয়া । আল্লাহ যেন উনাকে জান্নাত নসীব করেন ।
ফেবুতে আপনাকে হারিয়ে ফেলেছি ।
আপনি আমার হিরো।
রবিনসন ক্রুসোর বইটি পড়েছেন?
রবিনসন ক্রুসো সামুদ্রিক অভিজান করতে করতে একা একটি দ্বীপে পড়ে যায় আর সেখানে বছরের পড় বছর লড়াই করে টিকে যায়।
আপনার লিখাটি আমি অনেক আগে পড়েছি।
আমি ঐ সময় মায়ের কোলে ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য ।
ভয়াল ২৯ শে এপ্রিল এর পটভূমিতে আমিও একটি গল্প লিখেছি। আমন্ত্রণ- http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1980/ohidul/43983#.U2CobKK3TDc
মন্তব্য করতে লগইন করুন