পেনপেসিভি সোনারগাঁও তে ইসলামীক কালচারে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখলাম। যা অনেক ইসলামিক পরিবারে অনুষ্ঠানে দেখিনি।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০১:৪৭:১৭ রাত
সব পুকুরেই ছোট বড় মাছ থাকে আর সব দলেই ভাল খারাপ /মুমিন মুনাফিক থাকতেই পারে।যেমন একই ধান গাছে একই ছড়ায় দেখতে ধানের মত চিঠা ও ধান একই শীষেই থাকে। একই পরিবারের একেক জন একেক মনের একেক দলের নেতা কর্মী ও সমর্ধক হতেই পারে। তেমনি আমার নিকটতম আত্নীয়ের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান পেনপেসিভিক সোনারগাঁও হল। পাপের ভয়ে আর অসুস্থ্যতার জন্য না যেয়ে বাঁচতে চেয়েও শুধু আত্নীয়ের হোক আর আমার মা (বৌমা) এর মনটা খুব কষ্ট পাবে তাই গেলাম।দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর সাহায্য চেয়েছি।
আমি এখানে আরো অনেক অনুষ্ঠানে এসেছি ।কিন্তু আজকের টা ছিল ভিন্নধর্মী।নাচ গান অপসংস্কৃতির বাদ্যযন্তের ঢাকঢোল আওয়াজের পরিবর্তে প্রথমেই অনুষ্ঠান শুরু হলো সুরা ফাতিহা তেলোয়াতের মাধ্যমে। ছেলে মেয়ের অভিভাবকরা কি সুন্দর হৃদয়স্পর্শ করা উপদেশ মুলক বক্তব্য রাখলেন নতুন বউ জামাই এর উদ্দেশ্যে। যা সবার জন্য ছিল শিক্ষনীয়। বাবার ছেলেকে দিলেন উত্তম স্বামী হবার মত শিক্ষা। আদর্শ ছেলে হিসাবে কি কি করনীয় বিয়ে করার পর তাও বললেন। নামাজ ও কোরান তেলয়াতের কথাও বললেন।
মেয়ের বাবা ছেলে মেয়েকে দাম্পত্য জীবনকে সুন্দর করার উপদেশ দিলেন। তিনি একটা সুন্দর কথা বললেন ," তোমরা সংসার জীবনের শুরুতে যখন আল্লাহ যেভাবে রাখবেন তাতেই সন্তুষ্টি থাকবে। আলহামদুলিল্লাহ বলবে । তাতে আল্লাহ তোমাদের উপর খুশি হবেন।আর বাবা মা ভাই বোণ আত্নীয় স্বজন সবাইকে নিয়ে সুখি হতে চেষ্টা করবে। স্বামী স্ত্রী একে অন্যকে ছাড়/সেক্রিফাইজ ও কম্প্রোমাইজ এর মাঝে দাম্পত্য জীবনের সুখ তৈরী করে নিবে।সমস্যা দেখা দিলে নিজেরাই তার সমাধান করে ফেলবে। সেখানে অধিকাংশ মহিলারা ছিল পর্দানশীল মার্জিত। সবার মাঝে ছিল সভ্যতা ও শালীনতা ।মেহমানদারীতে সবার প্রতি ছিল সমান সন্মান ,তীক্ষ্ণ নজরদারী ও আপ্যায়ন ।
আমি বাসায় এসে ভাবলাম। পেনপেসিভি সোনারগাঁও তে ইসলামীক কালচারে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। যা অনেক ইসলামিক দলের পরিবারে অনুষ্ঠানে নেই। সেখানে তো প্রায় সব দলের লোকই ছিল।এমনকি সাবেক প্রসিডেন্ট এরশাদ চাচা ও রওশন এরশাদ চাচীও ছিলেন।চাচা সুস্থ্য আছেন কিন্তু চাচী বেশ অসুস্থ্য।
সেখানে সবাই আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত/উচচ শিক্ষিত। আমি এমন কাউকেই বড় বড় ইসলামীক/ পীর / আলেম দেখিনি। তবে উনাদের মাঝে ইসলামী অনুশাসন /কালচার ছিল অনেক ইসলামীক দলের পরিবারের চেয়েও অন্যতম মানের। তাই আমার মনে হয় কাউকে হেয় বা খাটো করে না দেখে সবার থেকে সত্যটা জেনে নিয়ে তার সমালোচনা করা উচিত।
কয়দিন থেকে ভেবেছি, ধনীব্যক্তি দের দেখলে ভয় লাগে। দুনিয়ার প্রতি এত মোহ ,মনে হয় তামাম দুনিয়া গ্রাস করে নাকি,তবুও সেখানেই যেতে হয়। এই খানে গিয়ে দেখি না ভিন্ন। এরা ধনী তবে আল্লাহর কাছে এরা নিয়ামতে ঋনী।নেই অহংকার আত্মপুজা।
আল্লাহ যাকে হিদায়াত করেন সে যেই হোক না কেন আল্লাহর আলোকিত পথের পথিক হয়ে তিনি জান্নাতে চলে যেতে পারেন।আর আমরা আলোর সন্ধান পেয়েও যদি তা আমাদের অমতরে জ্বালায়ে বাস্তবায়ন না করি তা হলে কোন দিন আমরা জান্নাতের ঘ্রানও পাব না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ও আমাদের পরিবারকে ইসলামের বিধান সঠিক ভাবে মানার তাওফিক দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
২৪৮২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শালীনতার মধ্যৈ ছিল।
ছেলের বাবা তার ছেলেকে উপদেশ দিলেন - এটা ঠিক আছে । মেয়ের বাবা ছেলে মেয়ে উভয়কে উপদেশ দিলেন কেন ? শুধু তার মেয়েকে উপদেশ দিলেন না কেন ?
আর এখানে মেয়ের মাকেই তো আসতো হতো স্টেজে নিজের মেয়েকে উপদেশ দেবার জন্য , কারণ মেয়েরা মায়ের স্বভাব পেয়ে থাকে ।
ফ্যাঁকড়া তো এখানেই । বিয়ে শরিয়ত মোতাবেক হলেও বিয়ের পর কোন মেয়েই শরিয়ত মোতাবেক চলে না এবং দাম্পত্য জীবনে সে শরিয়তকে ফলো করে না - এটা প্র্যাক্টিক্যাল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন