ছোট পানির ফোটা গুলো জমে বরফের স্তূপ হয়।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০১ অক্টোবর, ২০১৬, ০১:২২:০১ রাত
আমাদের একটু একটু ভাল কাজ করলে নেক আমল হবে ইনশাল্লাহ।
নিজের আত্নসমালোচনা নিজে করার মাঝে বেশি সংশোধন হওয়া যায়।তাই করতে গিয়ে মনে পড়ল। ছোট ছেলেটা খুব অসুস্থ্য।দুই বার তাঁর বাবাকে দিয়েই হসপিটালে পাঠালাম।আজ রিপোর্টে রোগের বর্ননা শুনে নিজেই নিজের রোগের কথা ভুলে ছেলের সাথে দৌড়ালাম।বয়সের ব্যবধান থাকলে বুড়া স্বামীদের ঠেলাগাড়ির মত ঠেলে চালাতে মজাই লাগে।অনেক টা শিশুর মতই কি করবে দেরিতে বুঝে।
শাজাহানপুরের ৩য় ভবন ও পঞ্চম ভবন দুই ডাক্তার দৌড়ায়ে কাকরাইল শাখায় আসলাম। সিরিয়ালে বসা অবস্থায় আরো গুরুতর রুগীদের অবস্থ্যা দেখছি আর আল্লাহর শুকরিয়া জানাচ্ছি।
৭০ বছরের চাচা মিয়া খুলনা থেকে এসেছে ব্রেইন স্ট্রোক করে।আট তালায় ভর্তি । বয়রা আল্ট্রাসোনগ্রাফী করতে এনে রেখে চলে গেছেন।আর রুমে নেওয়ার কেউ নেই.১ ঘন্টা বাচ্ছার মত ফেলফেল করে অসহায় চোখে তাকাচ্ছে।সবাই বসা কেউই এই করুন চোখের বাসা বুঝছে না।আমার মনে হল আমার বাবা হলে আমি কি করতাম।ফাইল থেকে রুম নাম্বার দেখে কয়েক জন বয়কে অনুরোধ করতাম বিনিত ভাবে উনাকে উনার রুমে রেখে আসতে।ওরা আমার আত্নীয় ভেবে আসল ও চাচাকে নেওয়ার সময় চাচা কি মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে গেলেন।আমার অসুস্থ্য ছেলে বলে মানুষ আপনাকে কি ভেবেছে ?
তাঁকে বললাম,বাবা আমি তো আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য করেছি।যা সবার করা উচিত ছিল। না হলে এই বুড় মানুষটার পাশে কে দাড়াতো বলো? সন্তানরা তো কেউ এই বাবার পাশে দাঁড়ালো না এসে
কিছু ক্ষনের মধ্যে আমার বয়সী এক বোণকে স্বামী আর ছেলে নিয়ে এলেন হুইল চেয়ারে করে। মাথা পড়ে আছে। জ্ঞান আসছে আর যাচ্ছে।জানের অবস্থ্যা খারাপ থাকলে শরীলের কাপড় কি ঠিক না বেঠিক তা কি আর হুশ থাকে। অনেকের চোখ বোনটির দিকে।তাই দৌড়ায়ে গিয়ে কি অসুস্থ্যতা জানার মাঝে মাঝে গায়ে মাথার কাপড় চোপড় ঠিক করে দিলাম। ছেলেকে দিয়ে ঠান্ডা পানি এনে মাথায় মুখে পানির ঝাপটা দিতেই আলহামদুলিল্লাহ জ্ঞান ফিরে আসল।কোথার থেকে এসেছে জিজ্ঞাসা করে দেখি আমার এলাকার প্রতিবেশি।তখন প্রতিবেশির হক হিসাবে দায়িত্ব আরো বাড়ায়ে দিলাম। ঠিকানা দিয়ে বাসায় যেতে বললেন।
আসার সময় ছেলে রাগ । তাদের আমাকে নিয়ে মান সন্মানের ক্ষতি হয়। তখন ছেলেকে বললাম , বাবা ইসলাম তো মানুষকে আপন পর বেদাবেদ ভুলে উপোকার করতে শিখায়। সে বলে উপকারীর গাঁড়ে লাঠি আসে। তখন বললাম , বাবা ,এই চিন্তা করে তো রাসুল সাঃ মানুষের কল্যানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেনি। সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
এইভাবে সমাজ থেকে জনহিতকর কার্য্য বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ এর কল্যানে কি দানব পশুরা এগিয়ে আসবে?আসুন আমরা ছোট ছোট নেক কাজ মানুষে কল্যান করে জান্নাতের দিকে অগ্রসর হতে থাকি।আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়াতের মাধ্যমে অন্যের কল্যান করার সুযোগ দিন।আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চমৎকার লেখা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন