ডুবন্ত মেয়েদের মা মা ডাক আজো শুনছে বেঁচে যাওয়া শোকার্ত মা
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১২ আগস্ট, ২০১৬, ০১:০৭:০৯ রাত
ডুবন্ত মেয়েদের মা মা ডাক আজো শুনছে বেঁচে যাওয়া শোকার্ত মা
যে যাই বলুক আমরা কোরআন থেকে নিজেকে সরাব না।অন্তত নামাজের/আমপারার সুরা গুলোর অর্থ/ শিক্ষা আয়ত্তে আনি।না হলে প্রাপক আল্লাহ আর প্রেরক বান্দার মাঝে বিশাল হেরফের রয়ে যাবে।মনিবের আনুগত্য গোলাম যথাযথ পালন করতে পারবে না।সেই সুবাদে বোনেরা কোরআনের ক্লাসে আসল।সুরা মুত্বাফ্যিকিন এর শিক্ষাও শেষ ।
আখিরাতের বিশ্বাসীরা দুঃখ কষ্টে সবর আর সুখে শুকরিয়া আদায় করতে হবে।কারন আমল ইল্লিন দপ্তরে আর সিজ্জিন কয়েদখানায় থাকবে।
সাথে সাথে লুতফা আপার চোখে পানি ঝর্নার বেগে ঝরছে ।আর বলছে, "পারভীন আপা আমার যে ধৈর্য্যশক্তি অনেক কম।আমি কি করব?"
লুতফা আপা,৫বছরের নীচের দুই মেয়ে , এক ছেলে ,আপন ভাই , ভাগিনা,দেবর সহ মোট ৭জন নিয়ে ঢাকা আসছেন লঞ্চে করে। ছেলে বুকের দুধ খাচ্ছে আর পাশেই দুই মেয়ে বসা। সর্বনাশা পদ্মানদীর বুকে ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এক নিমিশেই সব আনন্দ হারিয়ে গেল ।বুকে দুধ খাওয়া সন্তান সহ মেয়েদের মা মা গো ডাক শুনতেছিল।
সব শেষ হয়ে যখন নিজের জ্ঞান আসল,তখন আর ছেলে ছাড়া আর কাউকে খুজে পেলো না।সন্তানের জন্য এই তীর থেকে ঐ তীরে ,এক ঘাটের থেকে অন্য ঘাটে কয়দিন দিক বেদিক ছুটেছে।ডুবেও যাওয়া মেয়েদের ডাক আজো শুনছে ডুবন্ত মা।কি কষ্ট কি ব্যাথা মায়ের বুকে খাঁখাঁ করছে।মেয়ে শুন্য মায়ের বুকের ব্যাথা এক আল্লাহ ছাড়া আর কেউই বুঝে না।সন্তানের লাশ বুকের মাঝে সব চেয়ে পৃথিবির বড় জগদ্দল বোঝার চেয়েও কঠিন।
আমাদের সমাজ জীতলে মহিলারা মাথায় থাকুক মুকুট হয়ে আর পরাজয়ে /সংসারের চুল ছেড়া ক্ষতি হলেই জাহান্নামে গিয়ে মরুক তাতেই বা কি।হায়রে মানুষ আর বেহুশ মানুষের আক্কেল কি অদ্ভুদ ।সন্তানহারা শোকের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়াল পরিবারের আত্নীয়দের কথার কদাচার।হাতের আঘাত লাগে দেহে আর কথার বুলি হৃদয়ে বিদে বুলেটের গুলি হয়ে।
লঞ্চে্র মালিক যে অর্থলোভে টইটুম্বর যাত্রী উঠাল সেটার কোন দোষ হল না। প্রভুর হুকুম ছিল সব ঘটনা ঘটার পিছনে তাও কারো ভাবার সুযোগ নেই।আল্লাহর হুকুম ছাড়া দুঃখ সুখ কোনটাই আসে না।আজো সেই বোনটা বুকে সবরের পাথর বেঁধে হাসি কান্নার মাঝেই সংসার করে বেঁচে আছে।
সান্তনার বানী শুনালাম।সবরের উপদেশ দিলাম।আর ভাবলাম মেয়েরা কি ছেলেদের হাতে কলের পুতুল।যেমনে নাচাবে তেমনি নাচতে হবে।তা না হলে পুতুলেরই সব দোশ।ভালবেসে নারী বলে শুধু কবুল ।আজো কেন পায়নি ভালবাসার মালা বকুল। তাও ভালবাসা দিয়ে বেঁধে রেখেছে দুকূল।নারীদের ভালবাসার হৃদয় ছোরার দুই পাশেই তীক্ষ্ণ ধার।
একদিকে জানপ্রান উজাড় করে দেওয়া স্বামী অন্য পাশে নাড়ী ছেঁড়া ধন প্রানের সন্তান।মেয়েরা স্বামীর আঘাত সয়ে যায় ছেলে মেয়ের দিকে চেয়ে চেয়ে। ছেলে ছেলের বঊ / মেয়ে -মেয়ের জামাইর থেকে আঘাত পেয়ে সইতে না পেরে দুঃখে দুঃখে পরলোক গমন করে।
বাহ কি সুন্দর !যাদের মাঝে চিরসবুজ যৌবন বিলিয়ে দেয় ।তারাই বনদুস্যু হয়ে বনায়ন গোঁড়া সহ উতপাঠন করে সাবাড় করে ফেলে। নিয়তির খেলা বুঝার নাহি উপায়।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন