যতক্ষন বুকে থাকবে প্রান ,সেই প্রানে থাকবে স্বামী সন্তান
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৩ জুলাই, ২০১৬, ০১:৪৫:২৮ রাত
আমি রোগের যন্ত্রনা থেকেও রুগী হয়ে ডাক্তারখানায় সিরিয়াল ধরে বসে থাকার যন্ত্রনা কে বেশী কষ্টকর মনে করি। পাশে সাহেব বসে বসে জিমুচ্ছে ।সারাদিন পরিশ্রম করে এসে বউ এর অবস্থ্যা খারাপ দেখে নিজেই নিয়ে এল ডাক্তারখানায়।অসুস্থ্য সময় কেউ কেমন আছেন বললেও প্রানটা শীতল হয়ে যায় ।আর পাশে থাকলে তো কথাই আর থাকে না। রোগাক্রান্ত শরীলের যন্ত্রণায় মানুষ একেকজন একেকদিন কি কষ্ঠে রোগের সাথে পাঞ্জা লড়ছে তা দেখলাম।তখন মনে হল আল্লাহ কত বড় নিয়ামত সুস্থ্যতা দান করেন। সেই নিয়ামত আবার কেড়ে নিতেওপারেন।
পাশেই দাড়ানো একজন দ্বীনদার মা বাবা। কোলের বাচ্ছা অসুথ্য।বাচ্ছার মায়ের উপর স্বামী বেচারার চাহনি এমন যে,মনে হচ্ছে এই রোগের জন্ম নেওয়ার জন্য এই মাই দায়ী।সন্তানে মায়ায় অন্ধবাবা ভুলে গেছেন আল্লাহ এই রোগ বালাই দেন।এই মাও সন্তানের অসুস্থ্যতার জন্য কম মর্মাহত নন।কিন্তু বেচারনি এমন ভাবে ফেরারী আসামীর মত সব অপরাধের বোঝা মাথায় আছেন।যেন সন্তান জন্ম দিয়েই তিনি করেছেন আজন্ম পাপ।
ডানে তাকায়ে এক খালাম্মা বয়সী রোগী কে দেখলাম, ছেলে ধমকাচ্ছে এই বারের পরে আর ডাক্তার কাছে নিয়ে দৌড়াতে পারবে না।ছেলের বউ এর মখ পাতিলের তলার মত কালো হয়ে আছে।বুড়ি মরলে বাঁচি ভাবখানা।ছেলে কে মা বলছে , বাবা আমি আর তোদের বিরক্ত করব না।এই বার গ্রামে চলে যাব।বউ তাতে মুখ ফসকায়ে বলল, তা হলে বেশি অসুখের কথা ডাক্তারের কাছে বলবেন না। তাতেই সায় দিল মা।তা না করে কি উপায় আছে।
অপেক্ষার প্রহর মৃত্যু যন্ত্রনা থেকেও কঠিন।তাই আমার পিছনের সিটের বোনের অসহ্য গুরু স্বামীর চোখ রাঙ্গানী শুরু।জীবনের বহু মুল্যবান সময় ও টাকা বেহুদা তাঁর স্ত্রীর পিছনে ফেলছে। এটা তো বিয়ে নামের কলেমা চাবি দিয়ে বাসর রাতেই প্রতিযোগিতার ময়দানে ছেড়ে দিয়েছে। হাডুডু খেলতে খেলতে মৃত্যু দুতের হাতে ধরা পড়লে সংসার নামের ময়দান ছেড়ে খেলা সাঙ্গ করে একেবারে কবর দেশে ঘুমাবে নিরালায়।বাবার চিকিৎসা হবে সিঙ্গাপুরে আর মায়ের চিকিৎসা হবে ফকির ফাকড়া হেকেমি দাওয়াই দিয়ে।বাবার সম্পত্তির ভাগ পাব মায়ের থেকে তো সম্পদ বাদ আর এখন দুধও পাব না ।
ইসলাম নারীদের যতই অধিকার আর মূল্যায়ন করুক না কেন বাস্তব জীবনে নারীরা কত টুকু তা ভোগ করে জেতে পারছে। না বলতে পারে না সইতে পারে কি হয়েছে তাঁর ভিতরে। স্বামীর কথা বলবে কিভাবে উপরের দিকে থু থু ছিটালে তা নিজের মাথাই নোংরা হয় আগে।সন্তানের অপমান লাঞ্চনা গঞ্চনার কথা বলা আর নিজের কলিজায় নিজে ছুরি ডুকায়ে দেওয়ার চেয়েও বেশি যন্তনা।তা মহিলার শান্তি কোথায়। একটি সোনার মৃগয়া হরিন ধরে স্বামী সন্তানের জীবনে সুখের সন্ধান করে দেবে বলে ছুটতে ছুটতে আজ যে মহিলা রোগাকালান্ত হয়ে পড়েছে ।তাঁর জন্য স্বামী সন্তানের এই অবহেলা কিভাবে এই সব মহিলারা সয়ে যাবে নিরবে।একবার ফল পাকিলে অনেক গাছ মারা যায়। হায়রে মেয়েরা না মরে না বাঁচে ।তাও মরে করে যায় মাকসার জীবনের মত।তারা ভাবে যতক্ষন বুকে থাকবে প্রান ,সেই প্রানে থাকবে স্বামী সন্তান।
শুধু মুখে না দিলেও মায়েরা বলে আল্লাহ মহান ।তাও মায়েরা যতক্ষন প্রান থাকে সেই প্রানটা দিয়ে ভালবেসে যায় স্বামী সন্তানকেই।
বিষয়: বিবিধ
২৮৭০ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমরা আসলে সত্য কি ভুলে গেছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন