মা আমি পেরেছি কিছুটা হলেও পেরেছি
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৯ জুলাই, ২০১৬, ১১:৪২:২৫ রাত
আলহামদুলিল্লাহ মা আমি পেরেছি কিছুটা হলেও পেরেছি
কোন কিছুতে মায়ের মন ভরাতে পারতাম না।কারন যেমন চাইতেন আমি তেমন করে পারি না।পড়তে হবে বইয়ের সব কাল লিখা।লিখতে হবে বইয়ে দেওয়া অক্ষরের মত করে ।ক্লাসে মেধাতালিকায় প্রথম ১-৩ এর মাঝে প্রতিযোগিতায় থাকতে হবে। দূরে থাকা ভাই/বোনের কাছে চিঠি লিখার আগে মায়ের থেকে সারমর্ম শুনে এটা কে বইয়ের মত সাজায়ে লিখতে হবে।কারো কোন কিছুর দিকে লোভ করা তো দূরে থাক ।তাকায়ে সুন্দর বলাও যাবে না। শিক্ষকদের সর্বউচ্চ সন্মান পদর্শন করতে হবে।নিজের যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থেকে তা পরিপাটি করে ব্যবহার করতে হবে।সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে হবে।মায়ের অনুমতি ছাড়া কারো বাসায় যাওয়া যাবে না।
মায়ের শাসন আর আদেশনামায় অসহ্য হয়ে ভেবেছি বিয়ে হলেই মুক্তি পাব।বিয়ের সাথে সাথে পড়াও শেষ আর মায়ের আদেশও শুনতে হবে না।দোয়া কবুল হয়ে বাল্যবিবাহ হলেও যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত কাটাতে হয়।
শ্বাশুড়ি ভক্ত জামাইর আদেশ মায়ের মত আদর্শবান হওয়ার জন্য স্ত্রীকে পড়া শুনা ও চালচলন শিখার জন্য এস এস সি পাস না করা পর্যন্ত বেশি সময় বাপের বাড়ি থাকবে।
যাতে মাথা তাতেই কপাল।এই বার মায়ের দুই বছরের নতুন মাত্রার প্রশিক্ষন শুরু।কারন আমার মায়ের সব সন্তানদের মধ্যে আমি সব দিক থেকেই আমড়া গাছের ঠেকি। মায়ের মত সুস্বাদু রান্না জানতে হবে। স্বামীর মন খুশি করে চলতে হবে।স্বামীর আদেশ ,পছন্দ অপছন্দের মুল্যায়ন করতে হবে। স্বামীর সংসারের সবার সাথে মিলে মিশে সুখ খুজে নিতে হবে।স্বামীর মাতাপিতা , ভাই বোন আত্নীয় স্বজন কে সন্মান শ্রদ্ধা আদর ভালবাসা দিয়ে আপন করে নিতে হবে।সন্তানদের জন্য স্বামী/শ্বশুড় শ্বাশুড়ি বা অন্যদের সেবা যত্নের যেন ত্রুটি না হয়।স্বামী ও শ্বশুরালয়ের কোন কথা বাবার বাড়িতে এসে বলা যাবে না।আবার বাবার বাড়ি নিয়ে কোন অহংকার সেখানে করা যাবে না।মোর আচরনে যেন আমার বংশের পরিচয় হয় ইত্যাদি ইত্যাদি
মায়ের কথা সব যে ১০০% বাস্তবায়ন করতে পারি নাই।কারন মা আমাকে যা বানাতে চেয়েছেন ।আমি সেই জৈব পদার্থ নয়।তবে আমি চেষ্টা আজো করে যাচ্ছি।এই যে আলহামদুলিল্লাহ লিখা বইয়ের মত হচ্ছে।বইয়ের সব কাল লিখা পড়ে কত গুলো সার্টিফিকেট নামের কালকালির লিখার কাগজ বেহুদা সংগ্রহ করেছি।অবশ্য উইপোকার বাসা বানাতে সাহায্য হয়েছে।১৬ বছর স্বামী সন্তান নিয়ে মিলে মিশে যৌথ সংসার করেছি।বাবার বাড়ির দিকের চেয়ে স্বামীর বাড়ির লোকদের ভালবাসায় হৃদয় শীতলতা লাভ করে।অবশ্য এটা আমার কৃতিত্বের কারনে নয়।শ্বশুরালয়ের মানুষ গুলো খুব ভাল।
মা আজ খুব তোমাকে মনে পড়ছে।মা তোমাকে জড়ায়ে ধরার সাহস ছিল না তোমার আদেশ বাস্তবায়নে ত্রুটি ছিল বলে ভয়ে।তুমি যখন আমাকে জড়ায়ে ধরে ঘুমাতে চাইলে তখন আমি তোমার আদেশ বাতবায়নে ময়দানে দোড়াচ্ছি। দাঁড়াবার সময় ছিল না মা আমার। আজ খুব তোমাকে জড়ায়ে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে,"আলহামদুলিল্লাহ মা আমি পেরেছি কিছুটা হলেও পেরেছি"
এখন আমার ছুটি হয়েছিল তোমাকে জড়ায়ে শুবার।যদিও আগের মত শক্ত বাহু বন্ধনে জড়ানোর শক্তি নেই আমার।কারন মা আমি প্রতিযোগিতায় প্রথম হবার জন্য প্রথমেই সব শক্তি শেষ করে ফেলেছি ।এখন শুধু একটু বেঁচে থাকার শক্তি খুজি প্রভুর দ্বারে।তুমি জান্নাতুল ফেরদাউসে সুখে থাকো।সেখানে ইনশাল্লাহ তোমাকে জড়ায়ে আমি ঘুমাব।আর পারছি না মা।আমি ক্লান্ত পরিশ্রান্ত।আর আদেশ করো না।্এই বার আমায় ক্ষমা করো।প্রভু আমায় ক্ষমা করো ,মা বাবা কে জান্নাতুল ফেরদাউস দান কর।
বিষয়: বিবিধ
২০৮৩ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
, আর
স্বামীদের ঘায়েল করার জন্য বউদের মোক্ষম অস্ত্র :
এত ম্যা ম্যা কর কেন ? বউয়ের কাজ কি মাকে দিয়ে হয় ?
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস - এই একই কথা ২৫/২০ বছর পর তার ছেলেকেও শুনতে হয় ।
শ্বাশুড়ির বার্থ্যক্য হয়ে পেরালাইস্ট যখন তখন স্বামী শ্বাশুড়িকে নিয়ে একই খাটে শুয়েছি বহুমাস।ছোট সন্তানের মতই মলমুত্র নিজ হাতে পরিস্কার করেছি আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য।জানিনা কবুল হয়েচে কিনা।
সব জিনিস একই পাল্লায় মাপা বুদ্ধিমানের লক্ষন নয়।
৭০% ডিভোর্স আসছে মেয়েদের তরফ থেকে ।
ব্যতিক্রমকে উদাহরণ হিসেবে উথ্থাপন করা মানে মূল বিষয়টাকে আরও শক্তভাবে স্টাবলিশ করা।
[img]http://www.desh-
মন্তব্য করতে লগইন করুন