ডলির স্বামীর হৃদয় কি সাহারা মরুভুমি?

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১১ জুলাই, ২০১৬, ০৩:৩৮:৫৭ দুপুর



মা বাবা একটা মেয়েকে মুসলিম হিসাবে গড়ে তুলে বিয়ে দেন মুসলিম ছেলের সাথে ।কিন্তু মেয়েটা সংসার করতে গিয়ে যখন দেখে ছেলেটা থিউরিক্যাল মুসলিম ।সে প্যাক্টিস মুসলিম নন।তখন একটা মেয়ের দুনিয়াতেই জাহান্নামের অনল শুরু হয়ে যায়।

ডলি আপার তুঁষের আগুনে চাপা ব্যাথা শুনতে শুনতে নিজের বারুতেই আগুন জ্বলে উঠল।বোনদের ব্যাথায় ব্যাথিত হয়ে সবরের শান্তনা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না ।ডলি আপা, অপরাধ স্বামীকে হালাল ভাবে ভালবেসে মুসলিম বানাতে চান। যেই বাবার আদর্শে উপযুক্ত ছেলেরা আদর্শবান হবেন।স্বামী নির্যাতিতা মজলুম বোনটি না সইতে পারে না কারো কাছে কইতে পারে । বললে স্বামী সন্তানের সন্মান যায় আর সয়ে সয়ে নিজে বাঁচেও না আবার মরেও না। একই রুমে দুই জীবন্ত মুর্তির বসবাস।

ঈদের সময় কে না চায় স্বামী সন্তান নিয়ে আনন্দ না করতে । নিজের বাসায় নিজের স্বামীর রুমে যাওয়াই কি একজন স্ত্রীর জন্য তা নির্যাতনের কারন হয়ে যেতে পারে?সবার তো মন আছে । একজন স্ত্রীর মনের আসল খোরাক মিটাতে পারে একজন স্বামীর ভালবাসার দ্বারা। ডলির স্বামীর হৃদয় যদি হয় সাহারা মরুভুমি।সেখানে মরুঝড় ছাড়া মরুউদ্যান আশা করাটা অরন্যে রোদন ছাড়া আর কিছুই নয়।আল্লাহ কোন স্বামীর হৃদয় কে সাহারা মরুভুমি না করুন। সেটা কে রহমের মরুউদ্যান বানিয়ে দিক।

মেয়েরা একটু বেশি সবর করা উচিত।তার মানে কি সেই মেয়েটি দুর্বল অসহায় অজ্ঞ মুর্খ আনকালচার বেকডেটেট ।তাই এই স্ত্রীর ভালবাসাকে অবমুল্যায়ন করে দাসী বান্দীর চেয়েও খারাপ আচরনে শারিরীক নির্যাতনে তাঁকে স্বৈরাচার স্বামীর যাঁতাকলে পিস্ট হতে হবে আজীবন। কারন স্বামী তো বাহিরে মৃগয়া হরিনীদের সাথে বান্দরের নাচন কাচন করছে। ঘরে আসতেই উনি হয়ে যান গুরুঠাকুর ।

ডলি আপার সন্তানরা কলেজে হাইস্কুলে পড়ে । তারা তাঁদের মায়ের সাথের অন্যায় আচরনের প্রতিবাদ করতে পারে না ।কারন মায়ের কড়া নিষেধ তাঁদের বাবার সাথে তারা যেন বেয়াদপি না করেন ।কিন্তু কয়দিন ? এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে । তার সন্তানদের সামনে বাবা হিসাবে কি কোন নীতির কথা জীবনে বলতে পারবে ।না সেই সন্মান পাবে ।

আমি স্বৈরাচার মনোভাবের স্বামীদের বলব, আপনার স্ত্রী সবর করা মানে এই নয় যে আপনার অন্যায় কে মাথা পেত নত শিরে মেনে নিল । বরং এর মানে হল আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের প্রতি বিশ্বাসী বলে আখিরাতে উত্তম প্রতিদানের আশায় আপনার দায়িত্ব আল্লাহর উপর ছেড়ে দিল। আল্লাহ উত্তম ফয়সালা কারী ।আর সেই ফয়সালার অপেক্ষায় রইল।আপনি আপনার রবের ভয়াবহ পরিনতির কথা ভেবে সিন্ধান্ত নিন আপনি কি ফলাফল ভোগ করতে যাচ্ছেন।

বাংলার হাজার ডলিরা এই ভাবে জীবন যুদ্ধে আছে।কেউ তাঁদের কথা ভাবে না । আগের দিনের নানা দাদা বাবা চাচা রা তেমন শিক্ষিত ছিল না ।কিন্তু মিল মহব্বত আর মর্যাদা অক্ষুন্ন ছিল ।বয়স ৫/৬ ছিল।নানার বাড়ি গেলে নানা নানীর মাঝখাণে ভয়ে শুতে বায়না ধরতাম । নানা রাজী থাকলেও নানীর মুখটা হুতুম পেঁচার মুখের মত গোমড়ামুখি হয়ে যেত । তাতেই ভয়ে আর শুয়া হত না।আর এখন কি জামানা এসেছে ।স্বামী স্ত্রী একই রুমে থাকে কেউ কাউকে চিনে না। চিনবে কিভাবে পার্কের বেঞ্চ গুলো হয়েছে বেড রুম।

যতদিন ইসলামের আলোকে আমাদের জান মাল ব্যয় না হবে , কোরানের আলোকে পরিবারে এঁকে অন্যের হক আদায় করতে না পারবেন তত দিন আল্লাহ আমাদের শয়তানদের শয়তানী থেকে রক্ষা করবেন না ।সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন ডলি আপাদের জন্য উনাদের স্বামীদের ভিতরে রহমত দেন । দাম্পত্যজীবনে সবার মাঝে যেন জান্নাতী সুখ বয়ে আনে ।

বিষয়: বিবিধ

১৯৪৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

374377
১১ জুলাই ২০১৬ বিকাল ০৪:০০
হতভাগা লিখেছেন : এটা ৫০-৬০ বছর আগের ঘটনা হলে না হয় গেলা যেত। গত দেড় দশক ধরে ব্যাপারটা রিভার্স হয়ে গেছে ।
১১ জুলাই ২০১৬ বিকাল ০৪:০৯
310590
সত্যলিখন লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। হতভাগীর ব্লগবাড়িতে হতভাগা আসার জন্য ঈদ মোবারক ।
১১ জুলাই ২০১৬ বিকাল ০৪:৫১
310592
হতভাগা লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আস্‌সালাম ওয়ারা'হমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ।

আন্টি মনে হয় আমাকে ব্লকড করে রেখেছিলেন । আন-ব্লকড তথা Unleashed করলেন যে - কাহিনীটা কি ?
১১ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:১৩
310596
সত্যলিখন লিখেছেন : কাহিনী সংক্ষেপে বললে যা দাঁড়ায় তা হলো আপা থেকে আন্টি হয়েছি । মান উন্নয়ন চেয়েছি ।আলহামদুলিল্লাহ পেয়েছি। ভাল থেকো বাছাধন।
374381
১১ জুলাই ২০১৬ বিকাল ০৪:২৯
তট রেখা লিখেছেন : বিয়ের বাজারে ছেলে ধার্মিক কিনা এই প্রশ্নটা করাই যেন হাস্যস্কর ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। আশ্চর্য্যের বিষয় মূখ্য প্রশ্নটিই আজ গৌণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১১ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:১৫
310597
সত্যলিখন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ ।মেয়ে হয়নি ।আল্লাহ মাফ করুন।
374382
১১ জুলাই ২০১৬ বিকাল ০৪:৩০
নেহায়েৎ লিখেছেন : ঘটনা পুরা বুঝতে পারি নাই!
১১ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:১৭
310598
সত্যলিখন লিখেছেন : হেড অফিসে ডিস্টার্ব।তাই যা বুঝেছি তা তুলে ধরতে পারি নাই ।ক্ষমাপার্থী।
374424
১১ জুলাই ২০১৬ রাত ১১:৩৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সমস্যাটি কিন্তু এখন উলটা। ছেলেরাও এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হচ্ছে।
374442
১২ জুলাই ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
আবু নাইম লিখেছেন : আমার পরিচিত একলোক দ্বিতীয় বিয়ে করে প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতন করত.তো একদিন দরজা বন্ধ করে প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতন করছিল.রুমের ভিতর থেকে মায়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছেলে দরজা ভেঙ্গে বাবাকে আচ্ছামত ধোলাই দিল.ধোলাই খেয়ে বাব এখন লম্বা জামা, লম্বা দাড়ী ও বিশাল পাগড়ীতে এখন মস্তবড় হুজুর.দ্বিতীয় স্ত্রীর আর কোন খোজ নাই.
374443
১২ জুলাই ২০১৬ দুপুর ১২:১২
আবু নাইম লিখেছেন : আপারা তুঁষের আগুনে চাপা ব্যাথা তো অনেকে নিজে কামাই করে নিয়েছেন. বিবাহের সময় বর বাবাজির ক্লিন সেভড. ভাল বেতনের চাকুরী. বড় ঘরের দেখে বিয়ে বসলে তো. অনেকটা এরকম হয়. দ্বীনি ছেলে যদি গরীব হয় তাকে কেও সাথী করতে চায় না.আমি নিজে সাক্ষী সদ্য ছাত্র জীবন শেষ করা এক ভাইয়ের ভায়োডাটা নিয়ে কত দৌড়ঝাপ করলাম.দ্বীনি একটা বোন যোগাড়ের জন্য.তখনকার সেই কম বেতনের ভাইটিকে কেউ সাথী বানাতে রাজী হল না.বর্তমানে ভাইটি অনেক সম্পদের মালীক.আর সঙ্গীনিও আল-হামদুলিল্লাহ বাতীল পরিবার থেকে আসলেও অল্প কয় দিনে ভাল মুসলিমা হয়ে গেছেন.
374643
১৪ জুলাই ২০১৬ রাত ১০:৫৬
বিন হারুন লিখেছেন : এক কথায় অপূর্ব, খুব ভাল লাগল

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File