পুতুলের স্বামী সালামের জবাব দিল জুতা নিক্ষেপ আর চড়থাপ্পড়ে

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৬ জুন, ২০১৬, ০৯:৩৩:৫৪ রাত



পুতুলের বিয়ের পর পরই নববধুর প্রতি স্বামীর অনিহা দেখে পুতুলের বুঝতে বাকি নেই কেমন স্বামী পেয়েছে।তাও স্বামীকে পুতুল পুতুল ভালবাসা দিয়ে সেই গার্লফ্রেন্ড ছুটালো।বেশ ভালই চলছিল তাঁদের সংসার।পুতুল চেহারার ছোট্ট বোনটি দুই ছেলের মা হল।স্বামীও ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার হল। বাচ্ছাদের নিয়ে ব্যাস্ততা ও সংসার টিপটাপ সাজাল। কিছু প্রানীর বাকা লেজ সোজা করা যেমন কঠিন দুঃসাধ্য ব্যাপার তেমনি স্বভাবের মানুষের মনের পরিবর্তন আল্লাহ ছাড়া মানুষের পক্ষে অসম্ভব।

এই বার পুতুলের স্বামী প্রতিবেশি ভাবীর সাথে শুরু হটকা্নেকশান।পুতুলের ইঞ্জিয়ার স্বামীর সরকারী ড্রাইভার পুতুলকে সব জানাল। প্রতিবেশিনীকে জিজ্ঞাসা কেন করল ,ভাবী আপনি আমার সাহেবের অফিসে কেন গিয়েছিলেন।তাতেই পুতুল মহাভারত রামায়ন অশুদ্ধ করে ফেলেছে। পুতুলের সাথে স্বামীর সম্পর্ক প্রায় শেষ পর্যায়ে।স্বামী বেড রুমে আসে না কথা বলে না।তাতে কি পুতুল প্রানপন চেষ্টা চালাচ্ছে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার জন্য।কারন ছেলেরা বুঝতে শিখেছে ।কেন বাবা খাবার সময় আসে না টেবিলে।কেন আগের মত ঘুরতে নেয় না? পুতুল অনেক প্রশ্ন না শুনার ভ্যান করে। বাঁ তোমাদের বাবা অসুস্থ্য বলে উড়িয়ে দেয়।স্বামীর মন পাওয়ার জন্য পথমে নেকাব পরে হিজাব ছেড়ে দিল।সব ক্রয়করা যায় শুধু মন না।

একটা প্রোগ্রামে আমি গত মাসে সালামের ফজিলতের উপর আলোচনা করি। সেখানে পুতুলও ছিল। পুতুলের ভিতরের লুকানো ব্যাথা আমি ছাড়া আর কাউকে শেয়ার করে না । তখন পুতুল কে বলেছিলাম স্বামীকে সালাম দিতে ।বাচ্ছাদের কে শিখাতে তাঁদের বাবা কে সালাম দিতে ।কারন স্বামী স্ত্রীর মাঝে সালামের বিনিময় থাকলে সেই স্বামী বা সেই স্ত্রীর ভালবাসার জোয়ারে হাবুডুবু খেতে খেতে জান্নাতের বাগানে বসে রোমাঞ্চ সময় কাটানোর মত আনন্দ বুকটা ভরা থাকবে ইনশাল্লাহ।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ করবে, তখন তোমাদের স্বজনদের সালাম দেবে। এ হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র অভিবাদন’ (সূরা নূর : ৬১)।

* হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, মানুষের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্যের সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত ওই ব্যক্তি যে আগে সালাম করে। (আবু দাউদ)

* হজরত আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আগে সালাম করে, সে অহংকার থেকে মুক্ত। (বায়হাকি)

* হজরত কাতাদা (রহ.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন তুমি কোনো ঘরে প্রবেশ করো, তখন ওই ঘরের বাসিন্দাদের সালাম করো। আর যখন (ঘর থেকে) বের হও, তখনো ঘরের বাসিন্দাদের সালাম করে বিদায় হও। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক)

* হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের মধ্য থেকে কেউ কোনো মজলিশে যায়, তখন যেন সালাম করে। তারপর যদি বসতে চায়, তবে বসে। এরপর যখন মজলিশ থেকে উঠে যেতে ইচ্ছা করে, তখন যেন আবার সালাম করে। কেননা প্রথম সালাম দ্বিতীয় সালাম থেকে উত্তম নয়। অর্থাৎ মুলাকাতের সময় যেমন সালাম করা সুন্নত, তেমনি বিদায়ের সময়ও সালাম করা সুন্নাত। (তিরমিজি)

* হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ছোট বড়কে সালাম করবে। পথচারী বসা ব্যক্তিকে সালাম করবে এবং কমসংখ্যক লোক অধিকসংখ্যক লোককে সালাম করবে। (বোখারি)

সালামের জবাব শুনিয়ে দেয়া ওয়াজিব। সালামের উত্তরে সালামদাতার বাক্যের চেয়ে বাড়িয়ে বলা উত্তম। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যখন তোমাদের অভিবাদন করা হয় (সালাম দেয়া হয়), তখন তোমরাও তার চেয়ে উত্তম অভিবাদন কর অথবা এরই অনুরূপ কর।’ (সূরাহ নিসা : ৮৬)।

পুতুলের স্বামী বাসার কলিং বেল টিপ দিলে বুক ভরা ভালবাসা আর মিষ্টি হাসি মুখে সব মান অভিমান ভুলে সালাম দিল ।চমকে আঁতকে উঠে জবাব না দিয়ে বলল আর যেন কখন সালাম না দেন।পরের দিন সকাল ৮টার দিকে তালিমুলে কোরআন ট্রেনিং এ এ+ পাওয়া পুতুল বোন ডাইনিং টেবিলে কোরআন পড়ছিল।না বলে স্বামী যাওয়ার সময় ডাইনিং টেবিল থেকেই সালাম দিল।সাথে সাথে পর পর দুইটা পায়ের জুতা খুলে উড়ায়ে মাথায় মারল।একটা মাথায় পড়ল আরেকটা টেবিলে পড়ল। আর এসে চড় থাপ্পড় দিয়ে ক্ষান্ত হন নাই হেন্ডসেট টা ভেঙ্গে ফেলল।পুতুল মনের ব্যাথা কে হাসি দিয়ে ঢেকে ছেলেদের সামনে এটা অভিনয় বলে বুঝতে দিল না। সেলফির গ্লাসের মত তার সংসার টা যেন ভেঙ্গে না যায় এটাই তার ভাসনা।

আজ শুধু পুতুলের চোখের জল মুছে দিতে পারিনি নিজের জলও মুছে বলেছি ।আপু তুমি সবর কর । তোমার চেয়ে করুন অবস্থ্যায় হাজার হাজার পুতুলদের নিয়ে কিছু নর পশুরা পুতুল খেলা খেলছে । তাঁদের এই খেলা সাঁঝের বেলায় সাঙ্গ হবে । তোমার অমানিশার ঘোর অন্ধকার কেটে যাবে ।ইনশাল্লাহ ভোরের রক্তিম সুর্য্য ালোয় তোমার সোনার সংসার ভরে যাবে।বিবি আছিয়া একা জান্নাতে থাকবেন না । নব্য ফেরাউনদের সংসারের সহধর্মীনিরাও উনার সাথে থাকবে ।আল্লাহ একেক জনকে একেক ভাবে পরীক্ষার নিচ্ছেন । আর আল্লাহ সব ফলের স্বাদ একই রকম করেন নাই। ভিন্ন রঙ ভিন্ন স্বাদে সব ফল গুলো । এর মাঝে আমরা সাবধান থাকব আমরা যেন মাকাল ফলে পরিনত না হই। যার উপরের রঙ রূপ ফলের কিন্তু ভিতরে কাল আর দুর্গন্ধযুক্ত। এই মুনাফেকি থেকে আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করুন।সব স্ত্রীকে তার স্বামীর নয়ন জুড়ান হৃদয় শীতল কারী বানিয়ে দিক।

বিষয়: বিবিধ

৮২৫০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373224
২৬ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৫৭
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পৃথিবীতে ভালো মন্দ দুরকম মানুষই আছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেশের মেয়েরা অসহায় আর এটার সুযোগ নেয় অনেকে। তারপরও বলব পুতুল যা করছে তার প্রতিদান আল্লাহর কাছে রয়েছে। আমিও অত্যাচার সহ্য করে বিজয়ী হওয়া নারী দেখেছি আমাদের এলাকায়।

উক্ত স্বামী এখন হয়ত চাচ্ছে অপমান সহ্য না করে তার বৌ চলে যাক,কিন্তু যখন তার প্রেমিকা এরকমই ব্যবহার করবে,তখনই হুশ হবে এবং বৌকে মূল্যায়ন করবে। আল্লাহ এই যালিম স্বামীর সুমতি দিক
২৬ জুন ২০১৬ রাত ১০:০৩
309827
সত্যলিখন লিখেছেন : পুতুলের স্বামী তাই বলছে । নিলজ্জের মত তার সংসারে না থেকে জানের মায়া থাকতে সরে যেতে ।সে বলেছে আমার ছেলেরা বড় না হওয়া পর্যন্ত আমি এখানেই থাকব । জান যাবে যাক ।আল্লাহ পুতুলদের সংসারে শান্তি এনে দিক । স্বামীর মনে রহমত দান করুন ।
২৬ জুন ২০১৬ রাত ১০:৩৭
309829
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওই নারীর আত্মীয়দের উচিৎ লোকটার চামড়া তুলে ফেলা।
373228
২৭ জুন ২০১৬ রাত ১২:২৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এভাবে কষ্ট করে কি আসলেই আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে? যদি আল্লাহর চেয়ে স্বামিকে খুশি করার জন্য পর্দা বিসর্জন দিতে হয়।
373254
২৭ জুন ২০১৬ সকাল ০৬:০১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : কারন স্বামী স্ত্রীর মাঝে সালামের বিনিময় থাকলে সেই স্বামী বা সেই স্ত্রীর ভালবাসার জোয়ারে হাবুডুবু খেতে খেতে জান্নাতের বাগানে বসে রোমাঞ্চ সময় কাটানোর মত আনন্দ বুকটা ভরা থাকবে ইনশাল্লাহ ভালো লাগলো ধন্যবাদجزاك الله خيرا وشكرا لك
373375
২৮ জুন ২০১৬ সকাল ১১:১২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : স্বামীর জন্য ফরয বিধান পর্দাকে বিসর্জন দিতে হয়!পুতুল এর কালবিলম্ব না করে আইনী আশ্রয় নেয়া উচিত। স্বামী বাবুর যখন চাকুরী নিয়ে টানাটানি শুরু হবে তখনই তার(স্বামীর) টনক নড়বে।
374378
১১ জুলাই ২০১৬ বিকাল ০৪:১৭
হতভাগা লিখেছেন : এটাও ৫-০-৬০ বছর আগের ঘটনা ।

এখনকার মেয়েরা পান থেকে চুন খসলেই ধাম করে ডিভোর্স দিয়ে বসে । > ৭০% ডিভোর্স আসে মেয়েদের পক্ষ থেকে । কারণ ঘরের বাইরে চাকুরি করার সুবাদে সে এখন স্বাবলম্বী । আর আইনও তার ফেভারেই কথা বলে।

স্বামী ঘর থেকে বের হবার সময় দরজায় কড়কড়া শব্দ হল কেন - এই অভিযোগেও ডিভোর্স হয়ে যায় ।

ডিভোর্স হলে পুতুলের বহুমুখী সুবিধা হবে - স্বামীর কাছ থেকে তো বেশ কিছু নিয়ে আসবেই সাথে সন্তানদের খরচও স্বামীকেই করতে হবে । সেই খরচের টাকাও তার হাতেই দিতে হবে । সাথে স্বামীর পরিবারকেও ১৪ শিকে ঢোকানো হবে।

আগের আমলের মেয়েরা আসলেই কত বোকা ছিল - তাই না । এখনকার মেয়েরা অনেক স্মার্ট , আপটুডেট এবং ডেম কেয়ার ভাব ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File