পুত্র সন্তানের প্রতি বাবার উপদেশমালা

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৪ জুন, ২০১৬, ০৭:৪৪:৩৮ সকাল

পুত্র সন্তানের প্রতি বাবার উপদেশমালার সারকথাঃ



লুকমান ছিলেন আল্লাহ প্রদত্ত সুক্ষ্মজ্ঞানের অধিকারী তাওহীদের প্রচারক আল্লাহর একজন নেক বান্দাহ।তিনি তার পুত্রকে যেসব উপদেশ দিয়েছিলেন ,তা আল্লাহ সুরা লোকমানে ১২-১৯ নং আয়াতে উল্ল্যেখ করেছেন।কারন প্রতিটি মানুষের এই কথা গুলো জানা খুব প্রয়োজন।

সুরা লোকমানে ১২-১৯ নং আয়াতের শিক্ষা

সন্তানের প্রতি বাবার উপদেশমালার সারকথাঃ

১।তাওহীদের ঘোষণা- আল্লাহর সাথে তাঁর সার্বভৌম সত্তার ও গুনাবলীতে অন্য কোন কিছু কে বাঁ কাউকে শরীক করা যাবে না।শিরক করা সবচেয়ে বড় জুলুম।তাওবা করা ছাড়া এর কোন ক্ষমা নেই।

২।য়াল্লাহর নির্দেশ পালনের সাথে সাথে অরেকটি অনিবার্য ফরজ তা হল , পিতা মাতার সাথে সদাচারন করা।প্রাপ্যতার দিক থেকে পিতার চেয়ে মাতার অগ্রাধিকার বেশি।কারন গর্ভে ধারন থেকে দুধ ছাড়ানো পর্যন্ত অবর্নীয় দুঃখ কষ্ট মাতাই বেশি ্ত্যাগ স্বীকার করে থাকেন।

৩।আল্লাহর প্রতি শোকরগুজারী ও মাতা পিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ থাকতে হবে।এটা আল্লাহর ফরজ।এই ফরজ কে কত টুকু আন্তরিকার সাথে পালন করছেন তাঁর হিসাব আল্লাহ অবশ্যই নিবেন।কারন আমাদের শেষ আল্লাহর কাছেই হাজির হতে হবে।

৪।মাতা পিতা যদি আল্লাহর সাথে শরীক করার ব্যাপারে আদেশ দেন তা হলে তা সেই আদেশ পালন করা যাবে না।তবে মাতাপিতা মুশরিক হলেও তাঁদের সাথে উত্তম ব্যবহার করে তাঁদের সাথে বসবাস করতে হবে।কিন্তু আনুগত্য করতে হবে রাসুল সাঃ এর শিক্ষায় আদর্শবান আলোকিত ব্যক্তিদের। বাঁ আল্লাহর নেক্কার বান্দাদের ।

৫।সকল মানুষের কাজ কর্মের হিসাব আল্লাহর নিকট আছেন।মৃতুর পরে সবাইকে আল্লাহর সামনে হাজির হতে হবে।তখন সবার কাজের হিসাব আল্লাহর কাছে পেশ করতে হবে ।

৬।সরিষার দানার চেয়েও সুক্ষ্ম কোন বস্তু হলেও তা পাথরের মধ্যে বাঁ আসমান জমীনের যে কোন স্থানে গোপনে লুকিয়ে রাখলে আল্লাহ তা উপযুক্ত সময়ে বের করে আনবেন।মানুষের ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র পাপ বাঁ নেক কর্ম আল্লাহর অগোচরে নেই।শেষ বিচারের দিন সব মানুষের সামনে আনা হবে।

৭।নামাজ কায়েমে সদা সচেতন থাকতে হবে।সৎকাজের আদেশ ও মন্দকাজে বাঁধা দেওয়া আন্দোলনে সদা সক্রিয় ভুমিকা রাখতে হবে।এই সংগ্রামী কাজে বিপদ মুসিবত আসা অনিবার্য্য।তাই এমতাবস্থ্যায় সবর ও দৃঢ় ঈমানী মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

৮।এই পথের লোকেরা অহংকার করে মানুষের সাথে কথা বলা /উত্তম আচরন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না।তা হলে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেদের উদ্দেশ্য ফলদায়ক হবে না।

৯।আমাদের চাল চলন আচার আচরনে গর্বিত পদচারন থেকে বিরত থাকতে হবে।সকল ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থ্যা অবলম্বন করতে হবে।আল্লাহ দাম্ভিক অহংকারীকে ভালবাসে না।

১০।অতি উচ্চস্বরে ও অতি মধ্যম স্বরে কথা বলা মুমিনের উচিত নয়।কথা বলার সময় স্পষ্ট ও মধ্যম আওয়াজে কথা বলা মুমিনের বৈশিষ্ট।কারন কর্কশ ও উচ্চস্বরে অপছন্দনীয় আওয়াজ দেওয়া গাধার স্বভাব।

আল্লাহ আমাদের এই কোরানের মাসে কোরানের জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে হেদায়াত ,তাকওয়া , সৎচরিত্র ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা দান করুন। আমিন।

বিষয়: বিবিধ

২১২৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373001
২৪ জুন ২০১৬ সকাল ০৯:১১
নাবিক লিখেছেন : ভালো লাগলো খুব, অনেক ধন্যবাদ।। Rose
373009
২৪ জুন ২০১৬ সকাল ১০:২৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ
373025
২৪ জুন ২০১৬ বিকাল ০৪:৪৩
373045
২৪ জুন ২০১৬ রাত ১১:১৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমিন। অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File