খাদিজারাঃ উত্তরসূরী মিনারাও ডাঃ জাকিয়াকে বুকে জড়ায়ে সিক্তহল দু'নয়ন
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৮ জুন, ২০১৬, ১২:৪৮:৩০ রাত
অসুস্থ্যতা দেহে গুন পোকার মত বাসা বাধলেও মনে আলহামদুলিল্লাহ বাসা বাধতে যেন না পারে তাই সব কিছু তে হাসি খুশি থেকে অংশ গ্রহন করি। কিছু সময় চলে যায় । কিন্তু রেখে যায় খরস্রোতা প্রবাহমান দুঃখের ভাঙ্গন। যা দেখে শিক্ষা নেওয়া যায়।তবে স্বচ্ছ কাচের বাসনের মত হৃদয়টা খান খান হয়ে ভেঙ্গে কিছু প্রতিবিম্ব রেখে যায়।
আজকের ইফতার মাহফিল ছিল নতুন এপার্ট্মেন্ট কিনার দোয়ার মাহফিল ।আমার কাছে লাগল কেউ হল রাজারানী আর কেউ হল পথের ভিখারী আজকে ।
খাদিজা রাঃ উত্তরসূরী মিনারা আপা ঃ
একই এপার্ট্মেন্টে দুই দ্বীনি বোন আমার বুকের গভীরের কলিজা ও হৃদয় নামের দুইটি অংশ।একজন মালিক অন্যজন ভাড়াটিয়া।তাতে কি য়ামাদের সম্পর্ক ছিল একই দেহের অভিন্ন অংশের মত। প্রতিবেশি সামাজিক ইসলামিক সব কিছু একই প্রানের মত সাড়া দিতাম তিনজন।
গত বছর রমজানেও মিনারা আপা স্বামী সন্তান নিয়ে সেই রকম ঝাকঝমক ভাবে ইফতার সেহরী ঈদ কাটালেন।প্রলয়ংকারী ঘাতক মরনব্যাথি ক্যান্সার এর তান্ডবে অল্প কয় মাসের মধ্যে মিনা্রা আপা রাজা হারালেন এবং রাজার পিছনে ঋন করে ব্যয় করা এক কোটি বিশ লাখ টাকার ঋন শোধ করার জন্য রাজত্ব বিক্রয় করে দিলেন। অন্য কাউকে কিনতে না দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে কিনালাম আমার বাকি ভাড়াটিয়া দ্বীনি বোনকে। ক্ষনিক সময়ের মধ্যে নীচ তলার ভাড়াটিয়া বোন মালিক হয়ে উঠলেন আট তলায় আর আট তলার মালিক আসলেন নীচ তলায় ভাড়াটিয়া হয়ে।
আমার বুকে একদিকে আনন্দের সানাই আরেক দিকে কান্নার বিউগলের করুন সুর বেজেই চলছে।মিনারা আপা সবরের পিরামিড।সব ব্যাথা বেদনা মধুর মত গিলে ফেলছে আল্লাহ সন্তুষ্টি জন্য। হাসি মুখে মেনে নিচ্ছেন সব অধঃপতন। নদীর স্রোতের ভাসমান ফেনার মত কোথায় কোন দুঃখের মহাসাগরে পড়ছে তা আল্লাহ ভাল যানেন। শান্তনা দতে গিয়ে নিজের অশান্ত হয়ে পড়ি কিনা ভয়ে থাকি।মিনারা আপা বলেন, খাদিজা রাঃ ধন্যাট্য স্ত্রী হয়েও বয়কট জীবনে রাসুল সাঃ সাথে না খেয়ে ছিলেন আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য। আমি রাজা রাজত্ব হারিয়েছি তাতে কি ?আমি যেন তাকওয়া না হারাই সেই দোয়া করবেন।আল্লাহ সাহায্য কর।
আমরা এই মাকসার জালের মত ক্ষন স্থায়ী জীবনের মোহে কেন আজ ছুটে মরে যাচ্ছি। যেই সম্পদ দেয় আল্লাহ আবার নেয়ও আল্লায়। তার আরো চাই আরো চাই । মরন আখিরাত ভুলে যাই । তা কি ঠিক ?
খাদিজা রাঃ উত্তরসূরী ডাঃ জাকিয়াকে বুকে জড়ায়ে সিক্তহল দু'নয়ন
ইসলামী আন্দোলনের বীর মুজাহিদ ডক্টর শফিকুল ইসলাম মাসুদ ভাইয়ের সুখে দুঃখের প্রতিফলন জীবন ্সঙ্গীনি ডাঃ জাকিয়াকে দেখে বুকে জড়ায়ে সিক্তহল দু'নয়ন। এই কচি বোন টা ইফতারে আমার পাশেই বসল । একবার বাবার দায়িত্বে আবার মায়ের পরম স্নেহে দুই টা সন্তানের দায়িত্ব কিভাবে হাসি মুখে পালন করেই গেল শেষ পর্যন্ত। আমার দৃষ্টি আমি আমার প্রান প্রিয় বোন বর্তমান সময়ের নব্য খাদিজা রাঃ উত্তরসুরী জাকিয়া ও তার ছেলে মেয়েদের থেকে সরাতে পারলাম না। ইফতারী তিন ডুক পানি ছাড়া আর কিছুই ভিতরে ডুকল না।আল্লাহ আমার ঈমানের জযবা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনের অগ্নিপরীক্ষা দেওয়া আপুমনি টাকে আমার পাশে এনে বসাল ।
জাকিয়া আমাকে বলেন, আপা বাচ্ছাদের বাবার পরিবারের লোকেরা অনেক ভাল তাই আমার কষ্ট কম হন। তখন আমি ভাবলাম , এই তরুনী বোনটার স্বামী ও তার পরিবারের জন্য কত ভালবাসা ও কত ত্যাগ করবানী জান মালের করার পর সবাই আজ তার জন্য এমন ভালবাসা দিচ্ছে। তখন বললাম আপুমনি , আলহামদুলিল্লাহ তুমি ভাল তাই সবাই ভাল ।আল্লাহ তোমার এই ঈমানী এলেমী আমোলী যোগ্যতা আরো বাড়িয়ে দিক। ঈমানী পরীক্ষা সহজ করে দিক। ছোট মেয়ে মা বলেও নাই মাসাল্লাহ আমাদের সাথে পুরা নামাজ পড়ল ।বাবার জন্য অনেক দোয়া চাঈলো। হে প্রভু তুমি এই পবিত্র কচি হাতের মুনাজাত অন্তরের ডাক কবুল করে নাও। স্বামী ছাড়া একদিনে হাজার যুগ মনে হয় ।আর এই বোনটার কেমন লাগছে তুমি অন্তরযামী হয়ে সবই জানো
খাদিজা রাঃ ইসলামের জন্য রাসুল সাঃএর হরা গুহায় খাবার নিয়ে গিয়েছেন।আর আমার কলিজার টুকরা বোনটা নেয় সেই খাবার জালিমের কারাগারে। খাদিজা রাঃ প্রতিদিন স্বামীকে দেখে এসেছেন।আমার বোন টা তো তাও পারে না। একটু খানি স্বামীর চেহারা আর শরীলের ঘ্রান পেতে এক একটা মুহুর্ত কত যুগ হয়ে পার করছে। ভালবাসার পরশ পাথর স্বামীর একটু খানি ছোয়ার প্রশান্তি তৃপ্তি নিয়ে সন্তানদের বুকে করে শুধু দেহ টা নিয়ে ফিরে আসে নীড়ে । জান টা থেকে যায় প্রানের চেয়েও প্রিয় কারাগারের শিকলে আবদ্ধ স্বামীর ডান্ডাভেড়ি পরা হৃদয়ের মাঝে।
জাকিয়া বোন আম দুঃখিত আমার দু'নয়ন শিশির কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে বার বার। আল্লাহ তোমার জন্য এই অমানিশার আধার সরায়ে ভোরের সোনালী সুর্য্য খুব দ্রুত উদিত করবেন ।ইনশাল্লাহ। তোমরা আমাদের প্রেরনার আ্কলোবর্তিকা । তাই ভাইকে আমার সালাম দিয়ে আমাদের অলসতা অক্ষমতা অপারগতা সব কিছুর জন্য ক্ষমা চাইবে। কারন ইসলামের জন্য উনাদের ত্যাগের কাছে আমরা অনেকেই আজ ভাসমান পোকা । আল্লাহ তোমাকে নুরের আলো ও আল্লাহর রহমতের চাদরে ডেকে রাখুন ।কাফেরের মুকাবিলায় তোমাদের সাহায্য করুন ।আমিন। ইয়া রাহমানুর রাহিম কারাগারের সব ভাই বোন দের তোমার হেফাজতে রাখুন। জালিমের কারাগার থেকে মুক্ত করে দিন।আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৯২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার মত অগ্রজেরা তাদের জন্য ছাতি হয়ে থাকুন- আল্লাহর আরশ থেকে তাদের জন্য রহমত ও সবরের বর্ষণ অব্যাহত রাখতে আপনাদের দোয়া ও নেকনজর মা'বুদ কবুল করুন, আমীন!
আপনার মত অগ্রজেরা তাদের জন্য ছাতি হয়ে থাকুন- আল্লাহর আরশ থেকে তাদের জন্য রহমত ও সবরের বর্ষণ অব্যাহত রাখতে আপনাদের দোয়া ও নেকনজর মা'বুদ কবুল করুন, আমীন!
কিছু মনে করবেন না। অনেক বানান ভুলের মাঝে এই ভুলটা খুবই মারাত্মক বলে সংশোধনের উদ্দেশ্যে উল্লেখ করছি। আজকাল হিন্দীর আদলে বাংলাকে পেশ করার চেষ্টার কারণে এই ভুলটা খুবই পরিলক্ষিত হচ্ছে।
"দোয়া চাওয়া" এবং "দোয়া করা" এই দুইয়ের মাঝে রয়েছে আকাশ পাতাল পার্থক্য। হিন্দীতে দোয়া মাঙ্গা'র বাংলা তর্জমা হলো দোয়া চাওয়া।
দোয়া মানুষ মানুষের কাছে চায়, যাতে করে সেই মানুষ আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করে। কিন্তু কেউ যদি আল্লাহর কাছে "দোয়া চাই" বলে তাহলে তার অর্থ হয়, তিনি যেন আমার জন্য কারো কাছে দোয়া করেন। (নাউজুবিল্লাহ) আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়, যাতে করে তিনি তা পূরণ করেন।
আপনি লিখেছেন, "বাবার জন্য অনেক দোয়া চাঈলো। হে প্রভু তুমি এই পবিত্র কচি হাতের মুনাজাত অন্তরের ডাক কবুল করে নাও।" এখান থেকে বুঝা যায় সে বাবার জন্য কচি হাতে দোয়া করেছে। কার কাছে? আল্লহার কাছে। আপনাদের কাছে দোয়া চাওয়ার কথা এখানে মিন করে না। তাই কথাটা "দোয়া চাওয়া" নয়, "দোয়া করা"।
কিছু মনে করবেন না। শুধু আপনার জন্য নয়, যাদেরকেই দেখবেন এমনটি বলছেন, তাদেরকে সতর্ক করে দেবেন প্লিজ। কারণ এটি একটি মারাত্মক ভুল, যা শিরকের পর্যায়ের কথা হয়ে যায়।
ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন