মুসলমানের বিয়েতে অজান্তেই নাজায়েজ কাজ করে

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১০:৪৬:৫৮ সকাল

মহান আল্লাহ তা’য়ালা মুসলমানদের উপর বিয়ের বিষয়ে কড়া নির্দেষনা দিয়েছেন। তাই প্রতিটি মুসলমানের কাছেই বিয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।



অন্যদিকে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে বাক্তি বিয়ে করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিয়ে করে না সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। (দারিমী-কিতাবুন নিকাহ)।

মহানবী (সা.) এর এই বাণী থেকেই বোঝা যায় বিয়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তবে বর্তমান যুগে মুসলমানদের বিয়েতে এখনও অন্তত ৭টি ইসলাম বিরোধী প্রথা চালু রয়েছে।

যা খুব দ্রুতই প্রতিটি মুসলমানদের নিচে উল্লেখিত এই ৭টি না জায়েজ কাজ ত্যাগ করা উচিত। প্রচলিত কু-প্রথাগুলো হলো-

১। চন্দ্র বর্ষের কোন মাসে বা কোন দিনে অথবা বর/কনের জন্ম তারিখে বা তাদের পূর্ব পুরুষের মৃত্যুর তারিখে বিয়ে-শাদী হওয়া অথবা যেকোনো শুভ সৎ কাজ করার জন্য ইসলামী শারী’য়াতে বা ইসলামী দিন তারিখের কোন বিধি নিষেধ নেয়। বরং উপরিউক্ত কাজগুলো বিশেষ কোন মাসে বা যে কোন দিনে করা যাবে না মনে করাই গুনাহ।

২। বিয়ে উৎসবে অথবা অন্য যেকোনো উৎসবে পটকা-আতশবাজি ফুটান, অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা, রংবাজী করা বা রঙ দেয়ার ছড়াছড়ি ইসলামের দৃষ্টিতে অবৈধ ও অপচয়। আল্লাহু-তা’য়ালা বলেনঃ إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ ۖ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا “নিশ্চয় অপচয়কারী শয়তানের ভাই। আর শয়তান হচ্ছে তার প্রভুর প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ।” (বানী ইসরাঈল-২৭)

৩। বাঁশের কুলায় চন্দন, মেহদি, হলুদ, কিছু ধান-দুর্বা ঘাস কিছু কলা, সিঁদুর ও মাটির চাটি নেয়া হয়। মাটির চাটিতে তেল নিয়ে আগুন জ্বালানো হয়। স্ত্রী ও বরের কপালে তিনবার হলুদ লাগায় এমনকি মূর্তিপূজার ন্যায় কুলাতে রাখা আগুন জ্বালানো চাটি বর-কনের মুখের সামনে ধরা হয় ও আগুনের ধোঁয়া ও কুলা হেলিয়ে-দুলিয়ে বাতাস দেয়া হয়। এসব হিন্দুয়ানী প্রথা ও অনৈসলামিক কাজ।

৪। বরের আত্মীয়রা কনেকে কোলে তুলে বাসর ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া অথবা বরের কোলে করে মুরুব্বীদের সামনে স্ত্রীর বাসরঘরে গমনের নীতি একটি বেহায়াপনা, নিরলজ্জতা ও অনৈসলামিক কাজ।

৫। বরের ভাবী ও অন্য যুবতী মেয়েরা বরকে সমস্ত শরীরে হলুদ মাখিয়ে গোসল করিয়ে দেয়া নির্লজ্জ কাজ, যা ইসলাম সমর্থন করে না। পাশাপাশি বর ও কনেকে হলুদ বা গোসল করতে নিয়ে যাওয়ার সময় মাথার ওপর বড় চাদর এর চার কোনা চার জনের ধরা হিন্দুয়ানী প্রথা।

৬। বর ও কনের মুরুব্বীদের কদমবুসি করা একটি মারাত্মক কু-প্রথা। বিয়ে তো নয় এমনকি যেকোনো সময় পায়ে হাত দিয়ে সালাম করা রাসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার সাহাবীদের (রাযি আল্লাহু আনহুম) দ্বারা কোন কালে প্রমাণিত নয়। কদমবুচি করার সময় সালাতের রুকু-সিজদার মত অবস্থা হয়। বেশি সম্মান প্রদর্শন করতে গিয়ে হিন্দুয়ানী প্রনামকে প্রথা হিসেবে নিয়ে আসা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য নয়।

৭। তাছাড়া বিয়ে করতে যাওয়ার সময় বরকে পিঁড়িতে বসিয়ে বা সিল-পাটাই দাঁড় করিয়ে দই-ভাত খাওয়ান ইসলামিক প্রথা নয়। পাশাপাশি বিযের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বরকে দাঁড় করিয়ে সালাম দেয়ানোর প্রথা রাসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার সাহাবীদের (রাযি আল্লাহু আনহুম) দ্বারা প্রমাণিত নয়।

পরিশেষে বলতে হয়, মুসলমানরা যদি ভয়ঙ্কর এই ৭টি নাজায়েজ কাজ পরিত্যাগ না করে, তাহলে কাল কিয়ামতের ময়দানে তাদের কঠিন শাস্তির মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। তাই দ্রুতই যেন আমরা সবাই সকল নাজায়েজ কাজ ত্যাগ করে দীনের পথে ফিরে আসি।(সংগৃহীত)



বিষয়: বিবিধ

২১৪২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

360653
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:৫০
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু ।
360679
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০৩:১৮
নেহায়েৎ লিখেছেন : সম্ভবত এই প্রথাগুলো হিন্দুদের থেকে আমদানী করা। আল্লাহ ভাল জানেন।
360693
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:১৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই প্রথাগুলির প্রতিবাদ করতে গেলে বেয়াদব বলে অভিহিত করা হয়। উল্টা বলা হয় যে ইসলাম উনারা আমাদের চেয়ে কম বুঝেন না। অন্য প্রথাগুলির চেয়ে পা ছোঁয়া নিয়েই এখন বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে।
360722
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩১
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : হ্যাঁ, এই গুলো নিঃসন্দেহে কুসংস্কার! এই গুলো পরিত্যাগ করা দরকার। তবে বাংলার তরুণদের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টির উদ্যাম্য নেই৷ লাড়াই করে বেঁচে থাকবার স্পৃহা যেন হারিয়ে গেছে।

নতুন কোন ভালো সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা নেই বললেই চলে। বিয়ে অনুষ্ঠান গুলোতে ভিন্ন ধর্মের সংস্কৃতি প্রবেশ করিয়ে নিজের ধর্মীয় সংস্কৃতিকে হত্যা করে চলছেই!!!

চিন্তা তৈরি হবে কি??
360940
০১ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০০
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, আপনি তো মাত্র ৭টার কথা উল্লেখ করেছেন, আমাদের চট্টগ্রামের বিয়ে গুলো দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন..... এখানে আপনি ঘুনেও শেষ করতে পারবেন না।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখাটির জন্য।
360954
০১ মার্চ ২০১৬ রাত ০৮:২২
রাশেদ বিন জাফর লিখেছেন : ভালো লাগলো
367442
২৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৪:০৩
awlad লিখেছেন : কুব ডোরকারি বিসোয়। ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File