মা' দের যে উপদেশগুলো মেয়েকে বিবাহের আগে/পরে দেওয়া উচিত !
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:১৭:৩৫ দুপুর
বিবাহযোগ্য মেয়েকে মা ডেকে যদি বলেন মা তুমি কয়েকটা জিনিস স্বামীর ঘরে যাওয়ার পূর্বে জেনে নাও ও শিখে নাও,তাতে উভয়েই সুখী ও আল্লাহ ভীতি অর্জন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ,, আর সংসার হবে শান্তিময় জান্নাত।
:
প্রথম ও দ্বিতীয়ঃ স্বামীর আমানত বর্জায় রেখো ও স্বামীর হককে যথাযথভাবে আদায় করবে,কেননা আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ)এর পর স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অধিকার সবচেয়ে বেশি,
:
তৃতীয়ঃ খবরদার!! স্বামী অসচ্ছল দরিদ্র বা কুৎসিত হলে তাকে তুচ্ছতাচ্ছল্য করোনা,বরং যেমন পেয়েছো যাই পেয়েছো তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে।
:
চতুর্থঃ ভালবাসার ক্ষেত্রে খুব বেশি নিরবতা পালন করোনা,কারন ছেলেরা স্ত্রীর কাছে প্রকাশ্য ভালবাসা কামনা করে থাকে তার জন্য সর্বদা ব্যাকুল থাকবে যতক্ষণ
না সে ঘরে ফিরে আসে।
:
৫মঃ আর হ্যা স্বামী তার স্ত্রীকে সব সময় পরিপাটী দেখতে ভালোবাসে, তাই সে বাহির বা কোনো সফর থেকে আসার পূর্বে সুন্দর করে সেজে গুজে নিজেকে পরিপাটি
করে নিবে,এবং যাবতীয় কাজ কর্ম শেষ করে তার জন্য অপেক্ষারত থাকবে।
:
ষষ্ঠঃ মা,স্বামীকে যথাযোগ্য সম্মান করবে,ঝাঝালো স্বরে তাঁদের সাথে কথা বলোনা,
বরং কোমলতা প্রদর্শন করো,কারন স্বামীরা কখনো অসম্মান ও শক্ত আচরণ পছন্দ করেনা।
:
সপ্তমঃ আরেকটা কথা আমরা মেয়েরা বড়ই অকৃজ্ঞ!! তোমরা স্বামীর প্রতিটা কাজকে শুকরিয়া করে থাক,! যেমন,কোনো সময় তাঁর আনীত কোনো দ্রব্যাদি পছন্দ না হলে এরূপ বলবেনা যে, কোনোদিন তুমি একটা পছন্দসই জিনিস দিলেনা,, একদিনেই সব ভুলে যাও তোমরা, এগুলো থেকে বিরত থেক।
:
অষ্টমঃ স্বামীর ধন সম্পদ, টাকা পয়সা সবসময় হেফাজতে রাখবে,না
বলে কাউকে কিছু দিবেনা,এমনকি তোমার বাবা-মােকও না।
:
নবমঃ আর শুনো! তাঁর রুচির দিকে খেয়াল রাখবে,মাঝে মাঝে পছন্দমাফিক খাবার রান্না করে খাওয়াবে এতে করে খুশিও হবে এবং তোমার প্রশংসাও করবে।
:
দশমঃ মাঝে মাঝে অভিমান করবে কিছু গিফট পেতে যেমন,ফুল,বই,,,, ,,কিংবা কিছু খেতে বায়না করবে যেমন,আইসক্রীম,ফুচকা, চটপটি,, কারন এতে তোমার ছেেল মানুষি প্রকাশ পাবে যা তাদের কাছে খুবই প্রিয়,,,,তবে সব সময় নয় মন মেজাজ
বুঝে করবে।
:
একাদশঃ সাবধান! স্বামীকে তার মা,বাবা,কিংবা তার পরিবার পরিজন থেকে আলাদা করার চেষ্টা করোনা,এতে স্বামী কষ্ট পাবে এবং তোমার প্রতি তার ধারনা পাল্টে যাবে,,,বরং তাঁর পরিবারসহ তাঁকে নিয়ে সুখী করে তুলবে সংসারকে,এবং যথাসাধ্য শশুর শাশুড়ির সেবা যতনো করবে।
: দ্বাদশ ঃ বেশি বেশি আল্লাহ শিখা নো এই দোয়া পড়বে ,“হে আমাদের রব! আমাদের নিজেদের স্ত্রীদের ও নিজেদের সন্তানদেরকে নয়ন শীতলকারী বানাও৯২ এবং আমাদের করে দাও মুত্তাকীদের ইমাম।”
সুরা ফোরকান ৭৪ নং আয়াত
আশা করছি বিবাহ্ আসন্ন/বিবাহিত মামনি/বোনদের জন্য কিছুটা সহযোগী হবে এবং
দুনিয়াকে সুন্দর ও আমলী করার মাধ্যমে আখেরাতকে স্বাগতম জানাবে..........ইনশাআল্লাহ।
সংগৃহীত
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৬ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ আপনাকে
বউ এর কাবিনের এক টাকা ও দেয়নি ,দিবার ইচছা ও নাই ,
বাচচার লিখা পরার খরচ ও মামাকে চালাতে হয় ,,,
সে স্বামীর বিষয়ে কি আদেশ ???
শ্বশুর বাড়ি থাকেন ও তালাক দেননি - এ কারণে তাঁর শুকরিয়া আদায় ও সম্মান করতে হবে!!
শ্বশুরবাড়িতে থাকার কারণে চাকর/পাহারাদারের বেতনটা হলেও তো কাবিনের টাকা শোধ হয়ে যাওয়ার কথা!
যদি পাহারাদারের দরকার না থাকে ????
নিজ জাতির সাইড নিয়ে
ফতোয়া দেন ,,,,
না ?????
পড়লাম, দোয়া করি, জাযাকুমুল্লাহ..
ওহ দারুন একটা পয়েন্ট উঠে এেসেছে...ব্যপক খুশী হলুম
মন্তব্য করতে লগইন করুন