সবাই তো কোটিপতি হতে চায় !!
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০১:২৫:৪১ রাত
সবাই তো কোটিপতি হতে চায় কেউ হয় কেউ হয়না আবার
সবাই চায় তার রিজিক অনেক বেশি হোক ।কিন্তু হালাল পথে রিজিক বৃদ্ধির উপায় কি তা আমরা জানি না । আল্লাহ কোরানে ও রাসুল সাঃ হাদিসের মাধ্যমে আমাদের কে রিযক বৃদ্ধির জন্য কি কি করনীয় । তা জানিয়ে দিয়েছেন
রিজিক বৃদ্ধির জন্য কি কি করনীয়ঃ
কোরানে আল্লাহ বলেন ,
১। আঁটকুড়ে না হয়ে রিজিক এর সন্ধানে বের হতেঃ
সৎ ও হালাল উপায়ে হতে হবে।কারন যারা এই পন্থায় জীবিকা অর্জন করেন আল্লাহ তাদের রিজিকে বরকত বাড়িয়ে দেন।আর হালাল পথে জীবিকাইয় আপনার যদি অতৃপ্তি/বিতৃষ্ণা/বিরুক্তি লাগে তা হলে বুঝতে হবে আপনি হারাম পথের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।এই সময় স্ত্রীদের অনেক সবর ও তাকওয়াবান হয়ে স্বামীকে হালাল পথের অধিকারী করতে হবে।তাতে সামান্য কষ্ট হলে প্রশান্তি থাকে অন্তরে।
‘তিনিই তো তোমাদের জন্য যমীনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে প্রান্তরে বিচরণ কর এবং তাঁর রিযক থেকে তোমরা আহার কর। আর তাঁর নিকটই পুনরুত্থান।’ {সূরা আল-মুলক, আয়াত : ১৫}
রাসুল সাঃ বলেছেন, কাঠ কেটে বিক্রি করে খাও তাও ভিক্ষা করো না ।
২।আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুলকারী মুত্তাকিন হতে হবেঃ
আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলকারীর হালাল পথের পরিশ্রমের মাধ্যমে সিঁড়ির মত ধাপে ধাপে উন্নতি আর বরকত আসবে ।আর হারাম পথের উন্নতি লিফটের মত এক টানে উপরে তুলতে গিয়ে হঠাত বন্ধ হয়ে যাবে।সেখানেই আপনার অধপতন শুরু।আর সিঁড়ি আস্তে হলে আপনাকে উপরের দিকে স্বসন্মানে নিয়ে যাবে।সংসারে থাকে শান্তির বন্যা।ছেলে মেয়েরা হয় না অমানুষ।
‘আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিযক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।’{সূরা আত-তালাক, আয়াত : ২-৩}
৩।আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তাওবাকারী হতে হবে
‘আর বলেছি, ‘তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল’। (তাঁর কাছে ক্ষমা চাইলে) ‘তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, ‘আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী- নালা’।{সূরা নূহ, আয়াত : ১০-১২}
.
৪।নারী পুরুষের বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার পরিবর্তে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেঃ
আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’{সূরা আন-নূর, আয়াত : ৩২}
৫। নিয়মিত ক্ষমাপার্থনাকারী হতে হবেে্াঃ
আল্লাহ কাছে রিযিক বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ৪ জিনিস করা উচিত।## তাহাজ্জুত নামাজে আল্লাহর কাছে রিজিক চাওয়া।## আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া।## আল্লাহ সুরা আলে ইমরানের দেওয়া ১৩৪ নং আয়াতে বলেছেন, স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছল অবস্থ্যায় দান করা। দানে রিজিক আনে টেনে।
‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন।
[আবূ দাঊদ : ১৫২০; ইবন মাজা : ৩৮১৯; তাবরানী : ৬২৯১]
‘যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হয়, অতপর তা সে মানুষের কাছে সোপর্দ করে (অভাব দূরিকরণে মানুষের ওপর নির্ভরশীল হয়), তার অভাব মোচন করা হয় না। পক্ষান্তরে যে অভাবে পতিত হয়ে এর প্রতিকারে নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ হয় তবে অনিতবিলম্বে আল্লাহ তাকে তরিৎ বা ধীর রিজিক দেবেন।
[তিরমিযী : ২৮৯৬; মুসনাদ আহমদ : ৪২১৮]
৬।আত্নীয়ের হোক আদায়কারী হতে হবেঃ
বর্তমানে আমরা আত্নীয় স্বজনের প্রতি যত্নবান নয়।তাতে আমাদের নিজের ক্ষতিই আমরা নিজেরা টেনে আনছি।কারন আত্নীয় স্বজন এর হক আদায়ের আল্লাহ তাদের রিজিক ও আমাদের রিজিক দুইটাই দিয়ে থাকেন।ামরা মেয়েরা স্বামীর পক্ষের মেহমান দেখলে মুখ কাল করে যা তা খাওয়াই/ বা দান করি।আর বাবার বাড়ির মেহমান হলে মোরগ পৌলাউ কুরমা কাবাব আরো কি কি বাদ রয়েছে তার জন্য আফসুস করে থাকি।এটা ইসলামের নিয়ম নয়।
‘যে ব্যক্তি কামনা করে তার রিজিক প্রশস্ত করে দেওয়া হোক এবং তার আয়ু দীর্ঘ করা হোক সে যেন তার আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে।’
বুখারী : ৫৯৮৫; মুসলিম : ৪৬৩৯]
৭।আল্লাহ দেওয়া নিয়ামত যতটুকু হোক তার উপর সন্তুষ্ট থাকতে হবেঃ
ওই ব্যক্তি প্রকৃত সফল যে ইসলাম গ্রহণ করেছে আর তাকে জীবন ধারণে (অভাবও নয়; বিলাসও নয়) পর্যাপ্ত পরিমাণ রিজিক দেয়া হয়েছে এবং আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তাতে তুষ্টও করেছেন।
[মুসলিম : ২৪৭৩; তিরমিযী : ২৩৪৮; আহমদ : ৬৫৭২]
আল্লাহর রাসুল সাঃ এর শিক্ষা দুনিয়াতে কি পেলাম তা ভাবলে নিচের দিকে তাকাতে ।আমার চেয়ে আরো কষ্টের মাঝেও হাসি মুখে কারা আছেন।আমার চেয়েও কষ্ট এ থেকেও কাদের বাচ্ছারা সবরকারী হয়ে আল্লাহর নেক্কার মুত্তাকিন হয়ে মা বাবার সাথে কষ্টের শরীক হচ্ছেন।তাই আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন তাতেই আমি কোটিপতির স্ত্রী কে আলোহামদুলিল্লাহ অনেক বেশি সুখে আছি। কারন কুকুর হারাম আর সে বাচ্ছা দেয় ৬/৭ কিন্তু টিকে খুব কম।আর গরু হালাল সে বাচ্ছা দেয় একটা তাও মুসলমানরা কোরবানি ও সারা বছর তা খেয়ে অভাব দেখেনি।হালালের বরকত ও শুকরিয়ার বরকত এমনি হয়।
৮। বৈধ ও হালাল জীবিকার ইবাদাত ছাড়া কোন প্রকার ইবাদাত কবুল হয় না ঃ
"রাসুল সাঃ বলেছেন,বৈধ ও হালাল জীবিকার ইবাদাত ছাড়া কোন প্রকার ইবাদাত আল্লাহর নিকট উঠানো হয় না " বুখারী -৬৯৯৩
"রাসুল সাঃ বলেছেন ,মানুষের নিকট এমন এক যুগ আসবে ,যে যুগে সে যা উপার্জন করবে ,তাতে সে পরওয়া করবে না তা হালাল নাকি হারাম" বুখারী ২০৫৯
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই অতীব গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টা আজকের সমাজ ভূলেই গেছে যেন!
যে কোন উপায়ে ধন-সম্পদ উপার্জনে উদ্ভ্রান্তের মতই চলছে!
আল্লাহ আমাদের কে হালাল রিজিকের পিছু চলার তাওফিক দিন,আমিন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন