খুবই নেক আমলের বই- ২৪ ঘন্টার ফরজ জযবা/জিকির
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৪ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০৪:৫৭ রাত
ছোট্ট ছেলে সকালে বলল, কোচিং টিচার ছেলের মা কে দেখা করতে বলেছেন।গিয়ে কাজ শেষ করে বের হতেই অন্য ছেলে মেয়েদের নিত্যদিন বাচ্ছার জন্য বসে থাকা মাদের সালাম দিলাম।আর দেখলাম সবাই কি জানি খুব মনযোগ দিয়ে পড়ছেন আবার কেউ লিখে নিচ্ছেন ।আমি বললাম "আলহামদুলিল্লাহ আপারা সবাই জ্ঞানার্জন করে আমোল বাড়াচ্ছেন আর আল্লাহর নেক্কার গোলাম হয়ে যাচ্ছেন। আজে বাজে গলপ গীবত না করে খুব সুন্দর ভাবেই সময় কাটাচ্ছেন।"
আপারা আমার কথায় খুব খুশি হয়ে আমাকে চিপে চাপে জায়গা করে বসতে দিলেন।বাসায় রান্নার তাড়া থাকায় ইচ্ছার বিরুদ্ধেই বসলাম আর বললাম ,আপারা কি বই এর উপর আপনারা জ্ঞানার্জন করছেন? আপা বাচ্ছাদের পরীক্ষার জন্য ও আমাদের আমল বাড়ানোর জন্য খুবই নেক আমলের বই ২৪ ঘন্টার অজিফা থেকে দোয়া ও জিকির করছি।
আপারা আমলের জন্য রাসুল সাঃ ২৪ ঘন্টার ফরজ জযবা /জিকির/আমোল /জ্ঞানার্জন করার জন্য তো একটা বই আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের অনাবিল শান্তি ও কল্যানের জন্য দিয়ে গেছেন।সেটা না পড়ে যত অজিফাই আমরা আমলের জন্য.২৪ ঘন্টা সোয়া লক্ষ বার পড়ি না কেন তা আমাদের জাহান্নাম থেকে বাচাতে পারবে না।
অনেক আপা এক সাথে বলে উঠলেন আপা আমরা প্রতিদিন পাঞ্জেগানা সুরা গুলো তেলওয়াত করি ।আপা আলহামদুলিল্লাহ এটাও ভাল কাজ করেন ।কারন আপনি তাতে প্রতি অক্ষরে দশ নেকি পাচ্ছেন।জেনে বুঝে পড়লে ফরজ জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আপনি অগনিত নেকির ভাগীদার হতে পারতেন।
শিক্ষার উদ্দেশ্য ব্যাতিরেকে অর্থ ছাড়া কোরান পড়ে আপনি গুনাহগার হচ্ছেন না আমলদার হচ্ছেন তাই জানতে পারলেন না।আপনার মাঝের মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করার জন্য কোরান সুন্নাহ জেনে বুঝে আমল করে আপনার জীবন ২৪ ঘন্টা সেই অনুসারে চালালে সেই আমল আপনি ঘুমালেও চলবে। না বুঝে কোরান পড়া ও এই সব অজিফা , আমলে নাজাত , ফাজায়েলে আমল এই গুলোর মাধ্যমে শয়তান আমাদের জ্ঞানের আলো থেকে দূরে অন্ধকার ডাস্টবিনের আস্তা কুড়ে নিক্ষেপ করে ফেলে দিতে পারে। আর সেখানে আমরা ভাল মন্দ/ ন্যায় অন্যায়/ হালাল হারাম/পাপ নেক কিছুই অন্ধ বোবা কালাদের মত বুঝতে পারব না।
এই সব বই হলো ইসলামের আল্লাহর নির্দেশিত বিভিন্ন কাজ থেকে শির্ক ও বিদআত এর মাধ্যমে বিপথে নেওয়ার শয়তানের অপকৌশল আর কর্মকৌশল।
"সে (ইবলিস) বললো, “হে আমার রব! তুমি যেমন আমাকে বিপথগামী করলে ঠিক তেমনিভাবে আমি পৃথিবীতে এদের জন্য প্রলোভন সৃষ্টি করে এদের সবাইকে বিপথগামী করবো" সুরা - হিজর - ৩৯
আপনারা নিজেরাই বিবেক বুদ্ধি দিয়ে একবার ভেবে দেখেন । আপনার মাঝে দুটি স্বত্তা আল্লাহ দিয়ে রেখেছেন .
১।প্রথমটি হল- মনুষ্যত্ব/বিবেক/রুহানি শক্তি ।যা পরিচালিত হয় কোরান সুন্নাহ থেকে অর্জিত জ্ঞান ব্যক্তির জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ।
২।দ্বিতীয়টি হল- নফস/শয়তান/আগুনের তৈরী জ্বিন ইবলিস।যে আদম সন্তানের প্রকাশ্য দুশমন।যার রাগ ও অহংকারের আদম সন্তান/ মনুষ্যত্বের বিরুদ্ধে।আল্লাহর আদেশ অমান্য করে সে একা জাহান্নামের আগুনে যাবে না ।মানুষ কে আল্লাহর আদেশ নিষেধ এর সমাহার এর কোরান থেকে বিপথে নিয়ে শিরক বিদাআত মুনাফিক মুশরিক বানায়ে জাহান্নামি করেই সে ক্ষান্ত হবে ।
"এটি আল্লাহর কিতাব, এর মধ্যে কোন সন্দেহ নেই ৷ এটি হিদায়াত সেই ‘মুত্তাকী’দের জন্য" সুরা বাকারা ২
"নিসন্দেহে এটা আল্লাহর কিতাব । " এমন একটা কিতাব যাতে সন্দেহের কোন লেশ নেই । এ কুরআন মজীদ এমন একটি গ্রন্থ যা আগাগোড়া নির্ভূল সত্য জ্ঞানে সমৃদ্ধ । এর রচয়িতা হচ্ছেন এমন এক মহান সত্তা যিনি সমস্ত তত্ব ও সত্যের জ্ঞান রাখেন । কাজেই এর মধ্যে সন্দেহের কোন অবকাশই নেই । মানুষ না জেনে না মেনে নিজের অজ্ঞতা সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।এটি একেবারে একটি হিদায়াত ও পথনির্দেশনার গ্রন্থ । ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা াসবে। মন্দ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার ও ভালোকে গ্রহণ করার আকাংখা এবং এ আকাংখাকে বাস্তবায়িত করার ইচ্ছা জাগবে ।
"তারপর তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান হতে পারে ? তোমরা কি কোরানের বক্তব্য নিয়ে চিন্তা -ভাবনা করো না ?"আনয়াম -৫০
"তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা- গবেষনা করেনি, নাকি তাদের মনের ওপর তালা লাগানো আছে ?" মুহাম্মাদ -২৪
দেখুন আল্লাহ কোরানের মাধ্যমেই কোরান জানা মানা জানানোর কাজ কে আমাদের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন ।ইচ্ছাকৃত ভাবে অর্থ না জেনে কুকিলের মত সুযোগ ফেলে সুর ছাড়লাম মরা বাড়িতে জীন্দা থাকতে আর কিছুই জানলাম না জীবিত থাকতে তা হলে এই কোরান কি পরকালে আপনার জন্য সুপারিশ করবে আল্লাহর কাছে ।
আলহামদুলিল্লাহ ।উনারা সবাই অর্থ সহ কোরান কিনবেন আর অর্থ না জেনে পড়বেন না বলে স্বীকার করলেন।
আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে বললাম হে আল্লাহ আমার কোন শক্তি ক্ষমতা যোগ্যতা নেই কাউকে হেদায়াত, তাকওয়া ,সৎচরিত্রবান ও স্বয়ংসম্পন্ন করে তৈরী করার।তাই আমাদের সকল কার্যসম্পাদানকারী তুমি রহমানুর রাহিম।
বিষয়: বিবিধ
২৬৮৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন