কেন বলেন? শুভজন্ম দিন,বলেন দ্রুত প্রস্তুতি নিন।

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১০:৩৬:৩৪ রাত



গাছ পালা স্বার্থহীন ভাবে অক্সিজেন দিয়ে যাচ্ছে ।আর আমি বিগত চার দিন একটু অক্সিজেনের জন্য কি পরিমান যুদ্ধ করে আলহামদুলিল্লাহ হসপিটালে বাসায় থেকে সুঁইয়ের ছিদ্রপথের মাঝে আসা একটু অক্সিজেজেন নিয়ে শ্বাসকার্য্য চলে।আজ দিন পর আমার সেই পুরনো আইড তে ডুকে দেখি অনেক প্রিয়জনরা আমাকে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানালেন।আমি অনাদের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ জানাই যে, অনারা আমাকে আজ আমার স্থ্যায়ী আবাসে যাবার কথা স্মরন করাইয়ে দিলেন।কেন বলেন? শুভজন্ম দিন,বলেন দ্রুত প্রস্তুতি নিন।সময় খুব কম।ঘড়ির কাটাটা পাগলা ঘোড়ার ন্যায় ছুটছে।আর আমি কবরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।তাই আমি এর পর নিজেই নিজের জীবনের আমোলের হালখাতা মিলাতে শুরু করলাম।

কে আমি ?

“জমাট বাঁধা রক্তের দলা থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।“ সুরা আলাক


আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ যিনি আমাকে হাজার হাজার শুক্রানুর সাথে ক্রমাগত যুদ্ধের শক্তি দিয়ে আমাকে নিয়ে মায়ের গর্ভে স্থান পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন ।সেই থেকে যুদ্ধ করেই চলছি ।কখন জীবন বাচানোর জন্য, কখন পরিবেশের সাথে খাপ খেয়ে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য , কখন চিরশত্রু শয়তানের সাথে তাঁর ভ্রান্ত ভেড়াজাল থেকে মুক্তির জন্য আবার কখন নফসের গোলামি থেকে মুক্ত হয়ে একমাত্র প্রভুর একনিষ্ঠ দাসত্ব করে খাটি গোলাম হয়ার জন্য । তাই প্রতিদিন প্রতি নামাজে আল্লাহকে বিনিত ভাবে কায়মোন বাক্যে বলি। হে বিশ্ব জাহানের মালিক , আমাকে এমন একজন দাস বানাও যে ুধু মালিকের আনুগত্য ও হুকুম মেনে চলবে এবং উপাসনা , বন্দেগী ও দাসত্ব করবে ।

“আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদাত করি এবং একমাত্র তোমারই কাছে সাহায্য চাই” সুরা ফাতিহা।


আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত; রাসুল (সাঃ) বলেনঃ “নিশ্চয়ই ধর্ম সহজ-সরল, কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর। এবং আশান্বিত থাক। সকাল-সন্ধ্যা-রাতে ইবাদতের মাধ্যমে (আল্লাহর) সাহায্য চাও।” [বুখারী]


কোন উদ্দেশ্যে আমার জন্ম?

“জিন ও মানুষকে আমি শুধু এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার দাসত্ব করবে৷”সুরা যারিয়াত

আল্লাহ এখানে আমদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন কেন আমরা জন্ম গ্নহন করলাম ।? আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো দাসত্ব করার জন্য সৃষ্টি করেননি৷ াল্লাহর সৃষ্টির প্রতিটি অণু-পরমাণু শুধু আল্লাহর দাসত্ব করছে ।আল্লাহ পৃথিবীতে জিন ও মানুষই শুধু ইচ্ছার স্বাধীনতা দিয়েছেন । সকল কাজের কেন্দ্রবিন্ধুতে আল্লাহ থাকতে হবে।আমাদেরকে একমাত্র স্রষ্টা ছাড়া আর কারো দাসত্বের জন্য সৃষ্টি করা হয়নি ।অন্য কারো সামনে নত হওয়া, অন্য কারো নির্দেশ পালন করা , অন্য কাউকে ভয় করা, অন্য কারো রচিত দীন বা আদর্শের অনুসরণ করা অন্য কাউকে নিজের ভাগ্যের নিয়ন্তা মনে করা এবং অন্য কোন সত্তার কাছে প্রার্থনার জন্য হাত বাড়ানোর আমাদের কাজ নয় । মুসলমান মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আল্লাহর প্রতি অনুগ্রহ ও বিশ্বস্ত থাকে। সত্যের সাক্ষ্য দিয়ে আল্লাহর পথে চলে ঈমানের দাবীপুর্ণ করে আল্লাহর ভালবাসা লাভ করে দুনিয়ার ও আখিরাতের অনাবিল শান্তি অর্জন করতে হবে ।

“হে ঈমানদারগণ ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহকে ভয় করো৷ মুসলিম থাকা অবস্থায় ছাড়া যেন তোমাদের মৃত্যু না হয়৷ “ সুরা আলে ইমরান

আমার দায়িত্ব কি ?

" আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে একটি ‘মধ্যপন্থী’ উম্মাতে পরিণত করেছি, যাতে তোমরা দুনিয়াবাসীদের ওপর সাক্ষী হতে পারো এবং রসূল হতে পারেন তোমাদের ওপর সাক্ষী " বাকারা ১৪৩

আল্লাহর হিদায়াত আমাদের কাছে পৌছাবার ব্যাপারে যেমন রসূলের দায়িত্ব ছিল বড়ই সুকঠিন, এমনকি এ ব্যাপারে সামান্য ত্রুটি বা গাফলতি হলে আল্লাহর দরবারে তিনি পাকড়াও হতেন, অনুরূপভাবে এ হিদায়াতকে দুনিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে পৌছাবার ব্যাপারেও আমাদের ওপর কঠিন দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে।যদি আমরা আল্লাহর আদালতে যথার্থই এ মর্মে সাক্ষ্য দিতে ব্যর্থ হই যে, "আমাদের রসূলের মাধ্যমে আমরা যে হিদায়াত পেয়েছিলাম তা আমরা আল্লাহর বান্দাদের কাছে পৌছাবার ব্যাপারে আমরা কোন প্রকার ত্রুটি করেছি না করেনি । যদি না করি তা হলে আমরা সেদিন মারাত্মকভাবে পাকড়াও হয়ে যাবো ।

সেদিন এ নেতৃত্বের অহংকার সেখানে আমাদের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে ।

আমাদের নেতৃত্বের যুগে আমাদের যথার্থ ত্রুটির কারণে মানুষের চিন্তায় ও কর্মে যে সমস্ত গলদ দেখা দেবে , তার ফলে দুনিয়ায় যেসব গোমরাহী ছড়িয়ে পড়বে এবং যত বিপর্যয় ও বিশৃংখলার রাজত্ব বিস্তৃত হবে।সে সবের জন্য অসৎ নেতৃবর্গ এবং মানুষ ও জিন শয়তানদের সাথে সাথে আমরাও পাকড়াও হবো । আমাদের জিজ্ঞেস করা হবে , পৃথিবীতে যখন জুলুম, নির্যাতন, অন্যায়, অত্যাচার, পাপ ও ভ্রষ্টতার রাজত্ব বিস্তৃত হয়েছিল তখন আমরা কোথায় ছিলাম আর এর জন্য কি ভূমিকা রেখেছিলাম ৷

জন্ম থেকে মৃতু পর্যন্ত শুধুই পরীক্ষা আর পরীক্ষাঃ

আসলে পৃথিবীতে এ যা কিছু সাজ-সরঞ্জামই আছে এগুলো দিয়ে আমি পৃথিবীর সৌন্দর্য বিধান করেছি তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য যে, তাদের মধ্য থেকে কে ভাল কাজ করে। সুরা কাহফ ৭

পৃথিবী পৃষ্ঠে যেসব সাজ-সরঞ্জাম দেখছি এবং যার মন ভুলানো চাকচিক্যে মুগ্ধ হচ্ছি, এতো নিছক একটি সাময়িক সৌন্দর্য, নিছক পরীক্ষার জন্য এর সমাবেশ ঘটানো হয়েছে। এসব কিছু আল্লাহ আমাদের আয়েশ-আরামের জন্য সরবরাহ করেছেন, ামরা এজন্য আমরা কোন উপদেশদাতার কথায় কান দিচ্ছো না। কিন্তু আসলে তো এগুলো আয়েশ-আরামের জিনিস নয় বরং পরীক্ষার উপকরণ। এগুলোর মাঝখানে তোমাদের বসিয়ে দিয়ে দেখা হচ্ছে, তোমাদের মধ্যে কে তার নিজের আসল স্বরূপ ভুলে গিয়ে দুনিয়ার এসব মন মাতানো সামগ্রীর মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে এবং কে তার আসল মর্যাদার (আল্লাহর বন্দেগী) কথা মনে রেখে সঠিক নীতি অবলম্বন করছে। যেদিন এ পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে সেদিনই ভোগের এসব সরঞ্জাম খতম করে দেয়া হবে এবং তখন এ পৃথিবী একটি লতাগুল্মহীন ধূ ধূ প্রান্তর ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।

কাজের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য তিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন।৪ আর তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীলও। সুরা মুলক ২


আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী এবং সবার ওপর পরিপূর্ণরূপে বিজয়ী হওয়া সত্ত্বেও নিজের সৃষ্টির প্রতি তিনি দয়াবান ও ক্ষমাশীল, ামাদের প্রতি জালেম ও কঠোর নন। দুষ্কর্মকারীদের শাস্তি দেয়ার পুরো ক্ষমতা তাঁর আছে। এতো শক্তি কারো নেই যে তাঁর শাস্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। কিন্তু যারা লজ্জিত হয়ে দুষ্কর্ম পরিত্যাগ এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদের সাথে তিনি ক্ষমাশীলতার আচরণ করে থাকেন।

২০১৬ সাল কি আমার জীবনের শেষ বছর?

আজ বাংলা দেশ সহ সারা বিশ্বে ইসলাম কে ধংস করার যে ষড়যন্ত্র চলছে তাতে কেউ ঘৃনা করে চুপ থাকা মানে ঈমানের সব চেয়ে নিন্ম দাপে নেমে আসা । এর জন্য জোরাল প্রতিবাদ জানানো মানে ঈমানের সর্ব উচ্চ সিড়িতে পা দেওয়া । প্রতিদিন কত খবর আসে খবরের কাগজের পাতা ভরে কে কে গতকাল ইসলাম কে ভালবাসার কারনে শিশু মহিলা থেকে আরম্ভ করে সবাই শয়তানের রোষানলে পড়ে আখিরাতের জন্য কি পুরুস্কার সংগ্রহ করেছেন । একটা তেলাপোকা মারতে কি কষ্ট লাগে আর বিনা অপরাধে আমাদের বাবা ,ভাই ,স্বামী ও সন্তানদের উপর কি নির্যাতন চালানো হচ্ছে তা খুবই হৃদয় বিধারক । ।আর বাংলাদেশে যাদের উপর পুলিশ ও সরকার এর দালালরা হত্যা গুম ,খুন গুলি ,টিয়ার স্যাল ও রিমান্ডের নামে নির্যাতন করছে তাঁর প্রতিরোধ করার মত কিছুই তাদের হাতে নাই । শুধু আল্লাহ মুসা আঃ ফেরাউনের বাহিনী থেকে নীল নদের মাঝ খান রহমতের রাস্তা করে দিয়ে উদ্ধার করেছিলেন আর আমাদের প্রিয় নবী সাঃ কে বদরের প্রান্তে যেমন অল্প মুসলমানের বেশি সংখ্যায় কাফেরদের উপর বিজয় দিয়েছিলেন ।এখনো আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন আমরা শুধু বদরের মুসলমানদের মত সাচ্ছা ঈমানদার হতে হবে আমাদেরকে তা হলে আমরা বিজয়ী হতে পারব ইনশাআল্লাহ ।

“তোমরা আল্লাহ ও তার রসূলের প্রতি ঈমান আন এবং আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ ও জান-প্রাণ দিয়ে জিহাদ করো এটাই তোমাদের জন্য অতিব কল্যাণকর যদি তোমরা তা জান৷” সুরা আস সফ

“মনমরা হয়ো না, দুঃখ করো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো৷ “ আলে ইমরান


“আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য এবং অতি নিকটবর্তী সময়ে বিজয়৷ হে নবী! ঈমানদারদেরকে এর সুসংবাদ দান করো৷” সুরা আস সফ

পৃথিবীতে বিজয়ী ও সফলতা লাভ করাও একটা বড় নিয়ামত । কিন্তু মু'মিনের নিকট প্রকৃত গুরুত্বের বিষয় এ পৃথিবীর সফলতা নয়, বরং আখেরাতের সফলতা ।. আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট ।তিনি আমাদের সমস্ত কার্যসম্পাদনকারী ,তিনি আমাদের উত্তম অভিভাবক আর তিনি আমাদের উত্তম সাহায্যকারী ।

বিষয়: বিবিধ

২০৯৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

355966
০২ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০২:০৫
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম আপা।

আশাকরি এখন আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ আছেন। আল্লাহ আপনাকে সর্বদা দ্বীনের উপর অটল রাহুন,, সুস্থ রাখুন, হায়াতে তাইয়্যেবা দান করুন। আমীন।

লিখাটি তাৎপর্যময় এবং গুরুত্বপূর্ণ ।শুকরিয়া ।
355988
০২ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ১২:০৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমিন। আল্লাহতায়লা আপনাকে সুস্থ রাখুন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File