রাসুল সাঃ এর প্রতি দরুদ পাঠ করা কোরানের আদেশ

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:০২:৩৩ রাত

রাসুল (সাঃ)তুমি যে আমার হৃদয়বাগের বুলবুল



মনটা আজ আনন্দে টগবগ করে নেচে উঠছে।আর গুন গুন করে নিজেও গাইছি রাসুল (সাঃ) তুমি যে আমার হৃদয়বাগের বুলবুল।চতুরদিক থেকে হামদ নাত আর দরুদ পাঠের আওয়াজে মনে হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ মদিনা মনোয়ারা হয়েগেছে।রাস্তায় রাস্তায় হাজার হাজার জনতার মুখে আমার রাসুলের প্রেমে ভালবাসার কোকিলের সুরের চেয়ে মনপাগল করা হামদ গজল।আমার মনে হল আজ ৯৯% মুসলমানের দেশ এই বাংলাদেশ।

কিন্তু মনটা খুব ব্যাথা পেল যখন মাইকের আওয়াজে আসল আজকের ঈদে মিলাদুন্নবী মাহফিলের এখন আসন গ্রহন করছেন আমাদের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের নিয়োজিত প্রধান প্রধান বিচারপতি।সবাই উনার সন্মানে সুবহানয়াল্লাহ মারহাবা মাশাল্লাহ বলেন আর উনার অনুমতি নিয়ে আমরা এই মাহফিল শুরু করতে যাচ্ছি "।এই রকম আরো বহু ইসলামীক মাহফিল ও স্থাপনা সুচনার জায়গায় সেন রায় বাবুদের মুনাজাত করতেও দেখি।অবশ্য আমরাও পুজাপার্বনে বলে আসি, গিয়ে মা কালির আর্শিবাদে এই বছর ফসল ভাল হয়েছে"।তাদের জন্য এই টা কোন ব্যাপার নয়।কারন আমরা জানি না রাসুল সাঃ কেন পাঠালেন আর পরবর্তীতে আমাদের দায়িত্ব কি?

রাসুল সাঃ প্রেরনের উদ্দ্যেশ্যঃ

"আমি যে রসূল পাঠাই তা তো কেবল এ জন্যই পাঠাই যে, তারা সৎকর্মশীলদের জন্য সুসংবাদ দানকারী এবং দুষ্কৃতকারীদের জন্য ভীতি প্রদর্শনকারী হবে।"আনয়াম ৪৮


" তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি তাঁর রসূলকে হিদায়াত এবং ‘দ্বীনে হক’ দিয়ে পাঠিয়েছেন যাতে তিনি এ দ্বীনকে অন্য সকল দ্বীনের ওপর বিজয়ী করেন, চাই তা মুশরিকদের কাছে যতই অসহনীয় হোক না কেন।" সুরা আস সফ -৯ /সুরা তাওবা ৩৩/সুরা ফাতহ ২৮

“আদদ্বীন” শব্দ মানে একটি জীবন ব্যবস্থা বা জীবন পদ্ধতি যার প্রতিষ্ঠাতাকে সনদ ও অনুসরণযোগ্য বলে মেনে নিয়ে তার আনুগত্য করতে হয়। এ আয়াতে রসূল পাঠাবার উদ্দেশ্য বর্ণনা করে বলা হয়েছে দ্বীনের শ্রেণীভুক্ত সমস্ত পদ্ধতি ও ব্যবস্থার ওপর জয়ী করবেন। অন্য কথায় রসূলের কখনো এ উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়নি যে, তিনি যে জীবন ব্যবস্থা নিয়ে এসেছেন তা অন্যান্য জীবন ব্যবস্থার কাছে পরাজিত হয়ে ও সেগুলোর পদানত থেকে তাদের দেয়া সুযোগ সুবিধা ভোগ করার মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ ও সংকোচিত করে রাখবে। বরং তিনি আকাশ ও পৃথিবীর একচ্ছত্র অধিপতির প্রতিনিধি হয়ে আসেন এবং নিজের মনিবের সত্য ও ন্যায়ের ব্যবস্থাকে বিজয়ী দেখতে চান। দুনিয়ায় যদি অন্য কোন জীবন ব্যবস্থার অস্তিত্ব থাকে তাহলে তাকে আল্লাহর ব্যবস্থার আওতাধীনেই তার দেয়া সুযোগ-সুবিধা হাতপেতে নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। যেমন জিযিয়া আদায় করার মাধ্যমে যিম্মিরা নিজেদের অধীনতার জীবন মেনে নেয়।

"বস্তুত হে মুহাম্মাদ! এ বাণীকে আমি সহজ করে তোমার ভাষায় এজন্য নাযিল করেছি যাতে তুমি মুত্তাকীদেরকে সুখবর দিতে ও হঠকারীদেরকে ভয় দেখাতে পারো।"মারিয়াম-৯৭

যারা আল্লাহর দাসত্বের সাথে অন্যদের দাসত্বও করে থাকে এবং আল্লাহর দ্বীনের সাথে অন্য সব দ্বীন ও বিধানকে সংমিশ্রিত করে, শুধু এক আল্লাহর আনুগত্য ও হিদায়াতের ওপর গোটা জীবনব্যবস্থা কায়েম হোক তারা তা চায় না। যারা ইচ্ছামত যে কোন প্রভু ও উপাস্যের দাসত্ব করতে সংকল্পবদ্ধ এবং যে কোন দর্শন ও মতবাদের ওপর নিজেদের আকীদা-বিশ্বাস, নৈতিকতা এবং তাহযীব তামুদ্দুনের ভিত্তিস্থাপন করতে প্রস্তুত এমনসব লোকের বিরোধিতার মুখেও বলা হচ্ছে যে, তাদের সাথে আপোষ করার জন্য আল্লাহর রসূলকে পাঠানো হয়নি। বরং তাকে পাঠানো হয়েছে এ জন্য যে, তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে যে হিদায়াত ও জীবনব্যবস্থা এনেছেন তাকে গোটা জীবনের সব দিক ও বিভাগের ওপর বিজয়ী করে দেবেন। অবস্থা যাই হোক না কেন, তাঁকে এ কাজ করতেই হবে। কাফের ও মুশরিকরা তা মেনে নিক আর না নিক এবং এ বিরোধিতায় সর্বশক্তি নিয়োগ করলেও সর্বাবস্থায় রসূলের এ মিশন সফলকাম হবে এবং পূর্ণতা লাভ করবে।

ঈমানের প্রাথমিক দাবী আনুগত্য ও অনুসরনঃ

"আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কথা মেনে চলো এবং (নিষিদ্ধ কাজ থেকে) বিরত থাকো। কিন্তু যদি তোমরা আদেশ অমান্য করো, তাহলে জেনে রাখো, আমার রসূলের প্রতি শুধুমাত্র সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ পৌঁছিয়ে দেবারই দায়িত্ব ছিল।" সুরা মায়েদা ৯২


কলেমারদাবীদার সকল মুসলমানের ঈমানের প্রাথমিক দাবী আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধানের আনুগত্য ও রাসুল সাঃ এর জীবনাদর্শের অনুসরন করা।আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুল সাঃ সমগ্র বিশ্ববাসির হিদায়াতের জন্য রহমত স্বরূপ ও কোরান কে জীবন বিধান হিসাবে পূর্নাঙ্গ বাস্তব নমুনা কায়েমের জন্য প্রেরিত হয়েছেন।আমাদের এখন উচিত/কর্তব্য হলো।# দ্বীধাহীণ ও আকূণ্ঠচিত্তে রাসুল সাঃ এর আদর্শ অনুস্মরনীয় হিসাবে মেনে নেওয়া।# রাসুল সাঃ উম্মত হিসাবে ইসলামের সকল আদেশ নিষেধ মেনে নেওয়া।# ব্যক্তিগত, পারিবারিক ,সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় সকল পর্যায়ে নিজের নফসের ইচ্ছা কামনা বাসনা/মানব রচিত মতবাদ পরিত্যাগ করে সুন্নাহকে মেনে নেওয়া।

# জীবন্ত লাসের মত উম্মোতে মহাম্মদী না হয়ে জীবন্ত কোরান সুন্নাহর ধারক ও বাহক হওয়া।# দুনিয়ার মোহে ভ্রান্ত নেতাদের অন্ধ অনুসারী না হয়ে য়াখিরাতের ভয়াবহ শাস্তি আগুন বাঁচার ও জান্নাতের অনাবিল শান্তিতে থাকার কোরানের বিধান কায়েমের জন্য উম্মোতে মহাম্মদী হওয়া ।

রসূল সাঃ হবেন আমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপঃ

"আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে একটি ‘মধ্যপন্থী’ উম্মাতে পরিণত করেছি, যাতে তোমরা দুনিয়াবাসীদের ওপর সাক্ষী হতে পারো এবং রসূল হতে পারেন তোমাদের ওপর সাক্ষী।

"বাকারা ১৪৩


এর জন্য আমরা আল্লাহর পথ প্রদর্শনকারী হতে হবে।ইসলামের আনুগত্যকারীরা সত্য-সরল পথের সন্ধানকারী হবেন এবং তাঁরা একটি মর্যাদায় উন্নীত হতে পারলে আমাদের ‘মধ্যপন্থী উম্মাত’ গণ্য করা হবে। ‘মধ্যপন্থী উম্মাত’ হিসাবে আমরা এমন একটি উৎকৃষ্ট ও উন্নত মর্যাদা সম্পন্ন অনুসারী হব। যারা নিজেরা ইনসাফ, ন্যায়-নিষ্ঠা ও ভারসাম্যের নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত, দুনিয়ার জাতিদের মধ্যে যারা কেন্দ্রীয় আসন লাভের যোগ্যতা রাখে, সত্য ও সততার ভিত্তিতে সবার সাথে যাদের সম্পর্ক সমান এবং কারোর সাথে যাদের কোন অবৈধ ও অন্যায় সম্পর্ক নেই।

“তোমরা লোকদের ওপর সাক্ষী হবে এবং রসূল তোমাদের ওপর সাক্ষী হবেন।”


আখেরাতে যখন সমগ্র মানবজাতিকে একত্র করে আমাদের হিসেব নেওয়া হবে তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল প্রতিনিধি হিসেবে রসূল আমাদের ব্যাপারে এ মর্মে সাক্ষ্য দেবেন যে, সুস্থ ও সঠিক চিন্তা এবং সৎকাজ ও সুবিচারের যে শিক্ষা দিয়ে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল তা তিনি আমাদের কাছে হুবহু এবং পুরোপুরি পৌঁছিয়ে দিয়েছেন আর বাস্তবে সেই অনুযায়ী নিজে কাজ করে দেখিয়ে দিয়েছেন। এরপর রসূলের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে সাধারণ মানুষদের ব্যাপারে আমাদের এই মর্মে সাক্ষ্য দিতে হবে যে, রসূল আমাদের কাছে যা কিছু পৌঁছিয়ে দিয়েছিলেন তা আমরা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দিয়েছি। আর তিনি যা কিছু কার্যকর করে দেখিয়ে ছিলেন তা আমাদের কাছে কার্যকর করে দেখিয়ে ছিলেন তা আমাদের কাছে কার্যকর করে দেখাবার ব্যাপারে আমরা মোটেই গড়িমসি করোনি।

"রসূল যা কিছু তোমাদের দেন তা গ্রহণ করো এবং যে জিনিস থেকে তিনি তোমাদের বিরত রাখেন তা থেকে বিরত থাকো। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ‌ কঠোর শাস্তিদাতা"।সুরা হাশর ৭


উম্মাতে মোহাম্মদী হিসাবে আল্লাহভীতি, সত্য-সঠিক পথ অবলম্বন, সুবিচার, ন্যায়-নিষ্ঠা ও সত্যপ্রীতির জীবন্ত সাক্ষী স্বরুপ সারা দুনিয়াবাসীদের জন্য জীবন্ত সাক্ষীতে পরিণত হতে হবে। আমাদের কথা, কর্ম, আচরণ ইত্যাদি প্রত্যেকটি বিষয় দেখে দুনিয়াবাসী আল্লাহভীতি, সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা ও সত্যপ্রীতির শিক্ষা গ্রহণ করবে।, আল্লাহর হিদায়াত আমাদের কাছে পৌঁছাবার ব্যাপারে যেমন রসূলের দায়িত্ব ছিল বড়ই সুকঠিন, অনুরূপভাবে এ হিদায়াতকে দুনিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবার ব্যাপারেও আমাদের ওপর কঠিন দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে। সেদিন এ নেতৃত্বের অহংকার বা অবেহেলা হলে তা আমাদের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের নেতৃত্বের যুগে আমাদের যথার্থ ত্রুটির কারণে মানুষের চিন্তায় ও কর্মে যে সমস্ত গলদ দেখা দেবে, তার ফলে দুনিয়ায় যেসব গোমরাহী ছড়িয়ে পড়বে এবং যত বিপর্যয় ও বিশৃংখলার রাজত্ব বিস্তৃত হবে---সে সবের জন্য অসৎ নেতৃবর্গ এবং মানুষ ও জিন শয়তানদের সাথে সাথে আমরাও পাকড়াও হবো। আমাদের জিজ্ঞেস করা হবে, পৃথিবীতে যখন জুলুম, নির্যাতন, অন্যায়, অত্যাচার, পাপ ও ভ্রষ্টতার রাজত্ব বিস্তৃত হয়েছিল তখন আমরা কোথায় ছিলাম?

রাসুল সাঃ কেন পাঠালেন আর পরবর্তীতে আমাদের দায়িত্ব কি?



"আমাকে মুমিনদের অন্তরভুক্ত হবার জন্য হুকুম দেয়া হয়েছে৷ আর আমাকে বলা হয়েছে, তুমি একনিষ্ঠ হয়ে নিজেকে ঠিকভাবে এ দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত কারো৷ এবং কখখোন মুশরিকদের অন্তরভুক্ত হয়ো না৷" সুরা ইউনুস ১০৫


ঈমানের জোরালো দাবী হল , দীন অবলম্বন করা, অথবা এ দীনের পথে চলো। কিংবা এ দীনের অনুগত ও অনুসারী হয়ে যাও। এ দীন যেমন অবিচল ও তেজোদ্দীপ্ত আনুগত্য চায় সেই হিসেবে নিজের চেহরাকে স্থির করে একই দিকে মুখ ফিরিয়ে থাকা। তাগুতের শক্তির ভয়ে নড়াচড়া না করা এবং এদিক ওদিক ,সামনে, পেছনে, ডাইনে , বাঁয়ে মুড়ামুড়ি না করা । একেবারে নাক বরাবর সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে দৃষ্টি রেখে চলা, যে পথ কোরানে সুন্নাহ আমাদের দেখানো হয়েছে।দীনের পথের এই বাধন বড়ই শক্ত বাঁধন ।

তাই ঈমানের মুখিক দাবীর সাথে বাস্তবে কাজেই দাবী হচ্ছে, এ দীন আল্লাহর বন্দেগীর এ পদ্ধতি এবং জীবন যাপন প্রণালির ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহ রব্বুল আলামীনের উপসানা আরাধানা, ইবাতদ -বন্দেগী , দাসত্ব আনুগত্য করতে ও হুকুম মেনে চলতে হবে। এমন একনিষ্ঠভাবে করতে হবে যে, অন্য কোন পদ্ধতির দিকে সামান্যতম ঝুঁকে পড়াও যাবে না। যেসব পথ আমরা ইতিপূর্বে পরিত্যাগ করে এসেছি এ পথে এসে সেই ভুল পথগুলোর সাথে সামান্যতম সম্পর্কও রাখা যাবে না এবং দুনিয়ার মানুষ যেসব বাঁকা পথে চলে সেসব পথের দিকে একবার ভুল করেও তাকানো যাবে না না।

রাসুল সাঃ এর প্রতি দরুদ পাঠ করা কোরানের আদেশ

আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরূদ পাঠান। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠাও।যারা আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয় তাদেরকে আল্লাহ‌ দুনিয়ায় ও আখেরাতে অভিশপ্ত করেছেন এবং তাদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক আযাবের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

সুরা আহযাব ৫৬-৫৭


আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকেঃ

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُولِكَ ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ-

(আহমাদ, বুখারী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ)


তা পাঠ করলে প্রতিদান ও সওয়াব পাওয়া এবং তার একটি অনেক বড় সৎকাজ হবার ব্যাপারে তো সমস্ত মুসলিম উম্মাত একমত। যে ব্যক্তি ঈমানের সামান্যতম স্পর্শও লাভ করেছে তার এ ব্যাপারে কোন প্রশ্ন থাকতে পারে না। এমন প্রত্যেকটি মুসলমানের অন্তর থেকেই তো স্বাভাবিকভাবে দরূদ বের হবে যার মধ্যে এ অনুভূতি থাকবে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পরে আমাদের প্রতি সবচেয়ে বড় অনুগ্রহকারী।

মানুষের দিলে ঈমান ও ইসলামের মর্যাদা যত বেশী হবে তত বেশী মর্যাদা হবে তার দিলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুগ্রহেরও। আর মানুষ যত বেশী এ অনুগ্রহের কদর করতে শিখবে তত বেশীই সে নবী করীমের ﷺ ওপর দরূদ পাঠ করবে। কাজেই বেশী বেশী দরূদ পড়া হচ্ছে একটি মাপকাঠি। এটি পরিমাপ করে জানিয়ে দেয় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দ্বীনের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কতটা গভীর এবং ঈমানের নিয়ামতের কতটা কদর তার অন্তরে আছে।

এ কারণেই নবী ﷺ বলেছেনঃ

“যে ব্যক্তি আমার প্রতি দরূদ পাঠ করে ফেরেশতারা তার প্রতি দরূদ পাঠ করে যতক্ষণ সে দরূদ পাঠ করতে থাকে।” (আহমাদ ও ইবনে মাজাহ)

“যে আমার ওপর একবার দরূদ পড়ে আল্লাহ‌ তার ওপর দশবার দরূদ পড়েন।” (মুসলিম)

“কিয়ামতের দিন আমার সাথে থাকার সবচেয়ে বেশী হকদার হবে সেই ব্যক্তি যে আমার ওপর সবচেয়ে বেশী দরূদ পড়বে।” (তিরযিমী

“আমার কথা যে ব্যক্তির সামনে আলোচনা করা হয় এবং সে আমার ওপর দরূদ পাঠ করে না সে কৃপণ।” (তিরযিমী)

বিষয়: বিবিধ

১৯৭১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

355260
২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:২৮
সত্যলিখন লিখেছেন : আপনি রাসুল সা এর প্রেমিক হয়ে থাকলে একটু ধৈর্য্য ধরে পড়ুন ও শিক্ষনীয় মনে হলে অন্যদের মাঝে শেয়ার , কপি পেস্ট বা যেই ভাবে পারেন পৌছায়ে দিন । আল্লাহ আপনাকে এর পুর্ন ফজিলত দান করুন।আমিন
355276
২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : "রসূল যা কিছু তোমাদের দেন তা গ্রহণ করো এবং যে জিনিস থেকে তিনি তোমাদের বিরত রাখেন তা থেকে বিরত থাকো। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ‌ কঠোর শাস্তিদাতা"।সুরা হাশর ৭

রসূলের ভালোবাসা মানে হল,তিনি যা বলেছেন তা পালন করা,যা নিষেধ করেছেন তা পরিহার করা। রসূলকে(সাঃ) ভালোবাসার অর্থ এই নয় যে -ইয়া রাসুল আই লাভ ইউ...বলে মিস্টি বিতরন করা হবে আর আনন্দ র্যালী করা হবে। এ ভালোবাসা হল আল্লাহর বিধান মেনে নেওয়ার মধ্যেই। আর আনন্দ এই জন্যে যে, তিনি আমাদের জন্যে রহমতস্বরূপ এসেছিলেন। তিনি না আসলে তো জান্নাতের সম্ভাবনাই তৈরী হতে পারত না। আল্লাহ তার উম্মত বানিয়ে সম্মানিত করলেন। তাই আনন্দিত। এ ভালোবাসা বাহ্যিক নয়
355329
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২৭
বাজলবী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর।
355409
২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩২
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ""রসূল যা কিছু তোমাদের দেন তা গ্রহণ করো এবং যে জিনিস থেকে তিনি তোমাদের বিরত রাখেন তা থেকে বিরত থাকো। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ‌ কঠোর শাস্তিদাতা"।সুরা হাশর ৭"
আজ আমরা রাসূলের দ্বীন থেকে অনেক দূরে সরে গিয়ে মাজার আর হুজুর কেবলা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে গেছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্যকে বুঝার ও মেনে চলার তোফিক দান করুক আমিন। ধন্যবাদ আপনাকে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File