স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা তাবিজ কবজে সৃষ্টি হয় না, সবরেই হয়।(অষ্টম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৮ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:৫১:৫৫ রাত
তাবিজের ঠেলা সামলাওঃ
আমার পরিচিত একজন মা ফকির দরবেশ আর জীনের তাবিজ কবজের খুবই বিশ্বাসী। তাঁর মেয়ের প্রেমিক থেকে মেয়ে কে সরায়ে অন্য খানে বিয়ে দেওয়ার জন্য সেই রকম বড় জীন রাখা ফকির বাবার বাড়িতে শুরু দৌড়াদৌড়ি।যাক আল্লাহর হুকুমে মেয়ে সেই প্রেমিক থেকে সরে মায়ের পছন্দের জায়গায় বিয়ে বসে।মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে ভালই দিন কাটাচ্ছিিল।কিন্তু সমস্যা ছিল এক জায়গায়।তা হল ছেলে মাকে কেন ভালবাসে।তা মেয়ের মায়ের মনে দাগ কাটে।আর তিনি মেয়েকে জানান,ফকির বাবার বলেছে,"তোমার শ্বাশুড়ি তোমার স্বামীকে তাবিজ কবজ দিয়ে তাঁর দিকে নিয়ে গেছে।তাই তোমাদের সংসার আর টিকবে না।তাই তুমি এখন থেকে সাবধান"। বোকা মেয়ে মায়ের কথায় মা ছেলের সম্পর্ক আলাদার কাজ শুরু করল।সারাক্ষন মায়ের নামে মিথ্যা কান পড়া দিয়ে দিয়ে কানভারী করে রাখত।বিনয়ী ভদ্র নম্র ছেলে বাবা হয়েও নিজের বাবা মায়ের সাত্থে সেই রকম খারাপ আচরন শুরু করে। মা মেয়ে সফল হলো ।মায়ের থেকে ছেলেকে আলাদা করলো।স্বামী স্ত্রী এক সাথে আলাদা সংসার করার মত গুনাবলী না থাকায় স্বামী কে একা বাসায় রেখে মেয়ে মায়ের কাছে চলে যায়।কারন ফকির বাবা বলেছে জামাই ভাল না।তাবিজের ঠেলা সামলাও।
সাহাবী রুআইফি থেকে ইমাম আহমদ বর্ণনা করে , তিনি [রুআইফি] বলেছেন , "রাসূল (সাঃ) আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন , হে রুআইফি , তোমার হায়াত সম্ভবত দীঘ হবে ।লোকজনকে জানিয়ে দিও , "যে ব্যক্তি দাড়িতে গিরা দিবে ,অথবা গলায় তাবিজ-কবজ ঝুলাবে অথবা পশুর মল কিংবা হাড় দ্বারা এস্তেঞ্জা করবে , মুহাম্মদ (সাঃ) তার জিম্মাদারী থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ।(মুসনাদ আহমদ , ৪/১০৭ , ১০৯; সুনান ইবনু মাজাহ , হাদীস নং ৩৬)
তাবিজ কবজে বিশ্বাসী শিরকে লিপ্ত।শিরককারী জান্নামীঃ
পরে অনবরত ছেলের সুখের জন্য কান্না করা ছেলের মা থেকে জানলাম, ছেলের মায়ের সাথে সম্পর্ক বেশি ছিল কারন বেকার ছেলের সন্মান রক্ষার্থে ছেলের হাত খরচ, বৌ এর জন্য যাবতীয় খরচ, ছেলে শ্বশুর বাড়িতে যাবার ফল মিষ্টি ও তাদের সবার ঈদের কাপড় থেকে আরম্ভ করে যাবতীয় সব খরচ এবং ছেলের বাচ্ছার দুধ প্যাম্পাস থেকে সব খরচ এই মায়েই বহন করত।আর টাকার জন্যই ছেলে বার বার মায়ের কাছে যেতে বাধ্য হত।যা ফকিরের জীন তো দূরে থাক শুধু আল্লাহ কে ছাড়া মা আর কাউকে বলত না।কিন্তু সন্দেহ থেকেই শুরু দ্বন্দের আর দ্বন্দের থেকে সম্পর্ক নষ্ট। তাই তাবিজ কবজে বিশ্বাসী শিরকে লিপ্ত।শিরককারী জান্নামী।তাঁরা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়।
.
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে , তিনি বলেন , "আমি রাসূল (সাঃ) কে একথা বলতে শুনেছি - ঝাড় - ফুঁক ও তাবিজ -কবজ হচ্ছে শিরক ।(মুসনাদে আহমাদ , ১ম খণ্ড , পৃ.৩১৮;
সুনান আবু দাউদ হাদীস নং ৩৮৮৩) ৩.আবদুল্লাহ বিন হাকীম থেকে মারুফ হাদীসে বর্ণিত আছে - "যে ব্যক্তি কোন জিনিস (অর্থাত্ তাবিজ-কবজ) লটকায় সে আল্লাহর জিম্মা হতে খারিজ হয়ে উক্ত জিনিসের দিকেই সমর্পিত হয়" ।[অর্থাত্ এর কুফল তার ওপরই বর্তায়] (আহমদ , ৪/৩১০; জামি তিরমিযী , হাদীস নং ২০৭৬)
স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা তাবিজ কবজে সৃষ্টি হয় না, সবরেই হয়ঃ
স্বামী স্ত্রীর একসাথে সংসার করার জন্য কিছু গুণাবলীর মাধ্যমে একে অন্যকে ভালোবাসেন ।তা দুই্জনের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তম স্ত্রী যিনি জীবনে পান, তিনি একজন ভাগ্যবান পুরুষ। তেমনি একজন স্ত্রীর কাছে যিনি ভালো স্বামী তিনিই প্রকৃত উত্তম চরিত্রের মানুষ।জীবনযুদ্ধে একজন সফল সৈনিকের পাশে তার সুযোগ্য সহযোদ্ধা, সহযাত্রী, বন্ধু হিসেবে থাকবে তার স্ত্রী।তাই ইসলামে আছে সৎ এবং চরিত্রবান স্ত্রী একজন পুরুষের জন্য এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। দুনিয়াতে ও আখিরাতের জাহান্নাম ও জান্নাত এই সম্পর্কের উপরে নির্ভর করে।যা না থাকলে আপনারা ফকিরের আর হাজার জীনের তাবিজ কবজ বেধেও লাভবান হবেন না।এর চাইতে সুরা নাস ফালাক পড়েন।সবরের চেয়ে উত্তম শান্তির নেয়ামত আর কিছুতেই নেই।ধৈর্যশীল ব্যক্তিদের মহান আল্লাহ মহা পুরস্কার দিবেন।
মহান আল্লাহ বলেন, "হে মুমিনগণ! ধৈর্য অবলম্বন কর, দৃঢ়তা প্রদর্শন কর, নিজেদের প্রতিরক্ষা কল্পে পারস্পরিক বন্ধন মজবূত কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।"[আল - ইমরান, আয়াতঃ ২০০], "ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার অগনিত দেওয়া হয়ে থাকে।"[সূরা-আলঃ যুমার, আয়াতঃ ১০]তিনি আরো বলেন, "আর যে ব্যক্তি (অত্যাচারিত হওয়ার পরও) ধৈর্যধারণ করে ও ক্ষমা করে দেয়, তা অবশ্যই দৃঢ়চিত্ততার কাজ।"[সূরাঃ আশ-শূরা, আয়াতঃ ৪৩]
রাসূল (সাঃ) আরো বলেন, "মুমিন ব্যক্তির কাজ-কর্ম অবলোকন করলে খুব আশ্চর্য লাগে। কেননা, তার সমস্ত কাজ তার জন্য কল্যাণকর। আর এটি হয়ে থাকে শুধু মুমিনদের জন্য, অন্যের জন্য নয়। যখন সে কল্যাণকর কিছু লাভ করে তখন সে (আল্লাহর) শুকরিয়া আদায় করে, তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যখন কোন বিপদে পতিত হয় তখন সে ধৈর্যধারণ করে। সেটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়।"[মুসলিম শরীফ]
"ধৈর্য্যের চেয়ে উত্তম ও ব্যাপকতর কল্যান কাউকে প্রদান করা হয়নি"বুখারী-১৪৬৯
মন খুব অস্থির অস্থির মহা যন্ত্রনাঃ
স্বামী স্বীর সম্পর্ক হৃদয়ঘটিত ব্যাপার।তাই এর ঘাটতি হলে মন খুব অস্থির অস্থির মহা যন্ত্রনা।তাই মাঝে মাঝে যখন দেখি/পড়িভালবাসার অভাবে পুরুষ/নারী সত্যিই দিগম্বর পাগল হয়ে দৌড়ে এসে আপনার গাড়ীর সামনে পড়ে/আত্নহত্যা করে।তখন আমার খুব খারাপ লাগে।আমি এই যন্ত্রনা থেকে কোন মায়ের ছেলে/মেয়েকে বাচানো ামার নৈতিক দায়িত্ব মনে করে কলম ধরি।আমার ছেলেরা বলে আম্মু তোমার লিখা কেউ পড়ে না।কারন মানুষের আরো উন্নত মানের লিখাই কেউ তাকায় না।আমি বলি,বাবা কেউ না পড়ুক আল্লাহ যেন আমাকে কবুল করে তাই লেখি।এই কলম আমার অনেক বড় বন্ধু।আমার মনের অনেক না বলা কথা সে শুনে যায় নিরবে।হয়ত অনেক জ্ঞানীর কাছে তা ফাও কথা বলে মনে হবে।আমার আল্লাহ অন্তরযামী তিনি অন্তরের সব জানেন।
দুজনের মাঝে অসাধারণ জান্নাতী সুখের জন্য কিছু উত্তম গুণাবলী থাকা উচিত।
যেমন,###বাইরে থেকে ফিরলে সম্ভব হলে দরজাটা নিজেই খুলে দেন, একটি হাসি উপহার দিয়ে দু'জনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ চেয়ে তাকে বলেন, "আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছো?" একই কাজ ফোন রিসিভ করেও করতে পারেন।
### বিশেষ সময় ছাড়া বাসায় শালীনতা ও উত্তম পোশাক পরে পোশাকে রুচিবোধ ফুটে তুলুন। ঈমানের সাথে লজ্জার সম্পর্ক খুবই গভীর। যিনি যত বেশি ঈমানের অধিকারী/অধিকারিণী তার লজ্জাবোধ তত বেশি। একজন উত্তম মুসলিমাহ এসব বিষয়ে সচেতন দৃষ্টি রাখেন।
###সন্তানদের ইসলামিক জ্ঞানে বড় করে তুলতে সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু করেন। নিজেও আন্তরিকভাবে ইসলাম সম্পর্কে শেখেন এবং স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মিলে জীবনে ইসলামকে মেনে চলেন। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা সন্তানের সামনে ঝগড়া হবে সেই রকম আচরন থেকে দূরে থাকুন।
### দুই জন দুইজনের পরিবারের কাছে একে অন্যের সন্মান অক্ষুন্ন রাখুন।তাদের মনে আপনাদের জন্য ভালবাসা সৃষ্টি করুন। তাদের কে সন্মান করুন।তাদের দায়িত্ব পালনে সজাক থাকুন।.
###সন্দেহ থেকে দুই জনেই দূরে থাকুন।লুকোচুরি আর গোমড়া মন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন।
###ভালবাসা জন্য দুই জন দুজনের কাছে লুকিং গ্লাসের মত থাকতে হবে।স্বচ্ছ আয়নার মত মনেই ভালবাসার প্রতিবিম্ব দেখা যায়।অস্বচ্ছ মনে শয়তান ফেতনা সৃষ্টি করে বেশি।ময়লা গ্লাসে বিশুদ্ধ পানিও দুষিত হয়ে যায় এক নিমিষে।
###জীবনসঙ্গী কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর তাকে ফ্রেশ হওয়ার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এগিয়ে দিন। একটু কষ্ট করে তার জন্য সময়মত খাবারটি পরিবেশন করেন। সুসংবাদটি তাড়াতাড়ি জানান এবং খারাপ সংবাদ থাকলে একটু সময় নিয়ে তারপর বলেন।
###আল্লাহর হুকুমের নির্দেশনাগুলো শোনেন এবং সাধ্যমত চেষ্টা করেন যেন তাকে সন্তুষ্ট রাখা যায়। কোন বিষয় নিয়ে কেউ কাউকে কখনো চাপে প্রয়োগ না করা বরং তার মনে শান্তি দেয়ার চেষ্টা করেন।আর্থিক ব্যাপারে স্ত্রীর সাহসী মনের পরিচয় দেওয়া।কারন এই দুঃসময় কেটে যাবে কিন্তু স্ত্রীর সেই সময়ের আচরন মনে গেথে যাবে।
### যদি জীবনসঙ্গী মানুষটা কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তখন একজন নিজেকে শান্ত রাখুন। খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।তখন তাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ক্ষমা করে দিন।
### জীবনসঙ্গীর ছোট ছোট ভুলগুলো এড়িয়ে যান এবং ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন।সংসারের ছোট বড় সব কাজই কাজ।
### নিজেকে পরিপাটি ও সুন্দর করে উপস্থাপন করে্ন একে অন্যের সামনে যা তিনি অন্য কারো সামনে, কারো জন্য করেন নাীই সময় সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করেন।
### সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসার সুরে জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলেন।এই কোমল সুরে তিনি অন্য কোন কারো সাথে কখনো কথা বলেন না। যাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ নয় এমন পুরুষদের সাথে যথাসম্ভব কোমলতাহীন কন্ঠে এবং সাধ্যমতন সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলাই ইসলামের শিক্ষা।
### তার স্বামীর আয় থেকে অতিরিক্ত/অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করা উচিত নয়।তাতে স্বামী হালাল পথে চলতে পারেন না। অবর্তমানে তার সংসারের সবকিছু এমনভাবে দেখভাল করেন যেন স্বামীর অপছন্দের কিছু না ঘটে।নিজে ও সন্তানদেরকে মিতব্যায়ীতার শিক্ষা মেনে চলা উচিত।
"রাসুলে করিম সাঃ বলেছেন, যে স্ত্রী তাঁর নিঃস্ব গরিব স্বামীকে হেয় দৃষ্টিতে দেখে,তার সাথে দুর্ব্যাবহার করে- সে বেহেশত তো দুরের কথা,বেহেশতের গন্ধও পাবে না।তার উপর সর্বদা আল্লাহর অভিশাপ হয়ে থাকে।" তাবারানী
### মন যখন খারাপ থাকে তাঁর মনের ব্যাথা শুনুন আর তার পাশে থাকেন, ধৈর্যধারণ আর সদুপদেশ দিয়ে তাকে ধীরস্থির হয়ে সময় কাটিয়ে ওঠার পথে সাহায্য করেন।
###কেউ একজন অন্যজনের সাথে অনেক সময় সঠিক আচরণ না করলেও একজন ধৈর্য ধরেন, চেষ্টা করেন তাকে উত্তম উপায়ে ুন্য সময়ে বুঝিয়ে বলেন।
যেই স্বামী তাঁর স্ত্রীর মর্যাদা দিতে যানে না
তাঁর সন্তানরাও সেই মাকে সন্মান করতে জানে না ।বাবা মায়ের রাজকন্যা মেয়েরা লাঞ্চিত ,অবেহেলিত ,অবজ্ঞা অনাদর অসন্মানিত মানুষিক শারীরিক সব দিক থেকে নিপীড়িত নির্যাতিত হচ্ছে একদিকে স্বামী , তাঁর সাথেই স্বামীর কাছের প্রিয়জনদের থেকে শুরু করে পরে ঐ সব মেয়েদের গর্ভের সন্তানরাও আর ঐ মাকে বাবার থেকে শিক্ষা পাওয়া জিনিস গুলোই পর্যায় ক্রমে উপহার দিতে থাকে ।যেই স্বামী তাঁর স্ত্রীর মর্যাদা দিতে যানে না তাঁর সন্তানরাও সেই মাকে সন্মান করতে জানে না । কারন তাঁরা জন্মের পর থেকেই দেখছে এই মহিলার সাথে সবার আচরন কেমন ? তাই তারাও সেই রকম করে ।আর ঐ মেয়ে শেষ রক্ষা পায় কবরে গিয়ে ।ব্যতিক্রম আছে শুধু যেই বাবা ইসলামের জ্ঞান অনুসারে তাঁর পরিবার চালাতে জানেন ।সেই সন্তান আল্লাহর ভয়ে ও জান্নাতের মোহে মা বাবার সন্মান করেন । এই খানেই সত্যিই ব্যতিক্রমী সুখি পরিবার দেখা যায় ।
আমি আমার ভাই/বোন ও ছেলে/মেয়েদের কে বলছি,আপনারা(স্বামী-স্ত্রী) ভালবাসা পাবার জন্য কেউ তারা হয়ে চাঁদ আনতে হয় না আর নদী হয়ে সাগরে তলদেশের থেকে ঝিনুকের মুক্তা আনতে হবে না।মানুষ কত কিছু পারে, মানুষের মন নিয়ে খেলতে পারে,আবেগ নিয়ে জীবনবাজি ধরতে পারে,ভালবাসার নিয়ে চলনা করে মনের গহীন কোণের গোপন জায়গায় অনায়াসে আসা যাওয়া করতে পারে,কিছু শব্দ এঁকে মানুষকে হাসাতে পারে,আবার সেই শব্দ দিয়েই কাঁদাতে পারে, রঙ্গিন স্বপ্নের বিস্ময়ে অভিভূত করে দিতে পারে।মানুষ শুধু পারে না কষ্ট টা থেকে মুক্তি দিতে,যা আল্লাহর কোরান আর সুন্নাহের সবরে পারে এক নিমিষেই মুক্ত করে জান্নাতী সুখকর অনাবিল শান্তি।এই খানে সবর মানে হেরে যাওয়া নয় বরং বিজয়ী হওয়া।এই জন্য শুধু দরকার সেক্রিফাইজ আর কম্প্রোমাইজ করার মত মনের শক্তি।যার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে বিশাল ভালবাসার ইমারত।যাতে আনন্দে বসবাস করবে আপনার উত্তরাধিকার সন্তান ও তাদের বংশধররা।
“হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি, আমাদের গোনাহখাতা মাফ করে দাও এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের বাঁচাও। এরা সবরকারী, সত্যনিষ্ঠ, অনুগত ও দানশীল এবং রাতের শেষভাগে আল্লাহর কাছে গোনাহ মাফের জন্য দোয়া করে থাকে।”সুরা আলে ইমরানঃ১৬-১৭
রাজকন্যা হয় হাজার জন ,রাজরানী হয় শুধুই একজন।
(সপ্তম পর্ব)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=426247787564355&set=a.111339602388510.1073741828.100005374124575&type=3&theater
বিষয়: বিবিধ
৩৩০৯ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
“হে আমার রব, তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে যেসব নিয়ামত দান করেছো আমাকে তার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও ৷ আর এমন সৎ কাজ করার তাওফীক দাও যা তুমি পছন্দ করো ৷ আমার সন্তানদেরকে সৎ বানিয়ে আমাকে সুখ দাও ৷ আমি তোমার কাছে তাওবা করছি ৷ আমি নির্দেশের অনুগত (মুসলিম) বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত ৷” সূরা আহকাফ (১৫)
“হে আমার রব! আমাকে সালাত কায়েমকারী কর এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও। হে আমার প্রতিপালক! আমার প্রার্থনা কবুল কর। সূরা ইবরাহীম-৪০
জাযাকাল্লাহী খাইরান।
পরামর্শময় সুন্দর উপস্হাপনা!
জাযাকিল্লাহু ওয়ালি কুল্লি মুসলিমীন,আমিন!
তাবিজ-কবজ নিষিদ্ধ হলেও কিছু কুফুরী তাবিজ-কবজ কাজ করে! যাতে বিভ্রান্ত হয় অনেক অবুঝ মুসলিম!
আল্লাহ আমাদের সকলের উপর রহমত নাযিল করুন,আমিন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন