আমার স্বামী আমার কাছে আমার সন্তান ও পৃথিবীর সকল প্রিয় থেকেও বেশি প্রিয়তম।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৬ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:৪২:৪৬ বিকাল
আমার স্বামী আমার কাছে আমার সন্তান ও পৃথিবীর সকল প্রিয় থেকেও বেশি প্রিয়তম।
তৃতীয় পর্ব
একজন পুরুষ আমার জন্য বছরের পর বছর মাথার ঘাম পায়ে পেলে আমার মত এক (অপদার্থ বলেন আর আমড়া গাছের ঢেকি বলেন ) মহিলা কে খাওয়া পরা সেবা যত্ন বিনাব্যাক্য ব্যায়ে করে যাচ্ছেন। যা আমার মা বাবা আদরিনী আর কুটিপতির রাজকন্যা হলেও তারা আজীবন করছে না ।
কোন সুখের অভাবে কিসের শুন্যতা তাঁরা পুরনে ব্যার্থ হয়ে এই রাজকন্যাকে স্বামীর হাতে তুলে দেন চোখ বন্ধ করে।সেখানে কি সুখে থাকবেন না দুঃখে তাও ভাবনার সময় নেই । মেয়ে সেখানে নিজের দক্ষতা যোগ্যতা বাবা মায়ের থেকে পাওয়া শিক্ষার আলোকে নিজেকে চা পাতার ব্যাগের মত টগবগে সিন্ধু পানিতে নিজেকে ছেড়ে দিয়েও নিজের অস্তিত্ব ধরে রেখে চার পাশকে নিজের ভালবাসার রং ও প্লেভারে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে তুলে। এতে তাঁর সুখ সবরের মাধ্যমে চলে আসে।
আর এই সবর করার সব চেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো ,প্রত্যেক মেয়ে মনের সব ব্যাথা বেদনা আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য ভুলে শুধু স্বামীকে প্রান উজাড় করে ভালবাসা দিয়ে যাওয়া । ভালবাসার সব চেয়ে উত্তম নমুনা হল, মিষ্টি একটা হাসিমাথা সালাম ঘর থেকে বের হতে আবার ঘরে ডুকতেই দেওয়া । কি মিষ্টি মধুর ভালবাসা আল্লাহ সৃষ্টি করে দেবেন তা কল্পনাও করা যাবে না । আমার জীবনের অভজ্ঞতা থেকে বলেছি ।
সন্তানদের কাছে মা বোঝা মনে হয়ে যায় বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে যায়।বা মায়ের মূল্যের চেয়ে বৌ বাচ্ছার এর প্রাধান্য বেশি হয়ে মাকে ঝাড়ু দেওয়া ময়লার মত এক কর্নারে ফেলে রাখে।কিন্তু আমাদের স্বামীরা তো আমাদের এক রাতের জন্য ও দূরে রেখে থাকতে পারে না।মূল্যবান সম্পদের মত আমার ইজ্জত আব্রু নিজের জীবনের চেয়েও বেশি মুল্য দিয়ে অতিযতনে রাখেন।
তাই আমার মনে হয় মায়ের কাছে সন্তান এই পৃথিবীর সব কিছু থেকে অনেক প্রিয় হবেে এটাই স্বাভাবিক ।কিন্তু তাঁর চেয়েও অস্বাভাবিক আপনি হবেন যখন আপনার কাছে এই পৃথিবীর সব কিছু থেকে আপনার স্বামী বেশি প্রিয় হবে। সত্যি এই লাইন টা লিখার সময় নয়নের ভালবাসার বারিধারা ধরে রাখতে পারলাম না। কারন আমার স্বামী আমার কাছে সন্তান ও সকল প্রিয় থেকেও বেশি প্রিয়। আল্লাহ আমাকে এই ভালবাসার কোন পরীক্ষায় আপনি ফেলবেন না। তাই আমার স্বামীর নেকহায়াত তুমি আমার চেয়ে অনেক বেশি করে দান কর ।আমি যেন তাঁর আগে তোমার কাছে হাজির হতে পারি।
আজ জুম্মার নামাজ পড়ে আসলেন , আমার নামাজ তখন শেষের দিকে ।পাশে এসে ছোট একটা নম্র ভদ্র বাবুর মত বসে আসে চুপচাপ। নামাজ শেষে বললাম ,সব কিছু ডাইনিং টেবিলে আছে তুমি খেয়ে নাও।তুমি ডাইবেটিজ এর রুগী ।না আমাকে ছাড়া খাবে না ।তাই বাকী সব নফল ইবাদত রেখে তাঁর সাথে খেতে গেলাম। তাতে কি মহা খুশি।
খাবার সময় গল্পের মাঝে বললেন, তোমার ছেলের শ্বশুড় এসেছেন, আজ সকল ৮টার দিকে । আমি আর মেহমান একসাথে নাস্তা সারার পরে তোমার ব্যাই তোমার সাথে দেখা করতে চাইলেন । তখন তোমার ব্যাই কে বললাম, আমি তো আমার স্ত্রীকে একটা ছোট বাচ্ছার মত পালছি । ওর নিজে নিজে যখন ঘুম ভাঙ্গবে তখন উঠবে এর আগে ভাই আমি স্যরি ওকে উঠাতে পারব না। ও ঘুমে থাকা মানে ও সুস্থ্য থাকবে । পরে তোমার ব্যাই চলে যান ।"
শুনে , খাবার টেবিলেই কান্না চলে আসল আল্লাহর শুকরিয়া জানাতে গিয়ে ।আল্লাহ আমার স্বামীর নেকহায়াত ও সারা জীবনের সকল গুনা ক্ষমা করে আমার দেও্অয়া জান্নাতুল ফেরদাউসের সার্টিফেকেট টা নিয়ে তাকে জান্নাতুল ফেরদাউসের সন্মানিত দের অধিবাসি হিসাবে শামিল করে নিও।
স্বামী হারা মায়ের আর বোনদের কষ্ট দেখে বলছি, আপুরা দাঁত থাকতে দাতের মর্যাদা দাও ।দাঁত হারায়ে হাজার কান্দলেও আর সেই স্বামীর ভালবাসা কেউই তোমাকে দিতে পারবে না । আমার কথায় ভুল হলে ক্ষমা করে দিও সবাই ।
আল্লাহ আমাদের স্বামী /স্ত্রী সন্তানদের আমাদের নয়নশীতল কারী ও মুত্তাকিন দের ঈমাম বানিয়ে দাও । স্বামীর সোহাগীনি হয়েই দুনিয়া থেকে যাবার তাওফিক দান কর ।আমিন সুম্মা আমিন
একজন আদর্শ স্বামীর গল্প
আমার জীবনের প্রথম লেখা আমার জীবন সাথীকে নিয়ে ......প্রথম পর্ব
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=422968957892238&set=a.111339602388510.1073741828.100005374124575&type=3&theater
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক তো জান্নাতী মধুর সম্পর্ক ।(দ্বিতীয় পর্ব )
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=423140451208422&set=a.111339602388510.1073741828.100005374124575&type=3&theater —
বিষয়: বিবিধ
২৩৯১ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি কি করি?
সুরা আলে ইমরান
মন্তব্য করতে লগইন করুন