আমার আর ২৮ শে অক্টোবরের শহিদ মুজাহিদের কিছুক্ষনের কথোপকথো।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৭ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:২২:২৫ রাত
আমার আর ২৮ শে অক্টোবরের শহিদ মুজাহিদের কিছুক্ষনের কথোপকথো।
ধু ধু সবুজ আর সুবুজ তেপান্তর মাঠ। আমি কোথা থেকে হাটা শুরু করলাম তাও আর দেখা যাচ্ছে না আর কোথায় যাচ্ছি তাও দেখা যাচ্ছে না । এই বিশাল প্রসস্থ মাঠের যে দিকে তাকাই সেই দিকেই দেখি শুধু নীল আর ঘন নীল আকাশের কোলে হেলান দিয়ে ঘুমাচ্ছে। আমার মনে কোন ভইয় নেই দর নেই কারন আমি জানি আমি আল্লাহর দাওয়াতি কাজে পথ চলেছি তাই আমার সাথে আল্লাহ আছেন। কোন ডানে বামে খেয়াল নেই শুধু সামনে পথ চলা আর হাটা ।
আমি আর ২৮ শে অক্টোবরের শহিদ মুজাহিদের কিছুক্ষনের কথোপকথোন।
অনেক দূর সামনে আগানোর পরে সাগরের জাহাজের মাস্তুলের আলোরবর্তিকার মত এক উজ্জোল চেহারার এক ইয়াং যুবক এর নুরের আলোবর্তিকা চড়ানো চেহারা আমার আস্তে আস্তে আমার সামনে স্পষ্ট হয়ে আসছে । তখন আমি অনেক অনেক দূরে তাই চেহারার আকৃতি প্রথম দৃষ্টিতে বুঝতে পারিনি । তবে উজ্জল সবুজ পাঞ্জাবী পড়া আমার ছেলেদের বয়সের একটা ছেলে সন্মুখ থেকে আমার দিকে আসছে। আমি আর ২য় দৃষ্টির পড়লে গুনাহের ভয়ে নিচু দৃষ্টি দিয়ে হেটে আগাচ্ছি ।তবে আগের মত দ্রুত কেন যেন পারছি না।ঙ্কারন আমরা দুই জন খুব কাছাকাছি একজন আরেকজনকে ক্রস করব।প্রায় আমরা দুই মুখামুখি।আল্লাহ ছাড়া ৩য় কোন জনমানব নেই।
"আসসালামুয়ালাইকুম খালাম্মা ।বই হাতে কোথায় যাচ্ছেন খালাম্মা।"
আমি সাথে থমকে দাঁড়ায়ে সালামের উত্তর দিয়েই আমার ২য় বার চেহারায় দৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে ামি চোখ নিচু করে আমি একটু হৃদয়ের গভীরের আনন্দ ও আবেগের থেকে একটু জোরে বলে ফেললাম ,
আরে আব্বু ,তুমি ২৮ শে অক্টোবরের শহিদ মুজাহিদ না। ?
মুজাহিদ হাস্যোউজ্জল বদলে আমাকে জানালেন ," জী খালাম্মা , আমিই সেই মুজাহিদ"
সাথে সাথে আমাকে শহিদ মুজাহিদ বলেন
,"খালাম্মা ,আপনার হাতে কি ?আর কোথায় যাচ্ছেন ঐ দিকে ?
আমি বললাম ,"বাবা আমি আল্লাহর দাওয়াতি কাজে যাচ্ছি তাই এই গুলো সেই বই"।
আমি আবার ওকে প্রশ্ন করলাম, মুজাহিদ তুমি কোথায় যাচ্ছ ? আর কেমন আছো?
মুজাহিদের উত্তর ,
"খালাম্মা আমিও দাওয়াতি কাজে যাচ্ছি।আলহামদুলিল্লাহ আমি ভাল আছি।"
আরো কিছুক্ষন কিছু দূর হাটার মাঝে কেন জানি আবার ওকে হারান ব্যাথা মনে পড়ে বুকের মাঝে চিন চিন করছিল ।তাই পিছনে তাকায়ে দেখি আর ওকে ধু ধু সবুজ গালিচা বিছানো মাঠের কোথায়ও দেখা যাচ্ছেনা শুধু দেখা যাচ্ছে কতগুল সবুজ পাখি।
জেগে অনেক কান্না করে আল্লাহর কাছে নামাজে সাহায্য চাইলাম। কি শান্তি আমি মুজাহিদের কথায় চেহারায় আর পোশাকে দেখলাম তা আজো আমার হৃদয় পটে ভেসে ভেসে উঠে। শহিদরা যে যেই কাজে থাকে আল্লাহ তাদের কে আখিরাতেও একই কাজে ব্যাস্ত্ রাখেন তাঁর প্রমান নিজের চোখে শেষ্ রাতের স্বপ্নে না দেখলে আমি বিশ্বাস করতাম না ।
ওর আম্মু কে অনেক জায়গায় অনেক সময় পেয়েছি । দায়িত্বের জবাব দিহিতার বয়ে আমি আমার বোনকে গোলা ঝড়ায়ে বলতে পারি নি আপা আপনার মুজাহিদ সেই খানেও দ্বীন কায়েমের কাজে ব্যাস্ত আছেন। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই তিনি আমাকে একজন শহিদের সাথে কথা বলার সু্যোগ আমাকে দান করে আমার মনটাকে কি যে প্রশান্তি দান করেছেন তা বলার ভাষা আমার নেই ।সেই লোভে আমি সকল দৈহিক মানুষীক কষ্ট ভুলেও দৌড়ে যাই।
মরতে হবে যখন শহিদি মরন দিও আমারে । সেই সংগ্রামী শহিদের সারিতে আমাকেও রাখিও রহমান যারা কোরানের আলোকে নির্ভিক ,নির্ভয়ে সব করে দান ।
বিষয়: বিবিধ
১৭৮১ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মরন দিও আমারে ।
সেই সংগ্রামী শহিদের
সারিতে আমাকেও
রাখিও রহমান যারা
কোরানের আলোকে
নির্ভিক ,নির্ভয়ে সব
করে দান ।
বড় ভাইয়ে সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে মুজাহিদ ভাই কে প্রথম দেখি মুহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের কাছাকাছি এক মেসে!২০০৩ সালে!
একজন বড় ভাইয়ের মতই স্নেহ-মায়া পেয়েছি যখনই যেতাম! ভাইজানের অনুপস্হিতি ভূলিয়ে দিতেন!
আল্লাহ উনার শাহাদাত কবুল করে জান্নাতের স্হায়ী মেহমান করে নিন এবং শাহাদাতের বিনিময়ে বাংলাদেশ তথা বিশ্বময় ইসলামী সমাজ ব্যবস্হা কায়েমের তৌফিক দিন,আমিন!
ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্য করতে লগইন করুন