ইসলাম নারীদের সাজসজ্জার অন্তরায় নয়।

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৩ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:০৩:৫৯ রাত

ইসলামী সভ্যতা নারীদের সাজসজ্জার অন্তরায় নয়।



বুড়াবূড়ি জীবনের শুরুর মত প্রথমের টুনাটুনির মতই প্রতিবেশির বিয়ে খেতে গেলাম। একই সময়ে দুটি বিয়ের প্রোগ্রাম তাই ছেলেদের একদিকে আর আমরা একদিকে গেলাম। বলার উদ্দেশ্য হল সেখানে গিয়ে দুই জনেরই আক্কেল গুড়ুম।

আমার প্রতিবেশি অন্যান্য পর্দানশীল বোনেরা াজ এমন সাজুগুজু করেছেন যা ঢাকার প্রয়োজনীয়তা উপলুব্ধি করার হুশই ছিল না।

সাহেব বলেন ,তুমি এমন করছো কেন ?

আচ্ছা এটা অফিসার্স ক্লাবের পার্টি বলে কথা।

তা না হয় বুঝলাম ।তাই বলে সামান্য সময়ের জন্য আমরা জীবনবিধান ইসলাম ও মুসলিম েই কথা একে বারেই ভুলে যাব।এর নাম কি তাকওয়া?হাটে বাজারে যেতে পর্দা আর পার্টিতে আসতে আর পর্দা লাগে না।ঈমান কি ৬ ঋতুর মত পরিবর্তনশীল কোন কিছু? সাহেব বললেন চুপ কর।তাই কিছুক্ষন চুপ থেকে শুধু দেখলাম আর ভাবলাম।

আমার পাশেই আমার ঘনিষ্ট্য প্রতিবেশি বান্ধুবীর মেয়ে বসল।বসেই খুব সুন্দর করেই বলল, আন্টি আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে।আলহামদুলিল্লাহ বলেই বললাম ,

"মামনি আমার তো চোখ দুইটা ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না,এর আবার কি সুন্দর আছে?সুন্দর লাগছে তোমাদেরকে।কারন সব দেখা যায়।"

সাজসজ্জা কি ?

সাজসজ্জা মানে নগ্নতা,অশ্লীলতা আর বেহায়াপনা নয়।

আমার মতে সাজসজ্জা বলতে পোশাক ও প্রসাধনকে সুন্দর ও পরিপার্টি করে ব্যবহার করে নিজের দেহকে বেগানা পুরুষের দৃষ্টির আড়ালে রাখাকে বুঝায়।এই ভাবের সুরুচিপূর্ণ শালিন পরিছন্ন পোশাক হচ্ছে ইসলামী সভ্যতার প্রতীক।

ইসলামে সূন্দরের অন্তরায় নয়।

মানুষ(নর/নারী) আল্লাহর সৃষ্টির সেরা মাখলুকাত।তাই মানুষ সৌন্দর্য ও উত্তম পোশাক দিয়ে নিজের আকার আকৃতি,ছবি সুরত,সৌন্দর্যমন্ডিত করবে তা ইসলামেও পুরোপুরি কাম্য।আল্লাহ যাকে যতটুকু সামর্থ্য দিয়েছে সেই অনুসারে না বুবহার করলে সেই কৃপন আর বেশি করলে সে অহংকারি।তাই মধ্যম পন্থাই উত্তম পন্থা।

ইসলামি পোশাকই জান্নাতি পোশাক।

আমি ভুল বলিনি।দেখুন সর্বস্রষ্টা আল্লাহপাক তাঁর প্রথম সৃষ্টি আদম আঃ ওবিবি হাওয়া আঃ কে জান্নাতি পোশাক পরিয়ে জান্নাতে রেখেছিলেন। মানুষের প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের ধোকার পড়ে আল্লাহর হুকুম অমান্য করার মাধ্যমে জান্নাতি পোশাক খুলে নেন। তাই শয়তান চেয়েছিল।

সুরা আরাফের ২২ নং আয়াতে বলা হয়েছে তাতে পরস্পরের সামনে লজ্জাস্থান উম্মক্ত হয়ে গেল।গাছের চালবাকল দিয়ে লজ্জা স্থান ঢাকলেন।কারন লজ্জা মানুষের বিবেকের প্রকৃতিগত ও স্বাভাবিক অনুভুতি ।আরো বলেন,শয়তান ামাদের প্রকাশ্য দুশমন।

কোরানে বর্নিত পোশাকের আয়াতঃ

"হে বনী আদম! তোমাদের শরীরের লজ্জাস্থানগুলো ঢাকার এবং তোমাদের দেহের সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বিধানের উদ্দেশ্যে আমি তোমাদের জন্য পোশাক নাযিল করেছি। আর তাকওয়ার পোশাকই সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর নিদর্শনগুলোর অন্যতম, সম্ভবত লোকেরা এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে।

হে বনী আদম! শয়তান যেন তোমাদের আবার ঠিক তেমনিভাবে বিভ্রান্তির মধ্যে নিক্ষেপ না করে যেমনভাবে সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করেছিল এবং তাদের লজ্জাস্থান পরস্পরের কাছে উন্মুক্ত করে দেবার জন্য তাদেরকে বিবস্ত্র করেছিল। সে ও তার সাথীরা তোমাদেরকে এমন জায়গা থেকে দেখে যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখতে পাও না। এ শয়তানদেরকে আমি যারা ঈমান আনে না তাদের অভিভাবক করে দিয়েছি।" সুরা আরাফ ২৬-২৭

ইসলামী পোশাক কি রকম ও কত দামের হবে?

নবী করিম সাঃ শরীর,পোশাক,ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পরিছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।ইসলামে সৌন্দর্য্য ও পরিছন্নতার উপর জোর দিয়েছেন।"রাসুল সাঃ বলেছেন,তোমরা পরিছন্নতা অবলম্বন করো।কেননা ইসলামের পরিছন্নতা দ্বীন।"

আরো বলেছেন,"পরিচ্ছন্নতা ঈমান ডেকে আনে।আর ঈমান তাঁর সঙ্গীকে নিয়ে জান্নাতে চলে যায়"(তারবানী)

হাদিসঃ হযরত ইয়াকুব রাঃ বনর্না করেছেন,"আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ জিজ্ঞাস করেন,'ইয়া রাসুল্লাহ সাঃ আমি কি রকম কাপড় পরবো?তিনি উত্তর দিলেন,"এ রকম কাপড় পরো যেন বেওকুফ লোক তোমাকে দেখে তুচ্ছ মনে না করে আর বিজ্ঞজন আপত্তি না করে"।লোকটি প্রশ্ন করলো কাপড় কি মুল্যের হওয়া দরকার ?নবী সাঃ উত্তর দিলেন"পাচ দিহরাম থেকে বিশ দিহরামের মধ্যে।"(তারগীব,তারহীব,তারবানি)

ইসলামে সামর্থ্য থাকলেও কৃপনতা করে চলা পছন্দ করে না।

আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন সামর্থ্য থাকলেও কৃপনতা করে সুন্দর ভাবে চলেন না।বা নিজে দামী কাপড় পরলেও কৃপনতা করে বউ বাচ্ছাকে দেন না।

রাসুল সা অন্য একটি লোককে দেখতে পেলেন যার পরনে খারাপ ধরনের কাপড় ছিল।তাকে তিনি বললেন,"তোমার ধনমাল কিছু আছে?লোকটি বলল জি হ্যা।জিজ্ঞেস করলেন কি ধরনের ধনমাল?লোকটি বলল,"আল্লাহ আমাকে সব ধরনের ধনমাল দিয়েছেন।তখন নবী সাঃবললেন,আল্লাহ তোমাকে যখন ধনমাল দিয়েছেন,তখন আল্লাহর নিয়ামত ও তাঁর অনুগ্রহের পরিচয় তোমার উপর পাওয়া যাওয়া বাঞ্চনীয়।"

হাদীস - নাসাঈ।

নারীদের রূপচর্চা ও সাজসজ্জার ব্যাপারে ইসলাম কোন বয়সের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।তবে সেই সাজগোছ ১৪ জনের বাহিরের পরপুরুষকে দেখানো নিষীদ্ধ।তার জন্য সুরা নুরের ৩১ নং আয়াত পড়ে দেখুন।

মেয়েদের জাহান্নামী পোশাক ঃ

যে সব মেয়েলোক ,যারা কাপড় পরিধান করেও ন্যাংটা থাকে,তারা পুরুষদের নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করবে আর নিজেরাও পুরুষদের প্রতি ঝুকে পড়বে।তাদের মাথা উষ্ট্রের ঝুঁকে পড়া চুটের মত হবে।তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না,তাঁর সুগন্ধিও তারা পাবেও না।যদিও জান্নাতের সুঘ্রান বহুদুর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে।" হাদিস- মুসলিম।

স্বামীর জন্য সৌন্দর্য বৃদ্ধির কথা বলে ব্রুফ্লাক(ব্রু সরুকরন) ওপরচুলা ব্যাবহার হারাম।আর ভিন পুরুষের তো কথাই নাই।

আমি আমার প্রানপ্রিয় বোন ও মামনিদের বলব,নারীর নারী সুলভ আচরন আমাদের প্রথম আলংকার।তার মধ্যে নম্রতা শিষ্টতা চারিত্রিক বৈশিষ্ট হচ্ছে প্রকৃত সৌন্দর্য ।যা প্রকাশ না করতে চাইলেও প্রকাশিত হয়ে যায়।ইসলাম সাজসজ্জার অন্তরায় নয়? বরং ইসলামেই সাজসজ্জার তাগিদ বেশি দিয়েছে।যা অন্য ধর্মে দেই নাই।তারা আমাদের থেকে নিয়ে উলোংগপনার মাঝে সাজসজ্জাকে বিক্রি করে দিয়েছে ।আর আমরা সেই ইউরোপীয় ও প্রতিবেশি দেশের ন্যাংটা সাজসজ্জা কে ইমান আমোল এলেম বিক্রি করে তাদের অপসংস্কৃতি সভ্যতা কিনে নিয়েছি।

আল্লাহ আমাদের এই অশ্লীলতা ও ব্যাহায়াপনা থেকে রক্ষা করে হেদায়াত দান করুন।আমিন।

বিষয়: বিবিধ

৩৭২৯ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

346891
২৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০১:৫৯
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০২:০৪
288062
সত্যলিখন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ

346902
২৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৪:২৪
শেখের পোলা লিখেছেন : আমিন৷ ধন্যবাদ আপা৷
২৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৪:৫৫
288073
সত্যলিখন লিখেছেন :
346903
২৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৪:২৬
রাইয়ান লিখেছেন : সুন্দর লিখেছেন আপু , খুব ভালো লেগেছে, অনেক শুকরিয়া !
২৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৪:৫৬
288074
সত্যলিখন লিখেছেন :



346904
২৩ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৫:০১
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আপা। অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। স্টিকি হবার যোগ্য। মডু মামাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
২৩ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৯
288106
সত্যলিখন লিখেছেন :





আস্তাগফেরুল্লাহ এই লিখা কি স্টিকির যোগ্যতা রাখে? তাও এতো বড় চিন্তার জন্য আল্লাহকে বলব ,


346909
২৩ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৭:৪৮
ছালসাবিল লিখেছেন : At Wits' End এককখনও পড়ি নি At Wits' End জলদি পড়তে যাচ্ছি Day Dreaming Big Grin
২৩ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৭
288105
সত্যলিখন লিখেছেন :



২৩ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৯
288120
ছালসাবিল লিখেছেন : আপনার দেয়া ছবির Tongue মেয়েটির কি সাদিমোবারক হয়েছে Smug কিউরিসিটি Tongue
২৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:০২
288123
সত্যলিখন লিখেছেন : তা জেনে আপনার লাভ কি ? সে আপনাকে শাদি করবে না । অন্য দিকে নজর দেন ।
২৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:৫৭
288135
ছালসাবিল লিখেছেন : Tongue আমমমি কিচুই বলিনি Surprised আমি ভালো ছেলে Smug
২৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:৩৪
288138
সত্যলিখন লিখেছেন : আপনি যে হাসিনা দিদির সোনার ছেলেদের একজন তা আমি বুঝতে আর বাকী নেই। ভাল ছেলে ভাল থাকুন এই কামনা রইল আশুরার রাতে।
২৪ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৫
288196
ছালসাবিল লিখেছেন : Surprised Surprised Worried Crying Surprised Surprised
আপনার দিদিকে ভালো পাইনাহ্ Smug
346919
২৩ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। আপনাকে আপু ডাকব, নাকি খালামনি বুঝতে পারছিনা। অসাধারণ লাগল কথাগুলো। আসলে ইসলাম মেনে চললে সবকিছুই সহজ হয়ে যায়। আল্লাহ বলেছেন: তিনি মানুষকে সবচেয়ে উত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন এবং পোশাক-পরিচ্ছদ দিয়েছেন নিয়ামত হিসেবে। কাজেই এরপরেও একজন মানুষের কোন কৃত্রিম সাজসজ্জার দ্বারা নিজেকে ভিন্ন প্রাণীতে পরিণত করার কোন মানে হয়না। সেদিন এসব নিয়ে আমার বোনের সাথে কথা হচ্ছিল ওকে বলছিলাম, আমেরিকায় শুধুমাত্র কসমেটিকস পণ্যেই বার্ষিক মুনাফা ৬২.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের হিসাব আমার কাছে নেই। হিসাব করে দেখ যেখানে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যে মানুষ দিনের পর দিন অভুক্ত থাকছে, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্হান, শিক্ষা, চিকিৎসা সব রকম মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, সেখানে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই নারীরা ৬২.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করছে জাস্ট নিজেদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য। আবার তুমি দেখবে এই কসমেটিকস বিজনেসের বিশ্ব মার্কেট মূলত ইহুদি কোম্পানীগুলোই নিয়ন্ত্রণ করে ফলে এই বিপুল পরিমাণ টাকাটার বড় একটা অংশ কিন্তু ব্যবহৃত হচ্ছে ফিলিস্তিনি হত্যা, নির্যাতন ও ইজরাইলকে বাঁচিয়ে রাখার কাজে। তুমি কি ভাব আল্লাহ এসব ছেড়ে দিবেন?? আচ্ছা আমাদের নারীদের মাঝে দেখবে সবসময় হীনমণ্যতা কাজ করে যে, আমার বান্ধবীটা, বোনটা বুঝি আমার চাইতে বেশি সুন্দরী হয়ে গেল। তাই আমরা কিছুটা হিংসা করি শুরু করি প্রতিযোগীতা তার থেকে কিভাবে আরো বেশি নিজেকে সুন্দর বানানো যায়। অথচ আমরা মুসলিম। রাসূল (সাঃ) এর ঘরে ১১ জন স্ত্রী ছিলেন। তারা কি সুন্দরী ছিলেন না?? তুমি কি এমন কোন হাদিস পাও যেটা বলছে, রাসূল (সাঃ) অমুক স্ত্রীকে বেশি সৌন্দর্যের জন্য বেশি প্রাধান্য দিতেন?? তুমি কি কখনো এমন কোন হাদিস পাও যেটা বলছে, রাসূল (সাঃ) এর অমুক স্ত্রী অমুক স্ত্রীর সাথে সৌন্দর্য প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হতেন? তমুক স্ত্রী সারাদিন মুখে স্নো-পাউডার মেখে সময় শেষ করতেন? নাহ! পাওনা কারণ তাদের কাছে শারিরিক সৌন্দর্য ব্যাপার ছিলনা। তারা প্রতিযোগিতা করতেন ইবাদাতের ব্যাপারে। কে কার চাইতে বেশি আল্লাহর কাছাকাছি হতে পারেন এসব ছিল তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) বলতেন, পরকালে তোমাদের মাঝে সবার আগে তার সাথেই আমার সাক্ষাৎ হবে যার হাত অধিক লম্বা। এজন্য আমরা সব উ্ম্মুল মুমিনীন নিজেদের হাত মেপে দেখতাম কার হাত অধিক লম্বা? পরে আমরা বুঝলাম এটি প্রতিকি এবং যয়নাব (রাঃ) এর হাত সবচেয়ে বেশি লম্বা কারণ তিনি নিজের কাজ নিজে করতেন এবং প্রচুর পরিমাণ দান খয়রাত করতেন। অর্থাৎ তিনি আমাদের মাঝে সবচাইতে বেশি দানশীলা এজন্যই তার হাত অধিক লম্বা। রাসূল (সাঃ) এর মৃত্যুর পর উমার (রাঃ) তার বিধবা স্ত্রীদের জন্য ভাতা নির্ধারণ করলেন এই হিসাবে যয়নাব (রাঃ) কে ১২০০০ দিরহাম প্রদান করা হল। যয়নাব(রাঃ)সারাদিন ধরে তা গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিলেন সন্ধায় দেখা গেল তার হাতে একটা পয়সাও নেই। হযরত আয়েশা (রাঃ) এরও এমন একটি ঘটনা আছে। যেখানে তিনি ১০,০০০ দিরহাম বিলিয়ে দেন সন্ধায় দেখা গেল তার ঘরেই খাবার নেই। সম্ভবত উম্মুল মুমিনীন জুওয়ায়রিয়া বিনতে হারিস (রাঃ)কিছুটা খাটো ছিলেন, এটা নিয়ে একবার আয়েশা (রাঃ) নিছকই মজা করে বলেছিলেন, জুওয়ায়রিয়া আমাদের মাঝে বেশি খাটো হয়ে গেল। রাসূল (সাঃ) আয়েশা (রাঃ) এর এমন কথা শুনে খুব অসন্তুষ্ট হন। জবাব দেন, হে আয়েশা!তোমার হাত ধুলায় ধুসরিত হোক। আল্লাহ তোমাদের শারিরিক উচ্চতা দেখেননা, দেখেন তোমাদের তাকওয়া। উচ্চতার ভিত্তিতে নয় বরং তোমাদের মাঝে সেই উত্তম যে অধিক মুত্তাকি। আর চেহারার ব্যাপারেও অনুরূপ হাদিস এসেছে। জাহিলিয়াতের মানুষও বিয়ের ব্যাপারে শারিরিক সৌন্দর্য, ধন-সম্পদ, বংশ মর্যাদা এসবকে পাধান্য দিত তাই রাসূল (সাঃ) মুমিনদের সতর্ক করেছিলেন এই বলে, জাহিলিয়াতের মানুষেরা বা সাধারণত মানুষেরা বিয়ের ব্যাপারে ৪টি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়: ১. সুন্দর চেহারা ২. ধন-সম্পদ ৩. বংশ-মর্যাদা ৪. ধর্ম। তবে হে মুমিনেরা! তোমরা যারা মুমিন, তোমাদের কর্তব্য হল, যাকে বিয়ে করবে, "সে মুমিন কিনা?" এটাকেই প্রাধান্য দাও তোমরা এ বিষয়কে প্রাধান্য না দিয়ে যদি জাহিলিয়াতকে অনুসরণ কর, তবে তোমরা ধ্বংশ হও। অন্যদিকে কোরানেও আল্লাহ বলেছেন, মুমিন যেন বিয়ে করে শুধুমাত্র মুমিনকেই। মুনাফিক, কাফির, মুশরিক তার জন্য হারাম যদিও তাদের সৌন্দর্য বা সহজকথায় দুনিয়াবী জাকজমক তোমাদের আকৃষ্ট করে। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার আজ আমরা মনের সৌন্দর্যের চর্চা বাদ দিয়ে শরীরের সৌন্দর্য এর পেছনে ব্যয় করছি অথচ এই শরীরটা একদিন মাটির নীলে গলে-পচে শেষ হবে। আমার ফর্সা গালের গোস্তগুলো পিপড়া আর পোকামাকড় ছিড়ে ছিড়ে খাবে।
২৩ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:১১
288107
সত্যলিখন লিখেছেন :





অনেক সুন্দর ও শিক্ষনীয় মন্তব্য।এটাই পোস্ট করেন। ভাল হবে ।এই কষ্টের জন্য আল্লাহকে বললাম তিনি যেন


346930
২৩ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শিক্ষনিয় পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৩ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৭
288109
সত্যলিখন লিখেছেন :


346954
২৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:১৫
আফরা লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু ।
২৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:২৫
288133
সত্যলিখন লিখেছেন :

346987
২৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০২:১৬
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : মানুষ নিজের আবরু রক্ষা করে চলবে, এটাই ধর্মীয় বিধান। মহিলা এবং পুরুষের পোশাকের ক্ষেত্রে শালীন ও মার্জিত পোশাকই তাকওয়ার পোশাক। ধর্মীয় বিধান পালনের ক্ষেত্রে পুরুষ এবং মহিলা যে যতটা যত্নশীল হবে পোশাকের ব্যাপারেও সে ততটা শালীন এবং মার্জিত হবে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে
২৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
288163
সত্যলিখন লিখেছেন :


১০
346995
২৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০২:২৪
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম।


পর্দার বিধান সঠিক ভাবে কোরআন ও হাদীস থেকে না পড়েই আজকাল মহিলারা ছোট এক খন্ড কাপড় দিয়ে হিজাব করে, অনেকে তাও করে না তাই বুঝতেও পারেন না প্রতিমুহূর্ত কবীরা গুনাহের মধ্যে আছেন!
আল্লাহ আমাদের অজ্ঞতা ও মূর্খতার অভিশাপ থেকে পানাহ দিন, সঠিকভাবে পর্দার বিধান পালন করার ক্ষমতা দিন। আমিন।

জাযাকিল্লাহ খাইর।
২৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
288165
সত্যলিখন লিখেছেন :




১১
347021
২৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ জান্নাতে পুটির মাসহ আপনার প্রাসাদে বেড়াতে যাব। Happy রান্না করে খাওয়াবেন
২৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
288164
সত্যলিখন লিখেছেন :


১২
347022
২৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হ্যা লিখেন তো সুপার
২৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
288166
সত্যলিখন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ্‌ । তবে আপনারাদের মত জ্ঞানের জাহাজদের মত কলমকে ড্রাভিং করাতে পারি না। আল্লাহ কি লিখান তাও জানিনা। কারন ব্রেইন স্ট্রোকের রুগীর হেড অফিস কাজ করে কম।দোয়া চাইবেন আমার জন্য ।
২৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:৩২
288216
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম সালাম। ব্রেইন স্ট্রোক করার পরও যা লিখেন আলহামদুলিল্লাহ। এটাই আল্লাহ নাযাতের ওসিলা বানায় দিক। আর সকল হিসাব ও কাজ সহজ করে দিক। আখিরাতে ,কবরে যেন কোনো শাস্তি না হয় আপনার,এবং জান্নাতুল ফিরদাউস। আমার জন্যেও দোয়া করেন
২৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:১০
288319
সত্যলিখন লিখেছেন : হে আল্লাহ !আমাদের কবরের একাকীত্বের ভয়াবহতার সময় তুমি আমাদের কোরানের আলো দিয়ে প্রশান্তি দান কর।কোরআনের শুপারিশে তুমি আমাদের প্রতি দয়া করো।দুনিয়ার বাকি জিবনের জন্য কোরানকে ামাদের ইমাম,নুর,পথপদর্শক ও রহমত হিসাবে দান করুন। অতীতে আমরা যা করেছি বা ভুলে গেছি তা তুমি আমাকে মাফ করে দাও ও স্মরন শক্তি বাড়িয়ে এই কিতাবকে ধারন করার তাওফিক দাও।আমাদের কে দিবানিশি এই কোরানকে আয়ত্তে আনার জন্য সহজ করে দাও। এই কিতাবকে আমাদের জন্য দু'জাহানের দলিল বানিয়ে দাও।আমিন ।সুম্মাআমিন ।
১৩
347239
২৬ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৯
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : সুন্দর লিখেছেন ! যাযাকাল্লাহু খায়রান !
২৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:৪৮
288378
সত্যলিখন লিখেছেন :

১৪
347963
৩১ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জাযাকিল্লাহ খাইর।
৩১ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩১
288887
সত্যলিখন লিখেছেন :

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File