হাইব্রীট ভালবাসার ফল বাউকুল না তীতা না মিঠা।পানসা পানসা।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:৩১:১৪ রাত
হাইব্রীট ভালবাসার ফল বাউকুল না তীতা না মিঠা।পানসা পানসা
নাহার খালা অনেক দিন থেকে ছুটা কাজ্ করেন। স্বামীর ফোন কয়েক বার আসে। কখন কোথায় আছে কেমন আছেন? আমি বলি, নাহার তোমার জন্য তোমার স্বামীর অনেক ভালবাসা। তুমিও কি তাকে সেই রকম ভালবাস।
নাহার বলে, কি যে কন আম্মা। আর তুন হেই রকম না হাইলে কি এই রকম জান যায়। এই বার দেশে গেলে আর আমুনা।
দুই জনের বেশুমার কষ্ট হয় দূরে থাকতে।
আমি বলাম, নাহার দুই জনে ঝগড়া কর না। তোমারে মাইর দেয় না।
সামনে না চোখের দিকে তাকাইও কিছু ক্কই না। পিছনে নিজের উপরে বকি নিজের রাগ নিজে ধামাই।
আরে নাহার পিছনে বকা না দিয়ে সামনেই বলবা।
না না। এইতা কি কন আম্মা। যার ঘরে খামু থামু, যার কাপড়লতা পিনমু, যার লঘে জীবন কাটমু তার লগে বেদ্দপি কেমনি করুম।মুখ দেয়ামু কেমনে?
আমার মনে হল অশিক্ষিতা নাহার অনেক শিক্ষিত এর ওস্তাদ।
স্বামী নিয়ে সংসার করলে তার সাথে সেই রকম ভালবাস ও ভাল আচরন করা উচিত। একজন আরেকজন কে বুঝতে চেষ্টা করুন। দুই জন এর মনের চাদিদা পুরনে চেষ্টা করুন। আপনার যোগ্যতাবলে লাটাইয়ের ঘুড়ির মত স্বামী কে আপনার ভালবাসার সীমানায় খুশি মনে উড়তে দিন। আপনার অসচ্চরিত্রতার কারনে আপনার ভালবাসার ঘুড়ি অন্যের নাটাইয়ের সাথে পেচ খাবে।আর দুই জনের টানাটানিতে লাটাই থেকে অন্যের মনের আকাশের নিচে চাদে গিয়ে পড়বে। তখন আম ছালা দুই যাবে। আপনার স্বামীর ভালবাসার জন্য তার মা বাবা ও তার পরিবারপরিজন কে সন্মান মর্যাদা দিন। স্বামীকেও সেই শিক্ষা দিন। তা হলে তিনি আপনাকেও আপনার পরিবাকে সেইটাই ফিরিয়ে দেবে।
আপনার স্ত্রী কি নাহারের চেয়ে উচ্চতর জ্ঞানী নয়।তাকে মর্যাদাবান হিসাবে মুল্যায়ন করুন। আপনার কাছে একটু ভালোবাসা ছাড়া আর কি চায়। নাহারের স্বামী নাহারের ভালবাসার মর্যদা দিতে পারে! আপনি কেন জ্ঞানী হয়ে পারবেন না? আপনি আদর ভালবাসা দিয়ে আপনার মনের মত করে আপনার দুনিয়াবি জান্নাত ঘর সাজান। আপনাদের দুই জনের কলোহের ফসল আপনার সন্তান আগামীর জাহিলিয়াত প্রজন্ম এর জনক জননী।
বিদ্ধান দুষিত হলেও তা পরিত্যাজ্য। আর অশিক্ষিত হয়ে নাহারের সংসার উদাহরন দেবার মত যোগ্যতা রাখে। জেলের হাতের জাল এর রশি ধরার উপর মাছের পরিমাণ আর পানির গভীরতার উপর মাছের সাইজ নির্ভর করে। তেমনি স্বামী স্ত্রীর মনের আর ভালবাসার উপর সংসার ও সন্তানের ভিত্তিমূল।ইব্রাহিম আ আদেশ মানার স্থানেই আজ হাজিরা দৌড়াচ্ছেন। সন্তান বাবার আদেশ পালনেই আজ কোরবানী হচ্ছে।
আমি বাল্যবিবাহ এর পর আজকের আমিতে এসেছি আল্লাহর রহমত আর আমার স্বামীর আদর্শবান চরিত্রের গুনে। আমি আমার ছেলেদের বুঝাতাম আমি তোমার বাবার মনের বাহিরে যেতে পারব না। আর স্বামী কে বলতাম তুমি আমাকে সব আদেশাদি শাসন বাচ্ছার সামনে না পিছনে দিবে । আর উনিও বাচ্ছাদের সকল আবদারের সময় আমাকে তুলে ধরবেন ।তোমার আম্মুর সাথে আলাপ করে জানাব। আজো বড় ছেলেরা বিয়ে করেও বাবা কে ভয় পায় । মনে রাখবেন হাইব্রীট ভালবাসার ফল বাউকুল না তীতা না মিঠা। পানসা পানসা।এই টা কোন মজাই নেই ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে রহমতের চাদরে ডেকে রাখুন । অনেক অসুস্থ্যতা নিয়ে লিখছি তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দিবেন ।সময় খুব কম আর পারিবারিক অশান্তিটা মহামারি আকার ধারন করে ইউরোপিয় কালচারের দিকে চলে যাচ্ছে ।যা রোধ না করলে কখন সুস্থ্য সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন হবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৯৩৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু এভাবে সুখ এর কথা এখন কে চিন্তা করে???
পড়লাম, দোয়া করি, জাযাকিল্লাহ..
মন্তব্য করতে লগইন করুন