সব মেয়েরা স্বামীসন্তান নিয়ে জান্নাতী সুখে থাকুক
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:৩৬:৫৬ রাত
আমি চাই,মেয়েরা স্বামীসন্তান নিয়ে আবার জান্নাতী সুখে সংসার শুরু করুক
রাগ মান অভিমান যাই বলেন না কেন তা সবার সংসার জীবনে কম বেশি হয়।শীত গ্রীষ্ম থেকে শরৎকালটা রোদ মেঘ আর বৃষ্টির সমন্বয়ের অনেক সুন্দর লাগা এই ঋতু।এই বিশাল নীল আকাশে নিলীমার ভালবাসার বুকে খন্ড খন্ড মেঘের ভেলা ভেসে বেড়া্য। তেমনি একটা সংসার জীবনে হাসি কান্না মান অভিমান বিরহ সব কিছুর সমন্বয়ে ভালবাসার এক চমৎকার খেলা। এই খানে হার জীতের কিছু নেই ,না পাওয়ার কোন ব্যাথা নেই।ক্ষনিকের জীবনের স্বামী সন্তান নিয়ে কয়টি দিনের মিলন মেলা।একটি মুহুর্ত একটি ইতিহাসের স্মরনীয় স্মৃতিচারণ।
আমরা স্বামী স্ত্রী বহু কলহপুর্ন দাম্পত্য জীবনের উপসংহার টানি না।
দুজনের সেক্রিফাইজ আর কম্প্রমাইজ এর শিক্ষার মাধ্যমে আবার তাদের দাম্পত্য জীবনের সূচনা দিয়েছি বা এখনো দিচ্ছি। রমজানের মাঝামাঝি তেও তেমনি মিলির সংসার ভাঙ্গার জন্য আমার উদার মনের স্বামীকে ডাক দেন মিলির প্রতিবেশি।আমি রমজান মাসে ও শুক্রবারের বিকাল বেলা দুনিয়াবি ধ্যানে থাকতে পছন্দ করিনা।তাও স্বামির ডাকে মিলির বাসায় হাজির হলাম।অনেক পুরুষের মাঝে আমরা(আমি,মিলি,ও তার ১০/১১ বসরের মেয়েটা) তিন জন মেয়ে মানুষ।সব বুঝতে একটু সময় লাগল।দুই জন দুই জনের অতীত হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছে।মেয়েটা আমার বড় ছেলের বয়সের তাই বললাম মামনি তুমি এখানে এই স্বামীর সাথে সংসার করতে চাইলে তোমার স্বামীর অতীতের সব ভুল ক্ষমা করে তোমার নমনীয়তা দিয়ে তার মনটা নরম কর।অতীত তুলে আগুনে কেরোসিন দিও না।
আলহামদুলিল্লাহ। তাৎক্ষনিক মেয়েটা তাই করতে প্রানপন চেষ্টা করল। তার স্বামীর কঠিন পাথরের হৃদয় গলেনি।সেই দিন ও পরের দিন তাদের বাসায় ইফতারের দোয়ায় এবং পরেও কে মিস করলেই শুধু আল্লাহর কাছে মিলিকে নিয়ে হাত তুলে তার ছেলেমেয়ে নিয়ে তার স্বামীর সংসারে জান্নাতি সুখে থাকার জন্য দোয়া চেয়ে যেতাম।আমি তাকে নিরাশ হতে না করলাম।আল্লাহর রহমতে মেয়েটি তাই করতে থাকল।রমজানে আরো দুই বার মিলির সাথে দেখা করে তাকে ও তার পরিবার কে সবরের উপদেশ এবং কোরান সুন্নাহ সঠিক পথ দেখাবার মত কিছু বই দিয়েছি।মিলি কে ইসলামের জ্ঞানের আলোকিত পথ দেখাতে চেয়েছি ।আমি চাই,পর্দানশীল মেয়েরা স্বামীসন্তান নিয়ে জান্নাতী সুখে সংসার শুরু করুক।
এর মাঝে তৃতীয় পক্ষ বাড়াবাড়ি শুরু হয় ।
মিলিকে তাদের অবিবাহিত ছেলের জন্য নিতে তৈরী হয়।এই খানে আমি ইসলামের সুনিদিষ্ট নীতি অমান্য করায় মিলির জন্য আরো ভয়াবহ দুনিয়াবি ও আখিরাতের অকল্যান দেখলাম।যা আমি মিলির অভিভাবক ও ৩য় পক্ষের অভিভাবকদের প্রানপনে বুঝাতে চেয়েছিলাম। তাতে মিলি আমাকে ভুল বুঝলো।
যেমন ঃ
। মিলিকে ৩মাস ১০ দিন ইদ্দতকালীন সময় দেওয়া হচ্ছে না।
২। ৩য় পক্ষের ছেলেদের সঠিক অবস্থ্যার মধ্যে ছেলের শিক্ষা ও আর্থিক অবস্থ্যা তুলে ধরা হচ্ছে না এবং পরিবারের অন্যদের সাথে পরামর্শ না করে শুধু ছেলের বাবার একক চিন্তায় অগ্রসর হওয়া।তা ছাড়া প্রাবাসী ছেলের কাছে তথ্য গোপন করে অগ্রসর হওয়া।
। মিলি তৃতীয় পক্ষের ছেলের বাবা কে বাবা বলে বলে বেপর্দা মুলুক কাজে জড়িয়ে পড়া।যা দুই জনকেই শয়তান বুঝতে দেয় নাই যে বাবা ডাকলেও তারা কোরানের সুরা নুরের ১৪ জনের বাহিরে।তাই ইসলামের এই সব ডাকাডাকির মাঝেও পর্দা আছে।এই খানে জাহান্নামী বানাত দুই জনকেই।
।তৃতীয় পক্ষের ছেলের বাবা প্রবাসীছেলে কে মিলির ফোন নাম্বার দিয়ে তাদের মাঝেও বেপর্দার ও ভাইবারে ইসলাম লঙ্গন কাজের প্রসার ঘটান।যা দুই জনের জন্য অকল্যান বয়ে আনত।
। আমার ভয় ছিল তৃতীয় পক্ষের ছেলে ও তার বাবা মিলিকে সাদরে গ্রহন করলেও তার ১০+মেয়ে এবং ২+ ছেলে কে যদি মেনে না নেন তা হলে মা বাবা হারা দুই টি বাচ্ছার পুরো ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে।
যা তাদের বাবা কখনো মেনে নিবে না।
।আল্লাহর উপর ভরসাকারী হিসাবে মিলি ৩ টি মাস অপেক্ষা করার মধ্যে আল্লাহ যে কোন মুহুর্তে তার বাচ্ছাদের বাবার মনে স্ত্রী ও বাচ্ছার জন্য ভালবাসার বন্যা বইয়ে দিতে পারেন।কারন তিনি অন্তরযামী।
আলহামদুলিল্লাহ। আজ মিলির প্রতিবেশি জানালেন মিলি কে তার স্বামী নিয়ে গেছেন ।মিলিও সব ব্যাথা ভুলে হাসি মুখে প্রান প্রিয় স্বামীর হাত ধরে আবার সোনালী সুখের সংসার শুরু করেছেন ।আল্লাহ মিলির স্বামীর মাঝে মিলি ও তার সন্তানের জন্য রহমত দিয়েছেন।আল্লাহ সর্বশক্তিমান এটাই তার প্রমান।
মিলি আমাকে ভুল বুঝলেও আমি সব সময় আমার মামনি টার জন্য দোয়া চাইতাম। তাই আমার সাহেব বলল ,পারভীন তোমার কথাই আল্লাহ কবুল করেছেন।আর বাকী সবার ধারনা ভুল ছিল।আসলে ইসলামের বাহিরে জাহান্নাম।সামুয়িক আলোকুজ্জল হলেও তা ছিল মরিচিকা। আর সবার চোখের থেকে শয়তানের পরানো রঙ্গিন চশমা সরে যাওয়াতে আল্লাহ ইসলামের ক্ষমার মাধ্যমে সবার উপর রহমতের চাদর ঝড়ায়ে দিয়েছেন। তাই তৃতীয় পক্ষের ছেলের বাবা ও ছেলে অনেক খুশি হয়েছেন। কারন তারাও চেয়েছে মিলি সুখে থাকুক। আর আমি চেয়েছি মিলি দুনিয়া ও আখিরাতে জান্নাতুল ফেরদাউসের সুখে আল্লাহ দুজাহানেই রাখুন।
আমি চাই,মেয়েরা স্বামীসন্তান নিয়ে সবাই আবার জান্নাতী সুখে সংসার শুরু করুক
মিলি মা মনি আমি তোমার কাছে ক্ষমাপার্থী।আমি আজ অনেক অসুস্থ্যতা নিয়ে লিখছি আনন্দের সাথে ।কারন আমি আল্লাহর কাছে যা চেয়েছি আল্লাহ তোমার জন্য সেই ফয়সালা করে দিয়েছেন। এতেই জান্নাতি সুখ আল্লাহ তোমাকে দিবেন ।ইনশাল্লাহ। ইসলামের বাহিরে কার্যকলাপ হলে সেখানে বাধা দেওয়াও ইসলামের ফরজ আদেশ।সুরা ইমরানের ১০৪ ও ১১০ আয়াত পড়ে দেখ।আমি আসব ইনশাল্লাহ তোমার বাসায়।আবার তোমার স্বামীকে সেই দিনের বলে কি কি খাব তা আনাব ।ইনশাল্লাহ। তোমার স্বামীকে আআমার সালাম দিবে।ও খুব ভাল ছেলে।এই বার ও আর নাস্তা খাওয়াতে পারবে না।
আল্লাহ তোমাদের সহ সকল স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানদের নয়নশীতল কারী মুত্তাকিনদের ইমাম বানিয়ে দিক।
বিষয়: বিবিধ
১৮২৫ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বেশিরভাগ সময়ই দেথা যায় যে পিতা মাতা সন্তান এর ইচ্ছা ও রুচি কে গুরুত্ব না দিয়ে বিয়ে দেন এমন কারো সাথে যেটা উভয়এর জিবনে সমস্যা সৃষ্টি করে। এই বিষয়ে অভিভাবক দের সতর্ক হওয়া উচিত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন