মা তুমি কেন আমায় ফাঁকি দিলে?
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৯ আগস্ট, ২০১৫, ১২:২২:৪৮ দুপুর
হা হা হা! বড় খালাম্মা, দেখেন কাকে নিয়ে এসেছি।
মনে মনে রুবির হাসি দেখে ভাবলাম,মেয়েটা ৩ বাচ্চার মা হলেও ছোটই রয়ে গেল।
একটু পরেই দেখি রুবির পিছনে আমায় গর্ভধারিনী মা জননী। এতো অসুস্থতা র চাপে দুর্বল হয়ে পড়েছি যে, মাকে পেয়ে খুশির টানে শরিল নিয়ে শোয়া থেকে উঠে যে দাঁড়িয়ে মায়ের গলা জড়আয়ে ধরে বলব, মা গো মা তুমি বড্ড অভিমানী " এতো দিন আমায় না দেখে কেমন করে রলে।
না অনেক টা ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ তোলার মতই দেহটা কে টেনে তুলে বসাতেই মা সামনে এসে হাজির।
বসা থেকেই সামনে দাঁড়ানো মাকে ঝাপটায়ে দুই হাতের সর্বশক্তি দিয়ে ঝড়ায়ে ধরে রাখলাম। আমার মাথাটা মায়ের হৃদয় স্পন্দনের উপর ছিল। তাই আমার নাম টা সেখান থেকে উচ্চারণ হচ্ছিল তা আমি শুনছিলাম।অনেক কথা বলার ছিল আমার।কিন্তু আমার যে মুদ্রা দোষ কাউকে বেশি ভালবাসলে তার সাথে অভিমানে আবেগ প্রবল হয়ে মুখের ভাষা অচল হয়ে তা বুক মুখ দিয়ে না বের হয়ে মুষলধারায় দুই নয়ন দিয়ে ঝরতে থাকে। তাই মায়ের বুকে মাথা রেখে অনেক কান্দছিলাম। এমন সময় ফোনটা বেঝেই চলল। অসহ্য এক যন্ত্রণা।
একটা জুলুমবাজি করে মোবাইল ফোনটা। নামাজে প্রোগ্রামে বা মজাদার কোন রান্নাকরার সময় বা প্রিয় কোন ব্যক্তির সাথে মনযোগী হলে তার বেঝে উঠা চাইই চাই।
মা বুকের থেকে মাথাটা তুলে আমাকে বলল, মোবাইলের ফোন্টা ধর। আমি এই সময় এক পলকে মাকে দেখি ইরানী মেয়েদের মত মা কি সুন্দর বোরকা হিজাব পরে আসল।কি ঘ্রান মায়ের গায়ের। নুরানি আলো মায়ের চেহারায়। আমার মাথায় হাত কি হাত বুলায়ে দিল।
আমি ফোন ধরতে গেলাম। রুবি আর মাকে দেখলাম আমার মা মনির রুমে ডুকল।আমি ফোন্টা রেখে দোড়ায়ে মায়ে খোজে আমার মা মনির রুমে ডুকে জিজ্ঞাস করলাম, মামনি তোমার নানু কই? মামনি প্রথম বুঝতে পারে নাই। ২য় বার জিজ্ঞাস করার পরে এসে আমাকে ঝড়ায়ে ধরে খাটে শোয়াচ্ছে আর বলছে,মামনি আপনি নানুকে স্বপ্ন দেখেছেন।
আমি তখন মায়ের বুকের ঘ্রান পাচ্ছিলাম। আমার হাতে তখন মায়ের গায়ের উষ্ণতা অনুভব হচ্ছিল।আমি মা মা মা বলে অনেক কেন্দেছি আর বলেছি মা তুমিও আমার ভালবাসার সাথে লুকোচুরি খেললে। তাই আমার এখন বিশ্বাস হচ্ছে না মাকে আমি স্বপ্নে দেখেছি।
আমি যতবার বেশিদিন অসুস্থ্য থাকি মা ততবার এসেছে আমায় দেখে যেতে। কারন আমি ময়দানে সফরে পথে দ্বীনের কাজে বা এবাদতে আমি মা বাবার জন্য আল্লাহ নির্বাচিত দোআ পড়তে থাকি। জানি না এই গুনাহগারের দোয়া কবুল হয় কিনা। কিন্তু আমি অসুখ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকলে আর সেই ভাবে আল্লাহর সাহায্য চাইতে পারি না।
আমি সব সন্তানদের বলব, মা বাবা যাদের আছে তারা আমার মত হারায়ে কান্না না করে, বেচে থাকতে উনাদের সাত্থে সেবা যত্ন করে আখিরাত এর জান্নাত কিনে নাও। স্ত্রীর জন্য মাকে গালি দিও না। মা বাবা পৃথিবীতে একসেটই হয়। যাদের মা বাবা বেচে আছে উনাদের নেক হায়াত ও সুস্থ্যতা দান করুন।আর যাদের নেই আমার ও তাদের মা বাবা কে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন।আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১২৮৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন