পুতুলের মায়ের সাথে হাসবে সকল রাজনের মায়েরা , হাসবে সকল লোক ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৬ জুলাই, ২০১৫, ০২:১০:৪৬ রাত
পুতুলের মায়ের সাথে হাসবে সকল রাজনের মায়েরা , হাসবে সকল লোক ।
আগে না বুঝলেও এখন দেখি বাবা কান্দতেও শক্তি লাগে । বিনা মেঘে বৃষ্টি হলেও দুঃখ ছাড়া নয়নে বারিধারা ঝরে না । সন্তানের থেকে পাওয়া দুঃখ বহন করা কঠিন ও ভারী পাথরের বোঝা বহনের চেয়েও বেশি কষ্টের । পেটে থাকা সময় থেকে বিন্ধু বিন্ধু লোহিত কনিকা মায়ের দেহ থেকে গ্রহন করে এই সন্তান দুনিয়াতে আসার প্রসব যন্ত্রনা সয়ে দুনিয়াতে আসেন। তাও একদিন না দুই দিন না গ্রাম অঞ্চলে ৪/৫ দিনের ব্যাথা সয়ে মা ভুমিষ্ট হওয়া সন্তানের মুখ দেখে সব ভুলে যান ।
আবার সব ব্যাথা ভুলে বুক চিপে চিপে শাল দুধ বের করে সন্তানের মুখে দেন । হায়রে মা জননী । এখন কোথায় কেমন আছো জানি ? শুকতে সন্তান কে শুইয়ে প্রসাবে ভিজায় নিজে শুয়ে সন্তান লালন পালন করে । নিজের মুখে খাবার না দিয়ে সন্তানের মুখে দিয়ে দেয় আর হাসে।প্রতিদিন চেয়ে চেয়ে দেখে কত খানি বড় হল বাচাধন আমার রে ।স্কুলে পাঠায় সন্তানরে মা সাজায়ে পাড়ায়ে । চোখের দৃষ্টি যতদুর যায় মা চেয়ে থাকে । পড়তে বসলে সতানের মাথায় হাত ভুলায়ে বলে ,আর অল্প কয়দিন পরে সোনামনি বাচাধনেরা আমার জজ ব্যারিস্টার হবে। দুঃখ খুচাবে তখন আমার যখন বাচাধনেরা হবে মস্তবড় অফিসার ।
সংসারের অভাবে হাল ধরে রাজন যায় সবজ্বি বেচতে হাটে । কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে কামরুলরা ভিমরুলের মত আক্রমন করে ধরে । লোহার বাড়ি সন্তানের হাড্ডি ভাঙ্গে মায়ের ভাঙ্গে কলিজার পাজর খানি।পানি চাইলে ঘাম দিল খেতে দিল না পানি। আহারে জনম দুঃখী মা কেমন এই বার মুখে দিবে পানি। মা পানি গ্লাস সামনে নিলে রাজনের ছবি ভেসে উঠে বলে মা হায়নারা আমায় দিল না এই পানি।বাবার কান্দে ছেলের ;লাস অনেক ভারী ।রাসুল সা বলেছেন ,তা বহন করা নয়ত অনেক সোজা বাবার কাধখানি। অত যতনে বাবা রাখে মাটির কররের ঘরে । খালি হাতে কেন্দে কেন্দে ঘরে ফিরে , মাইয়ের বুকের শুন্যস্থান থেকে আসে আর্তনাথ , বলো নাগো রাজনের বাবা আমার রাজন একলা কি ভয় পায়?
এমন করে কেন্দেছিল আর ওণেক মা ।শহিদ শিপন মুজাহিদ জসিম জনি বিশ্বজিতের মা। কেমন ব্যাথা লেগেছিল কেউ তা বুঝে নাই। লগিবৈঠা ,পিস্তলের গুলি আর চাপাতির আঘাত কসাইয়ের গরু মাংস কাটার চেয়েও বড় কসাই ছিল আমাদের সোনার ছেলেরা ।কেউ তো সেদিন প্রবাস থেকে নয় বাংদেশের ভিতর থেকে অপরাধি খুজে ধরে দেয়নি কেউ ।আজও কান্দে সেই সকল রাজনের মায়েরা আর বিচার পায়নি বলে ।
হবু চন্দ্রের বাংলা দেশে আমরা বাস করছি গবুচন্দ্র সবে। কান্দতে কেউই মারবে নাকো যতই মরুক ছেলে স্বামী সন্তানের শোকে । কান্দলে সবার রিমান্ড হবে নয়ত মরতে হবে শুলে। ডিজিটেল বাংলাদেশে ঘরে ঘরে চাকরী আর ১০ টার চাল না পেলেও খুজে নিবে রাজনদের লাস ঘরে ঘরে । কান্দতে কিন্তু পারবে না কেউ যতই লাস আসুক ঘরে । পুতুলের মায়ের সাথে হাসবে সকল রাজনের মায়েরা , হাসবে সকল লোক ।
উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশের সকল লোক ।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন