একজন বাবা কি এতো নিষ্টুর হতে পারে ?

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৯ জুন, ২০১৫, ০৩:০১:০৬ রাত



অসুস্থ্য হলে সুখ থাকে না। কিন্তু অনেক দায়িত্ব থেকে মেয়েরা তখনো নিজেকে মুক্ত করতে পারে না। মামনি টা ইফতারের দায়িত্ব নেওয়াতে আসরের পর থেকে ইফতারী পর্যন্ত আর দুনিয়াবী কিছুর দিকে মনোনিবেশ করতে মন চায় না। তার মাঝে রিমিঝিমি শব্দ করে আকাশের কান্না।কারো কান্না দুঃখ কষ্ট মেঘাছন্ন বা ভারাক্রান্ত হৃদয় দেখলে নিজের কষ্টের কথা ভুলে যাই।আল্লাহর সাহায্য চেয়ে চেষ্টা করি যেন তার মনটা প্রশান্তি লাভ করুক ।তাতে আমার শান্তি ও স্বস্তি লাভ হয়।

সাহেব বাংলাদেশের আইনজীবি দের বিচার করেন। কিন্তু অনেক সময় পারিবারিক কলহের সমস্যা গুলো তার কাছে আসলে আইনের পেশার কথা ভুলে তাদের মাঝে আবার শান্তি ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেন । সেই সময় আমার তলব উনি না করে ছাড়বেন না। আলহামদুলিল্লাহ বহু পরিবারের মধ্যে সমোঝতা হয়ে উনারা সুখেই দাম্পত্য জীবন কাটচ্ছে সন্তানদের নিয়ে।

অসুস্থ্য হলে যিনি নিজেই রান্নাও করে রেখেদেন।আর সেই তিনি রোযার বিকাল বেলায় জরুরী ভিত্তিতে উনার সান্নিধ্যে হাজির হতে ফোন দেন।বাসার সবার ধারনা তাদের মা অসুস্থ্য তাই তাদের বাবা আজ তাদের মাকে ভালবাসার স্প্যেশান একটা ইফতারী খাওয়াবে।যা তিনি পূর্বেও বহু বার করেছেন।না আমি হাজির হয়ে তেমন কিছুই পাইনি ।আমি একটা বাসায় গিয়ে পেয়েছি ৮ জন পুরুষ ও দুই বাচ্ছা সহ একজন যুবতী মাতা বিরহ ব্যাথায় ক্লান্ত পরিশ্রান্ত। উত্তজিত ,কর্কষ ভাষায় একতরফা অভিযোগ করে যাচ্ছেন স্ত্রীকে। পরিচিত হবার পরে দেখি দাম্পত্য কোলহ ও আজই তালাকনামা দিয়ে স্ত্রী কে বাচ্ছা দুই টা সহ বিধায়।

আমি জানতে চাইলাম উনাদের দুই জনের কাছে, আপনাদের সমস্যা কোথায়? ভদ্রলোক সাধু ভাবে এক বাক্যে জানালেন আমি এই মহিলা নিয়ে সংসার করতে পারব না।তার কারন হিসাবে জানালেন উনার কলিক গার্লফ্রেন্ডকে উনার বাসায় এসে বেড রুমে দেখে কেন সন্দেহ করল ও অপমান করল। আগেও কেন এই সন্দেহ থেকে উনার স্ত্রী উনার অফিসে যেত।আর বাচ্ছাদের মায়ের অভিযোগ ঐ মহিলার সাথে এই বাচ্ছার বাবার বিয়ের আগে থেকেই সম্পর্ক। মেয়ের বাবার টাকার লোভে পড়ে বিয়ে করে ৩ বছর মেয়ে ও তার বাবা সরল মনে অনেক বড় ব্যাবসা ও মেয়ের সুখের জন্য সব কিছুই ছেলের জন্য করেন।বাচ্ছারা দুই জন হবার পর থেকে আস্তে আস্তে মা বাচ্ছাদের লালন পালন ও সংসার সাজানো নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়লে তাদের বাবা বিদেশে ব্যবসার কাজে ১/২ সপ্তাহের জন্য যান বলে আবার পূর্বের প্রেমিকার সাথে ঘনিষ্ট থেকে ঘনিষ্ট হতে থাকে।আর নিজের অফিসেই কাজ দেন।তাদের অশালীন আচরন কর্মচারীরা বাচ্ছাদের মাকে জানাতে থাকে।

এই নিয়ে ১১ বছর দুই জনের মাঝে তুষের আগুন ঝলতে থাকে ।বাবা মা কে বহু দিন এই ব্যাপার তুললে মারধর করেন । আর সেই আগুনের অগ্নিকুন্ডের মাঝে বাচ্ছারা বড় হতে থাকে.।এর মাঝে তাদের ১০ বছরের মেয়ের চোখে বাবার কুকৃর্তি ধরা পড়ে ও বাবার বারন শর্তেও মাকে জানান।তাতে মা রাগ করে মায়ের বাবার বাড়ি চলে যান। তাতে ভদ্রলোকের মনের ষোল কলা পূর্ন হতে থাকে।আর এপার্ট্মেন্টের অন্যরা সেইপ্রেমিকার অবৈধ আসা যাবার ও থাকার কথা সব বাচ্চার মাকে জানান।আর সত্যিই তা হাতে নাতে ধরে ফেলেন। এই টাই হলো মেয়েটার অপরাধ।তাই আর তার সাজানো বাসায় সে থাকতে দিবে না এবং দুই বাছা সহ তালাক দিয়ে একবারেই বিদায়।যা বাচ্ছারা ও মা মেনে নিতে পারছিলো না।বাচ্ছা মেয়েটা বার বার আদরের বাবাকে গলা ঝড়ায়ে বুঝাতে প্রানপন চেস্টা করছিলো যে তারা তাদের বাবা কে সারা থাকতে পারবে না।ফুটফুটে ৩ বছরের ছেলেটা বাবার কোল থেকেও মোতেও নামছে না । তাদের মা বাচ্ছাদের ভবিষ্যৎ ভেবে বার বার স্বামীর পা ঝড়ায়ে ক্ষমা চাচ্ছিল ।তাকে বাচ্ছাদের বাবা ও স্বামী হিসাবে অনেক ভালবাসা উদাহরন তুলে ধরেছিল।বাচ্ছাদের প্যারালাইস্ট দাদা দাদীর পায়খানা পেসাব সেবা যত্ন সব করার কথাও স্মরন করে কান্দছিল। নিরেট পাথরে ফুল ফুটে না।

আমি কোন ভাবে আর নিজেকে সামলাতে না পেরে কোরান হাদিসের অনেক উপমা তুলে ধরলাম।তার ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ কি তার মতই হবে তাও বললাম ? কিন্তু অন্ধকে মনে হচ্ছিলো হাতী দেখালাম। পরে বাচ্ছাদের মা কে বললাম, আপনার এই মাথা তো শুধু আল্লাহর কাছে নত হবে ।এই পাষান্ড স্বামীর পায়ে মাথা পিটায়ে মাথা খন্ডবিখন্ড হলেও কোন লাভ হবে না।আর এই চোখের পানি কোথার নর্দমস্র কীতেড় কাছে ফেলছো ।তার চেয়ে আল্লাহর কাছে ফেল ।বাচ্ছাদের নিজে মানুষ কর এই নোংরা মনের বাবার ছায়া থেকে দূরে রাখো। তুমি শিক্ষিত মেয়ে কেন নিজেকে এতো অসহায় ভাবছ? হারাম উপভোগে যেই শান্তি সে খুজছে তা জাহান্নাম । আল্লাহ তোমাকে কি শুধু স্বামী সন্তান এই নিয়ে দুনিয়াতে কাটাতে পাঠায়েছে। আল্লাহ যা করেছেন ভালর জন্যি করেছেন। একটু সময় দাও তার চোখের রঙ্গিন সানগ্লাস খুলে গেলে আবাড় টমাড় কাছে আসবে।তার মেয়ে বলে,মা চলে আসো ,বাবা আর আমাদের জন্য নয়। এই বাসা আমাদের নয় ।

আমি এই খানে যা দেখলাম ,তা হল শুধু ইসলামী মুল্যবোধের অভাব ।আর তাদের কথা আমি শুধু বলব না । সারা বাংলাদেশে দাম্পত্য কলহ এখন মহামারী আকারে ধারন করছে ।এটা কি ইউরোপীয় কালচার শুরু হয়েছে।মেয়েরা বাবার কাছে , ভাইয়ের কাছে , স্বামীর কাছে তাদের কে ইসলাম দেওয়া ন্যায্য অধিকার চাইতে গিয়ে সম্পর্কের বাধন থেকে ছিড়ে পড়ে যাচ্ছে।মা কে মায়ের মর্যাদা দেন ,স্ত্রীকে তার পূর্ন অধিকার দেন।এতিম বোনকে তার বাবার সম্পদের বন্টন পূর্নভাবে বিজিয়ে দেন।সামান্য দুনিয়ার জীবন এর পরীক্ষার সামগ্রী হালাল ভাবে ঊপভগ করুন।রমজানের পরিত্রতা রক্ষা করুন। তাকওয়া য়র্জন করে দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা হাসিল করুন ।আমিন ।



বিষয়: বিবিধ

১৭১১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

327894
২৯ জুন ২০১৫ রাত ০৩:০৮
অপি বাইদান লিখেছেন : ইসলাম ধর্মে বিয়ে না করে দাসীদের সাথে যৌনতা হালাল?
২৯ জুন ২০১৫ সকাল ০৬:৪৪
270227
ছালসাবিল লিখেছেন : ডারলিং Love Struck ডারলিং Love Struck তোমাকে চিনে ফেলেছি Love Struck হিন্দু ধর্মে আছে এই সিসটেম যাকে বলে সেবাদাসী Love Struck
327964
২৯ জুন ২০১৫ রাত ১০:৩২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
আমরা তো ইসলাম কে এড়িয়ে যাওয়া কেই এখন সমাধান মনে করি।
328355
০২ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:২৯
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : ইসলাম একটা ধর্ম না ইসলাম একটা জীবন বিধান যেখানে একজন মানুষের চলাফেরার সব আদেশ এবং নিষেধ বলে দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File