আসুন আমরা আল্লাহর কোরানের দলের সৈনিক হই ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৯ মে, ২০১৫, ১২:০৪:৪২ রাত
আসুন আমরা আল্লাহর কোরানের দলের সৈনিক হই ।
আপনি এক সময় ইসলামের অনেক বড় ঝাঝরাল নেতা ছিলেন ।আমি আপনাকে অনেক সন্মান ও শ্রদ্ধা করছি । কারন তখন ইসলামেরও সোনালী যুগ ছিল । তাই ইসলামের জন্য বাংলার জমিন ছিল উর্বর । আপনার ঝাঝালো বক্তব্য ছিল শ্রুতি মধুর । আপনার থেকে ইসলামের আলো নিতে কোরানের জোনাকীরা আসত ঝাকে ঝাকে ।
এখন কেন ময়দানে আপনাকে খুজে পাওয়া যায় না । আপনি কাদের সাথে এখন আছেন । কোথায় গেল আপনার সেই জ্বালাময়ী ভাষন । আল্লাহর গোলামী ছেড়ে কি দুনিয়ার তাগুতের অনুসারী হয়ে ইদুরের গর্তে আছেন জানের মালের মায়ায় ।
বেশি কিছু লাগবে না আপনি এখন শুধু একটা ইউনিট পরিচালনা করে আপনার ঈমানের বারুত কতটুকু তার প্রমান দেন । নিজে ইসলাম থেকে লোকালেও আপনার লেবাস তো খুলে ফেলেতে পারেন নাই ।
আপনি ভয়ে ভীত সন্ত্রস্থ । তা আবার অন্যের মাঝে ভাইরাসের মত ছড়াচ্ছেন কেন ?রাসুল সা কে দেখেও আবুজেহেল আবু লাহাব কাফের রয়ে যায় । আপনি কোরান দেখে আর রাসুল সাঃ এর সুন্নাহ শুনেও কি হয়ে থাকবেন সমাজে । আপনাকে কাফের মুনাফেক নাকি ফাসেক কোন নামে আল্লাহড় কাঠগড়ায় দাড়াবেন ?আল্লাহকে ভয় করুন । জান মাল হারাবার ভয় কেন ? এই গুলো তো মনিবের দেওয়া আমানত।
শহিদের রক্তের সিড়ি বেয়ে ইসলামের পতাকা এই বাংলার বুকে উড়বে।ইনশাল্লাহ।
ইসলাম ধর্মের হেফাযত করা আল্লাহর দায়িত্ব । আপনার আমার ইসলামে থাকা না থাকা দিয়ে ইসলামের কোন ক্ষতি হবে না । বরং ক্ষতি গ্রস্থ্য হবো আমি আর আপনি দুনিয়াতে আর আখিরাতে ।
আসুন আমরা চোরের ডাকাতের সন্ত্রাসী বা ধর্ষনের সেঞ্চুরী করা সোনার ছেলেদের দলে শামিল না হয়ে আল্লাহর কোরানের দলের সৈনিক হই । কোরানের মাধ্যমে আমরা তাকওয়া অর্জন করে মুত্তাকীন মুসিনিন হতে পারব । কোরান কায়েমের জন্য জামায়াতে জীন্দেগী গঠন করে আল্লাহর আল্লাহর বিধান কায়েম করে ব্যাক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রে মানব জীবনে শান্তি প্রতিষ্টা করতে হবে।
সৎ লোক ও যোগ্যলোক গঠনের জন্য আল্লাহ কোরান অবতরন করেন । এর ভিতরে শান্তি এর বাহিরেই জাহান্নাম এর চেয়ে ভয়াবহ অশান্তি । আপনার আমার সবার ভুমিকা এখানে উল্ল্যেখ যোগ্য ভাবে রাখতে হবে । তা হলেই ইসলামী আন্দোলন শক্তিশালী হবে । ভ্রাতৃত্ব ভালবাসা ও ঐক্যের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোরান কে মজবুত ভাবে ধরে রাখতে হবে ।
" যে ব্যাক্তি জামায়াত থেকে বিছিন্ন হয়ে মৃত্য বরন করবে তার মৃত্যু হবে জাহিলিয়াতের মৃত্যু "। মুসলিম
বিষয়: বিবিধ
১৫২৫ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ আমাদের মাফ করুন এবং সৎ পথে থাকার তফিক দান করুন।
আলহামদুলিল্লাহ । আল্লাহ আমার আপা দুলাভাইকে দুনিয়া ও আখিরাতে জান্নাতুল ফেরদাউসের শান্তি দান করুন ।আমিন
কিন্তু তারপর পরই মনে হলঃ কোরানের দলের সৈনিক হিসাবে
১। কেন আমরা 'কোরানের আলোকে' আমাদের ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সমস্যাগুলো একে একে চিহ্নিত করার আহ্বান জানাবো না? তারপর
২। কেন আমরা সমস্যাগুলোকে ক্লাসিফাই করার আহ্বান জানাবো না?
৩। কেন আমরা চিহ্নিত করবোনা ঐ সমস্যা সমূহের প্রকাশ সম্পর্কে কোরান কি বলেছে, কার দ্বারা, কখন, কিভাবে, কোথায় কোথায় কোন কারনে ঐ সব সমস্যা বিমূর্ত হবে?
৪। কেন আমরা দেখবোনা কোরানে বলা ঐ সমস্যা সমূহের প্রকাশে কারা, কখন কিভাবে কোথায় কোথায় কোন কারনের মাধ্যমে ঐ সমস্যা সমূহের প্রচার ও প্রসার করেছে? তার মানে আমরা রিয়েল লাইফে ঐ সব সমস্যা সৃষ্টিকারী এ্যাক্টর দের এনটিটি দের আইডেন্টিফাই কেন করবো না?
৫। যেহেতু আল্লাহ সমস্যার কথা বলেছেন, এ জাতীয় সমস্যার সন্মুখীন কোরানের অনুসারীরা হবে তাও বলেছেন এবং সে সাথে সমাধান ও বাতলেছেন - তবে কেন আমরা সে সব সমাধানকে সামনে আনবোনা?
৬। আমরা যদি সামহাউ এটা পরিষ্কার করতে পারি যে আজকের সমস্যা সাহাবীর রাঃ কিংবা তাবেঈন রঃ কিংবা তাবে তাবেঈন রঃ হতে ভিন্ন - তবে নিশ্চিয় ঐ সময়কার সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে ব্যবহার করা কৌশল ও কার্যাবলী গ্রহন না করে আজকের সময়ের সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে কোরানে বলা সমাধান গুলো নিয়ে কাজ করবো।
৭। আমাদের আলেম ও ওলামা ও ইসলামিক চিন্তাবিদ দের দরকার আজকের সমস্যা সৃষ্টিকারী মানুষদের কোরানের আলোকে আইডেন্টিফাই করা এবং তাদের সাথে সে ভাবে ডিল করা যেভাবে কোরান ডিল করতে বলেছে।
মূলতঃ আমাদের দরকার গৎবাঁধা, স্যেকুলার বিচার বিশ্লেষন বেইজড কিংবা পারসেপশান বেইজড ধারনার আলোকে সমস্যা চিহ্নিত না করে কোরান দ্বারা সমস্যা চিহ্নিত করা।
আর তারপর স্যেকুলার ধ্যান ধারনার আলোকে কিংবা হেকমাহর আলোকে সমাধান খুঁজে তা বাস্তবায়নের আগে কোরান দ্বারা জাস্টিফাই না করে - সরাসরি কোরানিক সমাধান এ্যাকসেপ্ট করে তা বাস্তবায়ন করা।
এতে অন্তত এ উপকারটুকু হবে যে - আজকের সমস্যা সমাধানে আজকের সময় উপযোগী কোরানিক সমাধান ট্রু মুমিন প্রত্যক্ষ করবে। আর আজকের সমস্যা সমাধানে ৫০ কিংবা ১০০ কিংবা ১২০০ কিংবা ১৪০০ বছর আগের কোরানিক সমাধান কে ব্যবহার করে ব্যার্থ মনোরথ হতে হবে না।
ধন্যবাদ আবারো ধারালো, ইমোশান উদ্রেককারী লিখা শেয়ার করার জন্য।
আপা আসসালামুয়ালাইকুম ।এক ফরজের বেলায় স্বামীদের প্রতি স্ত্রী দের ঘর থেকে আল্লাহর কাজে বের হবার জন্য এই আদেশ । আর হজ্জ ছাড়া অন্য ফরজের আদায়ের বেলায় কি ভিন্ন মতামত চলবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন