আপনা্র বিবেককে আপনি জিজ্ঞাসা করুন আপনি কোন ক্যাটা্করীর আল্লাহর গোলাম ।

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৭ মে, ২০১৫, ০১:৫৩:০৬ রাত



আপনা্র বিবেককে আপনি জিজ্ঞাসা করুন আপনি কোন ক্যাটা্করীর কর্মচারী।

আপনি চাকরীর বেলায় শুনেছেন ৪ প্রকারের কর্মচারীদের ৪ ক্যাটাকরীতে বেতন ভোগ করেন ।

১ । ১ম শ্রেনীতে প্রধানমন্ত্রী , মন্ত্রী ,উপমন্ত্রী , এমপি রা

২। ২য় শ্রেনীতে সচিব উপসচিব বা অফিসার রা।

৩। ৩য় শ্রেনীতে বিভিন্ন অফিসের ক্যারানীরা

৪। ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী বা সরকারের সকল সাধারন কর্মচারীরা । এইখানে সরকারী ড্রাইবার ,সুইফার ,ধাড়ুদার মালী সব শ্রেনীর কর্মচারীরা আছেন ।

আপনি যখন কলেমা পড়ার মাধ্যমে আল্লাহকে প্রভু বা মনিব হিসাবে আল্লাহর গোলাম বা কর্মচারী হয়ে যান । আপনা্র বিবেককে আপনি জিজ্ঞাসা করুন আপনি কোন ক্যাটা্করীর কর্মচারী।

১। ১ম শ্রেনীতে মুত্তাকীন -

যারা বিনাবাক্য ব্যায়ে আল্লাহর রাসুল সাঃ এর পদর্শিত পথে কোরানকে জীবন বিধান হিসাবে মেনে নিয়ে কর্মকান্ড পরিচালনা করেন সাহাবাদের মতন।

তাদের জীবন , মরন , গোলামী ও সমস্ত ত্যাগ আল্লাহর রাহে জান্নাতের বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। দুনিয়ার কোন মোহে নিজে ঈমান কে দুনিয়ার কাছে বিক্রি করে দেননা।

২।২য় শ্রেনীতে মুহসিনিন -

যারা প্রানপন চেষ্টা করে আল্লাহর হুকুম আহকাম মেনে চলে মুত্তাকিনদের কাতারে নিজেদের হাজির করতে ।আল্লাহকে ভয় করে হেদায়তের পথে চলে হুদাল্লিন মুত্তাকিন হতে চান। ওবার বার তাওবা করতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে চেষ্টা করে যান ।

৩।৩য় শ্রেনীতে মুসলমান - যারা ঈমান আনার পর কোরানের থ্রীউরী্ক্যাল অনুসারে প্র্যাক্টিকেল মিল রেখে জীবন্ত কোরান হিসাবে নিজেকে পরিচালিত করার জন্য মনিবের আনুগত্য ও রাসুল সাঃ আদর্শ অনুসরন করতে চেষ্টা প্রানপন চেষ্টা করেন।

৪। ৪র্থ শ্রেনীতে মুমিন । (এখানে ইসলামের লেবাস পরা মুনাফিক ফাসেক সবাই আছেন )

এই খানে লক্ষবার কলেমা পড়া কিন্তু বাস্তব জীবনে তার মিল নাই , আবার কোরান বহুবার পড়েন কিন্তু কোরান কায়েমের কোন চেস্টা করেন না, নামাজ পড়ে কোপালে দাগ ফেলেদেন কিন্তু সুদ ঘুষ হারাম হালাল কিছুই মানেন না ,আবার মুমিনা হিসাবে নামাজ পড়েন আর আজান শুনলে মাথায় কাপড় দেন হুলুস্থুর করে কিন্তু এর পরে আর পর্দা তো দূরে থাক গায়েও উড়না রাখেন না। কোরানের ও সুন্নাহর যেই টুকু সুবিধা সেই রকম কিছু অংশ মানেন।

এই বার আমাদের ভাবনার বিষয় আমি কোন শ্রেনীতে আছি । আর আমার প্রমোশন এর জন্য আমাদের রমজানের আগেই কোরান হাদিসের আমল বাড়াতে হবে । এখন থেকেই পরিকল্পিত ভাবে আমার আমল এর পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য উঠে পড়ে লাগতে হবে । রমজানের আমলের মৌসমে আমলের গোলা ভরানোর কাজ আমাকে আজ থেকে নিজেকে মুহসিনিন করতে চেস্টা করি । —

বিষয়: বিবিধ

১৫৩৯ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

320468
১৭ মে ২০১৫ রাত ০২:৩৪
শেখের পোলা লিখেছেন : বেআদবী মাফ চাই, একটু কথা আছে৷ যদিও মুমিন ও মুসলীম শব্দ দুটি একে অপরের যায়গায় আসে তবুও দুুটার মাঝে সামান্য তফাত আছে৷ বেদুইন দাবী করলো সে মুমীন হয়েছে৷ আল্লাহ নবী সঃ কে বললেন বলুন বরং তোমরা মুসলীম হয়েছ৷ তোমাদের অন্তরে এখনও ইমান যায়নি৷ এখানে বলা যায় মুমিন মুসলীমের উপরের স্তর৷ আবার মক্কায় মুমিনরা ছিলেন, তাই সেখানে মুনাফেক ছিলনা৷ মদীনায় মুসলীম হলেন আর তাদের মাঝে মুনাফেক ছিল৷ আমরাও মুসলীম,তাই আমাদের মাঝেও মুনাফেক আছে৷ ধন্যবাদ৷
১৯ মে ২০১৫ রাত ১০:০৩
262210
সত্যলিখন লিখেছেন :


"ইবরাহীমকে তো আমি দুনিয়ায় নিজের জন্য নির্বাচিত করেছিলাম আর আখেরাতে সে সৎকর্মশীলদের মধ্যে গণ্য হবে ৷তার অবস্থা এই যে, যখন তার রব তাকে বললো, “মুসলিম হয়ে যাও ৷” তখনই সে বলে উঠলো, “আমি বিশ্ব-জাহানের প্রভুর ‘মুসলিম’ হয়ে গেলাম ৷ ” সুরা বাকারা
মুসলিম কাকে বলে৷ যে ব্যক্তি আল্লাহর অনুগত হয়, আল্লাহকে নিজের মালিক , প্রভু ও মাবুদ হিসেবে মেনে নেয়, নিজেকে পুরোপুরি আল্লাহর হাতে সোপর্দ করে দেয় এবং দুনিয়ায় আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করে সে-ই মুসলিম । এ আকীদা-বিশ্বাস ও কর্মপদ্ধতির নাম 'ইসলাম' ।

জ্ঞানের স্বল্পতায় আমি অনেক নীচু মানের ।আপনাদের থেকে জানার জন্য মাঝে মাঝে কলম হাতে নেই । এই ছাড়া আর কছুই নয় । তাও ভুলের জন্য ক্ষমা পার্থী।







320471
১৭ মে ২০১৫ রাত ০২:৪২
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
হাদিসে জিবরিল দ্বারা প্রমাণিত দ্বীনের স্তর হলো তিনটি, যথাঃ ইসলাম, ঈমান ও ইহসান।
১- সর্বোচ্চ স্তর-ইহসান(তাকওয়া ইহসানেরই একটি স্তর)
২- দ্বিতীয় স্তর- ঈমান এবং
৩- সর্বনিম্ন স্তর- ইসলাম
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
১৯ মে ২০১৫ দুপুর ০২:১৪
262107
সালাম আজাদী লিখেছেন : আসলে মুহতারাম লেখিকা যে চারটা স্তর দেখিয়েছেন তা মনে হয় ঠিক আছে। তবে আযহারী সাহেব যা বলেছেন 'ইহসানের' স্তর টা হলো সবার উপরে। ঈমান, ইসলাম, তাক্বওয়া ও ইহসান। এইভাবে বললে কুরআন হাদীসের সাথে মিলতো। আসলে তাক্বওয়ার ও একটা স্তর আল্লাহ বলেছেন যা ঈমান ও ইসলাম পালনের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়, এবং এরই প্রভাবে ইহসানের দুইটি স্তর অর্জন সম্ভব হয়।
সূরা আলমাইদার এই আয়াত টি মনে হয় হাদীসে জিব্রীলের সাথে পাড়লে বিষয়টি স্পস্ট হবে:
لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوا وَّآمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ ثُمَّ اتَّقَوا وَّآمَنُوا ثُمَّ اتَّقَوا وَّأَحْسَنُوا ۗ وَاللَّـهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ ﴿٩٣﴾

লেখিকাকে ধন্যবাদ, শায়খ আযহারী কেও
১৯ মে ২০১৫ রাত ১০:০৭
262212
সত্যলিখন লিখেছেন :



320480
১৭ মে ২০১৫ রাত ০৪:৪৭
কাহাফ লিখেছেন :
মহান আল্লাহর কাছে বিনীত প্রার্থনা-আমাদের কে সঠিক রাস্তা দেখিয়ে প্রথম শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত করেন!আমিন!!
১৯ মে ২০১৫ রাত ১০:০৯
262216
সত্যলিখন লিখেছেন :

320499
১৭ মে ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
নেহায়েৎ লিখেছেন : মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের মুহসিনিন হয়ে মৃত্যুদান করুন। তিনি মহান পরম করুণামায় ক্ষমাশীল।
১৯ মে ২০১৫ রাত ১০:০৯
262214
সত্যলিখন লিখেছেন :

320501
১৭ মে ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
এখন তো আমরা ঈমান এর কোন স্তর থেকে দুরে থাকাকেই মনে করি আধুনিকতা!
১৯ মে ২০১৫ রাত ১০:০৯
262217
সত্যলিখন লিখেছেন :

320546
১৭ মে ২০১৫ দুপুর ০২:০৭
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : কাহাফ ভাইয়ের সাথে একমত হয়ে বলতে চাই,
মহান আল্লাহর কাছে বিনীত প্রার্থনা-আমাদের কে সঠিক রাস্তা দেখিয়ে প্রথম শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত করেন!আমিন!!
১৯ মে ২০১৫ রাত ১০:০৮
262213
সত্যলিখন লিখেছেন :

320994
১৯ মে ২০১৫ দুপুর ০২:১৫
সালাম আজাদী লিখেছেন : আসলে মুহতারাম লেখিকা যে চারটা স্তর দেখিয়েছেন তা মনে হয় ঠিক আছে। তবে আযহারী সাহেব যা বলেছেন 'ইহসানের' স্তর টা হলো সবার উপরে। ঈমান, ইসলাম, তাক্বওয়া ও ইহসান। এইভাবে বললে কুরআন হাদীসের সাথে মিলতো। আসলে তাক্বওয়ার ও একটা স্তর আল্লাহ বলেছেন যা ঈমান ও ইসলাম পালনের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়, এবং এরই প্রভাবে ইহসানের দুইটি স্তর অর্জন সম্ভব হয়।
সূরা আলমাইদার এই আয়াত টি মনে হয় হাদীসে জিব্রীলের সাথে পাড়লে বিষয়টি স্পস্ট হবে:
لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوا وَّآمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ ثُمَّ اتَّقَوا وَّآمَنُوا ثُمَّ اتَّقَوا وَّأَحْسَنُوا ۗ وَاللَّـهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ ﴿٩٣﴾

লেখিকাকে ধন্যবাদ, শায়খ আযহারী কেও
১৯ মে ২০১৫ রাত ১০:০৫
262211
সত্যলিখন লিখেছেন :

২০ মে ২০১৫ রাত ০৪:০০
262256
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : মুহতারাম, আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। সূরাহ হুজুরাতের ১৪ নং আয়াত
قَالَتِ الْأَعْرَابُ آمَنَّا ۖ قُل لَّمْ تُؤْمِنُوا وَلَٰكِن قُولُوا أَسْلَمْنَا وَلَمَّا يَدْخُلِ الْإِيمَانُ فِي قُلُوبِكُمْ
থেকে মনে হয়, ঈমানের স্তর ইসলামের উপরে। আপনার মতামত জানালে খুশী হব।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
২০ মে ২০১৫ দুপুর ০১:২২
262325
সালাম আজাদী লিখেছেন : আসলে ঈমান না আনলে ইসলামের কোন মূল্য নেই। মদীনার পাশের এই আ'রাব দের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তারা 'মারাদূ 'আলান নিফাক্ব' এইজন্য তাদের 'আমান্না' গ্রহন করা হয়নি। ওরা বলেছিলো আমান্না কিন্তু তা শীর বাঁচানোর তাগিদে। আল্লাহ এই জন্য ওদেরকে বললেন 'ওয়া লাম্মা য়াদখুলিল ঈমানু ফী ক্বুলুবিকুম'। যেহেতু নিফাক্বে ভরা মন, কাজেই 'আসলামনা' বলতে হবে যার প্রকাশ হয় আমলে। শাহাদাতে, ইক্বামাতুসসালাহ, ইতাউয যাকাহ..... ইত্যাদি। ওরা আমান্না বলতো, কিন্তু আমল করতে চাইতোনা। এইজন্য ই এই কথাটা বলা হলো।
আলমাইদার উপরের আয়াতে বলা হয়েছে ঈমান, পরে আমলে সালেহ (ইসলাম)। অল্লাহু আ'লাম। জাযাকাল্লাহু খায়রান আখী আলআযহারী।
321091
১৯ মে ২০১৫ রাত ১০:০৪
সত্যলিখন লিখেছেন :

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File