পরাজয় নয় বিজয় হল আমাদের।আর বিজয়ী হয়েও পরাজয় হল তোমাদের।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৯ এপ্রিল, ২০১৫, ০৬:০৮:০৮ সন্ধ্যা
পরাজয় নয় বিজয় হল আমাদের।আর বিজয়ী হয়েও পরাজয় হল তোমাদের।
প্রথমেই আপনাদের বিজয়ের জন্য আপনাদের জানাই কনগ্রেজুলেশান।
নির্বাচনী প্রচারনা ফসল কাটার মৌসমে নবান্ন উৎসবের আগের ব্যাস্ত গীন্নিদের ফসল গোলায় তোলার উৎসবের মতই আমলের মৌসম মনে করে দ্বীনি বোনদের সাথে নিয়ে কাজ করতে চেষ্টা করেছি। নির্বাচনের দিন ভোর থেকে ঈদের দিনের মতই সাহেব কে সাথে নিয়ে রান্নাবান্না শেষ করলাম। সেই আমেজেই ভৌট কেন্দ্রে হাজির হতে আমার মামনি (বউমা) আর আমি রাস্তায় বের হলাম ।
রাস্তায় নেমে প্রথম থাপ্পড় খাবার মত অবস্থ্যা হল।
২৪ ঘন্টা ব্যাস্ত রাস্তা জনমানব শুন্য । ঘড়ি দেখি সকাল ৮টা ৩০মিনিট ।রিক্সা নেই মানুষ নেই ।অনেক ক্ষন পরে দেখি দুই টা কুকুর মনের আনন্দে লেজ নেড়ে নেড়ে আনন্দের সাথেই কেন্দের দিকে যাচ্ছে। তারপরই দেখি পেসেঞ্জার খুজে ক্লান্ত এক রিক্সাওয়ালা। তাতেই শ্বাশুড়ি বৌ উঠে কেন্দ্র থেকে অনেক দুরেই নেমে গেলাম।কেন্দ্রের বাহিরে দেখি বানিজ্য মেলার গেটের বাহিরের মতই মানুষের মেলা । সবার গলায় পীররা বেধে দেওয়া প্রতীক মার্কা নাম দাম সহ আমল নামার নথিপত্র। বুঝতে নাকি রয় নাই কোন পীর বাবাদের মুরিদ তারা ।
আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব।
কেন্দ্রের ভিতরে ডুকে আক্কেল গুড়ুম। ভৌতের দরজা গুলো ও ভিতরে মানুষ তেমন নেই বললেই চলে । মামনির জীবনে প্রথম ভোট দেবার আনন্দ ।তাই তাকে আগে তার ভৌতের সামনে দিয়ে আসলাম।পিসাটিং অফিসার সহ এক রুমে ২/৩ জন কিন্তু উনাদের ভোটার একজন ফেলেও সওয়াল জওয়াব করতে দেখা গেছে অনেক বেশি।বুঝতে বাকি নেই সময় অতিক্রম করছেন।
আপনাদের বিজয়ের জন্য আপনাদের জানাই কনগ্রেজুলেশান।
আমার নাম্বার মিলায়ে রুমের সামনে গিয়ে দেখি ভিতরে মানুষ ২ জন ও সাংবাদিক ২ জন ক্যামরা সহ। আমি উনাদের প্রথম স্বীকার তা আমার আর বুঝতে বাকি রয় নাই । তাই আমার উপর দিয়ে উনাদের সততার ১০০% অভিজ্ঞতা বাস্তবায়ন করা শুরু হল।আমি উনাদের প্রথম ভোটার তা কিছুক্ষনের মধ্যে বুঝে ফেললাম। কিন্তু ব্যালট পেপার বক্সে রাখতে গিয়ে দেখি আধা ভরা । তা কোন অলৌকিক কেরামতিতে হল তা আমার বুঝার জ্ঞান নেই কিন্তু আপনাদের আছে। তাই আর কথা বেশি না বাড়ায়ে আপনাদের বিজয়ের জন্য আপনাদের জানাই কনগ্রেজুলেশান।
পরাজয় নয় বিজয় হল আমাদের।আর বিজয়ী হয়েও পরাজয় হল তোমাদের।
তোমরা বাহ্যিক চক্ষু তে জিতলেও অন্তঃচক্ষুতে তোমরা ভরা ডুবি ভাবে হেরে গেলে আর তোমাদের বাহ্যিক চক্ষুতে হারলেও বাস্তবে সুক্ষ্য অন্তঃচক্ষুতে আমরা নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছি।আমরা এই নির্বাচনী প্রচারনার সুযোগে উচ্চ থেকে তৃনমূল পর্যন্ত সকল স্তরের জনগনের সাথে মিশার সুযোগ পেয়েছি ।যা বিগত ৬ বছরে আমাদের করতে দেয় নাই ।আমাদের ইসলামের দাওয়াত তাদের কাছে আমরা পৌছানোর সুযোগ পেয়েছি ।
আমাদের ব্যাপারে তাদের মনে যে ধুম্রজাল সৃষ্টি করে রেখেছি হলুদ মিডিয়া গুলো তা অপসারনের সুযোগ পেয়েছি । ইসলামের সঠিক শিক্ষা জানার ও মানার জন্য জনগনের আন্তরিক ভালবাসা মিশ্রিত দাওয়াত পেয়েছি ।ইসলামের আদর্শ লালন করার ব্যাপারে জনগনের স্বতস্ফুর্ত মনোভাব ব্যাক্ত করে আমাদের কে বার বার তাদের কাছে যাবার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
আমাদের প্রতি জনগনের আস্তা সরাসরি দেখার সুযোগ পেয়েছি।আমাদের কে কাছে পেয়ে সাধারন জনগন তাদের মনের ক্ষোপ ব্যাথা ও আশা আকাঙ্গা ব্যাক্ত করার সুযোগ পেয়েছে। ইসলামের বিধান মত চলার পথে তাদের কোথায় কোথায় হাত পা বাধা ।
আমি আরো এই নির্বাচনের মাধ্যমে পেলাম কিছু কাচা মুনাফিক। কাচা মুনাফিক মানে যারা আমাদের মাঝেই ইসলামের চকচকে লেবাস পরে আমাদের সাথে ছিলেন। হামান যেমন ফেরাউণের কাছে খারাপ হওয়া বা সমাজে সন্মান নষ্ট হবার ভয়ে মুসা আ সাথেও থাকত আবার ফেরাউনের তাবেদারিও করত । কারুন সমপদের মোহে আল্লাহকে ভুলে যায় । তেমনি নির্বাচনের সময় একদল হামান আর কারুনের বাহিনীর দেখা মিলে । যাদের মুখোশ এই নির্বাচন ছাড়া আদৌ বুঝা যেত না । না তা মালের কোরবানী করেছে ।না তারা জানের মায়ায় ঘর থেকে বের হয়েছে । এই ভাবে তারা তাদের আসল রুপ দুনিয়া তেই তাদের আমল নামায় লেখে নিয়েছে ।
নাস্তিক দের সকল ষড়যন্ত্র মাকসার জালের চেয়েও দুর্বল ।তাই তারা জনবল এর ছেয়ে সন্ত্রাসী কায়দাকে বেশি মজবুত মনে করে নিয়েছে ।কিন্তু আল্লাহর আযাবকে তারা মোটেও ভয় পায় নাই । তারা নমরুদ ফেরাউনের পরিনতি কি হয়ে ছিল তা ভুলে গেছে । তারা দুনিয়ার সুখের মোহে আখিরাত কে ভুলে গেছে । তাদের পরিনতি কি হবে আল্লাহ ভাল জানেন।
আল্লাহ আমাদের কে যেই ভাবে জনগনের অবস্থ্যা স্বচক্ষে দেখার ও বুঝার তাওফিক দান করেছেন ।আমরা সেই ভাবেই বার বার তাদের মাঝে গিয়ে তাদের সাথে সুখে দঃখের সাথে নিজেদের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিব । তাতেই আমাদের সুখ খুজে নিব ।ইনশাল্লাহ ।আল্লাহ আমাদের সকলকে সিরাতুল মুস্তআকিমের উপর প্রতিষ্টিত করে দিক ।আর আমাদের অপরাধ ক্ষমা করে আমাদের দুনিয়াবী ও আসমানী বালামসিবত ও আযাব থেকে রক্ষা করুন ।
বিষয়: বিবিধ
১৭৬৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পুরুষ-১ মহিলা-৪
(ওরা আমাদের পুরুষদের বিজয় ছিনিয়ে নিতেই ব্যাস্ত ছিল, মহিলারাও যে জিততে পারে তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি)
ঢাকায় রমনা-রামপুরায় আমেনা বেগম-২৪,০৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী, তার নিকটতম-১১০২৫
মোহাম্মদপুর-আদাবরে কাওসার জাহান- ১৬,৮৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী, তার নিকটতম- ১৩,০৬৩.
মিরপুর-কাফরুলে মাসুদা আক্তার ৩১,৭৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী, তার নিকটতম- ১৪,৬৩৮.
চট্টগ্রামে ৩৭নং মুনিরনগর ওয়ার্ডে মো: শফিউল আলম ৪৫০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী তার নিকটতম- ৪১২৫
চট্রগ্রাম ৬নং সংরক্ষিত আসন
ফারজানা পারভীন নিশাত ৩১,৮০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী, তার নিকটতম- ১৭,৯০০ ভোট.
আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন_আমীন.
মন্তব্য করতে লগইন করুন