বরং ভাবেন আমরা কি নিয়ে আল্লাহর কাছে যাবো ?
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৪ এপ্রিল, ২০১৫, ০১:৪০:৪০ দুপুর
বরং ভাবেন আমরা কি নিয়ে আল্লাহর কাছে যাবো ?
আমার শ্রদ্ধেয় মরহুম শ্বশুড় কে ও আমার ভালবাসার ভান্ডার আমার প্রানপ্রিয় স্বামীকে আমি খুব একটা চোখের পানি পড়তে দেখি নাই। মাসাল্লাহ কঠিন মুহুর্তেও চরম ধৈর্য্য ধরে থাকতে পারেন । একবার দেখিছি আমার বিয়ের পরে উনার ছোট ভাই অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরে । আবার দেখেছি আমার অপারেসানের পরে জ্ঞান ফিরতে অনেক দেরি হবার পরে যখন জ্ঞান আসল । আবার দেখেছি আমার শ্বাশুড়ি য়াম্মার মৃত্যুর দিন ।
আর দেখেছি কামারুজ্জামান ভাইয়ের শহিদ হবার আগের দিন উনার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে আমি ও উনি নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে হৃদয়ের সকল ভালবাসা উজাড় করে চোখে পানি পাহাড়ের ঝর্নার মত পড়ছে আর মুখে হায়দারী হাকে আল্লাহ কে ডাকছেন ?তখন আমি ভাবলাম এই কঠিন শিলার মত এই ধৈর্য্যশীল এই লোকটার কত প্রিয় এই লোক গুলো ।তাই সে পাথরের নহরের মত আর নিজের ভিতরের নোলা জলের নহর আর বাধ দিয়ে রাখতে পারে নাই ।
আমি বার বার শহীদ মোল্লা ভাইয়ের স্ত্রী পেয়ারী আপার, আমাকে বুকে জড়ায়ে বলা কথাটি ,"পারভীন আপা , মোল্লা ভাইয়ের জন্য কেন কান্দছেন ? উনারা তো উত্তম আমল নিয়ে শহিদ হয়ে জান্নাতে প্রশান্ত আত্তাদের সাথে আছেন । বরং ভাবেন আমরা কি নিয়ে আল্লাহর কাছে যাবো ? সেই জন্য কাজ করেন আর তাওবা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি চান ।"
আমি তাই আলহামদুলিল্লাহ হার্ডের আর ব্রেইনের অসুস্থ্য রুগী হয়ে বিছানায় আগে থেকেই শয্যাশায়ী হয়ে অসুস্থ্য হলেও চোখের পানি না ফেলতে চেষ্টা করেছি । বার বার উঠে কাজ বা নেটে কিছু লিখতে চেষ্টা করে ব্যার্থ হচ্ছি । কষ্টে কান্না আসছে । তাই বড় ছেলে বলে মা , আল্লাহর কাছে এই চোখের পানির মুল্য অনেক বেশি ।তাই আপনার চোখের পানি যেন টেপকলের পানির মত অযথা বয়ে নর্দমায় না পড়ে । আলহামদুলিল্লাহ । শুধু বার বার বুকের পেইন আর মাথার পেইনে মনে হচ্ছে এই বুঝি প্রানবায়ু টা বের হয়ে যাচ্ছে ।
তখন বলি আল্লাহ ,আমি তো এই ভাবে রোগে বিছানায় শোয়া মৃত্যু চাই না । আমি ভালবাসি ও চাই শহিদী মরন । সেই মরনকে আমাকে বরন করার সুযোগ করে দাও । ময়দানে কাজ করার শক্তি দাও । দুনিয়ার মোহ আমার থেকে সরায়ে নাও । আমার জীবন ,আমার মরন , আমার দাসত্ব ও আমার সমস্ত কিছু কোরবানী সবই শুধু তোমার জন্য । আমিও আমার নয় । তাই তুমি আমায় কবুল করে নাও ।
যারা আমার নেতাদের শহিদ করেছে বিনা অপরাদে তারা মানুষ নয় নরপিচাশ ।ইসলামের অতীতের ইতিহাস এর দিকে ফিরে তাকালে দেখা যার এরা নিজেদের জন্য জাহান্নাম তৈরী করে অন্যের জন্য তৈরী করে দেয় জান্নাত । এই সব যুগ যুগ ধরে থাকা নিকৃষ্ট মানুষের দল , নর্দমায় জন্ম নেওয়া মশার দলের চেয়েও দূর্বল দল , এদের কে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই । আর এদের বিপক্ষে লড়তে কিছুই লাগে না।শুধু লাগে আপনার আল্লাহর উপর থাকা ঈমানীবল।
এদের মারতে কামান লাগে না , শুধু লাগবে সময় মত আপনার একটা সাহসী থাপ্পড়ই যথেষ্ট । এদের ভনভনানির ভয়ে আপনি মশারির নীচে ডুকে থাকলে আপনার জীবন আয়ু টা শেষ করে ফেললে আপনার দুনিয়া ওয়াখিরাত সবই বরবাদ হয়ে যাবে। তাই আলহামদুলিল্লাহ আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় পাই না । সাহসের সাথে আল্লাহর পথে লড়ে যাব । কে আমার সাথে আসল বা না আসল তা দেখার সময় আমার নেই ।আল্লাহ আমার সাথে আছেন তাই আমি একাই ১০০ ।এই ভাবনা মাথায় রেখে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে নিজের আখিরাতের চিন্তায় ।
আমি মনে করি, এতো অসুস্থ্য হলেও নামাজ মাফ হয় না ।যেই ভাবে হোক আল্লাহর ফরজ নামাজ কায়েম করতেই হয় ।তা হলে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করা ফরজ হলে সেখান থেকে আমার নিষ্কৃতি লাভের এতো অজুহাত আমরা কেন দাড় করাই ।আর তা থেকে কি আখিরাতের ফয়দা অর্জন হবে । না না না । কোরানের হক আদায় না করে আমার কোন মুক্তি নেই । যারা আমাকে আপনাকে বাধা দিবে তাদের কে আল্লাহ হেদায়াত দান করুন । আর যারা ইসলামের শত্রু বা মুনাফেক তাদের মোকাবেলায় আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন ।আমিন ।সুম্মা আমিন ।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন