একটি হৃদয় বিদারক ও শিক্ষণীয় ঘটনা!

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৫ মার্চ, ২০১৫, ০৭:৩৬:৩৮ সন্ধ্যা



আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর প্রিয় সাহাবী ছা'লাবা অনুতপ্ত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে আল্লাহর কাছে ফিরে গেলেনঃ

রাসূল (সঃ) এর একজন প্রিয় সাহাবী, যার নাম ছা’লাবা (ثعلبه) । মাত্র ষোল বছর বয়স। রাসূল (সাঃ) এর জন্য বার্তাবাহক হিসেবে এখানে সেখানে ছুটোছুটি করে বেড়াতেন তিনি। একদিন উনি মদীনার পথ ধরে চলছেন, এমন সময় একটা বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাঁর চোখ পড়ল দরজা খুলে থাকা এক ঘরের মধ্যে। ভিতরে গোসলখানায়একজন মহিলা গোসলরত ছিলেন, এবং বাতাসে সেখানের পর্দা উড়ছিল, তাই ছা’লাবার চোখ ঐ মহিলার উপর যেয়ে পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে উনি দৃষ্টি নামিয়ে নিলেন।

কিন্তু ছা’লাবার মন এক গভীর অপরাধবোধে ভরে গেল। প্রচন্ড দুঃখ তাকে আচ্ছাদন করল। তার নিজেকে মুনাফিক্বের মত লাগছিল। তিনি ভাবলেন, ‘কিভাবে আমি রাসূল (সাঃ) এর সাহাবী হয়ে এতোটা অপ্রীতিকর কাজ করতে পারি? মানুষের গোপনীয়তাকে নষ্ট করতে পারি? যেই আমি কিনা রাসূল (সাঃ) এর বার্তা বাহক হিসেবে কাজ করি, কেমন করে এই ভীষণ আপত্তিজনক আচরণ তার পক্ষে সম্ভব?’ তাঁর মন আল্লাহর ভয়ে কাতর হয়ে গেল। তিনি ভাবলেন, ‘না জানি আল্লাহ আমার এমন আচরণের কথা রাসূল (সাঃ) এর কাছে প্রকাশ করে দেয়!’ ভয়ে, রাসূল (সাঃ) এর মুখোমুখি হওয়ার লজ্জায়, তিনি তৎক্ষণাৎ ঐ স্থান থেকে পালিয়ে গেলেন।

এভাবে অনেকদিন চলে গেল। রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়ালাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যান্য সাহাবাদের কে ছা’লাবার কথা জিজ্ঞেস করতেই থাকতেন। কিন্তু সবাই জানাল কেউ-ই ছা’লাবাকে দেখেনি। এদিকে রাসূল (সাঃ) এর দুশ্চিন্তা ক্রমেই বাড়ছিল। তিনি উমর (রাঃ), সালমান আল ফারিসি সহ আরো কিছু সাহাবাদের পাঠালেন ছা’লাবার খোঁজ আনার জন্য। মদীনা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ছা’লাবার দেখা মিলল না। পরে মদীনার একেবারে সীমানাবর্তী একটা স্থানে, মক্কা ও মদীনার মধ্যখানে অবস্থিত পর্বতময় একটা জায়গায় পৌঁছে কিছু বেদুঈনের সাথে দেখা হল তাদের। দেখানে এসে তারা ছা’লাবার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শুরু করলেন। ‘তোমরা কি লম্বা, তরুণ, কম বয়সী একটা ছেলেকে এদিকে আসতে দেখেছ?’

বেদুঈনগুলো মেষ চড়াচ্ছিল। তারা জবাব দিল, সে খবর তারা জানেনা, তবে তারা জিজ্ঞেস করল, ‘তোমরা কি ক্রন্দনরত বালকের সন্ধানে এসেছ?’ একথা শুনে সাহাবারা আগ্রহী হয়ে উঠলেন এবং তার বর্ণনা জানতে চাইলেন। উত্তরে ওরা বলল, ‘আমরা প্রতিদিন দেখি মাগরিবের সময় এখানে একটা ছেলে আসে, সে দেখতে এতো লম্বা, কিন্তু খুব দুর্বল, সে শুধুই কাঁদতে থাকে। আমরা তাকে খাওয়ার জন্য এক বাটি দুধ দেই, সে দুধের বাটিতে চুমুকদেয়ার সময় তার চোখের পানি টপটপ করে পড়ে মিশে যায় দুধের সাথে, কিন্তু সেদিকে তার হুঁশ থাকেনা!’ তারা জানালো চল্লিশ দিন যাবৎ ছেলেটা এখানে আছে। একটা পর্বতের গুহার মধ্যে সে থাকে, দিনে একবারই সে নেমে আসে, কাঁদতে কাঁদতে; আবার কাঁদতে কাঁদতে, আল্লাহর কাছে সর্বদা ক্ষমা প্রার্থনা করতে করতে উপরে চলে যায়।

সাহাবারা বর্ণনা শুনেই বুঝলেন, এ ছা’লাবা না হয়ে আর যায় না। তবে তাঁরা উপরে যেয়ে থা’লাবা ভড়কে দিতে চাচ্ছিলেন না, এজন্য নিচেই অপেক্ষা করতে লাগলেন।

যথাসময়ে প্রতিদিনের মত আজও ছা’লাবা ক্রন্দনরত অবস্থায় নেমে আসলেন, তাঁর আর কোনদিকে খেয়াল নাই। কী দুর্বল শরীর হয়ে গেছে তাঁর! বেদুঈনদের কথামত তাঁরা দেখতে পেলেন, ছা’লাবা দুধের বাটিতে হাতে কাঁদছে, আর তাঁর অশ্রু মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। তাঁর চেহারায় গভীর বিষাদের চিহ্ন স্পষ্টভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।

সাহাবারা তাকে বললেন, ‘আমাদের সাথে ফিরে চল’; অথচ ছা’লাবা যেতে রাজি হচ্ছিলেন না। তিনি বারবার সাহাবাদেরকে জিজ্ঞেস করতে লাগলেন, ‘আল্লাহ কি আমার মুনাফেক্বী বিষয়ক কোন সূরা নাযিল করেছে?’ সাহাবারা উত্তরে বললেন, ‘না আমাদের জানামতে এমন কোন আয়াত নাযিল হয় নাই।’ উমর (রাঃ) বললেন, রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে তোমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। তুমি যদি এখন যেতে রাজি না হও, তাহলে তোমাকে আমরা জোর করে ধরে নিয়ে যাব। রাসূল (সাঃ) এর কথা অমান্য করবেন এমন কোন সাহাবা ছিল না। কিন্তু ছা’লাবা এতোটাই লজ্জিত ছিলেন যে ফিরে যেতে চাচ্ছিলেন নাহ। এরপর সাহাবারা তাকে রাসূল (সাঃ) এর কাছে মদীনায় নিয়ে আসেন।

মহানবী (সাঃ) এর কাছে এসে ছা’লাবা আবারও একই প্রশ্ন করে, ‘আল্লাহ কি আমাকে মুনাফিক্বদের মধ্যে অন্তর্গত করেছেন অথবা এমন কোন আয়াত নাযিল করেছেন যেখানে বলা আমি মুনাফিক্ব?’ রাসূল (সাঃ) তাকে নিশ্চিত করলেন যে এমন কিছুই নাযিল হয়নি। তিনি ছা’লাবার দুর্বল পরিশ্রান্ত মাথাটা নিজের কোলের উপর রাখলেন। থা’লাবা কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল, এমন গুনাহগার ব্যক্তির মাথা আপনার কোল থেকে সরিয়ে দিন।’ উনার কাছে মনে হচ্ছিল যেন সে এসব স্নেহের যোগ্য নাহ।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সান্ত্বনা দিতেই থাকলেন। আল্লাহর রহমত আর দয়ার উপর ভরসা করতে বললেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন। এমন সময় ছা’লাবা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল আমার এমন মনে হচ্ছে যেন আমার হাড় আর মাংসের মাঝখানে পিঁপড়া হেঁটে বেড়াচ্ছে।’ রাসূল (সাঃ) বললেন, ‘ওটা হল মৃত্যুর ফেরেশতা। তোমার সময় এসেছে ছা’লাবা, শাহাদাহ পড়’। ছা’লাবা শাহাদাহ বলতে থাকলেন, ‘আল্লাহ ছাড়া ইবাদাতের যোগ্য আর কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল’

উনি শাহাদাহ বলতে থাকলেন... বলতেই থাকলেন... এমনভাবে তাঁর রুহ শরীর থেকে বের হয়ে গেল।

মহানবী (সাঃ) ছা’লাবাকে গোসল করিয়ে জানাজার পর কবর দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আরো অনেক সাহাবা ছা’লাবাকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মহানবী (সাঃ) পা টিপে টিপে অনেক সাবধানে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। উমর রাদিয়ালাহু আনহু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল, আপনিএভাবে কেন হাঁটছেন যেন ভিড়ের মাঝে হেঁটে চলেছেন.. কতো রাস্তা ফাঁকা পরে আছে, আপনি আরাম করে কেন চলছেন না ইয়া রাসুল?’

উত্তরে রাসূল (সাঃ) বললেন, ‘হে উমর, আমাকে অনেক সাবধানে চলতে হচ্ছে। সমস্ত রাস্তা ফেরেশতাদের দ্বারা ভরে গেছে। ছা’লাবার জন্য এতো ফেরেশতা এসেছে যে আমি ঠিকমত হাঁটার জায়গা পাচ্ছি না।'

সুবহানাল্লাহ!

বিষয়: বিবিধ

৫০৭৪ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

311080
২৫ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:১৫
মেরাজ লিখেছেন : আজও সেই কোরআন আছে হাদীস আছে
সেই ঈমান আর মানুষ নেই
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৪১
252190
সত্যলিখন লিখেছেন : সূরা আল আ’রাফ:26 - হে বনী-আদম আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবর্তীণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবর্তীণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেযগারীর পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতেরঅন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।

সূরা আল আ’রাফ:27 - হে বনী-আদম শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে; যেমন সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে এমতাবস্থায় যে, তাদের পোশাক তাদের থেকে খুলিয়ে দিয়েছি-যাতে তাদেরকে লজ্জাস্থান দেখিয়ে দেয়। সে এবং তার দলবল তোমাদেরকে দেখে, যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখ না। আমি শয়তানদেরকে তাদের বন্ধু করে দিয়েছি, , যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না।
311102
২৫ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৪৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আপামনি।
মাশা-আল্লাহ, ঈমান জাগানিয়া হৃদয় স্পর্শী কাহিনী। অনেক ভালো লাগলো আপুনি। এই হাদিসটির সুত্রটি যদি উল্লেখ করতেন অনেক উপকার হতো। আপনার লিখাটির গ্রহনযোগ্যতাও বৃদ্ধি পেত। জাযাকিল্লাহ খাইর।
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৪২
252191
সত্যলিখন লিখেছেন : সূরা আন-নূর:30 - মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
২৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:২০
252255
আবু জান্নাত লিখেছেন : মুহাদ্দিসীনে কেরাম এই কাহিনীটিকে জাল হাসিদ বা বানানো হাদিস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এজন্য আপনার থেকে সূত্র জানতে চেয়ে ছিলুম। ধন্যবাদ।
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:১৯
252293
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

হাদিসে একজন ছা'লাবা/ইবনে ছা'লাবার নাম পাওয়া যায় যার ছাগল-ভেড়ার পাল রসুলুল্লাহর দোয়ার বরকতে বিশাল হয়ে গেছিল! জাকাতের হুকুম নাজিল হলে সেই ছা'লাবা জাকাত দিতে গড়িমসি করায় আল্লাহতায়ালা তার কাছ থেকে জাকাত নিতে রসুলকে নিষেধ করে দেন! পরে জাকাত দিতে এলে পরবর্তী দুই খলিফাও তা গ্রহন করেননি!

সেটার সাথে এটার কোন সম্পর্ক আছে কিনা বলতে পারেন?? @আবু জান্নাত
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:২৪
252320
আবু জান্নাত লিখেছেন : হ্যাঁ, ভাই আবু সাইফ, আপনি যে সালাবার কথা বলছেন, উনার নাম ছা'লাবা বিন হাতেব। নিশ্চয় কিচ্ছাটি আপনি জানেন। তবে এই কিচ্ছাটির সহীহ কোন সনদ নেই। কোন কোন মুহাদ্দিসীন এটাকে অত্যন্ত দূর্বল বলেছেন। কোন কোন মুহাদ্দিসীন এটাকে মিথ্যা হাদিস বলেছেন। কেননা প্রসিদ্ধ ছা'লাবা বিন হাতেব (রাঃ) বদরী সাহাবী ছিলেন।
বিস্তারীত জানতে এখানে Click this link
311114
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:০০
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ,
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৪৪
252193
সত্যলিখন লিখেছেন : সুবহানআল্লহ। আলহামদুলিল্লহ।
311116
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:০৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অসাধারন শিক্ষাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৪৬
252194
সত্যলিখন লিখেছেন : সামান্য পাপ করে সাহাবীগন এত অনুতপ্ত ! আর আমরা সারাদিন ধরে কত পাপ গিলে গিলে খাচ্ছি, আমাদের কি অবস্থা হবে ? আল্লাহর দয়া আমাদের
311119
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:০৭
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ... ধন্যবাদ, আপনার লেখা গুলো সবার থেকে আলাদা সুন্দর সমাজ সৃষ্টির জন্য আপনার লেখা দরুন কাজ করবে। দোয়া রহিলো আপনার জন্য।
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৪৯
252198
সত্যলিখন লিখেছেন :

311128
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:২৪
আফরা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপু ।
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৫০
252199
সত্যলিখন লিখেছেন :
Smug
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৫০
252200
সত্যলিখন লিখেছেন :
Smug
311140
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:১০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সুবহানআল্লাহী ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযিম
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৫৫
253942
সত্যলিখন লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খাইরান ফিদ দুনিয়া ওয়য়াল আখিরাত ।
311158
২৬ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৭:০৪
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। ঘটনাটি একটি জাল হাদিসে এসেছে। তাই মানুষকে ইসলামের শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য এ ধরণের জাল হাদিস বর্ণনা করা ইসলামে জায়েজ নেই। বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ
http://islamqa.info/ar/145797
২৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:২০
252294
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

হাদিসে একজন ছা'লাবা/ইবনে ছা'লাবার নাম পাওয়া যায় যার ছাগল-ভেড়ার পাল রসুলুল্লাহর দোয়ার বরকতে বিশাল হয়ে গেছিল! জাকাতের হুকুম নাজিল হলে সেই ছা'লাবা জাকাত দিতে গড়িমসি করায় আল্লাহতায়ালা তার কাছ থেকে জাকাত নিতে রসুলকে নিষেধ করে দেন! পরে জাকাত দিতে এলে পরবর্তী দুই খলিফাও তা গ্রহন করেননি!

সেটার সাথে এটার কোন সম্পর্ক আছে কিনা বলতে পারেন??

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File