সুমির বিয়ে হল এক কোটিপতি ছেলের সাথে।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০১ মার্চ, ২০১৫, ০৩:২২:৩৪ রাত
যে ভাবে বিক্রমপুরের মেয়ে সুমির উকিল মা হলাম আমি ।
আমার বাসায় দেখি আকাশের ডানা কাটা নীলপরী ঃ
পারুমনি দেখ যাও , তোমার জন্য একটা লাল টুকটুকে মেয়ে নিয়ে এসেছি।
দৌড়ায়ে গিয়ে আমি তো হতবাক ।
এই শুনছ , এত সুন্দর মেয়ে হয় নাকি? ,আমার বাসায় দেখি আকাশের ডানা কাটা নীলপরী ?কোন মায়ের গর্ভে ধারন করেছে ? ,কোথায় ফেলে? ,কিভাবে আনলে ?,জানো আমি তো এই রকম একটা মেয়েই চেয়ে ছিলাম প্রভূর কাছে ।
আরে তুমি ধম ফালাও । এক ধমে বলা এতো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায় ?
সব বলব তোমাকে ।আগে মেয়ে টাকে হাত মুখ ধৌয়ায়ে খেতে দাও ।
হাত মুখ আমার হাতেই ধুয়ে দিচ্ছি আর আস্তে আস্তে সব জানতে চাচ্ছি।
আমার নাম সুমি ।আমি ক্লাস সেভেনে পড়ি।আমার আব্বু আম্মু আমাকে মেরেছে আমি কেন সবুজকে ভালবাসি।সবুজ বলেছে ,তুমি পালিয়ে চলে আস ।আমাদের এলাকায় একজন ভাল উকিল আছে তিনি আমাদের কোর্ট মেরেজ দিয়ে দিবে ।এখন আমি আসার পরে উকিল বলে আমাদের বাসায় আসো ছেলের বাবা কে ডেকে তারপরে তোদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিব ।তাই এখন আমি আপনাদের বাসায়।
সহজ সরল মনের সুমি কে আল্লাহ বাচাও
রিমোর্ট পুতুলের মত সুমি সব বলে ফেলল আমার কাছে। সবুজ হলো পুরান ঢাকার আমাদের এলাকার বখাটে ছেলে।আমি এই ফুটফুটে ফুলের মত নিষ্পাপ সুমির জীবন এই ভাবে ধ্বংস হতে দিতে পারি না।আমি সুমি কে খাবার খেতে দিয়ে সাহেব কে গিয়ে বললাম,আমরা একটু জোরাল পদক্ষেপ নিলে এই ফুলের মত মেয়েটার জীবন পাপড়ি তে আর কোন দাগ পড়বে না। দুই জনে বুদ্ধি করে ছেলেকে আর মেয়ে কে দুই দিকে শান্ত ভাবে সরায়ে সুমি কে আমার বাসায় রাখলাম।ছেলের বাবাকে সাহেব সব বুঝায়ে বলল।মেয়ের বাবা উচ্চপদস্থ্য কর্মকর্তা শুনে ছেলে বাবা ছেলেকে বুঝায়ে ও মেয়ের বাবার ভয় দেখায়ে সরায়ে ফেলল।
এই রকম সুমিরা হাজার হাজার সবুজদের হাতের পুতুল হচ্ছেঃ
এই রকম সুমিদের সরলতার সুযোগ নিয়ে হাজার সুমির জীবন ধ্বংস করে সবুজ বর্নের ধংসাত্তাক আগাছার মত বেড়ে সবুজ পরগাছা গুলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই রকম হাজার সুমিদের কান্নার সাথে শুধু কেন্দেছি মুর্তির উপরের বৃষ্টি পড়া পানির মত।কিছুই করতে পারি নাই প্রতারক সবুজদের বিরুদ্ধে ।আজ আমি এই সুমির জন্য কিছু একটা না করতে পারলে নিজের বিবেকের ধ্বংসনে আমিই আহত পাখির মত চটপট করব।ছেলেদের ভালবাসা কাচের প্লেটের মত ।প্লেটের ব্যবহার কিছু দিন করে এর পর ছুড়ে ফেলে দেয় ।আবার আরেকটা প্লেট জোগার করে নেয়।তুমি তো বোন /মামনি আগের মত সুবাশিত জীবন ফিরে পাবে না ।তাই তোমার বিবেককে বল, যে আমার সাথে মিথ্যা অভিনয় করে নায়ক হচ্ছে ,সে এই রকম বহু চরিত্র নায়কের করে এসেছে এবং সামনে আরো নায়কের পার্ট সে পাবে।
সুমি আমার মেয়ে হল যেই ভাবে
সবুজকে আর আসতে না দেওয়ার কারনে সুমি ৩ দিন সবুজের অপেক্ষায় থেকে যখন সবুজ কে আর পায়না তখন বুজে সবুজ তাকে ধোকা দিয়েছে ।তাই বাচ্ছা মেয়ে আমাদের আদর ভালবাসা ও আমার প্রাইমারীতে পড়া বড় ৩ ছেলে আর কোলের আমার ছোট দুই ছেলের সাথে বড় বোনের মত আনন্দে সময় কাটতে থাকে। ছেলেদের পড়ার সময় সুমি নিজের পড়ার বই খুজে ।বই আনার অজুহাতে তার বাসার নাম্বার নিয়ে তার আব্বু আম্মুকে তার খবর জানাই ।উনারা আমাদের কে ও মেয়ের খবর পেয়ে মহা খুশি।তার আব্বু আম্মু নিতে আসলে সে এক ঝাপটা বলে দেয় সে আর তাদের বাসায় যাবে না।এই বার তার অভিমানের কাছে হার মেনে আব্বু আম্মু তাকে রেখে যেতে হয়।পরে আমরা দুই জন বুঝায়ে তার বাসায় তার স্কুলে যাবার ও সবুজকে খোজে বের করার কথা বলে তাকে দিয়ে আসি ।অবুঝ মেয়ে আমরা যা বলতাম তা শুনত । এই ভাবে সে এইচ এস সি পাস করে ।এখন বাচ্ছাদের পড়া লিখা সব যা বলি তা করে।
সুমির বিয়ে হল এক কোটিপতি ছেলের সাথে।
আহা কি আনন্দ সবার। সুমি বিক্রমপুরের ।আর বিক্রমপুরের মানুষ খুব সহজ সরল আর অতিথি পরায়ন ।তারা বিয়ে মন প্রান উজাড় করে আনন্দ করবে।আর কেউ বিপদে বা মারা গেলে গলায়গলা জড়ায়ে শোকবার্তা জানাবে হৃদয় থেকে।সুমির বিয়েতে ৫ দিন ব্যাপী আনন্দ হল।আনন্দ মানে মেয়েদের শাড়ি গহনা,ও পোষাকের সেই রকম প্রদশনী ।হঠাত ঘোষনা হল বিয়ে পড়ানোর পরে মেয়ের শ্বশুড় বাড়ি থেকে আসা বিশাল গহনার সেট পরাবে মেয়ের উকিল মা বাবা। আল্লাহ সুমি স্টেজ থেকে আমাদের ডাকছে ।সুমি কি করছ? না আমার জেদী মেয়ে শুনল না।তাই করলাম।
আপ্যায়ন কাকে বলে?
মেয়ের বাবার বাড়ি আর শ্বশুড়বাড়ি কাছাকাছি।তাই দুই বাড়ি থেকেই আপ্যায়নের ধুমধামে আমরা কাহিল।করার কিছু নেই কারন বিক্রমপুরের লৌহ জং এর মেয়ের আমি উকিল মা ।তাই মজাদার পিঠা ,খাবার , খাটি দুধের দই মিষ্টি আহ! কি আথিতিয়তা এখনো মেয়ের শ্বশুড় বাড়ি গেলে যা করে, তা ভুলার মত নয়।বহুতলা বিশিষ্ট ভাপা পিঠা সহ রকমারী পিঠা।আর জামাইর বাড়ি আর মেয়ের বাড়ি থেকে জামাইর বাড়ি যেই কোন জিনিস যাবে আগে তা উকিল মা বাবার বাড়িতে আসবে।তাতে ঈদের কোরবানীর গরুর রানের থানও বাধ যায় না।
বিক্রমপুরে মেয়ের জামাই যতদিন বাজার না করবে ততদিন মুরগী পোলাউ আর খাসির রান খাবে।আমার মেয়ে সুমি স্বামীর নাম ফরহাদ ।তখন আমি বললাম ফরহাদ তুমি ২ বছর বাজার না করে থাকত।এটা নিয়ে ফরহাদ এখনো হাসে।
বিক্রমপুর এলাকার দেখার মত নয়নাভিরামঃ
মাঠে মাঠে কত ফসল কেউ কারোটা ধরে না।মাঠে মাঠে আলুর বিশাল স্তুপ কেউ চুরি করে না ।গ্রাম গুলো এতো সুন্দর ।এই এলাকায় প্রবাসী বেশি ।তাই তাদের বাড়ি গুলো খুব সুন্দর বিদেশী সাছে গড়া ।আবার ছোট বড় অনেক ঘর নানান রঙের দুই তলা কিন্তু কাঠের উপর ।সবার মাঝে মিল মহব্বত একতা অনেক বেশি।আমি বেশি অবাক হয়ে যাই ।আমরা না বলে হঠাত আমার মেয়ের বাড়ি গিয়ে হাজির হই ।যেন সুমির কষ্ট না হয়।কিন্তু এই পুতুল মেয়ে এতো চালু হয়ে গেছে রোবটের মত সামান্য সময়ে বিশাল আয়োজন।
বিপদের বন্ধু হয়ে যায় তাড়াতাড়ি এই এলাকার মানুষ।
সুমির আব্বা আম্মু আমাদের সামান্য কোন বিপদ আপদ শুনলে আপনজনের চেয়ে বেশি কষ্ট করেন।সাহেবের পা ভাঙ্গল।তাতে মেয়ে ও তার মাবাবা কি রকম ত্যাগ স্বীকার করল ।মেয়েরা মা এর কেমন ভালবাসা হয় তা আমি জানি না ।কারন আমার ৫ ছেলে মেয়ে নাই ।তাতে কি সুমি আমাকে যা মায়ের আদর মায়া মমতা দিচ্ছে তাতে আমি আর মেয়ে না থাকার কষ্ট বুঝিই নাই।বিক্রমপুরের মেয়েদের দৈহিক সুন্দর মনটাও সুন্দর স্বামীর প্রতি প্রবল ভালবাসা ।তবে একটু পুরুষ গুলো উলটা পালটা চললে বউ এর এক ধমকে ৪ দিন এক জায়গায় বসে থাকে।তখন আমার খুব হাসি পায় ।আমি সুমি কে বকা দেই ।সহজ সরল ফরহাদ এতো ধমক খায় তাও হাসে।তাও আবার সুমি কে ঠিক আগের মতই ভালবাসে।কারন সুমি আমার পাগলী মেয়ে।আজ শুনলাম আমার মেয়েটা অসুস্থ্য ।ইনশাল্লাহ কাল দেখে না আসলে শান্তি পাব না। আর আপনারা সবাই আমার মেয়েটার জন্য দোয়া করবেন।
বিক্রমপুরে যাবার জন্য আগে লঞ্চ /স্টীমার ছিল । যা ছিল অনেক ভয়ংকর জার্নি। আজ ইকবাল ভাই জানালেন এখন তা নেই ।সর্বোপরি আমি এই বিক্রমপুরের মানুষের নানান গুনে মুগ্ধ হয়ে উনাদের প্রতি আমার আন্তরিক ভালবাসা ও শ্রদ্ধা অনেক বেশি ।
বিষয়: বিবিধ
৮২৭৬ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি কইলাম ভাল ছেলে!!
কিছু মানুষ খায় আর কিছু সবুজ ছাগলে খায় ।সব সবুজ পাতা যেমন খাওয়া যায় না তেমনি সব সবুজ ভাইরা এক না ।আপনি চিরসবুজ পালং শাক এর মত উপকারী । তাই এই সবুজ হলো ছাগলের খাবার কাঠালপাতার মত কোন সবুজ ।তাই মন খারাপের কিছু নেই ।
নেত্রী। আপনি একক কোন জায়গার নয়। সারা
বিশ্বের ইসলামী ইসলামী আনন্দোলনের দ্বীনি বোন। তাই আপনার চিন্তার গভীরতা থাকতে হবে।
ভাইয়া ,আমি আল কোরানের ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র একজন কর্মী ছাড়া আর কিছুই নই।
আপনার পরের মন্তব্য পড়ে হাসলাম অনেক বার ।
আমার প্রবাসী বড় ছেলে ঢাকার অনেক পথ আগের মত চিনে না । তাই আমাকে যেই সময় দেয় তার অনেক্ পরে ডুকলে আমি দরজা খুললেই জিজ্ঞাসা করি, বাবা তোমার এতো দেরী কেন হল, মা চিন্তা করছি না।" আরেক রুম থেকে মেঝে ছেলে জোরে ডাকছে আম্মু , তোমার পাঁচ ছেলে ভুলে গেলে চলবে না ।আমি সহ্য করতে পারব না।তখন আবার তাকে শান্তনার জন্য বলি আব্বু তোমার জন্য মুরগীর কলিজা আলাদা করে রেখেছি ।দৌড়ে এসে বলে গলা জড়ায়ে ধরে বলে ,আমি জানি এই টা শুধু আমার মা ,আর কারো না ।
ছোট ছেলে চিৎকার করে বলে আম্মু কি দোষ করলাম?আব্বুজী তোমার বাটিতেও তোমার পছন্দের মুরগীর রান রাখা আছে ।এই ভাবে সবার প্রতি আমার ভালবাসা একই তার প্রমান দিতে হয়।
তেমনি আজ আপনাকে বলি ভালবাসার গোলাপের সব পাপড়ি গুলো গোপালের হৃদয়ের সাথে লাগানো থাকে । আমার কাছে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের আমার দ্বীনি ভাই বোনের আমার হৃদয়ের বৃন্তে লাগানো আছে ।
তার দেহের অঙ্গগুলো যেমন হার্ডের সাথে লাগানো ।তার থেকে আপনিও বাদ পড়েন নাই ।
আমি বিক্রমপুরের একটা মেয়ের উকিল মা হিসাবে লিখেছি । নাম ব্লগে দিয়েছি "সুমির বিয়ে হল কোটিপতি স্বামীর সাথে । আমার বাংলার ঢাকা নোয়াখালী ছাড়া আর কোথায়ও ঘুরা হয় নাই ।শুধু বিক্রমপুরে আমি বেড়াতে যাই ।যা আমার জীবনে স্মরনীয় ।তাই উনাদের মাসিকবিক্রমপুর নামের গ্রুপে আমার মেয়েটা কে নিয়ে ও সেই এলাকার সভ্যতা ও স্নগস্কৃতি নিয়ে লিখি ।
কিন্তু আমার ভালবাসা সারা বিশ্বের মুসলিম জাহানের সবার পতি । কারন সেই ভালবাসা আল্লাহ সন্তুষী ও আখিরাতের জন্য । আর লিখি শুধু আমার নিজের জীবন ও দেখা অভিজ্ঞতা ।তাতে যদি কারো বিন্দু পরিমান উপকৃত হলে সেটার বিনিময়ে আল্লাহ আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে নাজাত দেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরুস্কার দুনিয়া ও আখিরাতে দান করুন ।
আসতাগফেরুল্লাহ ।আসলে ভাই আমি বুঝলাম না ।আল্লহ ভাল জানেন ।আমার মতলব আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা । আর অন্য কোন টা নেই ।
প্রধানমন্ত্রী ১০০% ধর্ষনের করাতে তাকে বলেছে সোনার ছেলে । আপনি বলেছেন তাদের মন ভাল । আমি দেখিছি পুরান ঢাকায় এদের অত্যাচার কাকে বলে ? বহু মেয়েকে এদের হাত থেকে বাচানোর জন্য পড়া লিখা বন্ধ করে হোম এরেস্ট করে মেয়ের মা বাবা জান বাচায় ।
আমি বিক্রম পুরের বেশির ভাগ মেয়েদের দেখেছি তাদের কে বুড়ি করে ফেলবে না হয় বাচ্ছা মেয়েই বিয়ে দিয়ে দেবে যদি কোটিপতি ছেলে পায় । কারন সেই এলাকায় বেশির ভাগ ঘরে ঘরে প্রবাসী ছেলে আছে ।তাই সুমির বেলায়ও সেই রকম ছেলে পেয়েছে ।
লোকমান ভাই, অনেকের ভালবাসার পরে বিয়ে করা দাম্পত্য জীবন ধ্বংস হতে দেখছি অভাবের তোড়ে খরসোতা নদীর ভাঙ্গনের মত ।ছেলে হয়ে যায় যোতুক লোভী ও নারী নির্যাতঙ্কারী। অথবা মেয়েটা হয়ে যায় অধৈর্য্যশীল অভাবের কারনে ।
আপনাকে আল্লাহ উত্তম পুরুস্কার দান করুন দুনিয়া ও আখিরাতে আমার ব্লগে আসার জন্য ।
বখাটেদের ভাল করার আপনার চিন্তা কি?
মা হিসাবে আমাদের মা দের দাওয়াতি কাজ সবুজের মা ও সুমীদের মাদের নিকট বাড়াতে হবে। সুমি আলহামদুলিল্লাহ পর্দা ধরেছেন ।হজ্জ করে আসেছেন ।তেমনি সুমির মাও।
আলহামদুলিল্লাহ ।সত্যলিখন ব্লগে আমার জীবনের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা , সত্যের পথের দাওয়াত ও চাক্ষুস দেখা সত্য ঘটনা বলি নিয়ে লিখি । আমার শিক্ষক দাদা বলেছে লিখা হতে হবে লেখকের মনের দর্পন । আমি আমার কথা গুলো গুড়ায়ে পেছায়ে লিখতে জানিনা । এই লিখাটা বাংলাদেশের একটা এলাকার মানুষের সাথে মিশে তাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি তুলে ধরলাম।
জাযাকাল্লাহু খাইরান্ ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাত ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন