আপনাদের আজকের একটা ঘটনা শুনাই ,
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১১:০৮:৩৬ রাত
আপনাদের আজকের একটা ঘটনা শুনাই ,
আমার সাহেবের ডায়বেটিজ বেড়ে যাওয়াতে ডাক্তার বেশি শাক সবজী খেতে বলছেন ।
আমি নিজেই গেলাম। কারন সে অসুস্থ্য শরীলে আনবেও না আর না খেলে আরো কষ্ট পাবে।
আমি আর আরেকজন ২০/২২বছরের একটা মাদ্রাসার ছেলে একই দোকানে দাঁড়ানো ।দোকানদার ২৫-২৮ বয়সের একটা ছেলে ।সে পাশের দোকানদার তার কাছে কি জানি চাইল ।
তখন সে বলছে ," দাড়া আগে হুজুর মুজুর দের বিদাই দি"।
আমার কাছে মনে হল সে ইসলামকে উপেক্ষা করেই কথাটা বলেছে।মাদ্রাসার ছেলেটা চুপ হয়ে আছে ।আমি ভেবেছি সে এর জন্য কিছু বলবে, না সে বধির এর মত চুপ রইল।আমি তো বধির না।
আমি দোকানদার ছেলেটাকে বললাম , আচ্ছা বাবা তুমি হুজুর কে হুজুর বলেছ খুব সুন্দর কথা বলেছ ।কিন্তু তার মিলানো কথাটা কেন বলেছ ?
সে উত্তরে বলল, "আরে আন্টি এই রকম দাড়ি টুপি গুলা নামাজ কালাম পড়ে না আরো যত আকাম কুকাম করে" ।
তখন আমি বললাম ,দেখো তুমি আমার ছেলের বয়সের ।তুমি কি জানো রবীন্দ্র নাথের এক গাল ভরা দাড়ি ছিল ?তিনি কি খাটি মুসলমান ছিল? তুমি নিজে দেখেছো হুজুররা খারাপ কাজ করে ?
সাথে সাথে ছেলেটা বলল , আন্টি আমি আসলে নাটকে আর সিনেমায় দেখে বলছি।নিজে তো দেখি নাই । "তখন আমি বললাম ,তুমি কি জান ? হাদিসে আছে , তুমি আল্লাহ খুশির জন্য একজন মুসলমানকে ভালবাসলে আখিরাতে আল্লাহর আরশের নীচে জায়গা পাবা ।
তখন সে বলল ,"আন্টি আমরা আসলে কিছুই জানি না ।আর কেউ আমগরে এই ভাবে বুঝায় নাই ।এখন আমার এই ভুলের জন্য কি করা উচিত তা বলে দেন ।আমি আর এই ভাবে হুজুরদের কে কোন দিন অবহেলা করে কিছু বলব না।"
তখন আমি বললাম ,হুজুর মনে কষ্ট পেয়েছে কিনা ? তাই হুজুরের কাছে মাফ চাও ।আর সাত বার আস্তাগফেরুল্লাহ পড় ।সে মাফ চাইল ও জানতে চাই ,আসতাগফেরুল্লাহ অর্থ কি ? ""আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দেন । পরে দেখি সে হুজুর কে সব সদাই কম দামে আর ভাল দেখে দিল।হুজুর ছেলেটা যাবার সময় মিনিমিনিয়ে বলছে খালাম্মা , একবারে ঠিক মত ধরাটা দিয়েছে।
আমি তখন ভাবলাম এই কাজটা তো মিডিয়ারমাধ্যমে ইসলামের উপর অনাস্তা আর তার কাছে আমাদের ইসলামের দাওয়াত না যাওয়াটাই দায়ী ।আর হুজুর তো ইসলামের জ্ঞান দিয়ে আরো সুন্দর ভাবে ছেলেটার ইসলামের প্রতি এই অবজ্ঞাটা দূর করতে পারত ।
আমরা ইসলামকে ভালবাসি বলে সব জায়গায় ইসলামের প্রতি অবজ্ঞা আর মার খেয়ে যাব নাকি ?
কেন ? আমাদের এই দূর্বল ঈমান । কেউ না আসুক আমার আল্লাহ আমার সাথে আছে আমি একাই হকের পথে আর হকের কথা বলে যাব ।
নোলক কুমার কোরান পুড়ানোর কথা শুনে কোরানের পক্ষে গান নিজেই বানায়ে এর প্রতিবাদ করল আর আমরা মুসলমান হয়েও কোরান বুকে ধারক করে ইসলামের পক্ষে কথা বলতে না পেরে আর কতদিন অক্ষমতার ক্রোধে নিসপিস করে অন্তর দাহে মরব । এখনো কি আমরা ঈমানের সব চেয়ে দূর্বল ৩য় স্তরে থেকে ঘৃনা আর অক্ষমতার মাঝেই আমাদের আয়ুটা শেষ করে দিব । সবাই নিজ নিজ ঈমানের তাগিদে জেগে উঠেন ।রাত পোহাবার আর বেশি দেরী নেই । আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আমাদের খুব নিকটে । শুধু এখন আমাদের দরকার ঈমানের জযবা বাড়ানোর ।
ভুতের মেখেই রাম রাম বলে পালাবার পথ পাবে না । কারন এদের শক্তি মাকসার জালের চেয়েও ক্ষুদ্র। আমাদের গর্জনের গলা যত স্তব্দ হয়ে যাবে ততই এরা হায়নার হিঃস্র রুপ ধারন করবে । সিঃহের এক গর্জনে বাকী সব জন্তু জানোয়াররা স্তদ্ব হয়ে পালাবার পথ খুজে । হকের পথে বাধা আসবে ঈমানের পরীক্ষা আসবেই ।শয়তানের গাত্রদাহ জ্বালা আসবেই । ঈমানের পুজি নিয়ে ময়দানে না আসলে ঈমান বৃদ্ধি পাবে কিভাবে ? ঘরে বসে থাকলে ঈমানে তাগুতের ঘুনে ধরলে কাঠের ঘুন পোকার মত আস্তে আস্তে পুরো টাই নিংশেষ করে ফেলবে ।
"হে ঈমানদানগণ! সবরের পথ অবলম্বন করো, বাতিলপন্থীদের মোকাবলায় দৃঢ়তা দেখাও,১৪১ হকের খেদমত করার জন্য উঠে পড়ে লাগো এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো৷ আশা করা যায়, তোমরা সফলকাম হবে"৷ সুরা ইমরান
এর দু'টি অর্থ হয়।
এক, কাফেরেরা তাদের কুফরীর ব্যাপারে যে দৃঢ়তা ও অবিচলতা দেখাচ্ছে এবং কুফরীর ঝাণ্ডা সমুন্নত রাখার জন্য যে ধরনের কষ্ট স্বীকার করছে আমরা তাদের মোকাবিলায় তাদের চাইতেও বেশী দৃঢ়তা অবিচলতা ও মজবুতী দেখাতে হবে ।
দুই, তাদের মোকাবেলায় আমরা দৃঢ়তা অবিচলতা ও মজুবতী দেখাবার ব্যাপারে পরস্পরের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে অগ্রসর হতে হবে।
আমি এখন দেখি আগের চেয়ে মুমিন মুত্তাকিনরা নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে ।তাতে ক্ষতি হবে আমার ,আমার কবরের ,আমার আখিরাতের ।ইসলামের বিজয় হল কিন্তু আমার আমলনামা খালি রইল তাতে আমার কোন লাভ হলো না।আর এখন যারা ইসলামের দূর্যোগ সময় অগ্রসর হবে তাদের আমল আর বিজয়ের পরে ইসলামের জন্য জান মাল সব কোরবানি করে দিলেও সেই সওয়াব পাওয়া যাবে না।তাই আসুন আর ঝিমানুর সময় নেই ।নিজের স্বানন্দে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এগিয়ে আসুন ।আপনি অন্যের দিকে না তাকিয়ে নিজেই নিজের কল্যানে হাশরের কাঠগড়ায় বেখুসুর খালাসের তাগিদে এগিয়ে আসুন ।
‘‘হে আমাদের রব!যখন তুমি আমাদের সোজা পথে চালিয়েছো তখন আর আমাদের অন্তরকে বক্রতায় আচ্ছন্ন করে দিয়ো না, তোমার দান ভাণ্ডার থেকে আমাদের জন্য রহমত দান করো কেননা তুমিই আসল দাতা৷ আলে ইমরান -৮
বিষয়: বিবিধ
২৯০৬ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
You have rightly said, Islam will be victorious inshaAllah. But I have to count my actions towards it for my own benefit, for my Jannat.
May Allah (swt) accept all the good we do for the sake of Islam.
মন্তব্য করতে লগইন করুন