আমার হৃদয়ের গুলবাগিচার বুলবুলিদের উপর শুকুনের দৃষ্টি পড়ে না যেন।

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১০:০৯:১১ রাত



ইসলামী আন্দোলনের ছাত্রী সংস্থার মেয়েরা মহিলা জামায়াতে ইসলামী মাদের নয়নমনি, মেয়েহারা তৃষিত সাহারা হৃদয়ের মাদের জন্য একপসলা বৃষ্টি ,সাথে সুনির্মল বাতায়ন। কোমলমতি মেয়ে গুলো কে দেখলে বা আসতে দেরী হলে মন ব্যাকুল হয়ে যায়। তখন ভাবতে থাকি কোন জান্নাতী মায়ের জান্নাতের ঠিকানা তোমরা ।আমি তো সেই রকম নেয়ামত থেকে বঞ্চিত।

এই মেয়েদের এরেস্ট করেছে শুনে বুকের চিনচিন করে ব্যাথা শুরু হল।কারন এই মেয়েরা প্রাইমারীর বাচ্ছার মত হাতে কলমে ইসলামের সুশিক্ষা দিতে চেষ্টা করছে।আমার বাসায় এসে আমাকে হাউজ টিউটর এর মত হাত ধরে ধরে মেয়েদের কোরানের হাদিসের বানী মুখস্ত করান। ইসলামের কত খুটিনাটি জ্ঞান অন্যদের দান করাতে চেষ্টা করেন। আমি দেখেছি আমার এই সকল মেয়েরা ইসলামের জন্য কত নিবিদিত প্রানের । বই ,আয়াত,হাদীসের পড়া দিয়ে ফোন করে খবর নেন শিখা হল কিনা।

“বলো, আমার নামায, আমার ইবাদাতের সমস্ত অনুষ্ঠান, আমার জীবন ও মৃত্যু সবকিছু আল্লাহ রব্বুল আলামীনের জন্য “
আনয়ামের এই আয়াতের আলোকে ঈমানী জযবা নিয়ে কোরানের আহবানে জান্নাতের বিনিময়ে জান মাল বিক্রি করে আখিরাতের যে কোন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য কত মেয়েকে তারা উৎসাহিত করেছেন ।আজ আল্লাহ তার গোলামদের ঠিকই কবুল করলেন কিন্তু য়ার আমি পড়ে রইলাম কোথায়?

আমার হৃদয়ের গুলবাগিচার বুলবুলিরা যা শিখাতে চেয়েছিলেনঃ

ইসলামী আন্দোলনের মেয়েরা যা যা শিখাতে চেষ্টা করেছিল তা হল ,

একটি মেয়ে বাচ্ছাদের লালন পালন সহ যৌথ সংসার বা একক সংসার পরিচালনার মাঝেও সকল প্রকার অন্যায় থেকে নিজেকে দূরে রেখে কিভাবে কোরান সুন্নাহ মোতাবেক উত্তম চরিত্রের অধিকারি হওয়া যায়।

আপাদের সুনিপুন হাতের সুন্দর পরিচালনায় ওনাদের ছেলেমেয়েরা সবাই হয়েছেন এক একটি উজ্জ্বল তারকা। আলহামুদিল্লাহ। আপারদের কথা গুলো ছিলো জীবনের জন্য নসিহত আর সংশোধনের মাধ্যমে জান্নাতের দরজায় উঠার সিড়ি ।তাই আজ এই মেয়েদের এই অপমান অবজ্ঞার কথা মনে পড়লে অশ্রু সিক্ত হয়ে যায় নয়নযুগল।

মেয়েরা বেপর্দা না হয়ে কিভাবে মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির স্থান সমুহ ঢেকে রেখে বেহায়ানা পনা,অশ্লীলতা ও নানা পাপাচার থেকেও নিজেকে হেফাজত করেও সংসার আর য়াল্লাহর কোরানের কাজ সব দিকে দক্ষতার পরিচয় দেওয়া যায় ।তার শিক্ষা এই আন্দোলনের মেয়েরা দেন ।

আমি আমার প্রবাসী স্বামীর রেখে যাওয়া রত্ন ভান্ডার থেকেও মুল্যবান সম্পদ ছিল আমার বসন্ত বয়স ১৮ বছর বয়সের সতীত্বওপবিত্রতা । তা আল্লাহর রহমতে এই বয়সের ছাত্রী মেয়েদের সাথে থেকে পর্দার মাধ্যমে এই সমাজের লোভী নেকড়ে আর শকুন নামের পুরুষদের থেকে হেফাযত করে ইমানের সিন্ধুকে লুকিয়ে রাখতে পেরেছিলাম ।তাই স্বামী প্রায় সাড়ে ৪বছর পর জাপান থেকে এসেও আলহামদুলিল্লাহ আমার চরিত্রের বিন্দু পরিমান দুর্গন্ধ বের করতে পারেন নাই। আলহামদুলিল্লাহ

এরা আরো শিখালেন, কুরআন,হাদিস,সাহিত্য বুঝে শুনে বার বার অধ্যয়নের মাধ্যমে আল্লাহ সম্পর্কে অনুভূতি লাভ ও সার্বক্ষণিক স্বরণ করার মাধ্যমে আল্লাহ কে আমাদের মাবুদ, আমরা তার গোলাম, প্রতিনিধি হিসাবে ঈমান এনে চুক্তি সম্পাদন করতে কর্মের মাধ্যমে ,আর তা না করলে এই কাজের জন্য আমাদেরকে আল্লাহর নিকট জবাবদিহী করতে হবে।

এই হিরার কনার চেয়ে মুল্যবান মেয়েরা আরো শিখালো , ইমানের আলোকে জীবনের কর্মপন্থা হিসাবে আমরা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর বিধানের আনুগত্য করতে হবে ।তবে তা অনিচ্ছায় নহে বরং স্বতঃস্পূর্ত আগ্রহ ও উৎসাহের সাথে তার নির্দেশিত পথে চলতে হবে।

দুনিয়াবি সব কাজ পার্থিব স্বার্থ ব্যতিরেকে একমাত্র তার সন্তুষ্টির জন্য করতে হবে তাই গোপনে প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ ঘৃণা করতে হবে ।

আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায় উপকরণ হিসাবে আমাদেরকে সালাত,আল্লাহর জিকির,সাওম, আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয়, আখেরাতকে অগ্রাধিকার দান, আখেরাতের চিন্তার লালন করা ।আর এই সবের মাধ্যমে আল্লাহর খাটি গোলাম হওয়া।

যে মুমিন বা ইমানদার হিসাবে অনেকেই নিজেকে দাবি করেন কিন্তু আল্লাহ কোরান এর জীবন্ত সৈনিক হিসাবে জিহাদের ময়দানে বা ইসলাম প্রতিষ্ঠার মত ফরজ কাজে সবাইকে মনোনয়ন দেন না । আবার যত জন মনোনয়ন পান সবাই বিজয়ী হতে পারেন না । আবার যার জান মাল সহ জীবনের সমস্ত আমল আল্লাহর যার টা কবুল করে নেন তাকেই আল্লাহ মুহসিনিন হিসাবে যানমালের সহ বিভিন্ন কিছুর উপর দিয়ে ঈমানের পরীক্ষা নেন তার জন্য তৈরী থাকা।

দুনিয়াটা হল পরীক্ষার হল যা করব পরকালে পাব তার ফল ।

পাঠশালা অনেক ছোট কিন্তু হল রুম অনেক বড় , গার্ড অনেক বেশি কিন্তু এক্সজামীনার অনেক দয়ালু । সিলেবাস ছোট, অধ্যায় কম, সাজেশান আর গাইড বুক লাগে না , শিক্ষক এর আদেশ অনুসারে মেইন বুক পড়লেই কোমন পড়ে কারন শিক্ষক অনেক জ্ঞানী ,পরীক্ষার সময় খুব কম তাও ঐ টুকুন সময় কাজে লাগায়ে লিখতে পারলেই নাম্বার দেন অনেক বেশি, ভুল হলে ক্ষমা চাইলে আর নাম্বার কাটেন না কিন্তু তাও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা খুব কম আবার যারা আছে তারা অনেকেই ফাকি বাজ আর অমনোযোগী্তাই নকলের সুযোগ নিতে চান।কিন্তু যারা শিক্ষক এর কথা গুলোর প্রতি একটু মনোযোগী হয়ে মেইন বুক পড়েন তারা A + বা Golden A+ পান অনেকেই ।আসুন আমরা আজই ভর্তি হয়ে যাই ।আর যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই হেরা গুহা ইউনিভার্সিটির ডক্টরেট ডিগ্রীটা নিতে ভুল করবেন না কিন্তু।আবার সেজনজট এর ভয় নেই । ডোনেশান দিতে হয় না শুধু টিঊশান ফি টা দিলেই হয় ।তাও আবার সামার্থঅনুসারে । কিস্তিতে দিলেও নেন কতৃপক্ষ ।এত সু্যোগ হাত ছাড়া করবেন না ।

বাংলাদেশের অনেক ভাইরাও এই পরীক্ষা দিয়ে অনাদের আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সারি অনেক দীর্ঘ করেছেন । আল্লাহর কাছে লাখো শুক্রিয়া তিনি এই স্বৈরাচার সরকারের সময় বার বার আমাদের হাজার হাজার বোনের মাঝে থেকে গুটি কয়েক নেক্কার বোনকে পছন্দ করেছেন ।তাই ইসলাম কে তথা কোরান সুন্নাহ কে ভালবাসার কারনে এই সরকারই মেয়েদের জেল জুলুম অপমান ও রিমান্ডের নামে অন্যায় ভাবে তাদের অমানবিক কষ্ট আগেও দিয়েছিল। হায়নাদের জাহেলী আচরন শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের আলোচনার এক মাত্র বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে । আমি বলব আলহামদুলিল্লাহ ।আলহামদুলিল্লাহ ।আমার প্রান প্রিয় বোন/মেয়েদের দের এই ত্যাগ আমাদের বাকীদের সিরাতুল মুস্তাকিমের চলার পথের আলোবর্তিকা হিসাবে আমাদের আর কয়েক দাপ এগিয়ে যেতে প্রেরণা দিবে ।

আপনি দুই ধরনের লোকের কথা কখন ভুলতে পারবেন না ।১। যিনি বিপদের সময় আপনার হাত ধরে ২।আর যিনি সুখের সময় দুধের মাছির মত আপনার সাথে সাথে চিংগামের আঠার মত লেগে ছিল আর বিপদের সময় সেই বন্ধু আপনার হাতটা এমন ভাবে ঝেরে ফেলে যায় আপনি হাজার বার কেদে সুপারগ্লু দিয়েও আর ধরে রাখতে পারবেন না । এই দ্বীনি মুজাহিদ /মুজাহিদারা শুধু ইসলামের জন্য আল্লাহকে ও রাসুলকে ভালবাসার জন্য বিপদে বন্ধু হিসাবেই শুধু ময়দানে আসেন নাই আখিরাতের সাচ্চা মুমিন হয়ে সত্যের পথের পথিক হয়ে বাতিলের মুকাবিলা করতে দাড়িয়েছেন। এই কঠিন পরীক্ষায় যেন আমরাও উত্তির্ণ হতে পারি তাই আল্লাহ আপাদের আমাদের সবাইকে কাফেরদের মুকাবিলায় সাহায্য করুন ।



বিষয়: বিবিধ

১৪৩৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

303854
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:৩০
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : কষ্ট লাগলো ছবিটা দেখে। ইসলাম কায়েম এসবের ভিতর দিয়েই হবে। ইসলামের পথটা সোজা ছিলো কবে?
303858
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:০৫
আবু ফারিহা লিখেছেন : অাল্লাহ সবাইকে হেফাজতে রাখুন অার মুক্তির ব্যবস্হা করুন। অামীন।
303883
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৩:৪৬
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : ইসলামী ছাত্রী সংস্থার গ্রেফতারকৃত
এই বোনদের অনেক অপরাধঃ
ওরা কোরআন/হাদিস/ইসলামী বই পড়ে।
ওরা মা-বোনদেরকে ইসলামী শিক্কা দেয়।
ওরা ইসলামী পোশাকে চলাফেরা করে।
ওরা নামায পড়ে, সবাইকে নামায পড়তে বলে।
ওরাও বাংলাদেশে ইসলামী শাসন চায়।
আমাদের বোন রা যত গ্রেফতার
হবে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার
জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ। বাংলার
প্রতিটি ঘরে ঘরে আরো বেশী করে ইসলামের
বানী তারা পৌছে দিবে।।।
হে অবৈধ সরকার, আমাদের এই
বোনদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিন।
303893
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৬:০৬
শেখের পোলা লিখেছেন : বাধা বিঘ্নের দৌড়ে জিতেই পাওয়া যাবে জান্নাত৷
"নূহ (আঃ) আরও বললেন,হে আমার রব, আপনি পৃথিবীতে কোন কাফের গৃহবাসীকে রেহাই দিবেননা"(সুরা নূহ-২৬) আমি তাঁর দোওয়ায় আমিন বললাম৷ আল্লাহ রসুল সঃ কে বললেন,"অতএব, আপনি সবর করুন, উত্তম সবর"৷ (সুরা মা'আরিজ-৫) আসুন সবর করি৷
303904
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:০৩
কাহাফ লিখেছেন :
ইসলামের প্রচার-প্রসারে মুমিনা নারীদের ত্যাগ-ভূমিকা সেই সুমাইয়া রা: থেকেই শুরু,যার ধারাবাহিকতায় আজকে মিথ্যা অভিযোগে আটক প্রিয় দ্বীনি এই বোনেরা!
আল্লাহ পাক স্বমহিমায় অবশ্যই এদের জাযায়ে খায়ের দান করবেন এবং রক্ষা করবেন!আমিন!!
303935
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:৫৫
আফরা লিখেছেন : খুব ইচ্ছে করছে দেশে যেয়ে দেশের ও দেশের মানুষের অবস্থা নিজের চোখে দেখতে । মুক্তিযুদ্ধের অনেক গল্প শুনেছি বই পুস্তকে ও পড়েছি এখন নাকি সে রকম অবস্থা ।
304037
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:৫৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : নারিদের আটকানো তাদের জন্য বেশি জরুরি। কারন নারিরাই গঠন করবে পরবর্তি প্রজন্ম।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File