আলপনা ও রাইয়ান বাবা মাকে ফিরে পেতে সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরছে দাদার সাথে ।

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৫:২০:০৩ সকাল



আলপনা ও রাইয়ান বাবা মাকে ফিরে পেতে সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরছে দাদার সাথে ।

আমি শিশুতে বাবা কৈশরে মা হারাবার পর থেকে হাড়ে হাড়ে বুঝেছি ভালবাসা কারে বলে?আমি আল্লাহ ছাড়া আর কাছে কান্দতে চাই না।এতে লাভের চেয়ে লোস বেশি।আলপনা রাইয়ান কে বার বার বলেছি বাচাধন তোরা কাদিস না।অনেক চেষ্টা করেও আলপনা(৪)ওরাইয়ান(৬)এই মাসুম বাচ্ছা বাবা মা এর জন্য কান্নায় আমি কেন পৃথিবীর বোবা উদ্ভিদপ্রানীরাও না কেন্দে পারবেনা।পাষান হৃদয়ের কিছু পশুর চেয়েও নরাদম এর নিরেট পাথরের হৃদয় তাদের জন্য গলেনি।উত্তরভঙ্গের আলপনার শ্রমজীবি বাবা দুপুরে খাবার খেতে আসেন।এর মধ্যেই পাষন্ডবাহিনী হাজির হয়ে তার ছোট চাচাকে ধরতে আসে।তাকে ঘরে না পেয়ে তার বাবাকে বেদম মার মারতে থাকে।উঠানেই আলপনার বাবাকে আধমরা করার ফলে তার মা ও কাজের মহিলা চিতকার চেচামেচি করায় তাদের সহ তার বাবাকে তুলে গাড়ি ভরে নিয়ে যায়।আজ ২৩ দিনেও কেউ জানতে আলপনা,রাইয়ান মাবাবা ও বয়স্ক দাদাদাদী তাদের সন্তান বেচে আছে না মেরে ফেলেছে তা জানতে পারল না।কোথায় গেলে মাবাব কে পাবে?এই আশায় বয়স্ক দাদাকে হাতে ২টি নিয়ে নিয়ে সবার দ্বারে দ্বারে কান্দছে।ভাইটাকে কান্দতে দেখলে বোনটা অমনি মা মা করে কান্দতে থাকে।

আলপনা আল্লাহকে বলে “আল্লাহ আমার কলিজা ফেটে যাবার আগে আমার মাবাবাকে আমার কলিজায় এনে দাও।আমি না হলে কিছুই খাব না” ।“রাইয়ান বলে আল্লাহ আমি তো নামাজ পড়ি সব গুলো।তাও আমার মা বাবাকে কেন নিল?এখন আল্লাহ আমার মাবাবাকে দিয়ে দাও” ।হায়রে সন্তানরা সামনে বাবামাকে সারাক্ষন দেখ তাই তাদের দাম নাই।হারালে কেমন লাগবে আলপনা কে জিজ্ঞাসা কর।বিনাঅপরাধে মাবাবা হারানো এদের কান্নায়ও যদি তোমাদের মনের চোখের রঙ্গিন গ্লাস না সরাও।এই অন্যায়ের প্রতিবাদ না কর এরা সোনার বাংলাকে শীতের পাতা ঝরাপত্রপল্লবের মত রিক্তহস্ত। অন্যায় সয়ে যাওয়া মানুষের মুল্য সাদা কাগজের মুল্যের চেয়েও কম।কারন পাগল ছাড়া কেউই তার আমল নামা খালি সাদা জমা হোক তা চাইবেনা।আর ভাল কর্মের মাধ্যমেই কালো কালির আছড় পড়ে সাদা কাগজে ।আর কাগজের লিখা রেকর্ডের উপর নির্ভর করবে অনন্তজীবন আখিরাতের চুড়ান্ত সফলতা বা ব্যার্থতা ।

আলপনার কথা ভেবে আমরা আমাদের হৃদয়ের আলপনায় একে নিতে পারিঃ

আমি একজন প্রকৃত মুসলিম?নাকী শুধু মুসলিম লিবাশধারঙ্কারী মুরগীর রান খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়া?

ঈমানের অনিবার্য দাবী আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়ার ফুল বিছানো শয্যা ত্যাগ করে আখিরাতের অনাবিল শান্তির প্রত্যাশ্যায় কাটাযুক্ত পথকে ঈমানের পরীক্ষা হিসাবে বেচে নেওয়া।আপনার আমার সন্তানও আলপনা রাইয়ান এর মত হয়ে যেতে পারে।

আল্লাহ অবশ্যি দেখে নিবেন সত্যবাদী ও স্বাচ্চা মুমিন কারা?তাই আমাদের অকুন্ঠ চিত্তে স্বীকার করে নিতে হবে,যে কোন পরীক্ষা ও শাহাদাতের তামান্নায় আমরা অটুট অকুতভয় ওনির্ভিক,নির্ভয়ে সব করে দেব দান।

অতীতে ঈমানের পরীক্ষা যারা দিয়েছেন তদের থেকে প্রেরনা নেওয়া।ইব্রাহিম আঃঅগ্নিকুন্ডে থেকে দিয়েছেন,ইউসুফ আঃ কারাগারে থেকে,রাসুল সাঃ কে শে’বে আবু তালিবে ৩ বছর বয়কট থাকেন।

মহিলাদের নিরাশ বা হতাশ হবার কিছুই নেই।

ঈমানের পরীক্ষায় কঠিন পরীক্ষায়ও জয়ী হলেন বিবি আছিয়া ,ইসলামের প্রথম শহীদ সুমাইয়া রাঃ,তাছাড়া বছরে বছর ঈমানের অগ্নীপরীক্ষায় নির্ভীক সাহসীনারী মিশরের জয়নাব আল গাজ্জালী।পাকিস্থানের ডঃআফিফা সিদ্দীকি ও বাংলাদেশের মহীয়সী নারী সানোয়ারা জাহান পিয়ারী।যিনি শুধু কারাবরন করেই পরীক্ষা দেননি আরো কঠিন পরীক্ষা দিয়েছেন নিরোপরাধ স্বামী অনুপ্রানীত করে বিচলিত করেননি জালিমের সাজানো নাট্যমঞ্চের মত ফাসির মঞ্চে।যার হৃদয়ে সাথে প্রায়ই মাসে গিয়ে আলিঙ্গন না করলে ঈমানের বারুত গুলো নেতিয়ে পড়ে।যার হাতের ভাড়া ভাতে মায়ের পরশের ছোয়া পাই।একবার আসলে আবার কবে যাব অতৃপ্ত হৃদয় সুযোগ খোজে বার বার।

আমি নেটজগতে আসার বা লিখালেখি করার মত নুন্যতম যোগ্যতা আমার নেই।আমি ইসলামের বা আল্লাহর গোলামীর নুন্যতম যোগ্যতাও রাখি না।তাও বাতের রুগীর মত হাতের আংগুল গুলো নাড়াচাড়া না করালে ভাল লাগে না।কোথাও চুপ করে বসে থাকতে পারি না।সাহেব তাই উপাধি দিয়েছেন বোকা।কারন জ্ঞানীরা কম কথা বলে।কিন্তু আমার সত্যের দাওয়াত কি তা হলে বোবারা দিয়েছিল।বোবার তো শত্রু নেই।তা হলে যুগে যুগে সত্য প্রচারকারীদের এতো নিষ্টুর নির্মম অত্যাচার সইতে হলে কেন?

আমি বোবা জ্ঞানী হতে চাই না।আমি লিখতে কলম ধরতে চাই না কিন্তু আলপনা চোখের পানি গুলো কলমের কালি হয়ে আমাকে লিখতে বাধ্য করল ।আমি জানি আমার লিখা হয়ত অনেকের মাথায় এলার্জি সৃষ্টি করে বা অন্য লিঙ্কে যাবার সময় বলে যায় ধুর্তরি চাইপাস লিখা আবার নেটে ছাড়ে।আমি আপনাকে সত্যি করে বলি আমার একমাত্র উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি আর আমার প্রানপ্রিয় ও সন্মানিত শিক্ষক দাদার আদেশ পালনের মাধ্যমে কলমের জিহাদ চালিয়ে যাওয়া ।তাই কেউ লাইক কমেন্টস বা কপিপেস্ট করল না করল তাতে আমার কিছুই যায় আসে না ।

আপনারা আমাকে ক্ষমা করে দিবেন ।কিন্তু শিশু আলপনা আর রাইয়ানের কি হবে তা কি বলতে পারবেন।এই রকম আরো হাজারো আলপনা আর রাইয়ানরা অন্ধকারে অতলে জালিমের জুলুমের স্বীকার হয়ে মজলুম হয়ে পথে পথে কান্দছে।এঈ বয়স্ক বাবা মা কে (আলপনার দাদাদাদী)এই শেষ বয়সে কে খাওয়াবে আর কে তাদের দেখাশুনা করবে বলতে পারবেন?কারন সারা বাংলার সদ্যজন্ম নেওয়া সন্তান থেকে আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবার চোখে কান্না আজি কে দিবে কাকে শান্তনা।যৌথ বাহিনীর তো জনগনের জানমাল নিরাপত্তা বাদ দিয়ে ভাঙচুরের অধিকার পেয়েছে আর জনগনের টাকায় প্রধানমন্ত্রী ও তো এই জন্য তাদেরকে নিয়োগ দিইয়েছে।

যেই ক্ষমতা কোন সককারের নেই।তাহলে কেন এই সরকারী হত্যা জেল জুলুম গুম ক্রসফায়ার নাটকের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেশে চলছে ?তাহলে কে জনগনকে নিরাপত্তা দিবে ? বনের পশু পাখি জীব জন্তুরা তো আরো জান মালের সুরক্ষিত আছে।আমরা কি স্বাধীন দেশেই আছি না পরাধীন দেশে অরক্ষিত আছি।

ইসলামের জ্ঞানীরা মেরুদন্ড থেকেও কাধের বস্তার ভারে মেরুদন্ডহীন কেচোর মত শয়তানের দালালদের পা চাটছে হামানের মত ।আর যাদের ইসলামের জ্ঞান নেই কিন্তু অমেরুদন্ড কীটের ন্যায় আধারে থাকতে না চেয়ে আলোর নীচে বাস করতে চাচ্ছে ।তারাও নানা বাধার কারনে আলোর সরল রেখা কোরানের সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে না গিয়ে ভিন্ন পথে ভিন্ন মতে হইয়েছে দিশেহারা।তাই মাঝারে যায় ফকির বাবার কাছে ,পীরের মুরীদ হয়ে সিন্নী খেয়ে ভূড়ি বানাচ্ছে।আমি সবাইকে বলব আলপনা রায়হানের মা বাবা কে খুজে দিন

বিষয়: বিবিধ

১৫১৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

303222
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:০৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : গান্ধিজি নাকি সাথে সবসময় তিনটি বাঁদর এর মুর্তি রাখতেন। যেগুলির একটির চোখ ঢাকা, একটির কান, আর একটির মুখ। তার নিতি ছিল বাঁদরগুলি খারাপ কিছু দেখেনা,শুনে না বলে না।
আমরা এখন সবাই সেই বাঁদর গুলি তে পরিনিত হয়েছি। আমরা অত্যাচার দেখে চোখ সরিয়ে নিই। হিন্দিগানে অত্যাচারিতের আর্তনাদ ঢেকে দিই আর চুপ করে থাকা কে মনে করি বিচক্ষনতা!
303246
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৪৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File